Thread Rating:
  • 106 Vote(s) - 2.8 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance মিষ্টি মূহুর্ত ( উপন্যাস) সমাপ্ত :---
[Image: boldoutline.jpg]

Update 3

সুচির স্বভাব , আচার-আচরন সব ভালো করেই জানে বিপ্লব । একসাথে বড়ো হয়েছে তারা। বলা ভালো সুচির চড় খেয়েই বড়ো হয়েছে বিপ্লব বিচ্ছু। সুচির চড় খেয়ে একদিন গালে ব্যাথা থাকে আর দুদিন গালে আঙুলের দাগ থাকে । আর সেই সুচিকেই প্রেমপত্র দিতে বলছে এই দাদা। দুরুদুরু বুকে কার্ডটা নিল বিপ্লব। কার্ড হাতে ধরতেই নকুল বললো “ দিয়ে আয় যা। „

উঁচু ক্লাসের দাদার কথা অমান্য করা যায় না। অমান্য করার সাহস নিচু ক্লাসের ছাত্রদের নেই। তার উপর লাস্টের ‘ দিয়ে আয় যা ।  ‚  কথাটা যেন আদেশ করলো মনে হলো বিপ্লবের। আদেশকে তোয়াক্কা করা যাবে না । বেশি কিছু হলে সুচি একটা চড় মারবে এটা ভেবেই বিপ্লব কার্ডটা নিয়ে এগিয়ে গেলো সুচি যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। সুচির কাছে যেতেই সুচি বিপ্লবকে জিজ্ঞাসা করলো “ এখানে কি করছিস ? তোর ক্লাস এইদিকে নাকি ! „

সুচি প্রশ্নটা করতেই বাকি তিনজন বিপ্লবের দিকে ফিরে তাকালো। এতক্ষণ বাকি তিনজন সুচির দিকে মুখ করে ছিল। আর সুচি বিপ্লবের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল। বাকি তিনজন বিপ্লবের দিকে ফিরে তাকাতেই বিপ্লব দেখলো তাদের মধ্যে একজন জয়শ্রী দাঁড়িয়ে আছে। বিপ্লবের হাতে গ্রিটিংস কার্ড দেখে সেটা ছোঁ মেরে নিয়ে নিল জয়শ্রী । তারপর সেটা খুলে দেখলো , তাতে বড়ো করে সুচিত্রার নাম লেখা আছে। সুচিত্রার নাম পড়ে জয়শ্রী বললো “ পড়াশোনা না করে এইসব করছিস ? আজ কাকিমাকে বলছি তুই এইসব করে বেড়াচ্ছিস কলেজে। „

একেই হৃৎপিন্ড একটু বেশিই দ্রুত চলছিল বিপ্লবের । এখন মায়ের কাছে বলে দেবে শুনে বুকটা যেন ড্রাম বাজাতে শুরু করলো “ আমি কি করলাম ? ওই দাদাটাই তো আমাকে এই কার্ডটা দিয়ে বললো সুচিকে দিয়ে আসতে । „ বলে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা নকুলের দিকে দেখিয়ে দিল ।

বিপ্লবের মুখে নিজের ডাকনাম শুনে সুচি রেগে গেল। ঠাসসসস করে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললো “ বড়োদের নাম ধরে ডাকছিস আবার ! তোর সাহস তো কম না। আজ বাড়ি চল কাকি তোর কি অবস্থা করে দেখ। „ বলে জয়শ্রীর হাত থেকে কার্ডটা নিল সুচি।

কিছুক্ষণ মন দিয়ে কার্ডটা পড়লো সুচি । এই সুযোগে বিপ্লব দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেল । কার্ডে লেখা আছে ----- অনেকদিন ধরে তোমাকে কথাটা বলবো বলবো করছি কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। আজ সাহস করে বলছি ‘ তোমাকে যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই এই বুকে তুমি বাস করছো । তোমার গালে টোল পড়া হাঁসি দেখার জন্য আমি প্রতিদিন কলেজে আসি। তোমার নাচ দেখার জন্য আমি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি ...........

আরও অনেক কিছুই লেখা ছিল কার্ডে। সেগুলো পড়ার আর ইচ্ছা হলো না সুচির। যতোটা পড়লো তাতেই সুচির কান লাল হয়ে উঠলো রাগে । কার্ডটা নিয়ে সোজা নকুলের সামনে গিয়ে ঠাসসসস করে একটা চড় বসিয়ে দিল “ এতোই যখন নাঁচ দেখার শখ তখন নিজের দিদিকে নাঁচ শিখিয়ে তার নাঁচ দেখ। „ দাঁতে দাঁত ঘসে চিবিয়ে চিবিয়ে কথাটা বলে গ্রিটিংস কার্ডটা নকুলের দিকে ছুড়ে দিল সুচি।

সুচির ওই সরু সরু আঙুলের হাতের চড়ে আওয়াজ হয় খুব। নকুলকে মারা চড়ের আওয়াজ এতোটাই তীব্র ছিল যে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সবাই হকচকিয়ে গেল। কোলাহল করা কলেজের বারান্দা এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু নিচু  ক্লাসের সবাই নকুলের দিকে তাকালো। নকুল তখন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক তখনই ক্লাস শুরু হওয়ার ঘন্টা বেজে গেল। সুচি হয়তো আরও কিছু বলতো কিন্তু টিফিন শেষের ঘন্টা শুনে নিজের ক্লাসের দিকে হাঁটতে শুরু করলো।

এরপর নকুল একমাস আর কলেজে আসেনি। আসলেই তো ঠাট্টা টিটকিরির মুখোমুখি হতে হবে। তাই যতদিন না ঘটনাটা সবার স্মৃতি তে আবছা হয়ে যায় ততদিন সে এলো না। কলেজে ক্লাস টিচার কে একটা অসুস্থতার চিঠি দিয়ে দিল।

নকুল চড়ের জন্য কলেজে আসলো না। কিন্তু সেদিন নকুল ছাড়া আরও একজন চড় খেয়েছিল। যে চড় খেয়েছিল সে কিন্তু ভোলার পাত্র নয়। বিপ্লব সুচির চড় খেয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো --- খুব দিদি হওয়ার শখ। যখন তখন শাসন করবে। চড় মারবে। কিছু একটা করতে হবে। দিদি হওয়ার শখ বার করতে হবে।

কয়েকদিনের মধ্যে বিপ্লব সুচির চড়ের কথা ভুলে গেল। কিন্তু দোল পূর্ণিমার হাওয়া গায়ে মাখতেই আবার পুরানো স্মৃতি সব নতুন হয়ে জেগে উঠলো। আশে পাশের কয়েকটা দোকানে খোঁজ করে পাঁচ টাকার দুটো বাঁদুড়ে রঙ কিনে আনলো। কিনে তো আনলো কিন্তু সুচিকে মাখানোর সাহস হলো না। কি করা যায় ভেবে আকাশকে ডেকে বললো “ এটা পাকা রঙ। একবার মাখলে একমাস উঠবে না....

বিপ্লবের কথা মাঝপথেই থামিয়ে উৎসাহে আকাশ বলে উঠলো “ একটা দে , সুচিকে মাখাবো । „ বিপ্লব এটাই চাইছিল কিন্তু আকাশকে বলতে পারছিল না। আকাশ নিজে থেকেই সুচিকে মাখানোর কথা বলতে দুটো শিশির মধ্যে একটা আকাশকে দিয়ে দিল।

দোলের দিন সকালে সুচি একটা পুরানো টপ আর একটা ফুল প্যান্ট পড়লো। প্রথমে দিদিমাকে একটা প্রনাম করলো তারপর বাড়ির সবার পায়ে আবির দিয়ে প্রনাম করে নিচে নামলো। নিচে নেমে দাদুর সেই ঘরের দিকে দৃষ্টি পড়তেই মনটা ভারি হয়ে উঠলো সুচির। দাদুর ঘরটা এখন স্টোররূমে পরিনত হয়েছে। সোসাইটির সব পুরানো আসবাবপত্র এখন দাদুর ঘরে স্থান পায়। প্রতিবার দাদুর পায়ে আবির দিয়ে প্রনাম করতো সুচি। দাদু সবার জন্য রসগোল্লা কিনে রাখতো। সবাইকে দেওয়া হয়ে গেলে বাকি বেচে থাকা রসগোল্লা একা সুচিকে দিয়ে দিত দাদু। এইসব পুরানো কথা মনে পড়তেই মনটা আরও ভারী হয়ে উঠলো সুচির।

কিন্তু আজ মন ভারী করার দিন না। বাবার এনে দেওয়া আবির দিয়ে দোল খেলতে শুরু করলো। কিছুক্ষণ পরে একে একে জয়শ্রী, সুমি সবাই এলো। শুধু বাদশাকে নিচে নামতেই দেওয়া হলো না । আকাশ দিদিমার কাছে বাদশাকে গচ্ছিত রেখে নিচে এসে সবাইকে আবির মাখালো। কেউ কেউ পিচকারি দিয়ে আবির গুলে গায়ে ছুঁড়তে লাগলো। দেখতে দেখতে সোসাইটির খেলার মাঠ আর সবার মুখ আবিরে সেজে উঠলো।

দোল খেলার পর যে যার বাড়ি চলে গেল। সোসাইটির খেলার মাঠটা এখন বিভিন্ন রঙের আবিরে রামধনুর মতো সেজে আছে। সুচি নিজের ঘরে গিয়ে তোয়ালে , একটা টপ আর একটা হাফপ্যান্ট নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল স্নান করতে। প্রথমে বালতি থেকে মগে করে জল তুলে মুখটা ধুলো। সমস্ত আবির উঠে গেল কিন্তু আকাশের মাখানো পাকা রঙ উঠলো না। কোন এক সুযোগে আকাশ এই পাকা রঙ মাখিয়ে চলে গেছে।

মুখ ধোওয়ার পর বাবার দাড়ি গোঁফ কামানোর জন্য টাঙিয়ে রাখা বড়ো আয়নায় নিজের মুখ দেখেই ভুরু কুঁচকে গেল সুচির। পুরো মুখে হালকা কালচে রঙ। পাকা বাদুড়ে রঙ। মুখের আসল রঙ বোঝাই যাচ্ছে না এই পাকা রঙের জন্য।

পাকা রঙ দেখে ভালো করে সাবান দিয়ে মুখ ধুলো সুচি । তিন চারবার ধোওয়ার পরেও উঠলো না। কিছুক্ষণ আয়নায় নিজের মুখ দেখে ভাবলো---- ‘ কে করতে পারে এইরকম বদমাইশি ? একমাত্র বিপ্লব করে এই ধরনের শয়তানি। কিন্তু বিপ্লব তো আজ ওর কাছে একবারও আসেনি ।  তাহলে কে হতে পারে ? ‚  তারপরেই মনে পড়লো ‘ আকাশের হাতে এই পাকা রঙ দেখেছিল কিন্তু তখন খেয়াল করেনি। অন্যমনষ্কতার সুযোগে কোন এক সময় আকাশ এই কাজ করেছে । ‚ এই সিদ্ধান্তে আসতে বেশি সময় লাগলো না সুচির।

আকাশের কথা মাথায় আসতেই দাঁত দাঁত ঘসে নিয়ে বাথরুমের বাইরে এসে সোজা আকাশের ঘরে চলে এলো। দিদিমা তখন বাদশাকে স্নান করানোর জন্য একটা বড়ো গামলায় জল ভরছেন আর আকাশ টিভি দেখছে। সুচিকে ওইরকম তেড়েফুড়ে ঘরে ঢুকতে দেখে আকাশ তড়াং করে সোফা থেকে উঠো পড়লো।

“ তুই করেছিস না এটা ? „ বলো আকাশকে মারতে যাচ্ছিল। কিন্তু আকাশ হাসতে হাসতে সোফার চারিদিকে গোল হয়ে দৌড়াতে লাগলো।

আকাশকে হাসতে দেখে সুচি আরও রেগে গেল। মনে হচ্ছিল চড়ে গাল দুটো লাল করে দেয়। কিন্তু আকাশ হাতে আসছে না। তিন চারবার সোফার চারিদিকে দৌড়ে সুচি হাঁপিয়ে গেল। একটু শান্ত হয়ে বললো “ আচ্ছা তোকে মারবো না। শুধু বল কে তোকে এই রঙ দিয়েছে ? তোর এত সাহস নেই আমাকে পাকা রঙ মাখানোর। „

“ আমি ভীতু ! „ কোন ছেলেকে যদি বলা হয় তুই সাহসী না তাহলে সে খুব রেগে যাবে। সুচি আকাশকে সাহসী মনে না করায় সেও রেগে গেল। রেগে গিয়ে সোফার চারিদিকে গোল হয়ে দৌড়ানো বন্ধ করে দিল।

“ হ্যাঁ তুই ভীতু। ভীতুর ডিম তুই। এবার সত্যি সত্যি বল কে তোকে এই রঙ দিয়েছে ? না হলে কিন্তু মার খাবি । „ আকাশের পুরো সামনে এসে চোখ বড়ো বড়ো করে ধমকিয়ে বললো সুচি ।

আকাশ এখন পুরো সুচির হাতের নাগালে। চাইলেই একটা চড় বসিয়ে দিতে পারে আকাশের গালে। মার খাওয়ার ভয়ে আর সুচির বড়ো বড়ো চোখের ভয়ে আকাশ বলে ফেললো “ বিপ্লব এই রঙ দিয়েছিল তোকে মাখানোর জন্য। „

ঠাসসসসস আকাশের কথা শেষ হতেই সুচির ডান হাত সজোরে বসে গেল আকাশের গালে “ পরের কথায় খুব নাঁচা হচ্ছে । বিপ্লব তোকে ছাদ দিয়ে ঝাপ দিতে বললে তুই ঝাপ দিবি ? „

সুচির চড় খেয়ে আকাশ সোফায় পড়ে গেল “ বা রে আমি ঝাপ দিতে যাবো কেন ? „ গালে হাত বুলিয়ে বললো আকাশ। চড়ের জন্য প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা তার ।

সুচির চড়ের আওয়াজ বাথরুমে দিম্মার কান অব্দি গিয়েছিল। চড়ের আওয়াজ শুনে তিনি বেরিয়ে এসে দেখলেন আকাশ সোফায় পড়ে আছে আর গালে হাত বুলাচ্ছে। সুচি তার সামনে কোমরে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে তার পাকা রঙ । পাকা রঙের জন্য এখন সুচিকে পুরো ভুতের মতো দেখাচ্ছে “ এখনও স্নান করিস নি তুই। আর এ কি অবস্থা তোর ! „

“ দেখো না তোমার আদরের দাদুভাই কি করেছে । পুরো মুখে পাকা বাদুরে রঙ মাখিয়ে দিয়েছে । কিছুতেই উঠছেনা ! „ বলে কাঁদো কাঁদো গলায় দিম্মা কে জড়িয়ে ধরলো সুচি।

সুচি এখন দিম্মার থেকে লম্বা। দিম্মাকে জড়িয়ে ধরার জন্য দিম্মার মাথা সুচির গলা পর্যন্ত এসে ঠেকছিল। সুচির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে দিম্মা বললেন “ কেন করেছিস এরকম দাদুভাই। পাকা রঙ মাখলে ত্বকের অনেক রোগ হয় জানিস না তুই ? „

“ আর করবো না দিদিমা । „ মাথা নিচু করে কথাটা বললো আকাশ। নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে সে।

“ চল তোকে স্নান করিয়ে দিই। হলুদ লাগিয়ে দেবো , দেখবি মুখের সব রঙ উঠে যাবে । „ সুচিকে বললেন দিদিমা।

তারপর সুচিকে দিদিমা স্নান করিয়ে দিলেন। মুখে সাবান মাখিয়ে দিলেন। হলুদ ও মাখালেন কিন্তু রঙ তেমন একটা উঠলো না। রাগে প্রায় চোখে জল এনে মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে সুচি দিদিমা কে বললো “ আজ রাতে তুমি ঘরের দরজা খোলা রাখবে। „

“ কেন কি করবি তুই ? „

“ তুমি দরজা খোলা রাখবে । আমিও আকাশকে পাকা রঙ মাখাবো । „

দিদিমাকে ভুরু উপরে তুলে দাড়িয়ে থাকতে দেখে সুচি বললো “ তুমি শুধু আকাশকেই ভালোবাসো আমাকে একদম ভালোবাসো না । „

সুচির অভিমান দেখে তাকে বুকে টেনে নিয়ে দিদিমা বললেন “ তুই আমার দাদুভাইকে ক্ষতিকর রঙ মাখাবি আমি কি করে রাজি হই বলতো ! „

“ আর তোমার দাদুভাইযে আমার মুখে এই রঙ মাখালো তখন ! „

দিদিমা আর কিছু বলতে পারলো না। বিকালে সুচি বিপ্লব কে ধরে বললো “ তুই আকাশকে পাকা রঙ দিয়ে বলেছিলি আমাকে মাখাতে ? „

সুচির গম্ভীর গলা শুনে বিপ্লব আগে থেকেই নিজের দুই গালে হাত দিয়ে দিল। সুচি যাতে না মারতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। বিপ্লবের অবস্থা দেখে সুচি বললো “ আচ্ছা আমি মারবো না যদি তুই আমার একটা কাজ করে দিস । „

“ কি কাজ ? „

“ ওই পাকা রঙ আমাকে এনে দিতে হবে ।  আছে তোর কাছে ?

“ আছে । „

“ যা আন । „

বিপ্লব দৌড়ে নিজের বাড়ি গিয়ে একটা কাচের শিশি এনে দিল। সুচির হাতে দিয়ে বললো “ একটু হাতে নিয়ে কয়েক ফোটা জল দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে......

“ থাক আমাকে শেখাতে হবে না ।  „ বলে সুচি একটা অগ্নি দৃষ্টি দিয়ে চলে গেল।

রাতে দিদিমা সুচির কথা মতো দরজা খুলে রেখেছিলেন। আকাশকে ওই পাকা রঙ মাখানোতে একদম মন ছিল না দিদিমার। কিন্তু সুচির অভিমান আবার ভয়ঙ্কর। সহজে ভাঙতে চায় না। তাই তিনি দরজা খোলা রাখলেন। রাত এগারোটার দিকে সুচি এলো। আকাশ তখন মড়ার মতো ঘুমাচ্ছে আর সেই ছোটবেলার অভ্যাসের জন্য ঠোঁট নাড়ছে। এমন ভাবে ঠোঁট নাড়ছে যেন কথা বলছে।

সুচি এসে ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিল । ঘরে আলো জ্বললেও আকাশের ঘুম ভাঙলো না। সুচি একটু মুচকি হেসে শিশিতে যতোটা রঙ ছিল সব হাতে নিয়ে জল দিয়ে মেখে আকাশের পুরো মুখে মাখিয়ে দিল। সুচির দুষ্টুমি হাসি দেখে দিদিমাও হেসে ফেললেন।

সুচির কোমল হাত শুধুমাত্র চড় মারার সময়েই আকাশের গালে পড়েছে। এখন সেই কোমল হাতের আঙুল মুখের উপর ঘুরে বেড়াতে ঘুমের মধ্যেই আকাশ খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। মুখে রঙ মাখানো হয়ে গেল সুচির মুখে একটা যুদ্ধ জয়ের হাসি দেখা দিল। আকাশের মুখে রঙ মাখিয়ে খাট থেকে নেমে দিদিমাকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু খেয়ে ঘরের বাইরে চলে গেল । দিদিমা এই দুজনের দুষ্টুমি খুব উপভোগ করেন। আকাশের সাথে থাকলে যেন সুচি নিজের বয়স ভুলে গিয়ে বাচ্চা হয়ে যায়। এটা দিদিমা সবথেকে বেশি উপভোগ করেন।

সকালে আকাশ ঘুম থেকে উঠে হাত আকাশে তুলে উবাসি কাটিয়ে ঘরের বাইরে এলো। ঘরের বাইরে এসে বাথরুমে গিয়ে ব্রাশ করতে শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে দাঁত দেখার জন্য আয়নায় দৃষ্টি ফেলতেই দেখতে পেলো মুখে পাকা রঙ। মুখে রঙ কি করে এলো সেটা ভাবতে ভাবতেই চোখ বড়ো হয়ে গেল বিস্ময়ে। কে মাখালো ? কখন মাখালো ? এইসব ভাবতে ভাবতে ভালো করে মুখ ধুলো। বৃথা চেষ্টা করলো রঙ তোলার ।

তারপর বাথরুমের বাইরে আসতেই দেখতে পেলো ফ্ল্যাটে ঢোকার দরজায় সুচি দাড়িয়ে আছে। মুখে তার এখনও যুদ্ধ জয়ের হাসি । সুচির হাসি দেখেই আকাশ বুঝলো এটা সুচি করেছে । আকাশের কাছে এখন সবথেকে বড়ো বিষ্ময়ের বিষয় হলো ‘ সুচি কখন তাকে রঙ মাখিয়েছে ‚ তাই সে সুচিকে জিজ্ঞাসা করলো “ তুই এই রঙ কখন মাখালি আমায় ? „

সুচি হাসতে হাসতে বললো “ কাল রাতে যখন মড়ার মতো ঘুমিয়েছিলি তখন । „ সকালে ঘুম থেকে উঠে খুব ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়েছিল সুচি। রঙ কিন্তু ওঠেনি। সেটা মনে পড়তেই সুচি বললো “ একবারও ভেবেছিস তুই ! আমি কিভাবে এখন আমি কলেজে যাবো ? „

“ তুই কলেজে যেতে পারবি না বয়েই গেল আমার । „

“ তবে রে। „ বলে সুচি এগিয়ে গেল আকাশের দিকে। তারপর যথারীতি সকালের কুস্তি শুরু হয়ে গেল। আকাশ বিশেষ সুবিধা কখনোই করতে পারে না। সুচি আগেই আকাশের বড়ো বড়ো চুল ধরে তার মাথাটাকে কয়েক পাক ঘুরিয়ে নেয় তারপর চড় মারে। এখনও তার ব্যাতিক্রম হলো না। সুচি আকাশের চুল ধরার পরেই আকাশ দৌড়ে সরে গিয়ে হাসতে হাসতে বললো “ আবার মাখাবো । যখন এই রঙ উঠে যাবে তখন আবার মাখাবো। „

আকাশের কথা শুনে সুচি আরো রেগে গেল। দৌড়ে গিয়ে আকাশকে ধরতে গেল । আকাশকে ধরার আগেই আকাশের বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন । কাকাকে দেখে সুচি শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। সুচির দেখাদেখি আকাশও দাঁড়িয়ে পড়লো।

আকাশের বাবা ঘর থেকেই সুচি আর আকাশের জোরে জোরে কথার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন। তাই তিনি একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। বাইরে লিভিং রুমে এসে সুচি আর আকাশের দিকে তাকাতেই মুখ আপনাআপনি হা হয়ে গেল শুভাশীষ বাবুর। আকাশ আর সুচির মুখে যেন কেউ হাড়ির তলায় লেগে থাকা কালো কালি মাখিয়েছে কিংবা এক বালতি আলকাতরা যেন কেউ ভালোভাবে দুজনের মুখে মাখিয়ে দিয়েছে । বাবার বিষ্ময়ের কারন বুঝতে পেরে আকাশ সুচির দিকে আঙুল দিয়ে বললো “ এ মাখিয়েছে । „

সুচিও নিজেকে বাঁচানোর জন্য বললো “ তুই তো আগে মাখিয়েছিস। „

শুভাশীষ বাবু দুজনকেই বললেন “ এই ধরনের রঙ ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি হয়। আর কখনো মাখাবে না কাউকে। এতে চামড়ার অনেক ক্ষতি হয় „ বলে তিনি বাথরুমে চলে গেলেন ব্রাশ করতে।

কিছুক্ষণ পর স্নেহা দেবী ঘর গুছিয়ে এসে দুজনকেই বকলেন। তারপর সুচিকে এই পাকা রঙ তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপদেশ দিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ তিনি দুজনকে বকাঝকা করতে পারলেন না কারন ব্রেকফাস্ট বানাতে হবে তার স্বামীর জন্য।

রঙ মাখানোর পর এক সপ্তাহ সুচি কলেজে যায় নি। বাড়িতে বিভিন্ন ফেসওয়াশ , আয়ুর্বেদ পাতা,হলুদ , লেবু , নিম পাতা মেখে যতদিন না মুখের রঙ ওঠে ততদিন কলেজে গেল না । এই কয়েকদিন বাড়িতে বসে   সুচি লক্ষ্য করলো বাদশা একটু ঝিমিয়ে আছে। আগের মতো আর লাফাচ্ছে না। রোজ বিকালে সবাই যখন খেলে তখন বাদশা দিদিমার পায়ের পাশে চুপচাপ বসে থাকে। সুচির মুখের রঙ পুরপুরি ওঠেনি তাই সে আলাদা হয়ে বাদশার সাথে খেলে কিন্তু বাদশার আগের মতো আর সেই উৎসাহ নেই। সুচির মনে হলো এটা সেই পাকা রঙের জন্যেই হয়েছে তাই একদিন বিকালে আকাশকে ঠাসসসস করে চড় মেরে বললো “ তোর ওই পাকা রঙের জন্যেই বাদশার শরীর খারাপ হয়েছে । „

“ তোর তো শুধু মারার বাহানা চাই। শুধু শুধু মারছিস , পাকা রঙ কেন ! আমি তো আবিরও মাখাইনি  বাদশাকে। „

“ তাহলে বাদশার শরীর খারাপ হলো কি করে ? „

“আমি কি জানি । „

দিদিমা দুজনকেই থামিয়ে বললেন “ আর মারপিট করতে হবে না। কালকে বিকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। এখন যা তোরা পড়তে বস । „

ডাক্তারের কথা শুনেই সুচির বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো “ ডাক্তার কেন ? কি হয়েছে বাদশার ? „

“ ডাক্তারের কাছে গেলেই তো বুঝবো কি হয়েছে । „

“ তাহলে এখনই চলো দিদিমা । „

সুচির কথা শুনে আকাশও জেদ ধরলো আজকেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য। আকাশের জেদের কাছে সবাই হার মেনে নেয়। এখন দিদিমাও হার স্বীকার করলেন। তিনজন মিলে বাদশাকে পাশের একটা পশু চিকিৎসক এর কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার কিছুক্ষণ পরিক্ষা নিরিক্ষা করে সবাইকে আস্বস্ত করার জন্য বললেন “ রোগ টোগ কিছুই হয় নি। বাদশার বয়স হয়েছে। তাই আগের মতো আর এনার্জি পাচ্ছে না। আপনারা এর খাবার বদলে দিন। „ তারপর প্রেসক্রিপশনে কিছু একটা লিখে বললেন “ কত বয়স হয়েছে বাদশার ? „

দিদিমা আকাশের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন “ এর অন্নপ্রাশনে আমার ছেলে উপহার দিয়েছিল। তা সে এগারো বছর হতে যায় । „

“ খুব ভালো কেয়ার করেছেন আপনারা। এই ওষুধ গুলো নিয়ে নিন বাইরে থেকে আর খাবার পাল্টে ফেলুন । „

চেম্বারের বাইরে কম্পাউন্ডার একটা ছোটখাটো দোকান নিয়ে বসে আছে। সেখান থেকেই ওষুধ আর ডগ ফুড কিনে চলে এলো সবাই। রাস্তায় সুচি গলায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে আকাশকে বললো “ কিছু হয়নি তবুও ওষুধ দিল। „

আকাশ সবজান্তা হয়ে বললো “ না হলে দোকান চলবে কি করে ? দেখলি না বাইরেই তো নিজে দোকান দিয়েছে । „

কয়েক মাস ধরে বাদশা আর আগের মতো দৌড়ঝাঁপ করে না। বিকালে ফ্ল্যাটের নিচে এসে চুপচাপ বসে থাকে। তাই আকাশ আর সুচি আগের মতো একসাথে খেলতে পারে না। দুজনেরই মন খারাপ। সুচির মুখের রঙ এখন প্রায় উঠে এসছে। শুধু কানের নিচে আর নাকের দুই পাশে হালকা রঙ লেগে আছে। শুভাশীষ বাবু কয়েক দিন ধরেই একটা নতুন গাড়ি কিনবেন কিনবেন করছেন তাই তিনি একদিন শনিবার বিকালে ছেলেকে ডেকে বললেন “ চল গাড়ি কিনতে যাই । „

“ গাড়ি কিনবে ? কোন গাড়ি বাবা ? কি কোম্পানি ?.....

আকাশ আরও প্রশ্ন করতো। তাই আকাশের প্রশ্নবান থামিয়ে শুভাশীষ বাবু বললেন “ শোরুমে গেলেই তো দেখতে পাবি । „

দিদিমা আকাশকে বললেন “ সুচিকেও নিয়ে যা । „

সুচির কথা শুনে শুভাশীষ বাবু রাজি হয়ে গেলেন । সুচির সাথে থাকলে আকাশ ওখানে গিয়ে বেশি লাফালাফি করবে না।

সুচির কথা শুনে এক দৌড়ে আকাশ সুচির ফ্ল্যাটে চলে গেল । সুচি তখন নাচের ক্লাসে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে শুরু করেছে । আকাশ সুচির ঘরে গিয়ে সুচিকে দেখে বললো “ বাবা গাড়ি কিনতে যাবে । যাবি ? „

নতুন গাড়ি কিনতে যাবে এতে সুচি খুব খুশি। এমনিতেই আজকে নাচের ক্লাসে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল না তাই সে রাজি হয়ে গেল “ চল । „

দুজনে ঘরের বাইরে আসতেই সুচেতা দেবী প্রশ্ন করলেন “ কোন গাড়ি কিনবি রে ? „ তিনি বাইরে থেকেই আকাশের কথা শুনতে পেয়েছিলেন।

“ বাবা এখনও বলেনি । „ আকাশ কথাটা বলেই ঘরের বাইরে দৌড় দিল । সুচিও পিছন পিছন চললো। নাচের ক্লাসে যাওয়ার জন্য যে লাল রঙের জামা গায়ে চাপিয়ে ছিল সেটাই পড়ে কাকার সাথে একটা এসি ট্যাক্সি নিয়ে জাগুয়ার এর শোরুমে গেল।

আকাশের বাবার সন্দেহই ঠিক হলো । সুচি আসায় আকাশ বেশ শান্ত আছে। শোরুমে ঢুকতেই সেলসম্যান গোছের একজন এগিয়ে এলো। তারপর বিভিন্ন মডেলের গাড়ি দেখাতে শুরু করলো। গাড়ি দেখা শুরু করার আগেই শুভাশীষ বাবু লোকটাকে জিজ্ঞাসা করলেন “ চেক পেমেন্ট চলবে তো ? „

“ অবশ্যই চলবে। শুধু আপনার আইডির এক কপি জেরক্স লাগবে । „

তারপর বিভিন্ন ধরনের আর নানা রঙের গাড়ি দেখা শুরু করলেন আকাশের বাবা । তিনি এখানে আসার আগেই জাগুয়ারের xe  মডেল পছন্দ করে তার সম্পর্কে জেনে এসেছিলেন কিন্তু এখানে বিভিন্ন মডেল দেখে মত বদলাতে হলো । আকাশের বাবার একটা নীল রঙের জাগুয়ার পছন্দ হলো ।  সেটা সম্পর্কে জানার জন্যে  লোকাটাকে জিজ্ঞাসা করতেই সে বিভিন্ন ফিচারস বলতে শুরু করলো। লোকটার কথার মাঝেই আকাশ বললো “ বাবা অন্য রঙের কেনো । নিল রঙ তো আগের গাড়িটার ছিল । „

আগের গাড়ি শুনে লোকটা জিজ্ঞাসা করলো “ কোন গাড়ি ব্যাবহার করতেন স্যার ? „ আসলে লোকটা পরখ করে নিচ্ছে আদেও আকাশের বাবার ক্ষমতা আছে কি না জাগুয়ার কেনার।

“ Auston Martin „ আকাশের বাবা লোকটার প্রশ্নের উদ্দেশ্য বুঝতে পারলেন না।

“ খুব সুন্দর গাড়ি। „ মনে মনে লোকটা ভাবলো --- আকাশের বাবা ফাঁপা আওয়াজ করছে না। তারপর আকাশ এর দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করলো “ কোন রঙের গাড়ি তোমার পছন্দ ? „

“ আমার কালো রঙ পছন্দ । „

তারপর সেলসম্যান একটা ক্যাটালগ থেকে কালো রঙের বিভিন্ন মডেল দেখাতে শুরু করলো। আকাশ তার মধ্যে থেকে জাগুয়ার এর XF মডেল পছন্দ করলে আকাশের বাবা চেকে পেমেন্ট করে দিলেন।

তিন দিনের মধ্যে গাড়ি পৌঁছে গেল আকাশদের ফ্ল্যাটের নিচে। দিদিমা নারকেল ফাটিয়ে পুজা করলেন। তারপর সুচি , বাদশা আর আকাশের সাথে গাড়িটার ছবি তুললেন।

দুই দিন পর ছবি গুলো প্রিন্ট হয়ে এলে সেগুলো এলবামে লাগানোর সময় সুচি দেখতে পেলো। এলবাম টা হাতে নিয়ে পাতা উল্টে দেখতে দেখতে  সুচি জিজ্ঞাসা করলো “ এগুলো কখন তুললে তুমি ? এতে তো অনেক ফটো আছে আমাদের। „

“ হ্যাঁ অনেক ফটো আছে। তোর আর দাদুভাইয়ের প্রত্যেক জন্মদিনের ছবি। তোর প্রথম নাঁচের ছবি। প্রথম কেন ! সবকটা নাচের ছবিই আছে এখানে। „

“ কখন তুললে তুমি এইসব ? „

“ যখন তোরা মজা করিস তখন । „
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 11 users Like Bichitro's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
দোলের দিন সকালে আকাশের সুচিকে রঙ মাখানো এবং রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুচির আকাশকে রঙ মাখানোর মধ্যে দিয়ে দু'জনের মিষ্টি মধুর খুনসুটি ভালোই জমে উঠেছে। 

তবে কথায় কথায় নকুল, বিপ্লব এবং আকাশকে ঠাস ঠাস করে চড় মেরে দেওয়া মারকুটে স্বভাবের সুচিত্রার 'চন্ডাল রাগ' নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অবশ্যই একজন মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার .. jokes apart 
বরাবরের মতোই ৺ এর আধিক্য হয়ে গেছে কিছু জায়গায়। 
এছাড়া খুব সুন্দর লাগলো এই পর্বটি পড়ে।

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
(13-09-2021, 09:38 AM)Bumba_1 Wrote: দোলের দিন সকালে আকাশের সুচিকে রঙ মাখানো এবং রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুচির আকাশকে রঙ মাখানোর মধ্যে দিয়ে দু'জনের মিষ্টি মধুর খুনসুটি ভালোই জমে উঠেছে। 

তবে কথায় কথায় নকুল, বিপ্লব এবং আকাশকে ঠাস ঠাস করে চড় মেরে দেওয়া মারকুটে স্বভাবের সুচিত্রার 'চন্ডাল রাগ' নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অবশ্যই একজন মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার .. jokes apart 
বরাবরের মতোই ৺ এর আধিক্য হয়ে গেছে কিছু জায়গায়। 
এছাড়া খুব সুন্দর লাগলো এই পর্বটি পড়ে।

চন্দ্রবিন্দু কারা ব্যবহার করে জানেন তো ! ওই যে যারা গাছে বসে থাকে   Big Grin
ইয়ার্কি মারলাম। আমার Gkeybord আমরা সাথে শত্রুতা করছে। হাঁস হাস হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের শত্রুতা ভালো লাগছে না । Dodgy

ওসব ছাড়ুন.... এখন কেমন আছেন বলুন  Shy

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
কি মারকুটটি মেয়ে রে বাবা ... পড়ার পরে নিজের গালেই ভুলে নিজে হাত বুলিয়ে যাচ্ছি ...

আকাশের কপালে বেশ ভালোই দুঃখ আছে মনে হচ্ছে !!

fight
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(13-09-2021, 09:51 AM)ddey333 Wrote: কি মারকুটটি মেয়ে রে বাবা ... পড়ার পরে নিজের গালেই ভুলে নিজে হাত বুলিয়ে যাচ্ছি ...

আকাশের কপালে বেশ ভালোই দুঃখ আছে মনে হচ্ছে !!

fight

এবার তিনটে পর্বে শুধু এই মারপিটের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসা পাবেন। তারপর ভগবান জানে কি লেখা আছে এদের কপালে  Sad

আপনাকে কিন্তু আরও বহুবার নিজের গালে দাত বুলাতে হবে  Big Grin Tongue

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(13-09-2021, 09:55 AM)Bichitravirya Wrote: এবার তিনটে পর্বে শুধু এই মারপিটের মধ্যে দিয়ে ভালোবাসা পাবেন। তারপর ভগবান জানে কি লেখা আছে এদের কপালে  Sad

আপনাকে কিন্তু আরও বহুবার নিজের গালে দাত বুলাতে হবে  Big Grin Tongue

❤❤❤

আশীর্বাদ  ( ???? ) দিলাম , তোমার কপালেও যেন এরকম একটা মিষ্টি ধানি লঙ্কা জোটে !!!!

Big Grin Big Grin Heart
Like Reply
(13-09-2021, 10:00 AM)ddey333 Wrote: আশীর্বাদ  ( ???? ) দিলাম , তোমার কপালেও যেন এরকম একটা মিষ্টি ধানি লঙ্কা জোটে !!!!

Big Grin Big Grin Heart

আর কাঁদাবেন না Sad । সুচিত্রার চরিত্র আমি আমার লাল সাদা শাড়ি থেকেই তো নিয়েছি Blush । প্রোপজ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমার অবস্থা নকুলের মতো হয়েছিল  Sad  Sad Sad

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
ভালো লাগলো - তবে সুচিত্রাকে বড্ড বেশি arrogant মনে হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। জেদ এবং রাগ মানুষের মধ্যে থাকাটা অন্যায়ের কিছু নয় তবে সেটা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে গেলে bad manners বলা হয়। 

ব্যাপারটা শুধু আকাশ এবং সুচিত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে বলার কিছু ছিল না। কারণ ভালোবাসার মানুষ তার উপর আবার বয়সে ছোটো partner কে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাকে কখনো নরম করে বোঝানো বা হয়তো কখনো তাকে শক্ত হাতে শিক্ষা দেওয়াই যায়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যখন ঘটছে তখন কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগছে।

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
সূচি দিনে দিনে বড় বেশি অহংকারী আর পোসেসিভ হয়ে যাচ্ছে, ভালো এটা গল্পের প্লটের জন্যে, তবে আকাশকেও বড় হওয়ার সাথে সাথে সাহসী এবং একরোখা হতে হবে তার চোখের তারাকে হাসিল করার জন্যে। আকাশ আর সূচির মাঝখানে আকাশের বাবার যশ খ্যাতি অর্থবিত্তের বিষয়টা অনাকাঙ্খিত ভাবেই চলে আসবে যা কিনা ভবিষ্যতে সুচিত্রাকে দ্বিধাদ্বন্দে ফেলে দেবে তাই আকাশকেই সুচির ব্যাপারে অগ্রসর হতে হবে। সুন্দর আপডেট, পড়লাম বিমুগ্ধ মনে। কৈশোরটা ভালোই উপভোগ করছে আকাশ আর সূচি মিলে।
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
(13-09-2021, 10:04 AM)Bichitravirya Wrote: আর কাঁদাবেন না Sad । সুচিত্রার চরিত্র আমি আমার লাল সাদা শাড়ি থেকেই তো নিয়েছি Blush । প্রোপজ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমার অবস্থা নকুলের মতো হয়েছিল  Sad  Sad Sad

❤❤❤

আপনার সূচি নিশ্চই বসে আছে কোথাও না কোথাও, সময় মতোই বেরিয়ে আসবে।
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
আজকের পর্বে এতবার ঠাসস ঠাসস পড়লাম যে আমারই কেমন কেমন লাগছে. বাবারে উফফফফফ এরকম একপিস কলেজ লাইফে আমিও দেখেছি... ওরে বাবা কি সাংঘাতিক ছিলেন তিনি... আমরা ছেলেরা পর্যন্ত তার দুস্টুমির সামনে কিছুই ছিলাম না... আর এই সূচি তো যত বড়ো হচ্ছে ততই রাগী হয়ে উঠছে. এতটাও কিন্তু ঠিক নয়. হাত কে সামলাতে জানেনা.... ভুল ঠিক সব কিছুর জবাব থাপ্পড় হয়না. উফফফফফ নকুল বিপ্লব আকাশ তিনজনের গাল পুরো লাল করে দিলো এই মেয়েটা. আমি কিন্তু এবারে ছেলেদের দলে এই বলে দিলাম. Big Grin

আজ ও লম্বা বলে আকাশ বেশি কিছু করতে পারলোনা.... Ruko zara.. Sabar karo.. একদিন সেও লম্বা হবে.. সুচির থেকেও লম্বা বা সমান সমান হবে, গায়ে জোর আসবে... সেদিন কিন্তু থাপ্পর মারতে গেলে ওই হাত ধরে ফেলবে আকাশ.... কে জানে? তারপর হয়তো কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে এনে....... ইয়ে বাকিটা আর বলবোনা Tongue
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(13-09-2021, 10:38 AM)Sanjay Sen Wrote: ভালো লাগলো - তবে সুচিত্রাকে বড্ড বেশি arrogant মনে হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায়। জেদ এবং রাগ মানুষের মধ্যে থাকাটা অন্যায়ের কিছু নয় তবে সেটা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে গেলে bad manners বলা হয়। 

ব্যাপারটা শুধু আকাশ এবং সুচিত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে বলার কিছু ছিল না। কারণ ভালোবাসার মানুষ তার উপর আবার বয়সে ছোটো partner কে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাকে কখনো নরম করে বোঝানো বা হয়তো কখনো তাকে শক্ত হাতে শিক্ষা দেওয়াই যায়। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা যখন ঘটছে তখন কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগছে।

প্রথমেই ধন্যবাদ নিজের মনোভাব ব্যাক্ত করার জন্য happy
সুচির এই সব  আপনার দৃষ্টিকটু লাগছে। আমারও তেমনই মনে হচ্ছে Tongue । এবার এটা আমার ভুল নাকি চরিত্রের ভুল সেটা দেখা যাক... Big Grin Blush
পড়তে থাকুন .... Blush

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(13-09-2021, 11:47 AM)a-man Wrote: সূচি দিনে দিনে বড় বেশি অহংকারী আর পোসেসিভ হয়ে যাচ্ছে, ভালো এটা গল্পের প্লটের জন্যে, তবে আকাশকেও বড় হওয়ার সাথে সাথে সাহসী এবং একরোখা হতে হবে তার চোখের তারাকে হাসিল করার জন্যে। আকাশ আর সূচির মাঝখানে আকাশের বাবার যশ খ্যাতি অর্থবিত্তের বিষয়টা অনাকাঙ্খিত ভাবেই চলে আসবে যা কিনা ভবিষ্যতে সুচিত্রাকে দ্বিধাদ্বন্দে ফেলে দেবে তাই আকাশকেই সুচির ব্যাপারে অগ্রসর হতে হবে। সুন্দর আপডেট, পড়লাম বিমুগ্ধ মনে। কৈশোরটা ভালোই উপভোগ করছে আকাশ আর সূচি মিলে।

আপনি আমার আপডেট বিমুগ্ধ মনে পড়ছেন... এটাই আমার কাছে সেরা উপহার বা প্রাপ্তি Blush । আর কি চাই বলুন তো.... Tongue
দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়.... happy
পড়তে থাকুন আর কমেন্ট করে আমাকে লেখার উৎসাহ দিতে থাকুন banana

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(13-09-2021, 11:48 AM)a-man Wrote: আপনার সূচি নিশ্চই বসে আছে কোথাও না কোথাও, সময় মতোই বেরিয়ে আসবে।

বসেই থাকুক আর আসার দরকার নেই... ওর অপেক্ষা আমাকে লেখক বানিয়ে দিল.... আর কি চাই? ও যেখানেই থাকুক সুখে থাকুক এটাই আমার ইচ্ছা

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(13-09-2021, 12:21 PM)Baban Wrote: আজকের পর্বে এতবার ঠাসস ঠাসস পড়লাম যে আমারই কেমন কেমন লাগছে. বাবারে উফফফফফ এরকম একপিস কলেজ লাইফে আমিও দেখেছি... ওরে বাবা কি সাংঘাতিক ছিলেন তিনি... আমরা ছেলেরা পর্যন্ত তার দুস্টুমির সামনে কিছুই ছিলাম না... আর এই সূচি তো যত বড়ো হচ্ছে ততই রাগী হয়ে উঠছে. এতটাও কিন্তু ঠিক নয়. হাত কে সামলাতে জানেনা.... ভুল ঠিক সব কিছুর জবাব থাপ্পড় হয়না. উফফফফফ নকুল বিপ্লব আকাশ তিনজনের গাল পুরো লাল করে দিলো এই মেয়েটা. আমি কিন্তু এবারে ছেলেদের দলে এই বলে দিলাম. Big Grin

আজ ও লম্বা বলে আকাশ বেশি কিছু করতে পারলোনা.... Ruko zara.. Sabar karo.. একদিন সেও লম্বা হবে.. সুচির থেকেও লম্বা বা সমান সমান হবে, গায়ে জোর আসবে... সেদিন কিন্তু থাপ্পর মারতে গেলে ওই হাত ধরে ফেলবে আকাশ.... কে জানে? তারপর হয়তো কোমর জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে এনে....... ইয়ে বাকিটা আর বলবোনা Tongue

আপনি যা লিখলেন তার মধ্যে একটা লাইন আমার ভবিষ্যতে আপডেট Blush .... এবার কোন লাইনটা সেটা জানার জন্য পড়তে থাকুন... happy
পরবর্তী কয়েকটা আপডেটে বয়স বাড়বে খুব দ্রুত... banana

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(13-09-2021, 02:06 PM)Bichitravirya Wrote: বসেই থাকুক আর আসার দরকার নেই... ওর অপেক্ষা আমাকে লেখক বানিয়ে দিল.... আর কি চাই? ও যেখানেই থাকুক সুখে থাকুক এটাই আমার ইচ্ছা

❤❤❤

ওহ আচ্ছা। আমি আবার ভাবলাম কিনা সে মনে হয় আপনার অপেক্ষায় গান ধরেছে  https://www.youtube.com/watch?v=2in2HeRyoK4
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
Bechara Biplob Akash r jonyo anek chod khabe in future.....practice bhaloi hoche or......meyeder emni attitude dekhle satti khub bhalo lage.....ekta katha ache na - u need a girl who breaks bones,not heart.....Suchi thik emni ekjon.....or nach r kichu description pabo hopefully in coming episodes.......badshah r ektu kheyal rakhun....I know anek din hoye gache....ebar o chole jabe still.....Suchi r sathe kichu dustumi korar ektao chance Akash charte chai na,eta besh lage dekhte......khub bhalo laglo episode.....let's wait for the next ones......keep it up ....btw how is ur health ?
[+] 1 user Likes raja05's post
Like Reply
(13-09-2021, 08:48 PM)raja05 Wrote: Bechara Biplob Akash r jonyo anek chod khabe in future.....practice bhaloi hoche or......meyeder emni attitude dekhle satti khub bhalo lage.....ekta katha ache na - u need a girl who breaks bones,not heart.....Suchi thik emni ekjon.....or nach r kichu description pabo hopefully in coming episodes.......badshah r ektu kheyal rakhun....I know anek din hoye gache....ebar o chole jabe still.....Suchi r sathe kichu dustumi korar ektao chance Akash charte chai na,eta besh lage dekhte......khub bhalo laglo episode.....let's wait for the next ones......keep it up ....btw how is ur health ?

সারাদিন আমি ভাবছিলাম আপনি এখনও কমেন্ট করলেন না কেন! আপনার খারাপ লাগে নি তো আবার... তাই আপনি কমেন্ট করছেন না হয়তো... এখন কমেন্ট পেয়ে সেই সন্দেহ দূর হলো

এবার আসি গল্পের ব্যাপারে.... আপনার কমেন্ট পড়ে আমি সত্যিই পরের আপডেট লেখার উৎসাহ পাই। এখনও পেলাম...

পড়তে থাকুন

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(13-09-2021, 02:37 PM)a-man Wrote: ওহ আচ্ছা। আমি আবার ভাবলাম কিনা সে মনে হয় আপনার অপেক্ষায় গান ধরেছে  https://www.youtube.com/watch?v=2in2HeRyoK4

গানটা শুনিনি। কালকে শুনে বলবো কেমন লাগলো  happy

❤❤❤
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(13-09-2021, 09:35 PM)Bichitravirya Wrote: গানটা শুনিনি। কালকে শুনে বলবো কেমন লাগলো  happy

❤❤❤

ছবিটাও দেখেন একবার, ভালো লাগবে। উত্তম সুচিত্রা জুটির এক অমর প্রেম কাহিনী
Like Reply




Users browsing this thread: 152 Guest(s)