08-03-2021, 04:25 PM
Indian Private Cams | Porn Videos: Recently Featured XXXX | Most Popular Videos | Latest Videos | Indian porn sites Sex Stories: english sex stories | tamil sex stories | malayalam sex stories | telugu sex stories | hindi sex stories | punjabi sex stories | bengali sex stories
নতুন অতীত ( সমাপ্ত)
|
08-03-2021, 04:32 PM
08-03-2021, 10:25 PM
(08-03-2021, 04:32 PM)cuck son Wrote: দাদা বানান ন ন ন ন ন , ওহ নো । কিছু কিছু বানান আমি জানি না , আবার কিছু কিছু হচ্ছে অভ্র ব্যাটার দোষ , আবার কিছু কিছু আলসেমি । যাই হোক চেষ্টা করবো । Dada Avro er theke Google e giye "Google Bengali Input" likhe search korlei bangla likhte parben ... Eta onek sohoj r banan er o chinta thake na...
08-03-2021, 11:24 PM
fantastic! waiting for the next update.
10-03-2021, 01:03 AM
Protombar apnar leka porlam. Kub e valo laglo. Chaliye jan. Shuveccha roilo
10-03-2021, 02:56 PM
10-03-2021, 02:56 PM
10-03-2021, 02:57 PM
11-03-2021, 07:20 PM
যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখনো আমারা ঐ নৌকাতেই আছি । তারাতারি আমি অনিলার খোঁজ নিলাম, কিন্তু জেসমিন আমাকে উঠতে দিলো না বলল “ ভাই আপনি সুইয়া থাকেন , অনিলা অহন ঠিক আছে , তবে দুর্বল , সোনিয়া ভাবি ওরে দেখতাসে” । দেখলাম সোনিয়া দ্রুত অনিলার পায়ের পাতা মালিশ করে দিচ্ছে ।
“ নৌকা চলছে না কেনো?” আমি দুর্বল স্বরে জিজ্ঞাস করলাম । “ মাঝি পালাইসে ভাই , জালাল কইলো , মাঝি লগি নেয়ার সময় অনিলার শরীরে আঘাত লাগসে , হেই ডরে মাঝি পলাইসে , এখন অন্য লোক আইতাসে নৌকা চালানোর জন্য” কিছুক্ষন পর দেখলাম আরও একটি ইঞ্জিন ট্রলার এসে ভিরলো আমাদেরটার সাথে , সেখানে করিম আর নাল্টু বাদে আরও একজন লোক আছে । ওরা তিনজনেই লাফিয়ে আমাদের নৌকায় এসে নামলো । নাল্টু আর করিম সরাসরি অনিলার কাছে এগিয়ে গেলো, নাল্টুর সাথে কম্বল টাইপ কিছু আছে । সেটা দিয়ে অনিলাকে জড়িয়ে রাখা হলো । আমি অনেক চেষ্টা করলাম অনিলার কাছে যেতে কিন্তু আমার হাত পা কাপছিলো । এতো দুর্বল হয়ে গেছে আমার শরীর !!! মনে মনে খুব অবাক হলাম । আমাদের ট্রলারের ইঞ্জিন চালু করা হলো , দ্রুত ডাঙ্গার কাছে নিয়ে যাওয়া হলো । সেখানে আমাদের জন্য কয়েকটি ব্যাটারি চালিত অটো ছিলো । তাতে করে আমারা দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দিকে গেলাম । সেখানে অনিলার ভেজা কাপড় চেঞ্জ করে দেয়া হলো । মনে মনে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম আমি , একবার বললাম করিম কে যে অনিলাকে শহরে নিয়ে যাই । কিন্তু সোনিয়া আশ্বস্ত করলো যে তার কোন দরকার নেই । তেমন কিছু হয়নি অনিলার , খুব বেশি ভয় পাওয়ার কারনে এমন হয়েছে । ঘণ্টা দুই পর আমারা মিয়াঁ বাড়ির পথ ধরলাম । খবর পেয়ে আজমল চাচা ও চলে এসেছে সাথে করে একটা ভ্যান নিয়ে এসেছিলেন উনি , তাতে করেই অনিলাকে নিয়ে যাওয়া হলো । অনিলার তেমন কিছু হয়নি এটা সোনার পর একদিকে যেমন একটু স্বস্তি পাচ্ছিলাম অন্য দিকে আরও একটা ভয় এসে মনে দানা বাধতে লাগলো । সেটা হচ্ছে মেয়ের মায়ের কাছে কি জবাব দেবো । লিজা কিছুতেই আমার সাথে অনিলাকে একা দিতে চায়নি , এখন যদি মেয়ের এই হালের কথা জানতে পারে তখন হয়ত আর কোনদিন আমি অনিলাকে কোথাও নিয়ে যেতে পারবো না । বাড়িতে আসার পর সোনিয়া জেসমিন আর ঝুমা প্রচুর সেবা করলো অনিলার । হাতে পায়ে গরম সেঁক দেয়া হলো , সরিষার তেল মালিশ করা হলো । ধিরে ধিরে জ্ঞান ফিরলো অনিলার ঠোট দুটো ফ্যাঁকাসে হয়ে আছে এখনো । জ্ঞান ফিরে অনিলা পানি খেতে চাইলো । আমি দ্রুত গিয়ে অনিলার পাশে এসে বসলাম । মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম “কি রে মা এখন কেমন বোধ করছিস “ এই অসুস্থ অবস্থায় ও ফিক করে হেঁসে ফেললো অনিলা বলল “ আব্বু তুমি খুব ভয় পেয়েছো তাই না” “ ভয় পাওয়ার ই তো কথা , তাই নয় কি?” আমি একটু গম্ভির কণ্ঠে বললাম “ হ্যাঁ কিন্ত তোমার সবচেয়ে বেশি ভয় লাগছে আম্মু কে , তাই না? সমস্যা নেই আমি এসব এর কিছুই বলবো না আম্মুর কাছে” এই বলে অনিলা হাসতে লাগলো । আমিও আর গম্ভির থাকতে পারলাম না , আসলেই মেয়েটা একটা বিচ্ছু , এই অবস্থায় ও জোঁক করছে । “ হইসে আর মজা করতে হইবো না , এই গরম দুধ খাও , সইল্লে জোড় পাইবা” ঝুমা এক গ্লাস গরম দুধ নিয়ে এসেছে । অনিলা অনেক না করলো কিন্তু ঝুমা ওর কথা শুনল না জোড় করে গরম দুধ খাইয়ে দিলো । দুধ খাওয়ার পর অনিলা আবার ঘুমিয়ে পরলো । আমাকেও এক গ্লাস গরম দুধ খেতে হলো , ঝুমার জরাজুরিতে । তবে গরম দুধ খেয়ে শরীর টা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠলো । একটু পর জেসমিন আর লান্টু চলে গেলো । জেসমিন এতক্ষন ভেজা কাপড়েই ছিলো । অনিলার চিন্তায় এতক্ষন আমি সেটা লক্ষ করিনি , যখন খেয়াল হলো তখন খুব খারাপ লাগলো আমার কাছে , আরও আগেই ওদের পাঠিয়ে দেয়া দরকার ছিলো । যাওয়ার আগে নাল্টু আমার কাছে সেদিনের জন্য ক্ষমা চেয়ে গেলো । আসলে নৌকায় নাল্টু কে দেখে আমি খুব খুসি হয়েছিলাম । ক্ষমা আমারি চাওয়া উচিৎ ছিলো ওর কাছে , কিন্তু সেটা আমি চাইতে পারলাম না , বরং নাল্টু ই আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলো । জেসমিন খুব করে বলে গেলো আমি আর অনিলা জেনো অবশ্যই ওদের বাড়ি যাই । সন্ধার পর সোনিয়া ও চলে গেলো । এখন সুধু ঝুমা অনিলার পাশে বসে আছে । হালকা জ্বর আসতে শুরু করেছে অনিলার তাই এখন আর গরম সেঁক দেয়া হচ্ছে না । অবশ্য সোনিয়া বলে গেছে , এটা কোন সমস্যা না , রাতে যদি জ্বর বেশি হয় একটা ঔষধ খাইয়ে দিতে । সবাই চলে যেতেই আজমল চাচার আবির্ভাব হলো । “ ছোট হুজুর একটা কথা আসিলো , একটু যদি বাইরে আহেন” আমার সামনে কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে বলল আজমল চাচা । গতকাল এর পর ওনার আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে । আগের সেই অভিবাবক সুলভ আচরন আর নেই । ব্যাপারটা আমার কাছে বেশি একটা ভালো লাগলো না , আসলে এক মেয়ে ছাড়া আমার আর কেউ নেই দুনিয়ায় তাই ওনার এই অনম আচরন টা আমার কাছে মন্দ লাগতো না। হ্যাঁ উনি কিছু খারাপ কাজ করেছে কিন্তু তার জন্য এমন করা উচিৎ হয়নি আমার। কিন্তু আমি জতদিন আছে ওনার ভয়টা ও ভাঙ্গাতে চাই না । আমি আজমল চাচার সাথে বাইরে আসলাম । তারপর বললাম “ কিছু বলবেন চাচা?” “ আমি মির্জা পুরের চেয়ারম্যান এর লগে কথা কইসি , আপনের আর বিয়া নিয়া টেনশন করন লাগবো না” এই বলে আজমল চাচা চুপ করে রইলেন । মনে হচ্ছে আরও কিছু বলতে চান । তাই আমি জিজ্ঞাস করলাম “ আরও কিছু কি বলেবন চাচা “ আজমল চাচা কয়েক মুহূর্ত চুপ থাকার পর আমার দু হাত ধরে কেঁদে ফেললেন । কাঁদতে কাঁদতে বললেন “ ছোট হুজুর আমি চাকর মানুষ , কিন্তু চাকর হইলেও আপ্নেগো নুন খাইসি , হের লইগা কইতাসি , আপনে চইলা যান , আজকা রাইতের ভিতর চইলা যান , নাইলে আপনেরে জানে বাচতে দিবো না “ আমি একেবারে হতচকিয়ে গেলাম , এই সব কি বলছে আজমল চাচা ! তাহলেকে মির্জা পুরের চেয়ারম্যান ওনাকে কোন হুমকি দিয়েছে? “ কি বলছেন চাচা এই সব , কে আমাকে মারবে , আমি কার ক্ষতি করলাম , আপনাকে কি মির্জা পুরের চেয়ারম্যান কিছু বলেছে?” আমি জিজ্ঞাস করলাম চাচা কে । কিন্তু চাচা কিছুতেই কিছু বলতে চাইলো না , বার বার খালি আমাকে আর অনিলাকে চলে যেতে বলছে । শেষে অনেক জোর করার পর মুখ খুলল আজমল চাচা । “ হুজুর আমি ছোট মানুষ কেমন কইরা কই , যারা আপনের ক্ষতি করতে চায় হেরা আপনের আশেপাশের লোক জন , এইবার আপনে বুইঝা লন “ চাচার এই কথা আমাকে আরও বিপাকে ফেলে দিলো , এখানে আমার আশেপাশের লোক বলতে কে আছে । “ চাচা ঠিক করে বলেন তো কি হয়েছে “ আমি এবার একটু ধমক এর সুরে জানতে চাইলাম । “ আমি কইলে আবার আমার দোষ হইবো হুজুর , কিন্তু না কইয়া ও পারতাসিনা , আজকা নৌকা কে ঠিক করসিলো ? আমাগো চেয়ারম্যান করিম না ?” আমি বললাম হ্যাঁ , তখন চাচা আবার বলা শুরু করলো “ ঐ মাঝি রে আমি চিনি , দুই বার জেল খাঁটা লোক , ঐ ইচ্ছা কইরা আপনের মাইয়ারে নৌকা থেইকা ফালাইয়া দিসে , এহন ওরে গেরামে কোন জায়গায় খুইজা পাওয়া যাইতাসেনা “ আমি চুপ হয়ে গেলাম , মনে মনে ভাবছি ,করিম কেনো এমন কাজ করবে , আমি চলে গেলে , অথবা আমার ক্ষতি হলে ওর কি লাভ । এমন সময় আজমল চাচা আবার বলা শুরু করলো “ আমি জানতাম হুজুর আপনে আমার কথা বিশ্বাস করবেন না , কিন্তু দোহাই লাগে আপনের আপনে চইলা যান , আমার কথা বিশ্বাস না হইলেও চইলা যান , আপনে এইখনে জতদিন থকবেন আপনের আর মিয়াঁ বাড়ির শত্রুরা ততো ভয়ানক হইয়া উঠবো “ এই বলে আজমল চাচা চলে গেলেন । নাহ করিম এই ধরনের কাজ কোনদিন করবে না ... মনে মনে ভাবলাম আমি । কিন্তু একেবারে নিসচিন্ত হতে পারলাম না ।
12-03-2021, 12:41 AM
পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও সাবধান হওয়া উচিৎ!
বলা যায় না কার মনে কী আছে! আজমল চাচার চোখও কিন্তু সেরকমই কিছু বলেছে! হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে কে না চায়?
12-03-2021, 11:28 AM
গ্রামের চেয়ারম্যান মানে কি , বাংলাদেশে কি পঞ্চায়েত প্রধানকে এটা বলা হয় .....
12-03-2021, 03:17 PM
12-03-2021, 03:18 PM
12-03-2021, 03:21 PM
(12-03-2021, 11:28 AM)ddey333 Wrote: গ্রামের চেয়ারম্যান মানে কি , বাংলাদেশে কি পঞ্চায়েত প্রধানকে এটা বলা হয় ..... সিটি কর্পোরেশন এর যেমন মেয়র হয় তেমন কয়েকটা গ্রাম নিয়ে গঠিত একটি ইউনিওন পরিষদের থাকে চেয়ারম্যান । পঞ্চায়েত এর কাজ সম্পর্কে আমি ঠিক জানি না । তবে এই চেয়ারম্যান কিন্তু ইউনিওন এর সব কাজ করে । যেমনটা মেয়র করে থাকেন । এর চেয়ে ভালো বুঝিয়ে বলতে পারছি না বলে দুঃখিত ।
12-03-2021, 03:21 PM
13-03-2021, 12:49 AM
(This post was last modified: 13-03-2021, 07:51 AM by MNHabib. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
(12-03-2021, 11:28 AM)ddey333 Wrote: গ্রামের চেয়ারম্যান মানে কি , বাংলাদেশে কি পঞ্চায়েত প্রধানকে এটা বলা হয় ..... Cuck son ভাই ঠিক বলেছেন। তবুও আমি যতটুকু জানি তা বুুুুঝিয়ে বলছি। বাংলাদেশে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য বর্তমানে মোট ৮টি বিভাগ এবং এই ৮টি বিভাগে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে। কোনো বিভাগে ৪টি, কোনো বিভাগে ৮টি আবার কোনো বিভাগে ১৩টি জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলোতে আবার আয়তন অনুযায়ী প্রতিটিতে ৫-১৪টি উপজেলা/থানা রয়েছে। এই উপজেলাসমূহে আবার আয়তন অনুযায়ী প্রতিটিতে ৪-২০টি ইউনিয়ন আছে। বাংলাদেশে মোট ৪৯২টি উপজেলা এবং ৪৫৫৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি প্রশাসনিক ভবন আছে যাকে ইউনিয়ন পরিষদ বলে। এই ইউনিয়নে প্রতি ৫ বছর পর পর নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ১ জন চেয়ারম্যান এবং ৯ জন ওয়ার্ড মেম্বার এবং ৩ ওয়ার্ড মিলে ১জন করে সংরক্ষিত নারী মেম্বার নির্বাচিত হয়। এই ১৩ জনকে নিয়ে গঠিত পরিষদ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে ৫ বছর ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে যার প্রধান হচ্ছে চেয়ারম্যান।
13-03-2021, 09:17 AM
(13-03-2021, 12:49 AM)MNHabib Wrote: Cuck son ভাই ঠিক বলেছেন। তবুও আমি যতটুকু জানি তা বুুুুঝিয়ে বলছি। বাহ্ ! খুব সুন্দর ব্যবস্থা তো , খুব ভালো লাগলো জেনে .. আসলে আমি ঠিকই বুঝেছিলাম , ওখানকার চেয়ারম্যান আর আমাদের এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান একই জিনিস ... ধন্যবাদ ...
14-03-2021, 05:35 PM
সন্ধার পর থেকেই অনিলার জ্বর আসতে শুরু হলো । ধিরে ধিরে জ্বর অনেক বেড়ে যাচ্ছিলো , তাই আমি আবার সোনিয়াকে খবর দিয়ে আনলাম । সোনিয়ার সাথে করিম ও এলো । জ্বর মেপে দেখা হলো প্রায় একশো দুই । আমি অনিলাকে হসপিটাল নিতে চাইলাম , কিন্তু সোনিয়া অভয় দিয়ে বলল তার কোন দরকার হবে না । ঝুমা আর সোনিয়া মিলে অনিলার যত্ন আত্তি করতে লাগলো , কিছুক্ষন পর পর পানি সেঁক দিচ্ছে মাথায় ।
আমিও বসে ছিলাম ওদের সাথে , একটু পর আমি ঘরের বাইরে বেড়িয়ে এলাম । দেখলাম করিম বারান্দায় বসে আছে , ওকে দেখে আমার আজমল চাচার কথা মনে পড়ে গেলো । যে করিম কে আমি চিনি তার পক্ষে এমন কোন কাজ করা সম্ভব নয় , কিন্তু মানুষ তো বদলায় । আর সবচেয়ে বেশি বদলায় যখন ক্ষমতা তার হাতে আসে । করিম এর হাতে এখন ক্ষমতা আর আমার উপস্থিতি ওর এই খমতার প্রতি কিছুটা হলেও হুমকি স্বরূপ । তাই করিম এমন কাজ করতেই পারে । ধিরে ধিরে আমি করিম এর দিকে এগিয়ে গেলাম । আমাকে দেখে করিম জিজ্ঞাস করলো “কিরে অনিলার শরীর কেমন এহন “ “ পানি পট্টি দিতাসে দেহি কি হয়” এই বলে আমি চুপ করে রইলাম । কিছুক্ষন করিম ও চুপ রইলো ওকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে । কিসের এতো চিন্তা করছে করিম , মনে মনে ভাবলাম আমি । ও কি কাজ সফল না হওয়ায় চিন্তিত , “ কিরে তোরে দেইখা মনে হইতাসে কোন কিছু নিয়া চিন্তা করতাসস ?” করিম এর রিএক্সন দেখার জন্য জিজ্ঞাস করলাম আমি । “ চিন্তার একটা ব্যাপার আছে , তয় এহন তোরে কিসু কমু না , আমি পুরা শিওর হইয়া তোরে কমু” কি এমন ব্যাপার যে করিম এখন আমাকে বলতে পারছে না , ও কি অন্য কারো ঘাড়ে এই দোষ চাপাতে চাইছে ? আমি আরও শিওর হওয়ার জন্য বললাম “ নৌকার মাঝি রে পাইসস “ কিন্তু করিম এর উত্তর দিলো না , বরং আমাকে আর একটা প্রস্ন করলো , করিম জিজ্ঞাস করলেও “ তোরে কি কেউ কিসু বলসে?” করিম জিজ্ঞাস করলো আমায় । “ কি কইবো?” আমি অবাক হওয়ার ভাব করলাম , তবে আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো , আমি কোনদিন বিশ্বাস করতাম না যে করিম এমন কিছু করবে । কিন্তু ও যে যেচে এসে জিজ্ঞাস করছে যে আজমল চাচা আমার কাছে কিছু বলেছে কিনা সেটা কিন্তু ওর দুর্বলাতা প্রকাশ করছে । এর আগে আমি নিশ্চিত ছিলাম না কিন্তু এখন আমি প্রায় নিশ্চিত এই কাজ করিম করেছে । তবে হয়ত “ এহনো কয় নাই তাইলে? তয় কইবো “ এ কথা বলে করিম আমার কাঁধে একটা হাত রাখলো তারপর বলল “ লোকে অনেক কথা কইবো জামিল তয় তুই নিজেরে একবার প্রস্ন কইরা দেহিস বিশ্বাস করন এর আগে” “ কি কইতাসস করিম , আমি কিছুই বুঝতে পারতাসিনা” “ বুঝবি এহন না বুঝলেও পড়ে বুঝবি “ এই বলে করিম আবার চুপ হয়ে গেলো । এমন সময় সোনিয়া বেড়িয়ে এলো । “ ভাই অনিলার জ্বর কমে গেছে , তবে রাতে যেন কেউ ওর পাশে থাকে , জ্বর আসলে জেনো পানি দেয়া হয় আর একটা ওষুধ খাওয়াইয়া দেওয়া হয়” “ তুমি অনেক কিসু করলা সোনিয়া “ আমি সোনিয়াকে বললাম । “ কি যে বলেন ভাই , ডাক্তার দের কাজ ই এইটা “ হেঁসে বলল সোনিয়া কিছুক্ষন পর সোনিয়া আর করিম চলে গেলো । আমি বারান্দায় বসে রইলাম । ঝুমা নিচে গিয়েছে রাতের রান্না করতে অনিলার পাশে জালাল বসে আছে । বসে বসে ভাবছি করিম এর কথা , কেন এমন করলো করিম , আমি তো ওকে বলেই দিলাম যে আমি এর পর আর গ্রামে আসবো না । সময় আর ক্ষমতা মানুষ কে কতটা নিচে নামিয়ে দিতে পারে সেটা যত ভাবছি ততো অবাক হচ্ছি । কিন্তু যতই অবাক হই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে আমার সমস্যা হচ্ছে না । করিম জাস্ট আমার চলে যাওয়া শিওর করার জন্য এই কাজ টি করেছে । যেহেতু নৌকা ও ভারা করেছে আর নৌকার মাঝিকেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এই কাজ করিম ছাড়া আর কেউ করেনি । রাতে আজমল চাচা আবার এলেন আমার কাছে । আমাকে নানা ভাবে চলে যাওয়ার জন্য বলতে লাগলেন । কিন্তু আমি কিছুতেই রাজি হলাম না । যাই হোক নিজের বাড়ি ছেড়ে আমি যাবো না । হ্যাঁ আমি নিজে ব্যাপারটা নিয়ে সরাসরি কথা বলবো করিম আর সাথে , তার আগে অনিলাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেবো । কিন্ত আমি যাবো না , আমি মিয়াঁ বাড়ির ছেলে এমন করে আমাকে তারিয়ে দেবে সেটা আমি কিছুতেই হতে দেবো না, তার উপর সবচেয়ে বড় কথা হলো আঘাত এসেছে আমার সবচেয়ে দুর্বল জায়গায় । আমার এক মাত্র মেয়ের উপর । এর শেষ আমি দেখে ছাড়বো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম । আপাতত যে কয়দিন অনিলা আছে সেই কয়দিন আমি এ নিয়ে কিছুই করবো না বলে ঠিক করলাম । সব কথা অবশ্য আজমল চাচা কে বললাম না , তবে এটা সাফ জানিয়ে দিলাম আমি যাবো না । এবং এর শেষ দেখে তারপর এখান থেকে যাবো । আজমল চাচা আমাকে আরও বঝানোর চেষ্টা করলো কিন্তু আমি ওনাকে থামিয়ে দিলাম । শেষে উনি বিড়বিড় করে কি কি যেন বলতে বলতে চলে গেলেন । রাতের খাবার খেয়ে আমি আর ঝুমা অনিলার পাশে বসে আছি । অনিলা এখনো ঘুমাচ্ছে , কি সুন্দর লাগছে অনিলাকে । নিস্পাপ ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে মনটা আমার খারাপ হয়ে গেলো । মানুষ কত নীচ হলে এমন কাজ করতে পারে । এখন তো আমার লাভ্লুর মেয়ে সম্পর্কে যে কথা গুলি করিম বলেছিলো সেগুলি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে । “ আপনে গিয়া ঘুমান ছোট মিয়াঁ, আমি একলা থাকলেই হইবো” ঝুমা হঠাত বলে উঠলো । ঝুমার কথায় আমার ধ্যান ভাংলো । ঝুমার চোখ দুটো লাল হয়ে আছে , সারাদিন কত খাঁটা খাটনি করে মেয়েটা এখন আবার রাত জাগবে । আমি বললাম “ না না ঝুমা আমার রাত জেগে অভ্যাস আছে , তুমি গিয়ে একটু ঘুমিয়ে নাও , সকালে তোমার কত কাজ” কিন্তু ঝুমা আমার আর কোন কথাই শুনল না । আমাকে জোড় করে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিলো । আসলে আমি অনেক ক্লান্ত ছিলাম তাই ঘুমিয়ে পড়লাম । |
« Next Oldest | Next Newest »
|
Users browsing this thread: mds00, 2 Guest(s)