12-06-2021, 10:32 PM
গল্প আপডেট দিতে থাকুন দে বাবু। আপনি আছেন ভেবেই মনে হয় পুরনো দিন এখন বিদ্যমান আছে। নইলে এক এক করে পিনু বাবু, রাজদীপ দা, মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক সবাই বিদায় নিয়েছেন।
Misc. Erotica দ্য আর্টিষ্ট ( collected , incomplete )
|
12-06-2021, 10:32 PM
গল্প আপডেট দিতে থাকুন দে বাবু। আপনি আছেন ভেবেই মনে হয় পুরনো দিন এখন বিদ্যমান আছে। নইলে এক এক করে পিনু বাবু, রাজদীপ দা, মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক সবাই বিদায় নিয়েছেন।
12-06-2021, 10:39 PM
কথাটা সত্য। নীলপরী দি মাঝে একটু দেখা দিয়েছিলেন। আর শৈরালি দি আছেন। বাকি কেউ যে নেই।
সব ফাঁকা ঘর।
12-06-2021, 11:05 PM
(12-06-2021, 10:32 PM)Jupiter10 Wrote: গল্প আপডেট দিতে থাকুন দে বাবু। আপনি আছেন ভেবেই মনে হয় পুরনো দিন এখন বিদ্যমান আছে। নইলে এক এক করে পিনু বাবু, রাজদীপ দা, মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক সবাই বিদায় নিয়েছেন। এনাদের তিনজনের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ আছে .... শুধু সময়ের খেলা আরকি , সবাই ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন !!
12-06-2021, 11:06 PM
দাদা কিছু মনে করবেননা কমেন্ট কম হলেই কি আপনারা মনে করেন কেউ গল্পটা পরছে না? কমেন্ট করতেই হবে তার কি মানে আছে। গল্পটাতো সুন্দর। বাকি অংশটা তারাতাড়ি পোস্ট করলে ভালো হয়। এমনিতেই এই ফোরামে নতুন গল্প খুবই কম। একদুজন লেখক নিয়মিত গল্পের আপডেট দেন। দয়া করে মাঝখানে গল্পটা বন্ধ না করে পুরোটা পোস্ট করুন।
12-06-2021, 11:14 PM
(12-06-2021, 11:05 PM)ddey333 Wrote: এনাদের তিনজনের সঙ্গেই আমার যোগাযোগ আছে .... আপনার আর পিনু বাবুর সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ রয়েছে কিন্তু রাজদীপ দা এবং মিস্টার ফ্যান্টাসটিকের সাথে সেরকম যোগাযোগ থাকলে খুব উপকৃত হতাম
12-06-2021, 11:25 PM
12-06-2021, 11:27 PM
(12-06-2021, 11:25 PM)ddey333 Wrote: আমি যদিও ফেসবুকে খুব কমিই যাই , তবে ওই গ্রুপে মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক আছেন , কি নামে আছে বলুন তো...। মাল টাকে একটা রিকুয়েস্ট পাঠাই
12-06-2021, 11:28 PM
কিন্তু গোয়া যাওয়ার আগের দিন আমার একটা ফোন এল।ফোনটা ঊর্মির। আমি অবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম ঊর্মি কিছু না বলতে পেরে কাঁদছে।
আমি বললাম কি হয়েছে ঊর্মি বল। ঊর্মি বলল – শুভদা তুমি একবার তারকেশ্বর আসতে পারবে? বাবা তোমার সাথে একবার দেখা করতে চেয়েছে। আমি বললাম – সেটা সম্ভব না । ঊর্মি বলল – বাবা আর বাঁচবে না শুভদা। বাবার ক্যান্সার হয়েছে। লাস্ট ষ্টেজ । আমি গোয়া যাওয়া ক্যান্সেল করে সেদিন রাতেই তারকেশ্বর গেলাম। আমি মামাকে দেখে চমকে উঠলাম। একি চেহারা হয়েছে। শরীরে যেন কিছু নেই আর। একটা কঙ্কাল পাতলা চামড়ার চাদর পরে শুয়ে রয়েছে। আমি ঊর্মিকে চিৎকার করে বললাম – তোরা আমাকে এতদিন বলিসনি কেন? এখুনি অ্যাম্বুলেন্সে ফোন কর। আমি মামাকে অ্যাপেলো হসপিটালে নিয়ে যাব কলকাতায়। মামা স্মিত একটা হাসল। ক্ষীণ গলায় বলল – আয় পাশে বস। আমি বিছানয় মামার পাশে গিয়ে বসলাম। ঊর্মি বলল – আমরা এক সপ্তাহ আগে ভেলোর থেকে ফিরেছি। আমার মুখটা কষ্টে ভরে গেল। ও তার মানে আমি কিছুই জানি না। আমাকে জানানোরও কেও প্রয়োজন বোধ করেনি। মামা বলল – লুকোচুরির কিছু নেই আর শুভ। ডক্টর স্বামি ইন্ডিয়ার সেরা ডাক্তার। উনি আমাকে বলেছেন, যা যা করার সব করে নিতে। ক্যান্সার লাস্ট ষ্টেজ এ। চিকিৎসার যদি কিছু করার থাকত তোকে নিশ্চয়ই বলতাম । আমার চোখ জল টলটল করতে লাগল। মামা বলল – তোকে কিছু বলার আছে শুভ । ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টে সব গেছে রে। তোর মামিমাকে এত খরচ করতে বারণ করলাম। ও তো শুনল না। তবু তোর কলেজের শেষ বছরের জন্য কিছু টাকা ব্যাঙ্কে রাখা আছে। ওটা তুই নিয়ে নিস। বাকি তোকে আর কিছু দিয়ে যেতে পারলাম না রে। আমি এটা শুনে আর থাকতে পারলাম না। বিছানায় ওপর আছড়ে পড়লাম । বললাম – না মামা তুমি প্লিজ ছেড়ে যেও না। মা ছোটবেলায় যখন গেছে, বারণ করতে পারিনি । ছোট ছিলাম। আটকাতে পারিনি। তোমাকে আমি যেতে দেব না।
12-06-2021, 11:30 PM
12-06-2021, 11:33 PM
আরে পিনু দা ফেসবুকে আছেন বলেন নি কেন? জলদি বলুন কি নামে আছেন।
আমি আলাপ করবো। করতেই হবে।
13-06-2021, 08:47 AM
Valo laglo
13-06-2021, 08:56 AM
13-06-2021, 09:11 AM
Darun hocche
Update din
13-06-2021, 09:14 AM
আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।
মামা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল – পাগল ছেলে আমার। আমি বললাম – আর তোমাকে টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না মামা। আমার ছবির এক্সিবিশান হয়েছে। সব ছবি বিক্রি হয়েছে। টোটাল বারো লাখ টাকা পেয়েছি। মামা মুখ আনন্দে উজ্বল হয়ে উঠল। বাচ্চা ছেলের মত মামা হাততালি দিতে শুরু করল। ঊর্মিকে বলল – তোর মাকে এখুনি ডেকে আন ঊর্মি। মামিমা ঢোকার সাথে সাথে মামা বলল। – কাবেরি , আমাদের শুভ কি করেছ শুনেছ? ওর সব ছবি বিক্রি হয়েছে । বারো লাখ টাকা পেয়েছে ও। আমি চিরকাল বলেছি শুভ কিছু একটা করবে। বংশের নাম উজ্বল করবে। মামিমা আমার দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন। বললেন – শুভ বাবা ভাল আছ ? আমাদের সব অবস্থা শুনেছ বাবা? আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। মামিমা কে দেখলাম , মুখটা কেমন সাদা হয়ে আছে। বুঝলাম প্রচণ্ড স্ট্রেসের মধ্যে আছে। ভয়ানক যে দুর্যোগ নেমে এসেছে ওর জীবনে সেটা যেন মেনে নিতে পারছেন না। মামিমা বললেন – হাত পা ধুয়ে এস বাবা। তোমাদের রান্না করছি। তুমি মুরগি ভালবাসো বলে মুরগির ঝোল করছি। একটু পরে খেতে দিয়ে দেব। আর মামার সাথে কথা শেষ হলে একবার রান্নাঘরে শুনে যেও। কিছুক্ষণ পর রান্নাঘরে গেলাম। মামিমা রান্না করছিলেন। আমাকে দেখে গ্যাসটা কম করে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। আমাকে বললেন – একটু দরজাটা ভেজিয়ে দাও। আমি দরজা ভেজিয়ে আসতেই মামিমা বললেন – শুভ আমি জানি তুমি তোমার মামিমার ওপরে অনেক রেগে আছ। – না, না । মামিমা। – না শুভ মিথ্যে বল না। তুমি সেই যে গেলে আর একবারো আসোনি । একবার ফোন পর্যন্ত করনি। আমি জানি আমি খুব অন্যায় করেছিলাম বাবা। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও । আমি কিছু বললাম না। পুরনো সেই অপমানের কথা মনে পরতেই আমার মুখ শক্ত হয়ে গেল ।মামিমা আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন – আমি কি ক্ষমার যোগ্য নই শুভ? আমি কিছু উত্তর দিলাম না। মাথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিলাম। হঠাৎ মামিমা দুম করে আমার পায়ে পড়ে গেলেন। আমার পা ধরে আমার দিকে মুখ তুলে বললেন – শুভ আমি কি আর তোমাদের মত এত শিক্ষিত ? মফস্বলের সাধারণ গৃহবধূ । আমাকে মাফ করে দাও। এরকম ভুল আর আমার কোনদিন হবে না বাবা । আমাকে ক্ষমা করে দাও । আমি বললাম – ছিঃ ছিঃ । এটা কি করছ মামিমা। হঠাত দেখলাম দরজাটা খুলে গেল। ঊর্মি “ মা …” বলে কিছু বলতে গিয়ে আমাদের দেখে থেমে গেল। মামিমা বললেন – আমি তোমার শুভদার সাথে একটু কথা বলছি ঊর্মি। তুমি একটু পরে এস । ঊর্মি “ ঠিক আছে মা ” বলে দরজা ভেজিয়ে আবার চলে গেল । আমি মামিমার কাঁধ ধরে মামিমাকে তুলে দাঁড় করালাম। মামিমা আমার বুকে মাথা রেখে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে লাগল। আমি মামিমার পিঠে হাত বুলিয়ে মামিমাকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। মামিমা বলল – একবার বল শুভ একবার বল আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছ। আমি শান্ত গলায় বললাম – ঠিক আছে মামিমা। তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। মামিমা শুনে আকুল হয়ে আমাকে দুহাত দিয়ে ধরে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলেন ।আমার শরীরে যেন একটা বিদ্যুৎ খেলে গেল। এই প্রথম আমি মামিমার সাথে এতটা ঘনিষ্ঠ হলাম জীবনে। এর আগে পায়ের পাতা ছাড়া মামিমাকে স্পর্শ করিনি কখনো। আমি পিঠ থেকে আস্তে আস্তে হাতটা নামিয়ে মামিমার কোমরে রাখলাম। তারপর বললাম – আর কেঁদো না মামিমা। মামিমা আমার দিকে মুখ তুলে বলল – এতদিনে আমার বুকের ছেলেকে আবার ফিরে পেলাম খাবার টেবিলে অনেকদিন পর সবাই একসাথে খেতে বসলাম। মামাকেও ধরে ধরে বালিশ দিয়ে কোনভাবে বসানো হল। মামা বলল – শুভ , তুই দাঁড়িয়ে গেছিস। এর থেকে বড় আনন্দ আর আমি পাইনি। ওপরে গিয়ে তোর মাকে ফেস করতে আর আমার অসুবিধে হবে না। আমি বললাম – তুমি কোথাও যাচ্ছ না মামা। মামা হাসল। বলল – শুধু আমার একটা চিন্তা বাকি থেকে গেছে রে। ঊর্মির পড়াশুনোর কি হবে? – কেন ? – ও হায়ার সেকেন্ডারিতে তো খুব খারাপ রেজাল্ট করেনি। কোলকাতায় একটা ভাল কলেজে ইংলিশ হর্নাসে ও ভরতি হয়েছিল। কিন্তু আর যেতে পারেনি। দুম করে সব এসব ঘটে গেল। ও এখন এখানকার একটা কলেজেই ভরতি হয়েছে। আমি বললাম – আর চিন্তা করার দরকার নেই মামা। আমি কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছি। সবাই যাব। ঊর্মি কলকাতার কলেজেই পড়বে। তোমার চিকিৎসাও আবার নতুন করে শুরু করাব। – না না। আমার চিকিৎসার পিছনে আর পয়সা খরচ করিস না শুভ। – তুমি কোন কথা বলবে না। মামিমা তুমি কাল থেকে খোঁজ নাও। এই বাড়িটা ভাড়া দিয়ে আমরা যত শিগগিরি সম্ভব চলে যাব। – কিন্তু … আমি মামাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম – আর কোন কিন্তু নেই মামা। এটাই ফাইনাল। মামা স্মিত হেসে বলল – শুভ তুই এখন বাড়ির বড় ছেলে। তুই যদি বলিস এটা ভাল তাহলে তাই হবে। মামা মামিমার দিকে তাকিয়ে বলল – কাবেরি , বাবা যখন ছিলেন তখন আমরা ওঁর কথা শুনে চলে বড় হয়েছি। তারপর তোমরা এতদিন আমাকে মেনে এসেছ। আমি চাই আজ থেকে তুমি আর ঊর্মি শুভকে মেনে চলবে। কারণ শুভই এখন আমাদের বাড়ির প্রধান। ও শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত । ওই তোমাদের খেয়াল রাখবে। আর শুভ আমি তোমাকে বলছি, তোমার মামিমা তোমার থেকে বয়সে বড়। প্রয়োজনে অবশ্যই পরামর্শ নেবে। কিন্তু আমি চাই বাড়ির শেষ ডিসিশান তুমিই নেবে। দরকার পড়লে ঊর্মিকে তো বটেই তোমার মামিমাকেও শাসন করবে। এর এক সপ্তাহ বাদে আমরা সবাই কলকাতায় চলে এলাম। যাদবপুরে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিলাম। ঊর্মি সাউথ সিটি কলেজে ক্লাস শুরু করে দিলও। কলকাতার বেস্ট অঙ্কলজিস্টের আন্ডারে মামাকে ভরতি করলাম। কিন্তু মামা এক মাসের বেশি বাঁচলেন না। আমি প্রকৃত অর্থে এবার অনাথ হলাম। দু তিন সপ্তাহ আমি পুরো অন্ধকারে ডুবে রইলাম। বাড়িটাও পুরো শ্মশানের মত হয়ে গেছিল। কিন্তু শত দুঃখেও জীবন থেমে থাকে না। জীবন এগিয়ে যায়। আস্তে আস্তে নিজেকে রিগেন করার চেষ্টা করলাম। সংসারের দায়িত্ব এখন আমার কাঁধে। (অসমাপ্ত)
13-06-2021, 09:18 AM
আরে দাদা Rambabu gupta বলে সার্চ করতেই পঞ্চাশটা প্রোফাইল চলে এলো। পিনুরাম দার কোনটা?
আর কিছু মনের কথা সার্চ করতে দশটার বেশি গ্রুপ চলে এলো। খুঁজেও আসলটা পেলাম না। প্লিজ বলুন বারবার ডিস্টার্ব করার জন্য ক্ষমা চাইছি।
13-06-2021, 09:26 AM
13-06-2021, 09:32 AM
জানিনা পাঠকেরা কি বলবেন ... হয়তো রেগেও যেতে পারেন ..
কিন্তু মূল লেখক ( নাম জানা নেই ) এই অবধি লিখেই অদৃশ্য হয়ে গেছিলেন ... এখানকার কোনো লেখক যদি পারেন তাহলে এই সুন্দর কাহিনীটাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন ... আসলে অসমাপ্ত গল্পটা এখানে পোস্ট করার পিছনে এই একটাই উদ্দেশ্য ছিল ....
13-06-2021, 09:34 AM
(13-06-2021, 09:32 AM)ddey333 Wrote: জানিনা পাঠকেরা কি বলবেন ... হয়তো রেগেও যেতে পারেন .. Ja erom jaygay lekhok chole gelen
13-06-2021, 09:37 AM
(13-06-2021, 09:32 AM)ddey333 Wrote: জানিনা পাঠকেরা কি বলবেন ... হয়তো রেগেও যেতে পারেন .. Satyakam tomar protisodh to aj ses hoye jacche parle eta egiye niye jete paro |
« Next Oldest | Next Newest »
|