31-12-2020, 11:14 PM
(This post was last modified: 03-01-2021, 04:56 PM by Rajdip123. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
Misc. Erotica অমৃতের সন্ধানে
|
31-12-2020, 11:14 PM
(This post was last modified: 03-01-2021, 04:56 PM by Rajdip123. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 12:07 AM
“গল্পটা পড়ার আগে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। এই গল্পে স্থান, কাল, পাত্র সবই কাল্পনিক। এটা ইরোটিক গল্পের সাইট, ব্যাপারটা মাথায় রেখেই বলছি। যারা গল্পের প্রতি পাতায় যৌনতা খোঁজেন, উদ্দাম সেক্স খোঁজেন, তাঁদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা সহকারে বলছি, এই গল্পটা হয়তো তাঁদের জন্য না। তাঁরা যদি এই গল্পটা পড়েন তাহলে অযথা সময় নষ্ট হতে পারে তাঁদের, তাই আমাকে মাফ করবেন। আর লিখতে যখন শুরু করেছি, গল্পটা শেষ অবশ্যই করবো”।
সবাইকে জানাই HAPPY NEW YEAR 2021
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 12:15 AM
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 12:16 AM
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 12:26 AM
অসংখ্য শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইলো রাজদীপ দা । নতুন বছরে নতুন গল্প নিয়ে আমাদের আনন্দিত করুন । সাথে আছি ।
01-01-2021, 12:29 AM
(01-01-2021, 12:26 AM)Jupiter10 Wrote: অসংখ্য শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইলো রাজদীপ দা । নতুন বছরে নতুন গল্প নিয়ে আমাদের আনন্দিত করুন । সাথে আছি । ধন্যবাদ ভাই......... happy new year 2021......সপরিবারে ভালো থাকো
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 09:35 AM
(01-01-2021, 12:29 AM)Rajdip123 Wrote: ধন্যবাদ ভাই......... happy new year 2021......সপরিবারে ভালো থাকো আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা ।
01-01-2021, 10:09 AM
শুরু করুন রাজদীপ।
সব সময় থাকব পাশে।
অমৃতের সন্ধানে - নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।
01-01-2021, 10:10 AM
নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে !!
অনেক অভিনন্দন রাজদীপদাকে , এতদিন পরে ফিরে আসার জন্য !!!
01-01-2021, 11:25 AM
(01-01-2021, 10:09 AM)Nilpori Wrote: শুরু করুন রাজদীপ। ইংরেজি নববর্ষ 2021 এর শুভেচ্ছা রইলো আপনাকে আর আপনার ফ্যামিলি কে I আজ দিনটা আনন্দে কাটুক আপনার I ভালো থাকবেন, পাশে থাকবেন
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 11:29 AM
(01-01-2021, 10:10 AM)ddey333 Wrote: নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে !! অনেক অকথা কুকথা বলি I কেমন একটা অধিকার বোধ জন্মে গেছে তোমার ওপর I হ্যাপি নিউ ইয়ার 2021 তোমাকে আর তোমার ফ্যামিলি কে I আজকে খুব আনন্দ কোরো, ভালো থেকো I
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 01:45 PM
(31-12-2020, 11:14 PM)Rajdip123 Wrote: বেশি গুলতাপ্পি না মেরে গল্প শুরু কর ! এখন শুধু নাড়াতেই ব্যাস্ত !!!!!!
01-01-2021, 05:51 PM
(01-01-2021, 02:41 PM)Avenger boy Wrote: শুভ কামনা রইল আপনার নতুন গল্পের জন্য..... করছি ভাই............ ভুল চুক হলে মাফ করে দিও।
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 06:03 PM
ইন্দ্রজিত সিংহ , উচ্চতায় প্রায় ছয় ফিট, খেলোয়াড় সুলভ নিয়মিত ব্যায়াম করা চেহারা, খুব বেশী ফর্সা না বলাই ভালো , চোখ মুখ একটা শিশু সুলভ সারল্যে ভরা, অসম্ভব জেদি আর হবে নাই বা কেন, শরীরে যে ক্ষত্রিয় রক্ত দৌড়চ্ছে, পূর্ব পুরুষরা রাজস্থানের বাসিন্দা হলেও কোনও একজন পূর্বপুরুষ তখনকার বিহারের অধুনা ঝারখণ্ড ধানবাদে এসে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তারই বংশধর হল ইন্দ্রজিত সিংহ। ক্ষত্রিয় হলেও ইন্দ্রজিতের পড়াশোনা আদব কায়দা কথাবার্তা সব কিছুই বাংলাতে । ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় খুব একটা খারাপ ছিল না ইন্দ্রজিত। সাথে খেলাধুলায় সমান পারদর্শী ইন্দ্রজিত সকলের খুব প্রিয় পাত্র। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা অভিজিত সিংহ ধানবাদের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ি। আয় বেশ ভালই। মা সুনন্দা সিংহের নয়নের মনি তাঁর একমাত্র ছেলে ইন্দ্রজিত। ধানবাদে কোর্টের কাছে বিরাট বাড়ি, বাঙালি পাড়াতে।
পুনার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়ে ধানবাদে ফিরে আসে সদ্য বাইশ বছরে পা দেওয়া টগবগে যুবক ইন্দ্রজিত। বাবা অভিজিত সিংহ বরাবরই চেয়েছিলেন তাঁর একমাত্র ছেলে যেন তাঁর মতন ব্যাবসার পথে পা না রাখে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করা ইঞ্জিনিয়ার ছেলে যেন ভালো চাকরী করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু ছেলের চাকরী করার যেন কোনও ইচ্ছাই নেই। বললেই এটা সেটা বলে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। অবশেষে বাবার কথা রাখতেই লারসেন অ্যান্ড টুব্রোতে জয়েন করে ইন্দ্রজিত। মাইনে মোটামুটি ভালই। বেশ কয়েক বছর কাজ করার পর রিতিমতন হাঁপিয়ে ওঠে ইন্দ্রজিত। জীবন টা যেন বাঁধা পড়ে যাচ্ছে তাঁর। সেই একই কাজ সকালে উঠে ব্যায়াম, তারপর স্নান করে অফিস, দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে মায়ের দেওয়া টিফিন বক্স খুলে খাওয়া, একটু রেস্ট, তারপর আবার কাজ শেষ করে বিকেল ছয়টা নাগাদ বাড়ি ফেরা। হাত পা মুখ ধুয়ে কিছু একটু মুখে দিয়ে কয়েকজন বন্ধুর সাথে একটু ঘুরে বেড়ানো। তারপর সন্ধ্যে আটটা নাগাদ ঘরে ফিরে এসে টিভি তে খবর দেখা। বাবা অভিজিত সিংয়ের ব্যাবসার কাজ শেষ করে ঘরে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত দশটা বাজে। এসে ফ্রেশ হয়ে ছেলের সাথে কিছুক্ষন সাধারন কথাবার্তা চলতে থাকে। দুজনের মাঝে মা সুনন্দাও এসে যোগ দিতেন মাঝে মাঝে। কিন্তু ইন্দ্রজিতের মন পড়ে থাকে অন্য কোথাও। এমন করেই চলতে থাকে ইন্দ্রজিতের জীবন। বিকেলের আড্ডাতে যখন তাঁর বন্ধুরা পাড়ার মেয়েদের নিয়ে আলোচনা করে, কে কার সাথে প্রেম করছে সেই সব আলোচনা করে, তখন ইন্দ্রজিত কেমন যেন একটু কুঁকড়ে যায়। কিন্তু ইন্দ্রজিতের শরীর, পড়াশোনা, নিস্পাপ মুখমণ্ডল দেখে পাড়ার অনেক সুন্দরী মেয়েই যে তাকে পেতে ইচ্ছুক সেটা ইন্দ্রজিতের নজর এড়ায় না। কিন্তু এমন তো না যে কোনও সুন্দরী যুবতীকে দেখে তার ভালো লাগে না, কোনও অসম্ভব যৌন আবেদনময়ী নারী কে দেখে প্রকাণ্ড ভীমাকৃতি পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয় না। রাত্রে যখন নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে তার রুমের বিরাট বড় পালঙ্কের নরম বিছানায় নিজের বিশাল দেহ টা ছুড়ে ফেলে ওপরে ঘূর্ণায়মান পাখার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কোনও সুন্দরী যুবতীর শরীর, পাছা, বুক নিয়ে কল্পনা করে তখন পুরুশাঙ্গটা বিশাল আকৃতি ধারন করে। চোখ বন্ধ করে নিজের বারমুডা নীচে নামিয়ে বিশাল পুরুশাঙ্গ টা নিয়ে এক অজানা খেলায় মেতে ওঠে ইন্দ্রজিত। একটা অদ্ভুত শিরশিরানি, একটা ভালো লাগা তার সারা শরীরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু দিনের বেলায় জন সমক্ষে কোনও এক অজানা সঙ্কোচ যেন তাকে বারবার বাধা দেয় সেই মেয়ের প্রেমে পড়তে, কিম্বা প্রেম নিবেদন করতে। বাকি বন্ধুরাও ব্যাপারটা নিয়ে ওর সাথে মজা করে। কিন্তু লাজুক স্বভাবের ইন্দ্রজিত, বন্ধুদের ঠাট্টা ইয়ার্কি, অত গায়ে মাখে না। নিজের সাথে নিজে লড়াই টা করে। কেন সে এত লাজুক? কেন সে মেয়েদের প্রেমের হাতছানি উপেক্ষা করে? দিন পেরিয়ে যায়, মাস পেরিয়ে যায়, বছর পেরিয়ে যায়, একই ভাবে নিস্তরঙ্গ নদির মতন বয়ে চলে ইন্দ্রজিতের জীবন। সে বুঝতে পারে না এমন একটা ঘটনা তার দিকে এগিয়ে আসছে, যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
01-01-2021, 06:13 PM
সেদিন রবিবার। ছুটির দিন ইন্দ্রজিতের। রবিবারের দিনটা বেশিরভাগ সে ঘরেই থাকে। বাবা ব্যাবসার কাজে নিজের অফিসে। বাইরে একটু মেঘলা করেছে। অক্টোবরের শেষের দিক হলেও শীত টা সে ভাবে পড়েনি এখনও। ইন্দ্রজিত নিজের রুমেই বসে গান শুনতে শুনতে একটা ম্যাগাজিনের পাতা ওলটাচ্ছিল। হটাত করে মা সুনন্দা ঘরে ঢুকেই বলে, “ইন্দ্র, বাবা আসছে, কোথায় বাবার এক বন্ধুর এক্সিডেন্ট হয়েছে, বাবা অফিস বন্ধ করে ঘরে আসছে, মনে হয় কোথাও বেরোবে, তুই তৈরি হয়ে কার টা বের কর। তোর বাবা আমাকে এখনি ফোন করে বলল”। মায়ের কথাতে বেশ অবাক হল ইন্দ্রজিত। কার এক্সিডেন্ট হয়েছে জানা নেই। কোথায় যেতে হবে জানা নেই। বাবার অফিস টা বাড়ি থেকে বেশি দূরে না, হয়তো এখনি এসে পড়বে। বাবা যা একরোখা, যেটা মুখ দিয়ে বেড়িয়েছে, সেটা করবেই। তাই বেশি গাঁই গুই করে লাভ নেই। উঠে পড়ে ফ্রেশ হতে কয়েক মিনিট সময় লাগল ইন্দ্রর। কার টা বের করতে করতেই দেখল বাইক নিয়ে বাবা ঢুকছেন। বাইক টা কোনও রকমে ঘরের গ্যারাজে রেখেই হাঁক দিল, “ইন্দ্র স্টার্ট কর, একটু বোকারো যেতে হবে, ফুয়েল টা চেক করে নে”।
ইন্দ্রই ড্রাইভ করছিল। কার টা চাস হয়ে বোকারোর দিকে ঘুরিয়ে নিল ইন্দ্র। চুপ চাপ ড্রাইভ করছিল ইন্দ্র। মনে একরাশ আশঙ্কা আর কৌতূহল…… তাই কারে অডিও সিস্টেমে কোনও গান বাজায় নি। সাধারনত ইন্দ্র যখনি ড্রাইভ করে কারে অডিও সিস্টেম অন থাকে। বোকারো মেন রাস্তা বরাবর অনেকটা চলার পর রাস্তার বাঁ দিকে কপারেটিভ কলোনির বিরাট বড় গেট টা চোখে পড়বেই। বোকারোতে এই কলোনির খুব নাম ডাক, এখানে নাকি এখানকার ধনী আর প্রতিপত্তিশালী মানুষদের বাড়ি। গেট টা কাছে আসতেই, গাড়ীর পেছনে বসা অভিজিত সিংহ বলে ওঠে, “গাড়িটা কলোনির গেটের ভেতরে নে, ইন্দ্র”। গেটের ভেতরে ঢোকার সময় দেখা গেল টুলের ওপর বসে থাকা সেখানকার দারোয়ান উঠে দাড়িয়ে কপালে হাত দিয়ে সেলাম জানালো। ইন্দ্র বুঝতে পারল যে এখানে তার বাবার যাওয়া আসা আছে। দারোয়ান নিশ্চয় এই গাড়িটা আর গাড়ীর মালিক, দুজনকেই চেনে। একটু এগিয়ে যেতেই ইন্দ্রের চোখে পড়ে দূরে একটা বিরাট বাড়ির গেটের সামনে কিছু লোকের জটলা। ওদের গাড়িটা এগিয়ে আসতেই সবাই নিজেদের কথা বন্ধ করে তাদের দিকে তাকাল। জটলার মধ্যে থেকেই সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরা একজন মদ্যবয়স্ক ভদ্রলোক তাদের গাড়ীর দিকে হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে এলো। গাড়ীর জানালার কাঁচ নামিয়ে ভেতর থেকেই অভিজিত সিংহ সেই ভদ্রলোকের সাথে কথা বলতে শুরু করলেন, “মানিক দা, উত্তম দা কেমন আছেন এখন? বাড়িতে না হাসপাতালে? চোট খুব বেশী না তো”? ইন্দ্র বুঝতে পারে যে ভদ্রলোক এগিয়ে আসলেন তাদের গাড়ীর দিকে , তার নাম মানিক আর যার এক্সিডেন্ট হয়েছে তিনি বাবার বন্ধু, নাম উত্তম। মানিক দা নামের ভদ্রলোকটি ছল ছল চোখে বলে উঠলো, “দাদার অবস্থা খুব খারাপ। মাথায় চোট লেগেছে তবে অজ্ঞান হন নি। জ্ঞ্যান আছে। খুব আসতে আসতে কথা বলছেন। ডাক্তার বলেছে, খুব তাড়াতাড়ি একটা অপারেশান করতে হবে। আমরাও হাসপাতালে যাচ্ছি। আপনিও চলুন। দাদা নাকি দু একবার আপনার নাম ধরে ডেকেছে”। কিছুক্ষনের মধ্যেই দুটো গাড়ি হুশশ......... করে বেরিয়ে গেল কলোনির গেট দিয়ে। হাসপাতাল কলোনির থেকে খুব বেশী দূরে না থাকায় দশ মিনিটের মধ্যেই ওরা হাসপাতালে পৌঁছে গেল। হাসপাতালে প্রচুর লোকের ভিড়। উত্তম দত্ত বোকারো তে একটা সিনেমা হলের মালিক তা ছাড়াও দুটো বাইকের শো রুম আছে। বোকারো সেক্টর তিনের সামনে এক্সিডেন্ট টা হয়েছে। উত্তম দত্তর হোন্ডা সিটি গাড়িটা যে ভাবে তুবড়ে গেছে তা ভেতরে কারও বেঁচে থাকা সম্ভবনা নেই বললেই চলে। জনগনের ভিড়ের মধ্যে সেই কথাই সবাই আলোচনা করছে। চারিদিকে বহু উৎকণ্ঠিত মুখ। ইন্দ্র কোনও রকমে ভিড়ের পাশ কাটিয়ে গাড়িটা পারকিং এ দাড় করিয়ে তড়িঘড়ি করে গাড়ি থেকে নেমে আসলো, তার বাবাও ইতিমধ্যে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে। সামনের গাড়ি থেকে সেই মানিক দা নামের ভদ্রলোকটি গাড়ি থেকে নেমে তাদের হাতের ইশারাতে ডেকে নিল। সবাই মিলে গিয়ে দাঁড়ালো হাসপাতালের ভেতরে, অপারেশান থিয়েটারের বন্ধ দরজার বাইরে। ইন্দ্রজিত আগে কখনও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েনি। যার এক্সিডেন্ট হয়েছে তাঁকে, তাঁর পরিবারের কাউকেই সে চেনে না। এমন পরিস্থিতিতে কি করা উচিত সেটা বুঝতে না পেরে চুপ করে এক কোনাতে দাড়িয়ে থাকে। বাবা অভিজিত সিংহ উত্তম দত্তর পরিবারের লোকজনদের সাথে গম্ভীর ভাবে কি সব আলোচনা করে চলেছে। চুপ করে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে হটাৎ ইন্দ্র লক্ষ্য করে ওঁদের পরিবারের অনেকেই ইন্দ্রর দিকে বারবার তাকিয়ে নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করে কিছু আলোচনা করছে। ব্যাপারটা একটু অস্বস্তিতে ফেলে দেয় ইন্দ্র কে। পরিবারের লোকজনদের ছোট্ট ভিড়টার মধ্যে তার মায়ের বয়সি একজন মহিলাও রয়েছেন, যিনি অঝরে কেঁদে চলেছেন। ইন্দ্র বুঝতে পারল, ইনি নিশ্চয়ই যার এক্সিডেন্ট হয়েছে উত্তম দত্তের স্ত্রী। ভদ্রমহিলা তার মায়ের থেকে বয়সে একটু ছোট হবেন হয়তো, ফর্সা, মাঝারি চেহারা, কিন্তু চেহারার মধ্যে একটা আভিজাত্য যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে। সেই ভদ্রমহিলাকে সেই মানিক নামের লোকটি এসে ইন্দ্রর দিকে দেখিয়ে কিছু একটা বলাতে সেই মহিলা মুখ তুলে এই প্রথম ইন্দ্রর দিকে সরাসরি তাকালেন। ইন্দ্রর সাথে চোখাচুখি হওয়াতে ইন্দ্র লাজুক ভাবে চোখ নীচে করে নিল। মনের মধ্যে একগাদা প্রশ্ন বারবার উঁকি মারতে থাকে ইন্দ্রর। কেন উনি এমন করে তাকালেন তার দিকে? মানিক দা নামের ভদ্রলোকটি বা কি বললেন সেই মহিলাকে? অপারেশন শেষ। দুজন ডাক্তার নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে আসছেন দরজা খুলে। তা দেখেই মানিকবাবু আর ইন্দ্রর বাবা সেই দিকে ছুটে গেলেন। “অপারেশান আমরা করেছি কিন্তু এখনও আমরা কথা দিতে পারছি না। চেষ্টা করে চলেছি, বাহাত্তর ঘণ্টার পরে কিছু বলা সম্ভব। এখনই আর কিছু বলা সম্ভব না”। থমথমে পরিবেশ চারিদিকে। গুমোট ভাব টা কাটাতে অপারেশান থিয়েটারের বাইরে যেখানে সবাই দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছে তার থেকে একটু দূরে খোলা জানালার পাশে এসে দাড়ায় ইন্দ্র। খোলা জানালা দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস কিছুক্ষনের মধ্যেই ইন্দ্রর চোখ মুখ থেকে কিছুটা ক্লান্তি দূর করে দেয়। দূরের রাস্তা দিয়ে বহু গাড়ি যাতায়াত করছে, সেই দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকে ইন্দ্র। মনের মধ্যে অনেক প্রশ্নের ভিড়।
তোমাকে খুঁজে বেড়াই
|
« Next Oldest | Next Newest »
|