Thread Rating:
  • 14 Vote(s) - 3.36 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সময় সংগ্রাম!
#61
গল্পের প্লট অসম্ভব সুন্দর। এভাবেই লিখে যান। তবে দেখবেন ভবিষ্যতে যেন শেষ আপডেট এর মতো বার বার কপি পেস্ট না হয়ে যায়।
[+] 1 user Likes Thumbnails's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#62
New update:
পরদিন সকাল বেলায় অমিত যখন মর্নিং ওকে পরে বস্তিতে ফিরে এলো তখন চারিদিকে হৈ-হল্লা শুনে চমকে গেল নানা টুকরো টুকরো কথা তার কানে আসতে লাগলো 'এত বড় সাহস বিন্দু দিদিকে দেখা করতে বল্ল' 'নতুন ইন্সপেক্টরকে দেখে নেব' 'পেটো ওগুলো তৈরি রাখ' প্রভৃতি। অমিত এসমস্ত শুনে হকচকিয়ে গেল। ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে যখন টেবিলে আবার হিসাবের খাতা পত্র নিয়ে বসলো তখন মালতি খাবার নিয়ে এলো । মালতি দেখতে শ্যামলা কৃষ্ণবর্ণ অমিত খানিকক্ষণ এটা নিয়ে ভাবল যে শ্যামলা গায়ের রঙের মেয়েদের সবসময় চোখ-মুখ এত সুন্দর কি করে হয়। মালতির পরনে ছিল হালকা নীল রঙের সালোয়ার কামিজ ওন্যার আর কোন বালাই নেই। মালতিকে দেখতে বেশ ডবকা দুধের সাইজ হয়তো বিন্দু দিদির থেকে একটু কম 30 32 এর কাছাকাছি কোমরটা অতো সরু না ভোজপুরি সিনেমার হিরোইন দের মত পেটে বেশ চর্বি আছে পাছাটা দুধের থেকে বড় ঠিক যেন তানপুরার মত। অমিত মালতিকে জিজ্ঞাসা করল মালতি দি কি হয়েছে বস্তিতে এত হইচই কেন? মালতি হেসে বলল আমাকে দিদি বলছো কেন আমরা মনে হয় একই বয়সের। মালতি আস্তে এগিয়ে এলো অমিত চেয়ারে বসে ছিল তার পাশে মালতি খাবার দিতে দিতে বলল থানায় নতুন মহিলা দারোগা এসেছে এ অঞ্চলের যত সমাজ কল্যাণ কারী লোকজন রয়েছে তাদের ডেকেছে। বলে হাসল। যখন কথা বলছিল মালতির তখন পাছাটা বারবার অমিতের হাতে ঘষা খাচ্ছিল । মালতিও কিছু বলেনি তাই আমি সরাইনি অমিতের জন্য অনুভব হতে লাগল মালতি ইচ্ছা করেই যেন আরেকটু বেশি করে তার হাতের ঘষা নিচ্ছে। অমিত জিজ্ঞাসা করল বিন্দু দিদি এখন কোথায়। মালতি বন্য বিনোদিনী কোন একটা কাজে কোথায় যেন গেছে বিকেলে পুলিশ স্টেশন গিয়া তারকা ম্যাডামের সাথে দেখা করে আসবে এটা ভুলে গেছে। অমিত তখন একটু ডাল চাইল। মালতি দাও দেওয়ার অছিলায় এতটাই চুপকে দিল দিল যাতে তার বড় বড় দুটো দুধ অমিতের সামনে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়ে উঠলো। অমিত একটু বেশিক্ষণ যৌন মালতির বুকের দিকে তাকিয়ে ছিল সেটা মালতি টের পেয়েছে তাও ডাল দেওয়া হয়ে গেলেও একইভাবে অমিতকে তার দুধ দেখবার সুযোগ করে দিচ্ছে। মালতি দেখল অমিত যখন তার বুকের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিচ্ছে না তখন একটু হেসে একদৌড়ে পাছা দোলাতে দোলাতে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে গেল। অমিত ভাবল একটু বেশি কি তার তাকানো হয়ে গেছে কে জানে অমিত সাত-পাঁচ ভেবে আবার হিসাবের খাতা নিয়ে বসলো।

বিন্দু দিদি সকালে একটা সোনার পাচার করা ট্রাক থেকে প্রচুর মাল কিনেছে সেগুলো এখন বাজারে ছাড়বে কি করে সেটাই ভাবছিল তার মধ্যেই থানা থেকে কনস্টেবলের সে তাকে নতুন দারোগা দেখা করতে বলেছে বলে বলে গেল। এটা শুনে বিন্দুর মাথা কিছুটা গরম হয়ে গেল একেতে সে খাতায় গরমিল পাচ্ছে তারপর এতগুলো সোনা এখন যদি করা কোন পুলিশ অফিসার আসে তাহলে তো অনেক লস তাকে বইতে হবে। কনস্টেবল কে বলল কখন যেতে হবে। কনস্টেবল বলল দুপুরে যেতে বলেছে ম্যাডাম। বিন্দু একটু হাসলো তাহলে এবার কোন চায়না এবার ম্যাডাম আসছে? হাবিলদার হেসে বলল হ্যাঁ দিদি 37 টা এনকাউন্টার আছে আমার মনে হচ্ছে এখানে এসে চল্লিশটা পূরণ করবে। বিন্দু বলল আচ্ছা আপনি যান আমি দুপুরবেলা ঠিক চলে যাব। হাবিলদার মাথা থেকে টুপিটা খুলে বিন্দু দিদির সামনে ধরল। বিন্দু দিদি একটু হেসে বুকের মধ্যে থেকে একগোছা নোট বের করে হাবিলদারের টুপিতে রাখল। হাবিলদার হেসে চলে গেল। বিন্দু দিদি বল্টু পল্টু কার্টুন কে সামনে কি কি করতে হবে তার নির্দেশ দিয়ে সেখান থেকে গাড়িতে করে বেরোলো। বিন্দু নিজেই ড্রাইভ করছিল আর ভাবছিল অমিতের চোখে কি করে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায় বিন্দু নিজে ভাল করে খেয়াল করে দেখেছে মালতির শরীরের দিকে অমিত ভালোই চোখ দিয়ে গিলে খায় কিন্তু তার শরীরের প্রতি সেরকম অমিতের নেই দুই একবার হয়তো ভুল করে চোখ পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বিন্দু ঠিক করল সে আজ এতো বছর পর পার্লারে গিয়ে নিজেকে একটু সুন্দর করে গুছিয়ে আনবে বেশি সাজলে তার দলের লোক ও বস্তির লোকের চোখে পড়ে যেতে পারে তারপরেও নতুন ছেলেটা এসেছে তার মধ্যে যদি এত পরিবর্তন দেখে তাহলে তার দলের লোকেরা দুর্বল ভাবতে পারে। তাছাড়া আজ নতুন ওসির সঙ্গে দেখা করতে যাবে এরকম গ্যাংস্টার মার্কা লোক দেখলে সে প্রথমেই টার্গেট হয়ে যেতে পারে ইংরেজিতে কী যেন একটা কথা আছে ফাস্ট ইম্প্রেশন,,,,,,, 9 বছর হয়ে গেছে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে সে তার পুরনো জীবনের সব ছেড়ে চলে এসেছিল কিন্তু হায়রে কপাল ওই শয়তান গগন আগরওয়াল তার সব সুখ কেড়ে নিয়েছে। তার স্বামীর চিতা ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিল বন্দনা রায় যতদিন না গগন আগরওয়ালের একই রকম অবস্থা না করতে পারছে ততদিন সে শান্তিতে থাকবে না। হাই সেকথা আজকে সে নিজে বিন্দু দিদি হয়ে উঠেছে। যতদিন দেখছে ততদিন অমিতকে তার ভালো লাগছে মিষ্টি ভাষী পড়াশোনায় ভালো বস্তির ছোটলোকদের মত নয় মা-বোন কারো যদি পায়ের উপরে উঠে যায় অথবা বুকের থেকে ভুল করে অন্য সরে যায় একদম হায়নার মত লোলুপ দৃষ্টিতে তাদের গিলে খায়। কিন্তু অমিতের মধ্যে এ সমস্ত কিছুই নেই শান্ত ভদ্র যদিও মালতির দিকে একটু খারাপ ভাবে তাকায় কিন্তু এই বয়সে কেনা ওরকম ভাবে তাকায়। বিন্দু দিদি জোরে গাড়ির ব্রেক চেপে ধরে এসমস্ত কি ভাবছে সে তাকে দুর্বল হলে চলবে না গাড়ির ব্রেক থাকে যেমন ভাবে পা দিয়ে চেপে ধরেছে সেরকম ভাবে যদি অমিতের প্রতি তার ভাবনা চিন্তা গুলো পায়ের চিপে মেরে ফেলতে পারতো ঈশ্বর এ তুমি কেমন দোলাচালের মধ্যে ফেললে আমাকে এই বোলে নিজের মাথাটা বেশ জোরে স্টিয়ারিং ফুলের উপর রাখে। তারপর এক পায়ে দুই পায়ে পার্লার এ ঢোকে বিন্দু দিদি। তাকে দেখে পার্লারের মেয়েরা একটু ভয় এই পায় ।বিন্দু দিদি হাত তুলে সবাইকে আশ্বস্ত করে একটা চেয়ারে বসে পড়ে। একটা মেয়ে এসে বলে দিদি সপ্তা তো দিয়ে দিয়েছি কালুর হাতে। বিন্দু দিদি বলে কেন সপ্তা নেওয়া ছাড়া আমি কি আসতে পারি না? মেয়েটিঃ ঢোক গিলে বলে অবশ্যই আসতে পারেন দিদি এটা তো আপনারি দোকান। রমনা টিভি তার রূপচর্চা কি করবেন ভাবতে থাকেন শেষদিন করেছিলেন তার বিয়ের দিন তারপরে 9 টা বছর কেটে গেছে এখন নতুন নতুন কি কি এসেছে কে জানে বাজারে। হয়তো পার্লারের মেটি বুঝতে পারছে যে বিন্দু দিদি  লজ্জা পাচ্ছে তাই মেয়েটি নিজেই বলতে থাকে দিদি আমাদের এখানে 10 ধরনের মাসাজ হয় থাই মাসাজ মাঞ্চুরিয়ান মাসাজ। বিন্দু দিদি মেয়েটাকে থামিয়ে বলে ফেসিয়াল তারপর নিজের হাতের পশমগুলো দেখায় আর শাড়িটা একটু উপরে তুলে তাঁর পায়ের পশম গুলো দেখায়। মেয়েটা বলে আচ্ছা যদি পেডিকিওর-মেনিকিওর ভ্রু প্লাক সব করে দিচ্ছে আপনার কোন কিছু ভাবতে হবে না। আপনি আমাদের স্পেশ্যাল কাস্টমার আপনি আমাদের এ স্পেশাল ঘরে এসে বসুন। মেয়েটি বিন্দুতে থেকে একটি এসি কামরা নিয়ে যায় ও বিন্দু দিদির শাড়ি খোলার ইঙ্গিত করে বিন্দু দিদি অনেকদিন পর আজকে প্রথম যেনো ভয় পেল শাড়ি খুলতে মেয়েলি সুলভ ভয়। এই ন বছরে সে 10 থেকে কুড়িটা খুন করেছে নিজের হাতে না করলেও তার নির্দেশেই পচা বিল্টু পল্টু এরকম খুন করেছে কখনো তার বুক কাঁপেনি। আজ হঠাৎ তার শাড়ি খুলতে তাও আবার একটা মেয়ের সামনে এত বুক কাঁপছে কেন সে বুঝতে পারল না। সমস্ত ভয় বিন্দুতে দিয়ে নিজের বুক থেকে মুছে ফেলে একটানে শাড়িটা খুলে ফেলল মেয়েটি ইঙ্গিত করে ছায়াটাও খুলতে বলল বিন্দু দিদি হাঁটাও খুলে ফেলল তার নিচে জালি জালি দেওয়া প্যান্টি পড়েছিল। বিন্দু দিদি নিজের থেকেই ব্লাউজটাও খুলে ফেলল ব্লাউজের নিচে কালো রংয়ের ভেলভেট এর মত দুটো সাঁড়াশির তার 35 সাইজের দুধ দুটোকে আটকে রেখেছিল। পার্লারের মেয়েকে এখন একটু সাহস পেয়ে বলল দিদি বিকিনি ভ্যাকসিন করিয়ে দেবো? কমলাদেবী বলল তোর চাচা ভাল মনে হয় সব করিয়ে দিস আমার আজকে একটু নতুন পুলিশ ইন্সপেক্টর এর সাথে দেখা করতে যাওয়ার আছে।

দীপ্তি চৌহান সকাল থেকেই খুব ব্যস্ত এতো অঞ্চলের যত ক্রিমিনাল আছে মানে যার যার পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে সবাইকেই তিনি বিভিন্ন দলে ভাগ করে ডেকে পাঠিয়েছেন। ছিনতাইবাজ যারা আছে সবাইকে একটা সময় ডেকেছেন। যারা চুরি করে তাদের ও অন্য একটা সময়ে ডেকেছেন। যারা ডাকাতি করে তাদেরও অন্য এক সময়ে ডেকেছেন। এটাই দীপ্তি চৌহানের 8 বছরের সার্ভিস লাইফের স্টাইল। চুরি-চামারি ডাকাতি রাহাজানি এই অঞ্চলে যাই হয় তা দুটো মানুষের কথাতেই হয় অথবা এই দুটো মানুষ সেইখান থেকে ভাগ পায় প্রথমজন গগন আগরওয়াল এ অঞ্চলের এমএলএ অন্যজন বিন্দু দিদি। এমএলএ কে যেহেতু পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠালে খুব একটা ভালো দেখায় না তাই দীপ্তি চৌহান বিন্দু দিদির কাছে হাবিলদার পাঠিয়ে দুটোর সময় আসতে বলেছেন সাধারণ আলাপ-পরিচয় করবেন আর কি হাঁড়িতে একটা ভাত টিপলে বোঝা যায় সম্পূর্ণ হারিয়ের ভাত হয়েছে কিনা। দীপ্তি চৌহান ভালো করেই জানে বিন্দু দিদির যেমন পুলিশ ইনফর্মার রয়েছে সেরকম গগন আগরওয়ালের পুলিশ ইনফর্মার রয়েছে। পুলিশের তাক থেকে বিন্দু দিদির ফাইলটা খুলে আবার দেখতে লাগলেন বিন্দু দিদির পুরনো নাম তার জানা ছিল না তিনি স্থানীয় পুলিশের খাতা দেখে চমকে গেলেন বন্দনা রায় বিন্দু দিদির আসল নাম। নিজের অজান্তেই অভ্যাসগত তার হাত সিগারেট কিসের মধ্যে চলে গেল সেখান থেকে একটা ব্ল্যাক সিগারেট নিয়ে ঠোটে রেখে ফাইল এর পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে অন্যহাত দিয়ে লাইটারটা খুঁজতে লাগলেন। হঠাৎই কেউ জানো তার ঠোঁটের সিগারেটটা সামনে গ্যাস লাইট জ্বেলে এগিয়ে দিল দীপ্তি চৌহান ফাইল দেখার ঘরের মধ্যে দুই টান দিয়ে সিগারেটটা ধরিয়ে ফেললেন। ফাইল এর পৃষ্ঠা উল্টাতে যাবেন তখন মনে পরলো তিনি নতুন থানা এসেছেন তাকে সিগারেট ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কোন লাইটার ধরা লোকের এখানে থাকার কথা নয় আর এখানের কোন কনস্টেবলের সাহস হবে না তার রুমে বিনা অনুমতিতে ঢুকে লাইটার দিয়ে তার সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দেবে। ফাইলের পৃষ্ঠ থেকে দীপ্তি চৌহান আস্তে আস্তে উপরের দিকে নিজের চোখ উঠা লো সে দেখতে পেল সুন্দর একটা কালো নীল কালার করা হয় সেখানে একটা লাইটার ধরা এখনো সেটা থেকে আগুন বেরচ্ছে আরও একটু উপরে তাকাতে দীপ্তি চৌহানের সামনে ভেসে উঠলো বন্দনা রায় ওরফে বিন্দু দিদির মুখখানা ফাইল থেকে অনেকটা বেশি সুন্দরী বিন্দু দিদি এটা মানতেই হবে। এই মুখখানা দেখে তার বহু যুগ আগের এক খবরের কাগজের খবরের কথা মনে পড়ল সুইমিং চ্যাম্পিয়ন বন্দনা রায় গোল্ড মেডেলিস্ট মা-বাবা পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় পিসির কাছে মানুষ এ সমস্ত কিছুই পুলিশ ফাইনালে লেখা নেই। এক নজরে বিন্দু দিদিকে দেখলে ফিল্মি হিরোইন দের মত লাগে দক্ষিণ সিনেমার কোন নায়িকা কে ভালই টক্কর দেবেন এই মহিলা। ঘরে বিন্দুর দিকে আসার ফলে সিগারেটটা দীপ্তি চৌহান ফেলে দিতে যাবেন এই সময় বিন্দু দিদি বলে ওঠে আই ডোন্ট মাইন্ড প্লীজ ক্যারি অন। দীপ্তি চৌহান সিগারেট হাতে নিয়ে বলে আপনাকে আপনার ফাইল এর ছবি দেখে চেনা খুব দুষ্কর। বিন্দু দিদি বলে তাও আপনি আমায় প্রথম দেখাতেই চিনে নিলেন। দীপ্তি চৌহান বলে হ্যাঁ প্রথম দেখাতেই চিনে নিয়েছি কিন্তু সঠিকভাবে চিনেছে কিনা সেটা এখনো জানা বাকি। বিন্দু দিদি চোখের ভুরু ইশারায় ফাইলের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন আমার বিরুদ্ধে কোন কেচি কোর্টে আদালতে কোথাও প্রমাণ হয়নি। দীপ্তি চৌহান বলল সেটা ভালো করেই জানি। বিন্দু দিদি বলল তাহলে আমাকে ডেকে আনার কারণ? দীপ্তি চৌহান বলল আপনি যখন সাতার কাটবেন তখন সমুদ্র প্রাক্টিস করেছেন তাই না? বৃন্দু একটু বাঁকা হাসি হেসে বলল এসব ও আছে নাকি আমার ফাইলে লেখা? দীপ্তি চৌহান সিগারেট একটা লম্বা টান দিয়ে মুখ থেকে একটা মালার মতো ধোয়া বের করে বলল নানা এসমস্ত কিছুই নেই লেখা বলতে কোন আপত্তি আছে আপনার। বিন্দু জালনা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলের সূর্যের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল বন্দনা রায় ছিল তিনি আজ আমি বিন্দু দিদি শুধুমাত্র বিন্দু দিদি। অ্যাস্ট্রেতে ছাই ঝরতে ঝরতে দীপ্তি চৌহান বলল হ্যাঁ সেটা জানি কিন্তু আমার বলার কারণ হচ্ছে আপনি যখন সাঁতার কাটতে নামতেন তখন নিশ্চয়ই সাগরে দেখে নিতেন সাগরে হাঙ্গর ভাসার আছে কিনা। বিন্দু দিদি বলল সাঁতার কেটে লক্ষে পৌঁছাতে গেলে শার্ক তিনি আঙ্গুরের চিন্তা করলে হয়না। দীপ্তি চৌহান সিগারেটের কেসটা বন্দনা দিদির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল প্লিজ ,,, বিন্দু দিদি হাত দিয়ে বারণ করলেন। দীপ্তি চৌহান কেসটা নিজের ডয়ারের মধ্যে রাখতে রাখতে বললেন সাবধানে থাকবেন। বন্দনা রায় একগাল হেসে বলল ফ্রেন্ডলি অ্যাডভাইসার জন্য ধন্যবাদ সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে আপনি আমার জন্য এতটা ভেবেছেন। আপনি কি আর কিছু জানতে চান আমার সম্বন্ধে? দীপ্তি চৌহান বলল না যা জানবার সেটা সময়মতো জেনে যাব। বন্দনা রায় একটু হেসে বলল আপনার 47 এনকাউন্টার এখানে এসে কি পঞ্চাশের কোঠায় ছোঁবে বলে মনে হয় আপনার? দীপ্তি চৌহান আধখাওয়া সিগারেটটা অ্যাশট্রেতে দু আঙুলের ছাপে সম্পূর্ণ মিশিয়ে দিয়ে বলল সেটা সময়ই বলে দেবে তাইনা বিন্দু দিদি? বিন্দু দিদি বলল আপনার 50 টা ইন কাউন্টার এর জন্য আগাম শুভেচ্ছা. আজ তাহলে উঠী। নমস্কার দিদি নিজের গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিল বস্তির দিকে লক্ষ্য করে।

দীপ্তি চৌহান পুলিশে ড্রাইভারকে ডেকে জিপে উঠে বললেন গগন আগরওয়ালের বাড়ির চলো। থানা থেকে সামান্য দূরেই গগন আগরওয়ালের বাড়ি পৌঁছতে 10 মিনিটের বেশি সময় লাগল না দীপ্তি চৌহানের। দেখল বাড়িতে যেন একটা অনুষ্ঠানের পরিবেশ প্রথমে দীপ্তি চৌহানের ঢুকতে মনে কেমন যেন বাধো বাধো ঠেকছিল। তৃপ্তি চৌহান গাড়ি পার্কিং করার জায়গা ড্রাইভারকে রেখে টুপিটা মাথায় পড়ে অন্য হাতে পুলিশের লাঠি নিয়ে গেট দিয়ে যখন গোনাল আগরওয়ালের বাড়িতে ঢুকছিলেন তখন তার মাথায় যেন ফুলের ছেঁড়া ছেঁড়া অংশ পড়তে লাগলো ভালো করে বুঝতে পারলেন না মাথাটা উপরে উঠিয়ে দেখলেন তার হেঁটে যাওয়ার দুই পাশের উপরে লোক দাঁড়িয়ে তার উপরেই পুষ্পবৃষ্টি করছে সোহান ভাবলো যে এটা নিশ্চয়ই ভুল করে তার ওপর পুষ্প বৃষ্টি হচ্ছে কারণ তিনি পুলিশ স্টেশনে কাউকে বলেননি যে আজ তিনি গগন আগরওয়ালের বাড়িতে আসবেন যতই দিন যেতে লাগল ততই তার ওপর পুষ্পবৃষ্টি হতে লাগল উপর থেকে। পঞ্চাশের উপর বয়সের এক ব্যক্তি পাকানো গোফ চোখে একটা সাদা ফ্রেমের চশমা পাওয়ার আলা বোঝা যাচ্ছে সাদা পোশাকে সম্পূর্ণ নেতাদের ইউনিফর্মে হাত জোড় করে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। লোকটার পাশে একটি অতি সুন্দরী মেয়ে লোকটার থেকে বয়সে অন্তত কুড়ি বছরের ছোট হবে খুব বেশি হলে 25 থেকে 26 বছরের মেয়ে। দীপ্তি চৌহান ভালো করে দেখতে দেখতে সামনের দিকে এগোচ্ছি লেন তার নজরে পড়লো মেয়েটির মাথায় সিঁদুর গলায় মঙ্গলসূত্র হাতে শাঁখা পলা জ্বলজ্বল করছে। প্লেনে তিনি যখন গগন আগরওয়াল এর ফাইল পড়ছিলেন সেখানে যে ছবি ছিল পুলিশের চোখে সেই ছবিকে 10 বছরের বেশি বয়সের রূপ দিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর সামনে হাত জোড় করে গোগনগর বালি দাঁড়িয়ে আছে। দীপ্তি চৌহান সৌজন্যের খাতিরে গগন আগরওয়ালের সামনেও হাতজোড় করে বললেন কেমন আছেন এমএলএ স্যার। গগন আগরওয়াল হেসে বললো সব আপনাদের কিপা ম্যাডাম। আর দয়া করে আমার স্যার স্যার বলবেন না আমি জনতার সেবক জনতার দাসের দাস। দীপ্তি চৌহান মনে মনে না হেসে পারলাম না লোকটার নাটক করার ক্ষমতা আছে বলতে হবে। দীপ্তি চৌহান সরাসরি জিজ্ঞাসা করল এত আয়োজন বাড়িতে কি আজকে কোন অনুষ্ঠান আছে? যদি থাকে তাহলে আমি পরে অন্য দিন আসতে পারি! গগন আগরওয়াল হেসে বলল কি যে বলেন না ম্যাডাম এই ছোট্ট অনুষ্ঠান আপনার উদ্দেশ্য হতেই আমি রেখেছি. দীপ্তি চৌহান বেশ আশ্চর্য হয়ে বলল আমি যে আপনার সাথে দেখা করতে আসব এটা তো কাউকে আমি বলিনি. গগন আগরওয়াল হেসে বলল জনতার সেবক হয়ে যদি জনতাকে যারা রক্ষা করে তাদের কথা না জানি তাহলে আমি কেমন করে এমএলএ হলাম বলুন. আসুন ভেতরে আসুন পরিচয় করিয়ে দিই ।।।। গগন আগরওয়াল তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কচি মেয়েটার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে বলল এ আমার ওয়াইফ নিশা আগারওয়াল। মিস আগরবাল হাত দুটো একসাথে করে নমস্কার জানিয়ে বলল এখানে আসতে আপনার কোন অসুবিধা হয়নি তো। দীপ্তি চৌহান হাত আবার একসাথে জড়ো করে নিশা আগারওয়াল কে প্রণাম করল বলল না না এখানে আসতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি এমএলএ স্যারের সাথে একটু কথা ছিল তাই এলাম। নিশা আগারওয়াল বলল আপনি যে আজ আসবেন সেটা আমাদের উনি আমায় আগেই বলেছিলেন তাই তো বাড়িতে ঘরোয়া একটা অনুষ্ঠান রাখবার ব্যবস্থা করেছি আসুন ভেতরে আসুন। এই বলে তিনজন পাশাপাশি হেঁটে ঘরে ঢুকতে লাগল। গোগনগর বল এখন আগের থেকে বেশ মোটা হয়ে গেছে ভুঁড়িওয়ালা পুরনো যুগের ভিলেনদের মত। দীপ্তি চৌহান নিশা আগারওয়াল কে ভালো করে লক্ষ্য করছিলেন মেয়েটাকে দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী একটু বেঁটেখাটো কিন্তু গগন আগরওয়ালের মাথায় মাথায় নিশা পাঞ্জাবি হওয়ার কারণে এদের দুজনের থেকে যথেষ্ট বেশি লম্বা নিশা নিশ্চয়ই বাঙালি তার কথা বলার ধরণ হাঁটাচলা দেখে দীপ্তি চৌহান ভালই বুঝতে পারছি । দীপ্তি চৌহানের পুলিশের চোখ যখনি যা দেখে সমস্ত মাথায় লিখে নেয় নিশা আগরওয়ালের তেত্রিশ কি চৌত্রিশ বুক হবে কোমরটা 18 হয়তো কম কারণ শাড়ির সাথে সে শাড়ির উপর থেকে একটা কোমর বন্ধন পড়েছে তাতে চাইনিজ মেয়েদের মত কোমরটা সরু বলে মনে হচ্ছে আর পাছাটা 34 থেকে 36 এর মধ্যে ঠিক যেন কোকাকোলার বোতল এর গায়ে কেউ শাড়ি পরিয়া সেটাকে বড় করেছে। দীপ্তি চৌহান ভাবতে লাগলো এত সুন্দর মেয়ে এই লোককে কখনোই ভালোবেসে বিয়ে করার পাত্রী নয় এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন না কোন ঘাপলা আছে। এসমস্ত ভাবতে ভাবতেই দীপ্ত চৌহান একটু পিছিয়ে পড়েছিল ঘরে ঢুকে গগন আগরওয়াল দীপ্তি কে ডাকলো তখন দীপ্তি চৌহান যেন তার ভাবনার থেকে মুক্ত হয়ে বর্তমান জীবনে ফিরে এলেন। দীপ্ত চৌহানকে নিয়ে গগন আগরওয়াল রাজপ্রসাদের বাড়ির মধ্যে হলঘরে নিয়ে তুললেন সেখানে আরও বেশি কিছু মানুষ আগে থেকেই উপস্থিত ছিল তার মধ্যে স্থানীয় কিছু শিল্পপতিকে যুক্তি চৌহান ফাইল দেখে চিনতে পারলেন যা শোনা বা হিরে জহরত পাকিস্তান বা আরব কান্ট্রি থেকে এই বর্ডার অঞ্চলে ঢোকে তারা সব লিগাল হিসেবে এই সমস্ত শিল্পপতিদের দোকানেই থেকে বিক্রি হয়। ডিপ চৌহান চাইছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গগন আগরওয়াল এর কাছ থেকে দূরে যেতে কারণ দীপ্তি চৌহানের অভিজ্ঞতা তাকে বলে দিচ্ছিল এত সব ভালো মানুষের মধ্যেও কোথাও না কোথাও যেন একটা শয়তান ঘাপটি মেরে বসে আছে কখন আগরওয়াল এর মধ্যে আর তার ফাইল পড়ে যা তার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে বলে দিচ্ছে তার এই সিক্সথ সেন্স কোনমতেই মিথ্যে নয়। গগন আগরওয়াল এর সাথে কথা বলতে যেতেই গগন আগরওয়াল দীপ্তির যৌবনকে খুবই ভদ্র ভাবে বসতে বলে হাতজোড় করে বললেন মা হেমন্ত ভগবান হোতা হে আপকে খাতির দাড়ি আপকে লিয়ে থোড়া গানা কি বন্দোবস্ত কিয়াহে একটু পরেই অনুষ্ঠান শুরু হবে না চাইতেও একটি আলিশান চেয়ারে বসলেন তার পাশে বসলেন নিশা আগারওয়াল নানা গান হতে লাগল বেশ নামিদামি শিল্পীদের গান ইন্ডিয়ান আইডেল আরো কতকিছু আইটেল এ টিভিতে যেতে যেতে আর কি তাদের মতো লোকেদের গান।এটাতেই 2 থেকে 3 ঘন্টা কেটে গেল তারপরে শুরু হলো নিত্য সবকিছুই আমার যত শুশীল ভদ্র তাও কেন জানি দীপ্তি চৌহানের মনে হতে লাগল এই সমস্ত কিছু যেন একটা মুখোশ। সম্পূর্ণ নীরবতা কাটাতে দীপ্তি চৌহান মাঝে মাঝে নিশা আগারওয়াল এর সাথে টুকটাক কথা চালাতে লাগলেন যদি কোন ইনফরমেশন পাওয়া যায়। দীপ্ত যখন জিজ্ঞাসা করল আপনাদের বিয়ের কয় বছর হয়েছে। নিশা আগারওয়াল বলল আট বছর হয়েছে আমাদের বিয়ের আপনার বিয়ে হয়নি পাল্টা প্রশ্ন করল নিশা আগারওয়াল। দীপ্তি চৌহান বলল আইয়ামে ঊইডো। আমি বিধবা। নিশা আগারওয়াল মুখটা কালো করে বললো আই এম সো সরি আমি জানতাম না। নেশাখোর বল পরিবেশটাকে আবার শান্ত করতে বলল আপনি বদলি হয়ে হঠাৎ এই থানায় আগের ওসি তো বেশ ভালোই কাজ করেছিল শুনছিলাম। দীপ্তি চৌহান বলল হ্যাঁ আগের ওসি সত্যিই ভালো কাজ করছিল কিন্তু উপরমহলের নির্দেশে নিয়ম অনুযায়ী আমাদের বদলি হয় রুটিন আর কি। দীপ্তি চৌহান নিশা আগারওয়াল কে জিজ্ঞাসা করল আপনাদের 6 বছরের বিয়েতে এখনও বাচ্চা হয়নি আমিতো আপনার সাথে কোন বাচ্চাকে দেখলাম না। নিশা সম্পূর্ণ একটা নকল ব্যথার হাসি দিয়ে বলল ওই একটাই দুঃখ ভগবান আমাদের দিয়েছেন এখনো আমাদের গোল আলো করে কোন সন্তান আসেনি।
দীপ্তি চৌহান আরো দু চার কথা যা বললেন তাতে নিশার যে উত্তর এলো। এইসব বিচার করে দীপ্তি ভালোই বুঝতে পারলো এই মেয়েটার মাথায় যথেষ্ট বুদ্ধি আছে। এখন কথা হচ্ছে এদের কি সত্যি ভালোবাসা করে বিয়ে হয়েছিল না অন্যকিছু এত সব কথার মধ্য থেকে একসময় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। নেশাখোর বল দিপ্তির হাত ধরে খাওয়ার জায়গায় নিয়ে গেলেন দীপ্তি চৌহান শত বারণ সত্তেও কোন কিছুতেই নিশা তার হাত দুটো ছাড়লো না। খাবার টেবিলে দেখা গেল দীপ্তি ও গগন একসাথে খেতে বসেছে দীপ্তি চৌহান ভাবল এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল গগন আগরওয়াল এর সাথে কথা বলার। খেতে খেতে দীপ্তি জিজ্ঞাসা করল স্যার আপনাদের এই অঞ্চলে এতক্ষণ রাহাজানি কেন। গগন আগরওয়াল বলল এমনিতে এ সমস্ত অঞ্চল সব শান্ত ভদ্র মানুষের ঘর কিন্তু 8-9 বছর হল রেললাইনের পারে যে প্রস্তুত আছে ওই বস্তিতে সব সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে আগে রফিক অনেক চেষ্টা করে কিছু কিছু গতিবিধি রোধ করেছিল সমাজবিরোধীদের এখন আপনি এসেছেন আমরা একটু স্বস্তিতে শ্বাস নিতে পারছি। দীপ্তি চৌহান কথাবাত্রা শুনে বেশ ভালই বুঝতে পারল এ গভীর জলের মাছ। দীপ্তি চৌহান জিজ্ঞাসা করল স্যার কিন্তু আমার কাছে খবর আছে আপনাদের এই অঞ্চলে বেশকিছু শিল্পপতি গত ছয় সাত বছরেই ফুলে-ফেঁপে বড়লোক হয়েছে। তখন আগরওয়াল একটা খাসির ঠ্যাং তুলে নিয়ে চিবোতে চিবোতে বলল দেখুন ভগবান গোপাল যার দিকে মুখ তুলে চাইবেন তিনি তো নিশ্চয়ই বড়লোক হবেন কি বলেন আর সৎ কর্মের মধ্যে দিয়ে আমি বিশ্বাস করি যে কোন মানুষ বড়লোক সুখে শান্তিতে বাস করতে পারে। দীপ্তি একটু হেসে বলল আপনার কথার সাথে আমিও সম্পূর্ণ একমত স্যার কিন্তু এই সমস্ত বড়লোক ব্যবসায়ীদের কারো কারো দোকান থেকে কোন কোন সময়ে চোরাচালানকারী মাল ধরা পড়েছে সঠিক প্রমাণ পাওয়ার অভাবে সেগুলো পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। গুগোল আগরওয়াল খাবার শেষ করে হাত ধরতে ধরতে হেসে বলল যারা ভালো কাজ করে নিজেদের উন্নতি করে তাদের উপর সমাজের অনেক দুষ্কৃতীরা নানা সময়ে কালি ছেঁটে দিতে চায় কি করবো বলুন কিন্তু দেখুন আমাদের এই সমাজে মহান গণতন্ত্রে নেয় ব্যবস্থায় এনাদের সবাইকেই সমাজের উচ্চ নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দিয়েছে তাই না। দীপ্তি চৌহান মাথা নেড়ে সায় দিলো তারও খাবার শেষ সেও হাত ধুয়ে হাত্যা মজিবর জন্য রুমাল খুঁজতে যাচ্ছিল তখন একজন চা করেছে দীপ্তি চৌহানের হাতদুটো একটি তোয়ালে দিয়ে মুছে দিল। গগন আগরওয়াল মুখে একটা পান ভরে পান এর বাক্স টা দীপ্তি আগরওয়াল এর দিকে এগিয়ে দিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত করল। দীপ্তি আগরওয়াল একটা মৃদু হাসি দিয়ে সেই পান নেওয়াতে প্রত্যাখ্যান করলেন। মুখে পান নিয়ে গগন আগরবাল বললেন আপনার যদি আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে করতে পারেন। দীপ্তি  চৌহান বলল ওই বস্তিতে সম্পর্কে আপনি যেন কি বলছিলেন? তখন আগরওয়াল চাকর এর দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করল সেই চাকর তখন গগন আগরওয়াল এর সামনে একটা পাত্র ধরল কখন আগরবাল সেই পাত্রে মুখের পান টা সম্পূর্ণ থুতু করে ফেলে দিয়ে কুলকুচি করে বললেন. শুনছি যে কয় বছর আগে থেকে ওখানে দুষ্কৃতীদের সংখ্যা বেড়েছে ওপার থেকে যত বদমাশ এসে এখানে বাসা নিছে আর আমাদের সাধারন নাগরিকদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে. দীপ্তি চৌহান জিজ্ঞাসা করল ওখানে শেল্টার কে দিচ্ছে উনাদের. গগন আগারওয়াল মাথা চুলকে বলল কি জানি কোন দিদি যেন আছে শুনছি আমরা তো সাধারন তও সমস্ত দিক শুনি না ওগুলো  শোনাও পাপ। দুই হাত দিয়ে কান ধরে জিব টা বের করে ইস্ট দেবতার নাম নিয়ে প্রণাম করে শান্ত হলো গগন আগরওয়াল। দীপ্তি চৌহান ক্রমশ গগন আক্রমণের অভিনয় প্রতিভা দেখে চমকে যেতে লাগলেন। প্রণাম করে দীপ্তি চৌহান উঠে আসতে যাবেন তখন কে যেন এসে গগন আগরওয়ালের কানে কানে কি যেন বললো গগন আগরওয়াল যেনো একটু খুশিই হলো। সেই লোকটার সাথে চলে যেতে যেতে নিশার দিকে নির্দেশ করে বলল সমাজের রক্ষককে গাড়ি অবধি পৌঁছে দিতে পারলাম না বলে অত্যন্ত দুঃখিত বোঝেনই তো সবাই আমাকে জোর করে এমএলএ বানিয়েছে তাদের পাশে আমার থাকা নিত্যান্ত জরুরী সেরকম একটা খবর এসেছে আমাকে এখনই সেখানে যেতে হবে নিশা তুমি ম্যাডামকে একটু গাড়ি অব্দি ছেড়ে দিয়ে এস। মিশা ও দীপ্তি হেঁটে হেঁটে গাড়ি অব্দি এল নিশা একটা টিফিন কারি দীপ্তির হাতে দিয়ে বলল কাল সকালবেলা গরম করে খেয়ে নিও এখন গিয়ে ফ্রিজে রেখে দিও ইতিমধ্যেই তাতে দুইজন কখন যে আপনি থেকে তুমিতে চলে গেছে দুজনের কারো খেয়াল নেই।দীপ্তি চৌহান বলল তুমি যদি কখনও সময় পাও তাহলে অবশ্যই পুলিশ স্টেশনে এসো তোমার সাথে কথা বলে আমার ভালো লাগবে হেসে নিশার হাত থেকে টিফিন কারি নিয়ে গাড়িতে উঠলো গাড়ির ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করল সে খেয়েছে কিনা গাড়ির ড্রাইভার হেসে জবাব দিল আর তাকে ভালোই খাইছেন। দীপ্তি চৌহান গাড়ি নিয়ে পুলিশ স্টেশনের দিকে এগোতে এগোতে একসময় একটা ভিকারি কে দেখে গাড়ি দাঁড় করাতে বলল গাড়ি বেশ জোরে চলছিল ফলে সামনের দিক থেকে পিছনে আরেকটু ড্রাইভিং করে আসতে হল গাড়ি থেকে নেমে তার হাতের টিফিন কারি ভিকারি টাকে দিয়ে গাড়িটাকে তার হোটেলে নিয়ে যেতে বলল। হোটেলে গিয়ে দীপ্তি চৌহান নিজের আজকের দিনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিজ্ঞতা ভাবতে ভাবতে ভদকার একটা পেগ বানিয়ে চেয়ারে বসে ব্ল্যাক সিগারেট ধরিয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লেন।
[+] 3 users Like Assking's post
Like Reply
#63
যদি আমার লেখা ভালো লাগে তাহলে লাইক ও রেপুটেশন দিয়ে অবশ্যই আমাকে উৎসাহিত করবেন,
ধন্যবাদ,,,,
Like Reply
#64
(17-04-2021, 01:23 AM)Thumbnails Wrote: গল্পের প্লট অসম্ভব সুন্দর। এভাবেই লিখে যান। তবে দেখবেন ভবিষ্যতে যেন শেষ আপডেট এর মতো বার বার কপি পেস্ট না হয়ে যায়।

Thank you
Like Reply
#65
Plot khub bhalo.....khub bhalo bhabe start korechen......keep it going...
[+] 1 user Likes raja05's post
Like Reply
#66
(18-04-2021, 09:18 PM)raja05 Wrote: Plot khub bhalo.....khub bhalo bhabe start korechen......keep it going...

TNX
Like Reply
#67
Valo laglo
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
#68
(19-04-2021, 06:50 AM)chndnds Wrote: Valo laglo

Thanks
Like Reply
#69
New update:

দীপ্তি চৌহান সকালবেলায় প্রচন্ড হ্যাংওভার থেকে উঠে দেখেন তিনি সোফায় শুয়ে আছেন অনেকদিনের অভ্যাস মত তিনি সকালবেলায় দৌড়াতে বেরিয়ে যান । মাথায় প্রচন্ড হ্যাংওভার এর যন্ত্রণা নিয়ে তিনি কালকে গগন আগরওয়ালের কথা ভাবতে ভাবতে জগিং করছিলেন দু-তিন পাক দেওয়ার পরে হঠাৎ একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে যায় তার। মাথার মধ্যে গগন আগরওয়াল এর ভাবনাচিন্তা চলার কারণে দীপ্তি চৌহান নিজেকে সামলাতে একটু সময় নিয়ে নেন। রাগের বশে তিনি ছেলেটার গেঞ্জি মুঠো করে ধরে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেন। কিন্তু তিনি চটাস চটাস করে নিজের গালে প্রচন্ড 2 থাপ্পর অনুভব করেন। তিনি এতক্ষণ গগন আগরওয়ালের ভাবনা মগ্ন ছিলেন এখন যেন নিজের দুই গালে চড় খেয়ে মাটিতে এসে পড়েন। আজ তার 30 বছরের জীবনে তার শরীরে নখের আচর কেউ দেয়নি এখনতো তিনি থানার ওসি। চর দুটোকে তার সারা শরীরে বিদ্যুৎ চমকের মত কিছু অনুভব হল। তিনি ভাল করে ছেলেটার দিকে দেখলেন। ছেলেটা ছয় ফুটের কাছাকাছি লম্বা তার থেকেও একটু বেশি লম্বা কিন্তু বয়স অল্প দেখে বোঝা যাচ্ছে ছেলেটা শরীর ঘামে ভেজা চোখ দুটো রাগে ফেটে পড়ছে। তিনি ভাবতেও পারেননি তার থেকে কম বয়সে একটা ছেলের কাছ থেকে তিনি সপাটে দুই গালে দুটো চড় খাবেন। রাগে তার সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে নেহাত তিনি আজ সার্ভিস রিভলবার নিয়ে বেরোন নি নইলে ছেলেটাকে তিনি সেখানেই গুলি করতেন তারপর যা হতো তা তিনি সামলে নিলেন। দীপ্তি যখন আশেপাশে চোখ ঘোরানো তখনই তার সামনে ব্যাপারটা পরিস্কার হলো একটা চার চাকার গাড়ি তার ঠিক এক বিঘত দূরে থেকে গিয়ে পাশের লাইটপোস্টে ধাক্কা খেয়ে উলটে আছে ছেলেটা নিশ্চয়ই তাকে বাঁচাতে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে গিয়েছিল। মনে মনে দীপ্তি চৌহান মাথায় হাত দিলেন কি বড় ভুল করেছেন তিনি এই গাড়িটা যদি তাকে পিষে দিত তাহলে সে যদি নাও মূর্ত তাও সারা জীবন তাকে হুইল চেয়ারে করে ঘুরতে হত ছেলেটাকে কিছু বলার আগেই ছেলেটা নিজের বাগাল ডলতে ডলতে ভিড়ের মধ্য থেকে বেরিয়ে গেল। দীপ্তি চৌহান নিজের জীবন বাঁচানোর থেকেও নিজের দুই গালে চড় এর কথা ভেবে রাগে-দুঃখে ভিতরে ভিতরে ফেটে পড়তে লাগলেন। কিন্তু দীপ্তি চৌহান জানেন এই সমস্ত মানুষের কাছে ওই ছেলেটা এখন হিরো হয়ে উঠেছে। দীপ্তি চৌহান ভালো করেই জানে রাগ পুষে রেখে পরে কি করে তার সুদে-আসলে বদলা নেওয়া যায়। তৃপ্তি চৌহান নিজের কান থেকে হেডফোন খুলে নিজের দোষ স্বীকার করে সামনের লোকগুলো বললেন আমাকে বাঁচান ওই মহানুভব ব্যক্তির নামটা যদি বলেন তাহলে আমাকে বাঁচানোর জন্য তার কাছ থেকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। ওখানের কিছু লোক ওই ছেলেটা কে চিনতে পারল সে এখানে নতুন এসেছে একাউন্টান্সি নিয়ে সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট কোন জায়গায় ঘর না পেয়ে বস্তিতে বিন্দু দিদির সহায়তায় একটা ঘরে থাকে। নাম হচ্ছে "অমিত"!
অমিত সকাল বেলায় একজন মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে যেরকম অপদস্ত হয়েছে তাতে তার মেজাজ খিঁচড়ে ছিল সে গজ গজ করতে করতে ফ্রেশ হয়ে কোন কিছু না খেয়ে হিসাবের খাতা নিয়ে বসলো সেখানে সে শেষ দু'বছরের খাতায় প্রচুর পরিমাণে গরমিল পেতে শুরু করলো এরকমভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হল।


দীপটি চৌহান লজ্জায় ঘৃণায় অপমানে দৌড়ে ঘরে এসে বড় বড় শ্বাস নিন তার রুমে ঢোকার সাথে সাথে বিশাল বড় এক আয়না তিনি তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলেন তার গালে চারটে চারটে আটটা আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট । তিনি বেশ শক্ত সমর্থ পাঞ্জাবি মহিলা তিনি কুড়ি একুশ বছর বয়সের একটা ছেলের কাছ থেকে চড় খেলেন তিনি এই ভাবতে-ভাবতে সোজা ওয়াশ রুমে ঢুকে কল টা চালিয়ে দিয়ে বারবার মুখে জলের ঝাপটা দিতে লাগলেন তার জলের সাথে নিজের চোখের জল মিশে যেতে লাগলো দশ-বারো বার পরপর জলের ঝাপটা নেওয়ার পর তিনি পাশে রাখা সেন্টের বোতল ডান হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে বড় বেলজিয়াম কাচের আয়না টায় ছুড়ে মারলেন আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কাচ ভাঙ্গার শব্দে আয়নাটা ভেঙে টুকরো টুকরো ফাটলে চারিদিকে ছড়িয়ে গেল । ভালো দামি কাচ ছিল হয়তো। পরপর হাতের কাছে রাখা যা ছিলো সব আয়নাটার দিকে ছুঁড়ে দিতে লাগলেন আর প্রচণ্ড কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি যতই উপর থেকে হার্ডকোর পুলিশ অফিসার হন না কেন তার আরালে এক নরম মেয়ে লুকিয়ে আছে। তিনি শপথ নিলেন যে করেই হোক ওই ছেলেটাকে জীবনের মতো শিক্ষা দিয়ে ছাড়বেন। লোকগুলোর কথা বারবার তিনি মনে করছিলেন বিন্দু দিদি ওই ছেলেটাকে আশ্রয় দিয়েছে। দীপ্তি চৌহানের মাথা থেকে বেরিয়ে গেল ওই ছেলেটা একটু আগে তার জীবন দান করেছেন। তিনি ভালো করে স্নান করে অফিসের জন্য রেডি হয়ে যখন পুলিশের ড্রেস পড়ে তৈরি হলে তখন তিনি দেখলেন তার মুখে এখনও লাল হয়ে আছে। তিনি আজ অনেক বছর পর প্রথম মেকআপ কিট খুলে কিছুটা মুখে ফর্সা রং এর মেকআপ করলেন যাতে তার গালের লাল ভাবটা বাইরে থেকে বোঝা না যায়। তিনি পুলিশ স্টেশনে ঢোকার সময় থেকে নিজের অফিস রুমে বসা পর্যন্ত সমস্ত হাবিলদার পুলিশ অফিসার তার দিকে কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকিয়ে আছে তিনি ভাল করেই বুঝতে পারলেন তার মেকআপ সবার নজরে ভালো করেই পড়েছে। দীপ্তি চৌহানের রাগ আরো যেন বাড়তে লাগলো। তিনি অফিসে ঢুকেই বেল বাজিয়ে একজন পুলিশ অফিসার কে ডাকলেন। পুলিশ অফিসার ঘরে ঢুকে তাকে স্যালুট করে বলল ম্যাডাম কি দরকার? দীপ্তি চৌহান বলল বস্তিতে নতুন একটা ছেলে এসেছে নাম অমিত আমি এর সবকিছু জানতে চাই এর জন্ম কোথায় এর মা-বাবাকে কোথায় মানুষ সবকিছু। পুলিশ অফিসার স্যালুট করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলল ম্যাম সব খবর পেয়ে যাবেন। দীপ্তি চৌহান বলল তুমি অন্য একজনকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দাও আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খবরটা আমাকে দাও। এর কিছুক্ষণ পরেই আরেক পুলিশ অফিসার দীপ্তি চৌহানকে স্যালুট করে তার সামনে দাঁড়াল বলল ম্যাম আমাকে ডেকেছেন? দীপ্তি চৌহান বসবার ইঙ্গিত করে পুলিশ অফিসার কে বলল আজ সকালে জিএম রোডে একটা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটা কারেন্টের পোলের ধাক্কা মেরেছে। ওই গাড়ির চালকের কোন খবর পাওয়া গেছে? পুলিশ অফিসারটি বলল না ম্যাডাম অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার পরেই গাড়ির চালক সেখান থেকে চম্পট দেয়। দীপ্তি চৌহান বলে গাড়ির নাম্বার প্লেট থেকে কিছু জানা গেল? পুলিশ অফিসারটি বলল ম্যাডাম কেউ কোন কমপ্লেন জানায়নি তাই আমরা গাড়িটার বিরুদ্ধে কোনো 4 জানিনা তবে শেষ জানা পর্যন্ত গাড়িটি ওইখানে ওরকম ভাবেই পড়ে আছে. দীপ্তি যখন প্রচণ্ড রাগে ফেটে পড়লেন বললেন আইপিসি 201 ধারায় বলা আছে যখনই পাবলিক প্লেসে কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হবে তখন পুলিশ নিজের থেকে একটা কেস ফাইল করবে আপনি কি কিছুই জানেন না. পুলিশ অফিসারটি কাচুমাচু হয়ে বলল আমরা যখন কেসটা লিখতে সেখানে যাই তখন গিয়ে দেখি গাড়ির নাম্বার প্লেট উধাও. দীপ্তি চৌহান নিজের ফোন বের করেন কারণ তিনি গাড়ির ছবি তুলেছিলেন. তিনি একটি কাগজে নম্বরটি লিখে পুলিশ অফিসারটি হাতে দিয়ে বলেন একদিনের মধ্যে আমি জানতে চাই এই গাড়ির আসল মালিক কে ?এখন আপনি আসুন. 
[+] 6 users Like Assking's post
Like Reply
#70
আপনারা কাকে অমিতের প্রথম সেক্স পার্টনার হিসেবে দেখতে চান?
A বন্দনা রায়।
B দীপ্তি চৌহান।
C নিশা আগারওয়াল।
D কাজের মেয়ে মালতি।
[+] 3 users Like Assking's post
Like Reply
#71
Either bindu or dipti
Like Reply
#72
প্লট বাঁ চিন্তাধারা খুব সুন্দর ! একটা সুন্দর থ্রিলারের শুরু হয়ে গেছে ! শুধু বানানের দিকে একটু নজর দেওয়ার দরকার ! ফ্রন্ট একটু মেনটেইন করতে হবে ! বানান ভুল আমারও হয় ! ওটা স্বাভাবিক ! কারন নিজের হাতে লেখা আর কম্পুইটারে লেখা এক জিনিস নয় ! চালিয়ে যাও ভাই ! আমি তোমার সাথে আছি !  
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
#73
Valo laglo
Like Reply
#74
Amr ph khrap hobar jonno dare hobe golpo update deta.sorry bro's
Like Reply
#75
Update please
Like Reply
#76
দীপ্তি চৌহান
Like Reply
#77
(21-04-2021, 06:02 PM)Assking Wrote: আপনারা কাকে অমিতের প্রথম সেক্স পার্টনার হিসেবে দেখতে চান?
A বন্দনা রায়।
B দীপ্তি চৌহান।
C নিশা আগারওয়াল।
D কাজের মেয়ে মালতি।
দীপ্তি চৌহান
Like Reply
#78
(21-04-2021, 06:02 PM)Assking Wrote: আপনারা কাকে অমিতের প্রথম সেক্স পার্টনার হিসেবে দেখতে চান?
A বন্দনা রায়।
B দীপ্তি চৌহান।
C নিশা আগারওয়াল।
D কাজের মেয়ে মালতি।


নিশা আগারওয়াল ।
Like Reply
#79
ধুর বাঁড়া ! এখানেও ভান্তারা শুরু হয়ে গেলো ! পাঁচ লাইন লিখে কুইজ কন্টেস্ট খেলা শুরু হয়ে গেছে ! একে তো এতো বানান ভুল তবুও একটা আকর্ষণীয় থ্রিলার হতে চলেছিল, শুরু হয়ে গেলো কন্টেস্ট , এবার বাংলা ঠ্যালা সামলা ! 
Like Reply
#80
দীপ্তি চৌহানের সাথে প্রেম, রোমান্স সেক্স তারপর প্রতারণা হোক
Like Reply




Users browsing this thread: 12 Guest(s)