12-12-2020, 07:48 AM
waiting
Thriller অঞ্জলী দি
|
12-12-2020, 07:48 AM
waiting
18-12-2020, 01:07 AM
আবার কোথায় হারিয়ে গেলেন
21-12-2020, 11:23 PM
৬১ পর্ব
হঠাৎ আর্তনাতের শব্দে অঞ্জলী দ্রুত বাথরুম থেকে ছুটে এলো।এসেই দরজার মুখে দাঁড়াতেই তার শিরদাড়া ঠান্ডা হয়ে গেল।কালো পোশাকে ঢাকা শরীর মুখেও কালো মুখোশ একজন অমিতের দিকে পিস্তল তাঁক করে দাড়িয়ে আছে।আর অমিত ডান হাত দিয়ে নিজের বাম বাহু চেপে ধরে আছে।সেদিকে তাকিয়ে অঞ্জলীর শরীর আরো ঠান্ডা হয়ে গেল তারমানে চিৎকারটা ছিলো বাম বাহুতে গুলি লাগার পর অমিতের।সাইলেন্সার লাগানো বলে গুলির শব্দ শুনতে পায়নি অঞ্জলী।হাজার যুদ্ধ জয় করা অঞ্জলী এতো সহজে দমে যাবার পাত্রী নয়।লোকটি দ্বিতীয় বার গুলি চালাতে যাবে।অঞ্জলী রোহিতদা!!বলে চিৎকার করে উঠলো।সাথে সাথে লোকটি অপ্রস্তুত হয়ে গেল হাতটাও নেমে গেল অমিতের দিক থেকে।এতোটুকুই সময় দরকার ছিলো ব্লাকবেল্ট পাওয়া অঞ্জলীর জন্য।লোকটার হাত অঞ্জলীর দিকে তাক করার আগেই।অঞ্জলী লাভ দিয়ে লোকটার মুখ বরাবর দিলো এক লাথী,লোকটা ছিটকে গিয়ে পরলো,হাত থেকে পিস্তলটা ছিটকে গেল আর মাথা গিয়ে লাগলো পিছনের দেয়ালে।মাথা চেপে ধরে ব্যথায় চিৎকার করে উঠলো।অঞ্জলী সাথে সাথে পিস্তলটা কুড়িয়ে নিয়ে লোকটার মাথায় তাক করলো।ঘটনা গুলো এতো তাড়াতাড়ি ঘটে গেল যে রুমের ভিতরে থাকা লোকটা ও অমিত এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে।পাশের রুম থেকে দরজা ধাক্কার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।তারমানে লোকটা আসার সময় সব দরজা বাইরে থেকে লক করে দিয়েছে। অঞ্জলী অমিতকে বললো প্লিজ কষ্ট করে ওদের লক খুলে দাও।অমিত সময় নষ্ট না করে রক্ত মাখা হাত নিয়েই বাইরে গিয়ে সবার রুমের লক খুলে দিতেই সবাই বেড়িয়ে পরলো।অমিতের হাতে রক্ত দেখে সবাই হতবাক হয়ে গেল।ইতিমধ্যো অমিতকে নিয়ে সবাই অঞ্জলীর রুমে চলে এসেছে।আর অঞ্জলী ও সবার সামনে লোকটার মুখোশ খুলে দিতেই বন্যা চিৎকার করে উঠলো বাপি তুমি!!!??? মঞ্জুও রোহিতকে দেখে হতবাক হয়ে গেছে ছিঃ শেষ পর্যন্ত তুমি!?অঞ্জলী তখনো রোহিতের দিকে পিস্তল তাক করে রেখেছে।এর বিশ্বাস নেই।কি গো রোহিত দা!!এবার বলো তোমার এ রুপের কারণ?আমি তোমাকে নিজের দাদার মত দেখে এসেছি আর শেষ পর্যন্ত তুমি!!ছিঃ রোহিতদা ছিঃ। মঞ্জু ভিতরে আসতে চাইলে অঞ্জলী বললো না দিদি তোর যা বলার ওখান থেকে বল।অঞ্জলীর চোখের দিকে তাকিয়ে মঞ্জু আর ভিতরে এলো না।কি গো তুমি না দেশের বাইরে গেছো?এই তোমার দেশের বাইরে?শেষ পর্যন্ত নিজের ভাইকে!!আর বলতে পারলো না মঞ্জু কান্নায় ভেঙ্গে পরলো।এতোক্ষণেও অমিত একটা কথাও বলেনি।আসলে তার রোহিতদা এমন করবে সে দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি। বাপি তুমি ছোটু কাকুকে মারতে এসেছো?বন্যা ফুঁপাতে ফুঁপাতে বললো।তোর বাপি শুধু তোর ছোট কাকুকে না সাথে আমাকেও মারতে এসেছে।তাছাড়া তোর বাপি এর আগেও একজনকে শেষ করে দিয়েছে!কি গো রোহিতদা ঠিক বললাম তো?তুমিই তো সিধুকে শেষ করে দিলে নিজের অপকর্ম ঢাকতে,অঞ্জলী বললো। সিধুকে তুমি???একি করলে রোহিতদা মনি শংকর বললো।দু হাতে নিজের মাথা চেপে ধরে রোহিত চিৎকার করে বললো,, হা আমিই ওকে শেষ করেছি।আর আমি অমিতকেও শেষ করতে এসেছি কারণ সব সময় ঠাকুমা ওকে বেশি ভালোবেসেছে,সম্পতি সবার সমান ভাগে দিলেও তোমরা জানোনা রায় টেক্সটাইলের নামে প্রায় পাঁচশো একর জমি কিনে লিছ দেওয়া আছে যেটা আমরা কেউ জানতাম না।ঠাকুমা সুকৌশলে ওকে বিদেশে পাঠিয়ে পড়িয়েছে আর ওর কোম্পানি আমি সামলে ওর খরচ বহন করেছি।আর এখন উড়ে এসেছে জুড়ে বসতে।তাও না হয় মেনে নিতাম কিন্তু আমি ওর আসল পরিচয় জানি!!আসল পরিচয় মানে?রোহিতের কথার মাঝেই মনি,বিন্দু,মঞ্জু এক সাথে বলে উঠলো।হা আসল পরিচয় ওর মা ছিলো এক দুশ্চরিত্রা মহিলা যিনি আমাদের পরিবারের জন্য কলঙ্ক।আমার এখন ঘৃণা হয় ওমন মহিলাকে কাকিমনি বলতাম বলে।নিজের ভবিষৎ আর এই বাড়ির সম্পতির লোভে।নিজের স্বামী নপুংসক হওয়া স্বত্বেও অমিতকে পেটে ধরেছে!একজন রাস্তার মানুষ যার সাথে আমাদের বংশের রক্তের সম্পর্ক নেই সে কিনা উড়ে এসে জুড়ে বসবে তা তো আমি হতে দিতে পারিনা।রোহিতের কথা শুনে অমিতের দু চোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু বেয়ে এলো।রোহিতের কথা শুনে সবাই হতবাক।আমি জানিনা অমিতের জন্মপরিচয় আর জানতেও চাইনা,তবুও তো তোমরা একসাথে বড় হয়েছো তোমার একটু হাতও কাঁপলো না মঞ্জু বললো।সময় বড় নির্মম জিনিস মঞ্জু আমার বাবা যেটা শেষ করতে পারেনি আমাকে তো সেটা করতেই হবে।আর মাসিমনি সে তোমার কি ক্ষতি করেছে?বন্য নিজের বাবার দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো।ওই তো সব নষ্টের গোড়া আশ্রমের জমি বাড়িটা বাগিয়ে নিয়েছে আগেই আর এখন অমিতের হয়ে সব কিছু আগলে চলেছে।ওর জন্য আমার প্লান সব ভেস্তে গেছে,ও না থাকলে সব কিছু এতো কঠিন হতো না।কথা শেষ করেই রোহিতের হাত চলে গেল নিজের কোমড়ে পিছনে আর তড়িত গতীতে বেড়িয়ে আসলো ছোট একটা পিস্তল।রোহিত জানতো অঞ্জলী থাকবে আর অঞ্জলী থাকা মানে কোন একটা ঝামেলা হবে তাই কোমড়ে এক্সট্রা একটা পিস্তল গুজে আনছিলো।রোহিত ঘটনাটা এতো দ্রুত ঘটালো যে অঞ্জলী কিছু বুঝে উঠার আগেই পরপর দুটো ফায়ার আর সাথে সাথে অঞ্জলীর কোমড় থেকে ছিটকে রক্ত বেরিয়ে এলো।আর দ্বিতীয় বার ফায়ারে অঞ্জলী দু রানের মাংস ঘেসে বেড়িয়ে গেল বুলেটা।অঞ্জলী দাঁড়িয়ে থাকার দরুন অঞ্জলীর কোমড়টা রোহিতের মাথার উচ্চতায় ছিলো।অঞ্জলী তখনো রোহিতের মাথার দিকে পিস্তল তাক করে ছিলো।নিজের শরীরে দুটো গুলির আঘাতে অঞ্জলীর শরীর কেঁপে টলে পরলো মেঝেতে কিন্তু শরীরের সব শক্তি সঞ্চয় করে পিস্তল তাক করলো রোহিতের দিকে।রোহিত ততোক্ষণে অমিতের দিকে পিস্তলের নল ঘুড়িয়ে ফেলেছে।অঞ্জলী আগু পিছু না ভেবে নিজের পিস্তলের ট্রিগার টিপে দিলো।রোহিতের হাত থেকে পিস্তল খসে পরলো,সাথে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটিয়ে পরলো রোহিতের পিছের দেয়ালে।অঞ্জলীর ছোঁড়া গুলিটা রোহিতের কপাল ফুরে মাথা দিয়ে বেড়িয়ে গেছে।চাপা চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালো মঞ্জু।অমিত ছুটে গেল অঞ্জলীর কাছে যন্ত্রনায় জ্ঞান হারাবার অবস্থা।চিৎকার করলো অমিত কিন্তু আস্তে করেই শুধু গলা থেকে বের হলো একি করলে অঞ্জলী আমার জন্য।ঘটনা গুলো এতো তাড়াতাড়ি ঘটে গেল বিন্দু থ মেরে বসে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর সম্বিত ফিরে পেয়ে মঞ্জুর কাছে গেল। বন্যা কি করবে বুঝতে পারছেনা তার বাপির জন্য এতো কিছু তবুও তো ওর জন্মদাতা। রোহিতের মৃত দেহটার দিকে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলে ছুটে গিয়ে আঁছরে পরলো রোহিতের দেহের উপর।অমিতের হাত দিয়ে তখনো রক্ত পরছে।মনি শংকর দেখলো রোহিতের কোন আশা নেই অঞ্জলী আর অমিতকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।দ্রুত অঞ্জলীর কাছে গিয়ে অঞ্জলীকে কোলে তুলে নিয়ে অমিতকে সাথে নিয়ে নিচে নেমে এলো মনি শংকর।বিন্দু কে বললো মঞ্জুর চোখে মুখে জল ছিটিয়ে জ্ঞান ফিরলে তোমরা হাসপাতালে এসো।নিচে নেমে অঞ্জলী আর অমিতকে সাথে নিয়ে নিজের গাড়ি ছুটালো।যেতে যেতে ম্যাগীকে ফোন করে দিলো মনি শংকর। হসপিটালে অঞ্জলী আর অমিতকে আলাদা ভাবে রেখে চিকিৎসা শুরু হলো।অমিতের শুধু মাএ হাতে গুলি লেগেছে।অঞ্জলী অবস্থা বিশেষ ভালো না।অঞ্জলীর দেখাশোনার দায়িত্ব বিশিষ্ট সার্জন ডাঃ সেন কে দেওয়া হলো। মনি শংকরের ফোন পেয়ে ম্যাগীও চলে এসেছে।এসে মনি শংকরের কাছ থেকে সব শুনে ম্যাগীর হ্নদয় কেঁপে উঠলো।অমিতের চেয়েও অঞ্জলীর জন্য খুব কষ্ট লাগছে ম্যাগীর মেয়েটা সারাজীবন নিজের ভালোবাসার জন্য শুধু দিয়েই গেল বিনিময়ে কতো যন্ত্রনাটাই না ভোগ করতে হচ্ছে।অমিতের অপারেশন মোটামুটি সফল।আঘাত খুব বিশেষ না লাগায় একটু পরেই কেবিনে দেওয়া হবে এমনটাই জানালো ডাক্তার।অঞ্জলীর অপারেশন চলছে।এর মধ্যে মনি শংকর বাড়িতে কল করে অমিতের ব্যাপারটা বললো।মঞ্জু খুব কান্নাকাটি করছে খারাপ হোক সে তো স্বামী।জ্ঞান ফেরার পর থেকে বিন্দু ওকে শান্তনা দিয়ে যাচ্ছে।তবুও প্রলাপ বকে চলেছে।ওদিকে বিন্দু এমনিতেই প্রেগনেন্ট সেও কিছুটা অসুস্থ ফিল করছে।বাড়িতে কথা বলার পর মনি শংকর ম্যাগীকে বললো,আমি কি করবো বলতে পারো সবাই কাঁদছে,আমার বুঝি কষ্ট হচ্ছে না দুজনই আমার ভাই।আর একদিকে নিজের ছোটবোনের মতো অঞ্জলী।কি করে এদের সামলাবো।তারপর তো পুলিশি ঝামেলা আছে।ম্যাগীর অনেক ঘাটের জল খাবার অভ্যাস আছে।তাই মনি শংকরের কথা শুনে ম্যাগী বললো স্যার আমার কিছু কথা ছিলো।ম্যাগী কথার শুনে মনি শংকর ম্যাগীর দিকে তাকিয়ে বললো কি কথা?ম্যাগী নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে নিজের আসল পরিচয় দিলো।অমিতের সাথে সম্পর্ক বা পরিচয়,তার এদেশে আসার কারণ।অঞ্জলীর সাথে কিভাবে পরিচিয়।যতোটুকু প্রয়োজন এবং বলা যায় বিস্তারিত এবং তার পরিচয় গোপনের কারণ।সব শুনে মনি শংকর কিছুটা চুপ করে থেকে বললো সত্যি এবারে তোমাকে কিছু বলার নেই কারণ এক সময় তো সত্যি আমি অমিতকে আমার শক্র ভাবতাম।তাছাড়া আমারও মাঝে মাঝে মনে হতো তুমি কিছু লুকিয়ে চলেছো।যাক বাদ দাও ওসব এখন তো তুমি আমাদের একজনই হয়ে গেছো। ম্যাগী একটু চিন্তায় ছিলো সব শুনে মনি শংকর কি রিয়েক্ট করে।যাক সব ঠিক আছে।তাই আবার বললো স্যার আমি একটা পরামর্শ দিতে পারি!!মনি শংকর ম্যাগীর দিকে তাকিয়ে বললো সব গোপন কথা যখন বলেই দিলে তখন তুমিও অঞ্জলীর মত আমাকে দাদা বলতে পারো।আবেগে খুশিতে ম্যাগীর দু চোখের কোন চিকচিক করে উঠলো।আচমকা মনি শংকরকে জরিয়ে ধরে বললো থ্যাংকু দাদা।মনি শংকরও ভ্রাতৃস্নেহের পরশমাখা হাত দিয়ে ম্যাগীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো।এখন আবেগের সময় না ম্যাগী আমাদের এখন অনেক কাজ।ম্যাগীও মনি শংকরকে ছেড়ে চোখের কোন মুছতে মুছতে বললো সরি দাদা,আপনি ঠিকই বলেছেন।আচ্ছা দাদা আপনি যে পুলিশি ঝামেলার কথা বলছেন,সেই ব্যাপারে আমি বলবো আপনি অঞ্জলী আর অমিতের ব্যাপারটা নিয়ে এই হাসপাতালের কোন ডাক্তারের সাথে কথা বলে যেকোন উপায়ে মিটিয়ে নিন।আর রোহিতদার ব্যাপারটা গোপন রেখে উনার সৎকারের ব্যবস্থা করা উচিত।কারন দেখুন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পারিবারিক।যার হাতে উনার মৃত্যু সে আমাদের অঞ্জলী,এদিকে আপনি নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন যে অঞ্জলীও কতোটা নিরুপায় ছিলো।তাই আমি বলবো এটাই করা উচিত আমাদের।ম্যাগীর কথাটা মনি শংকরেরও মনে ধরলো হা তুমি ঠিকই বলছো এটাই ভালো হবে। এর মধ্যো একজন নার্স এসে বললো অমিতের বাড়ির কে আছে?মনি শংকর ও ম্যাগী দুজনেই উঠে দাঁড়ালো।স্যার আপনাদের ডাকছেন বলে নার্সটা চলে গেল।মনি শংকর আর ম্যাগী ডাক্তারে রুমে ঢুকলে।উদ্বিগ্ন হয়ে মনি শংকর প্রশ্ন করলো স্যার আমার ভাই এখন কেমন আছে?আগে বসুন বলছি ব্যস্ত হবার কিছু নেই।দেখুন উনার ইনজুরি খুব বেশিনা।উনাকে আমরা অজ্ঞান করিনি জাষ্ট হাতটা অবশ করে নিয়েছি।এখন উনি বিপদমুক্ত। আমরা হাত ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।আপনারা চাইলে আগামীকাল বাড়ি নিয়ে গিয়েও পরবর্তী চিকিৎসা করাতে পারেন।আমরা কি একটু দেখা করতে পারি?ম্যাগী বললো।হা সিউর।মনি আর ম্যাগী ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেড়িয়ে এলো। অমিতের কেবিনে মনি শংকর আর ম্যাগীকে ঢুকতে দেখেই অমিত অস্থির হয়ে বললো মনিদা অঞ্জলী কেমন আছে?এখনো অপারেশন চলছে সব ঠিক হয়ে যাবে তুই শান্ত হ।কি থেকে কি হয়ে গেল রোহিতদা কেন যে এমন করতে গেল।নিজে তো শেষ হলো সাথে গোটা পরিবারটাকে শেষ করে দিয়ে গেল।অমিতের পাশে বসতে বসতে কথা গুলো বললো মনি শংকর।তারপর অমিতকে বললো দেখ যা হবার তা তো হয়ে গেছে।ম্যাগী বলছিলো পুলিশের ঝামেলায় না জরিয়ে কিভাবে সৎকার করা যায় সেটা করতে।অমিতও একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো হা যেটা ভালো বোঝ করো। প্রায় তিন ঘন্টা হয়ে গেছে অঞ্জলী এখনো অপারেশন টেবিলে।অঞ্জলীর অপারেশন শেষ না হলে যেতে চাচ্ছেনা মনি শংকর তবুও ম্যাগী বুঝিয়ে বললো দাদা ওদিকেও তো অনেক কাজ বাকি আপনি যান আমি তো আছি এখানে।অগ্রত মনি শংকর বাড়ির পথ ধরলো। যথাসময়ে রোহিতের সৎকার সম্পন্ন হলো।প্রায় চার ঘন্টা পর অঞ্জলীর অপারেশন শেষ হলো ডাক্তার সেন বের হতেই ম্যাগী জানতে চাইলো অঞ্জলীর অবস্থা।ডাঃ সেন জানালো অপারেশন মোটামুটি সাকসেসফুল তবুও ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাচ্ছেনা।অনেক জায়গায় আঘাত পেয়েছে তো।না এ খবর অমিতকে এখন জানানো যাবেনা ম্যাগী ভাবলো। পরদিন অমিতের রিলিজ দেওয়ার দিন তবুও সে যেতে চাচ্ছেনা অঞ্জলীকে ছেড়ে।অঞ্জলীর যে জ্ঞান এখনো ফেরেনি সেটা এতোক্ষণ বলা হয়নি তাকে বাধ্য হয়ে মনি শংকর স্বরবিস্তারে বললো দেখ ভাই এখানে থেকে আরো বেশি ঝামেলা।ওদিকে তোর বৌদি এমনিতে প্রেগনেন্ট তার উপর এমন মানসিক চাপ যাচ্ছে।বন্যা আর মঞ্জু তো একদম ভেঙ্গে পরেছে এখন তুই এখানে থাকার জেদ করলে আমি কি করে সব দিক সামলাবো।তুই ম্যাগীকে নিয়ে বাড়ি যা।ডাঃ এর কাছ থেকে নিউজ পেলেই আমি তোদের জানাব। অঞ্জলীর জ্ঞান ফিরলো প্রায় ৫০ ঘন্টা পর রাত তখন প্রায় তিনটা।অঞ্জলীকে কেবিনে দেওয়া হবে সকালে মনি শংকর ডাঃ এর কাছ থেকে এমনটাই শুনলো।অতরাতে মনি শংকর আর বাড়িতে ফোন না করার সিদ্ধান্ত নিলো।সকাল ৬ টার দিকে অমিতের ফোন বেঁজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখে মনি শংকরের কল।কলটা রিসিভ করতে গিয়ে বুকের ভিতরটা একবার কেঁপে উঠলো অমিতের।কানে দিতেই ওপাশ থেকে মনি শংকর বললো অঞ্জলীর জ্ঞান ফিরেছে।কিছুক্ষণ পর কেবিনে দিবে।আমি তাহলে এখনি আসছি অমিত বললো।আরে না না শোন এখনো তো কেবিনে দেয়নি তোরা বরং সকালে নাস্তা করে তবেই আয়।সকাল সকাল একটা ভালো খবর শুনে এতো কষ্টের ভিতরেও মনটা খুশিতে ভরে গেল অমিতের।এমনিতেও বাড়িতে আসার পর ম্যাগীর সেবায় অনেকটাই সুস্থ সে এখন।বন্যা মঞ্জু সবাই ভবিতব্যকে মেনে নিয়ে আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে। সকাল ৯ টা নাগাত অমিত ম্যাগী বিন্দু মঞ্জু বন্যা সবাই হাসপাতালে এলো।অঞ্জলীকে কেবিনে দেওয়া হলো।মুখে এখনো অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া তাই কথা বলতে পারবে না।ডাঃ বললো এক এক করে দেখা করতে আর বেশি কথা না বলতে। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
22-12-2020, 09:28 AM
খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। আশা করছি হেপি ইন্ডিং হবে
22-12-2020, 12:20 PM
(22-12-2020, 09:28 AM)sorbobhuk Wrote: খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। আশা করছি হেপি ইন্ডিং হবে আমরা যা চাই সব সময় কি তা পাই ??? ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
22-12-2020, 06:48 PM
দুর্ধর্ষ রোমহর্ষক পর্ব ছিল, অবশেষে যবনিকা পতন হলো। কেষ্টদাকে বলছি অঞ্জলীর যেন খারাপ কিছু না হয়। বেচারি অনেক কষ্ট পেয়েছে, অনেক সংগ্রাম করেছে, আর নয়। এবার সুন্দর মধুরেণ সমাপয়েৎ দেখতে চাই।
22-12-2020, 06:51 PM
(22-12-2020, 12:20 PM)Kolir kesto Wrote: আমরা যা চাই সব সময় কি তা পাই ??? মন থেকে চাইলে আর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট অনুশাসন থাকলে চাওয়াকে ঠিক পাওয়া যায়। তবে অমূলক আশা রাখলে তা পাওয়া যায় না কখনোই। আশা আকাঙ্খাকে সাধ্যের মধ্যে রাখতে হয় সেজন্য। এক্ষেত্রে আমরা যা আশা করছি তা লেখকের সাধ্যের মধ্যেই আছে
23-12-2020, 09:01 AM
চমৎকার। তাড়াতাড়ি আপডেট চাই
23-12-2020, 06:28 PM
23-12-2020, 08:27 PM
(23-12-2020, 06:28 PM)sorbobhuk Wrote: তা আপনি ঠিক বলেছেন আমরা যা চাই সব সময় পাই না। তার মানে হেপি ইন্ডিং হবে না। আর অঞ্জুলী মনে হয় মারা যাবে। দেখা যাক কি হয় একটু পরেই আপডেট আসবে। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
23-12-2020, 10:55 PM
৬২ পর্ব
অমিতের অস্থিরতা দেখে মনি শংকর বললো যা তুই যা। অমিত কেবিনের দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখলো বেডে শায়িত আছে অঞ্জলী। চোখ দুটা মেলে আছে মুখে অক্সিজেন মাস্ক ডাঃ বলছে হয়ত বিকালের দিক থেকে আর কৃএিম শ্বাসের প্রয়োজন হবেনা। অঞ্জলীর এহেন রুপ দেখে অমিতের বুকের বা পাশটা ব্যথায় মুচড়ে উঠলো। গুটিগুটি পায়ে অঞ্জলীর বেডের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই অঞ্জলী অমিতের দিকে তাকালো। চোখ দুটা ছল ছল করছে।অঞ্জলীর ওই অশ্রু সিক্ত ছল ছল চোখের দিকে তাকিয়ে অমিত আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা। ঝড় ঝড় করে কেঁদে ফেললো অমিত। কান্না জরানো কন্ঠেই বললো একি করলে আমার জন্য তুমি?তুমিই যদি না থাকো তো আমার বেঁচে থেকে কি লাভ হতো বলো? অমিতের চোখে জল দেখে অঞ্জলীর দু চোখের কোন বেঁয়ে শ্রাবণের বারিধারার মত অশ্রু নির্গত হতে লাগলো। কেবিনের ভিতর কান্নার শব্দ শুনে একজন নার্স এসে দেখে রুমের ভিতর অন্য পরিবেশ যেটা রোগীর জন্য মোটেও ভালো না। নার্সটা এসেই অমিতকে বকাঝকা করতে লাগলো। একি করছেন?আপনাদের কতো করে মানা করছে।সামান্য বুদ্ধি নাই আপনারা রোগীর সামনে কান্নাকাটি করছেন এতে রোগীর ক্ষতি হতে পারে যান বাইরে জান। অমিত নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজের চোখের কোন মুছে,নিজের হাতে অঞ্জলী চোখের কোন মুছিয়ে দিতে দিতে বললো সব ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করো না আমি তো আছি। অমিত বেড়িয়ে যেতে মঞ্জু ঢুকলো বোনের কেবিনে। মঞ্জুর আজ নিজেকে সব থেকে বেশি দোষি মনে হচ্ছে। বোনটাকে এই বাড়িতে এনেছিলো ভালো একটা ভবিষৎ হবে সেই আশায় কিন্তু ভগবানের কি লীলা মেয়েটা একের পর এক কষ্টই পেয়ে যাচ্ছে।এক এক করে সবার দেখা করা শেষ হলো।সবশেষে এসেছিলো ম্যাগী অঞ্জলী মাগ্যীর হাত ধরে কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু মুখে মাস্ক থাকায় তা মুখ ফুটে বলতে পারেনি। কিন্তু চোখের ইশারায় আর হাতের চাপের অনুভবে ম্যাগী যেটা বুঝেছিলো সেটা হলো অমিত কে দেখে রাখার করুণ মিনতি। সবার বাসায় ফিরতে হবে রোগীকে কেবিনে দেওয়ার পর রোগীর সাথে কারো থাকার অনুমতি নেই এই হসপিটালে।অগ্রত সবাইকে ফিরে আসতে হলো,কিন্তু সবার মন পরে রইলো সেই হাসপাতালেই। সময় বয়ে যায় তার নিজ মহিমায়,দেখতে দেখতে ১০ টা দিন পার হয়ে গেছে অমিতের হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডাঃ কিছু ওষুধ দিয়েছে আরো কিছুদিন খেয়ে যেতে হবে। এর মধ্যো একটা ভালো সংবাদ আর দুই দিন পর অঞ্জলীকে রিলিজ করে দেওয়া হবে এমনটাই জানিয়েছে ডাঃ সেন। অঞ্জলী আসবে বলে বাড়িতে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ। এই কয়দিন ম্যাগী অমিতের ঘরেই থেকেছে ওর সেবা যত্নের জন্য। ম্যাগী রাতে অমিতের সাথে থাকতে একটু আমতা আমতা করলেও মনি শংকর ওকে বুঝিয়েছে বিন্দু প্রেগনেন্ট তার উপর এতো মানসিক চাপ,আর বন্যা আর মঞ্জু দুজনে যদিও নিজেদের কে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে তবুও একজন সদ্য স্বামীহারা আর একজন সদ্য পিতৃহারা তাই ওদের দিয়ে একজনের দেখভাল সম্ভব না। অগ্রত ম্যাগীও মেনে নিয়েছে। রাজ্যোর নির্বাচনী ফলাফল বের হয়েছে কমলেশ মুখার্জীর দল বিপুল ভোটে পাশ করেছে। দলের সবাই যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যস্ত তখন দলের সদ্য মুখ্যমন্ত্রী কমলেশ মুখার্জী নিজের ফোন হাতে নিয়ে তার সাফল্যের পেছনে অদৃশ্য ভাবে কাজ করা সেই অদম্য জাগ্রত নারীকে ফোনে পেতে ব্যস্ত। কিন্তু বার দশেক ডায়েল করেও নম্বর বন্ধ পেয়ে,আশা ছেড়ে দিয়ে মনে মনে বললো যেখানেই থাকো ভালো থেকো অঞ্জলী তোমার দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি আমি পালন করবো। এই রাজ্যোর সকল নারীকে তার প্রাপ্য সন্মান দিতে আমি লড়ে যাবো। আর এটাই হবে আমার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে তোমার প্রতি আমার নিরব সন্মান। আগামী কাল অঞ্জলী কে আনতে যেতে হবে। সবাই রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পরলো।রাত দুইটা কি আড়াইটা হবে মনি শংকরের ফোন বেঁজে উঠলো,ঘুম ঘুম চোখেই কিছুটা বিরক্ত হয়েই ফোন ধরলো মনি শংকর,হ্যালো কে বলছেন? -মনি শংকর বলছেন? -হ্যাঁ!!আপনি? -আমি ডাঃ সেন বলছি ! ডাঃ সেন বলছি শুনেই মনি শংকরের ঘুম ছুটে গেলো।ডাঃ সেন মানে অঞ্জলী যার আন্ডারে আছে।এতো রাতে তাহলে কি অঞ্জলীর!!? -হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন আমাকে?অপর প্রান্ত নিরব থাকাতে ডাঃ সেন বললো। -ওহ হ্যা শুনতে পারছি।এতো রাতে কি হয়েছে?কোন খারাপ কিছু ? -দেখুন আপনি শান্ত হন। খারাপই বটে বাট আপনি যেমনটা ভাবছেন ঠিক তেমন না।আপনি একটু হাসপাতালে আসতে পারবেন এখন? -মনি শংকর এবার একটু রেগেই গেল।আরে মশাই আমি তো যেতেই পারি।কিন্তু কি হয়েছে অঞ্জলীর সেটা তো আগে বলুন। -শি ইজ মিসিং!!ডাঃ সেন বললো। -হুয়াট???মিসিং মানে?? -আসলে অঞ্জলীর কন্ডিশন এখন ভালো ছিলো। আপনারাও জানেন কাল উনাকে রিলিজ দেওয়া হতো।কিন্তু হঠ্যৎই এই আধা ঘন্টা ধরে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এক ঘন্টা আগে আমি তাকে লাষ্ট ভিজিট করেছি। আমার কাছে পারমিশন চাইলো একটু হাঁটাহাঁটি করার।দেখুন এটা খুব ভালো সিম্পটম ওনার এমনি আস্তে আস্তে হাটাহাটি করাটা এখন উপকারী তাই আমি ও পারমিশন দিয়েছি।এর মধ্যো মিনিট তিনেকের জন্য লোডশেডিং হয়।আমরা জেনারেটর স্টার্ট দেওয়া পর্যন্ত আমাদের সিসিটিভি অফ ছিলো।আর এর পরে উনাকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ উনাকে গেটের সামনে হাটতে দেখা গেছিলো। দারোয়ান বলছে উনি কাউকে ওই সময় বের হতে দেখেনি। এখুন আপনিই বলুন আমরা কি করতে পারি?প্লিজ আপনারা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে আসুন। -ওকে আসছি বলে ফোন রেখে দিলো মনি শংকর। মনি শংকরের কথা শুনে অনেক আগেই বিন্দুর ঘুম ভেঙ্গে গেছে। অপেক্ষায় ছিলো কখন মনি ফোন রাখবে। মনি শংকর ফোন রাখতেই বিন্দু বললো কি হয়েছে গো? অঞ্জলী ভালো আছে তো?কিচ্ছু ঠিক নেই বিন্দু কিচ্ছু ঠিক নেই।অঞ্জলী কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! কি বলছো তুমি? খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা মানে?ওকে দেখে রাখা হাসপাতাল কতৃপক্ষের দ্বায়ীত্ব এমনি উনারা আমাদের থাকাটাও এলাউ করেনি। সেটা আমিও জানি বিন্দু এখন এসব বলে সময় নষ্ট করার সময় না আমাদের এখনি বের হতে হবে। মনি শংকর উঠে অমিতের ঘরের দিকে গেল আর বিন্দু গেল মঞ্জু আর বন্যাকে জাগাতে। এতো রাতে মনি শংকরকে দেখে অমিতের মনে কু ডেকে উঠলো তাহলে কি অঞ্জলীর কিছু হলো? মনি শংকর অমিতের রুমে ঢুকে বললো তোরা রেডি হয়ে নে আমাদের এখনি হাসপাতালে যেতে হবে। কেন কি হয়েছে মনি দা? অঞ্জলী ঠিক আছে তো?সব বলছি আগে রেডি হয়ে নে। মনি শংকর বললো। না মনিদা আমার মনে কু ডাকছে বলো কি হয়েছে? দেখ অঞ্জলী সুস্থ ছিলো আই থিং এখনো আছে বাট অঞ্জলীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তারপর ডাঃ সেনের সাথে সব কথোপকথন অমিতকে বললো মনি শংকর।নসব শুনে অমিত দু হাতে মাথা চেপে ধরে বসে পরলো। এর মধ্যে মঞ্জুরা কখন এসে পিছনে দাড়িয়েছে মনি শংকর খেয়াল করেনি। খেয়াল করলো যখন মঞ্জু চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করলো। সদ্য স্বামীকে হারিয়েছে আবার এখন নিজের মায়ের পেটের বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা শুনেই নিজেকে আর সামলাতে পারেনি। সবাই নিজেদের গাড়ি করে হাসপাতালে পৌছাতেই ডাঃ সেন ছুটে এসে বললো আমরা সব রকম চেষ্টা করেছি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। অমিত চিৎকার করে উঠলো খুঁজে পাননি বললেই হলো।আপনাদের কি কোন রেস্পন্সিবিলিটি নেই? দেখুন আপনাদের কষ্টটা আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমরা তো চেষ্টা কম করিনি। এখন আপনাদের আসার অপেক্ষায় ছিলাম এমন একটা ঘটনা আমাদের হাসপাতালের জন্যও দুঃখজনক। আমাদের এখন বিষয়টা পুলিশকে জানানো উচিত ডাঃ সেন বললো। সব শুনে অমিত চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো যেন কোন গভীর চিন্তায় মগ্ন।কেঁদে কেঁদে চোখ দুটো জবা ফুলের মত হয়ে গেছে। শান্ত গলায় ডাঃ সেন কে উদ্দেশ্য করে বললো আমি একটু অঞ্জলীর কেবিনে যেতে চাই একা। ডাঃ সেন একবার অমিত আর একবার মনি শংকরের দিকে তাকিয়ে বললো আচ্ছা আসুন। অমিত অঞ্জলী যে কেবিনে থাকতো সেই কেবিনে ঢুকে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলো। প্রায় দশ মিনিট পর বেড়িয়ে এসে বললো মনিদা বাড়ি চলো।অমিতের কথা শুনে সবাই অবাক। মেন্টালি শক পেল নাকি অমিত। বাড়ি যাবো মানে? অঞ্জলীকে খুঁজতে হবে। থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করতে হবে। হাত উঁচু করে অমিত মনি শংকরকে থামিয়ে দিয়ে বললো। কোন দরকার নেই মনিদা অঞ্জলীকে কেউ কিডনাপ করেনি যে থানায় যেতে হবে। আর অঞ্জলী যদি নিজেই নিজেকে মিসিং করে থাকে তাহলে দুনিয়ার কারো ক্ষমতা নেই ওকে খুঁজে বের করার। আমার মনে হয় আমার দ্বিতীয় সন্দেহ্যটায় সত্যি তাই বাড়ি চলো।ও এমনিতেই যেত শুধু সুস্থ হবার অপেক্ষায় ছিলো। ত্যাগ করাটা ওর রক্তে মিশে গেছে।ওকে ওর মত থাকতে দাও।অমিতের কথায় শুকনো মুখ আর অশ্রু সিক্ত চোখ নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরলো। ওরা চলে যেতেই ডাঃ সেনের পিছনে একটা ছায়ামূর্তি এসে দাঁড়ালো। ************************** সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না বাড়ির সকলের জোড়াজোড়িতে অমিত আর ম্যাগী সাত পাঁকে বাধা পরলো। যদিও অমিতের মত ছিলো না সে এভাবেই সারাজীবন কাঁটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।পরে ম্যাগীই অমিতকে বলেছিলো ম্যাগীর সাথে অঞ্জলীর শেষ কথা গুলো। ******** অঞ্জু মা আস্তে পরে যাবে সোনা। না না পরবো না মাম্মি। অঞ্জলী মা এমন দুষ্টুমি করে না ফিরে এসো আমাদের কাছে।রাস্তায় হাটা অবস্থায় বাবা মার থেকে দৌড়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া এক দুষ্টু মিষ্টি পাঁচ বছরের মেয়েকে এভাবেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলো,মেয়েটার বাবা মা। বাচ্চা মেয়েটার থেকে একটু দুরে সামনে হাঁটতে থাকা এক বৃদ্ধ অঞ্জলী নামটা শুনে থমকে দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে দেখলো একটা ফুটফুটে মিষ্টি একটা মেয়ে। বৃদ্ধটাকে ওভাবে দাঁড়াতে দেখে মেয়েটাও থেমে গিয়ে ড্যাব ড্যাব চোখে তাকিয়ে থাকলো। তোমার নাম কি মামনি? প্রশ্ন করলো বৃদ্ধটা। অঞ্জলী রায় চৌধুরী। ছোট্ট উত্তর মেয়েটার। ততোক্ষণে মেয়েটার মা বাবা মেয়েটার কাছে এসে দাড়িয়েছে। কি হয়েছে অঞ্জুমা?কিছু না বাপি এই দাদুটা আমার নাম জানতে চাইলো। এবার বৃদ্ধটা মুখ তুলে চাইলো মেয়েটার বাবার দিকে।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো আপনি অমিতাব রায় চৌধুরী না? হ্যাঁ!! আমি যদি চিনতে ভুলনা করি আপনি ডাঃ সেন? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আমিই ডাঃ সেন অঞ্জলী আমার আন্ডারেই চিকিৎসায় ছিলো।অঞ্জলীর কথা মনে হতেই বুকের বা পাশটা আবার চিনচিন করে উঠলো। আর আপনি মিসেস রায় চৌধুরী? অঞ্জলী আপনাকে ম্যাগী বলতো তাই তো? ডাঃ সেন বললো।হ্যাঁ আমি ম্যাগী কিন্তু আপনার তো আমার নাম জানার কথা না? ম্যাগী বললো। ছোট মেয়েটা কিছুই বুঝছেনা আবার কে অঞ্জলী। এবার ডাঃ সেন বললো অমিত বাবু আপনাদের একটু সময় হবে? কিছু বলার ছিলো আমার যে কথা আমি সেদিন বলতে পারিনি। ডাঃ সেনের এমন কথা শুনে অমিত ম্যাগী দুজনেই বুঝে গেল সেদিনের ঘটনার সাথে নিশ্চয়ই ডাঃ সেন জড়িত কিংবা কিছু জানে। সব শোনার জন্য এতো বছর পরও অমিত অতি উৎসুক হয়ে উঠলো। সে তো এখনো অপেক্ষায় আছে এই বুঝি তার অঞ্জলী ফিরলো।হ্যা ডাঃ সেন আপনি বলুন । ডাঃ সেন কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো।প্রথমে আমাকে ক্ষমা করবেন।আমার কোন সন্তান নেই তাই সেদিন অঞ্জলী মায়ের মুখে বাপি ডাক শুনে নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমি সেদিনের ঘটনার এক বছর পর রিটায়ার্ড করি চাকরি থেকে। আসলে অঞ্জলী মিসিং হয়নি সেদিন। আপনারা যখন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তখনো অঞ্জলী ওখানেই ছিলো। আসলে অঞ্জলী কিছুটা সুস্থ হলে একদিন রাতে আমি ওর কেবিনে ভিজিটে গেলে। আমাকে বলে আমার সাথে ওর কিছু কথা আছে।তার আগে আপনাদের বলি অঞ্জলীর তলপেটে যে গুলিটা লেগেছিলো সেটার জন্য ও চিরতরে মা হবার সুখ থেকে বঞ্চিত হয়। আর যে গুলিটা রানের মাঝ দিয়ে যায় সেটা আসলে অঞ্জলীর ভ্যাজাইনায় আঘাত করেছিলো কিছুটা। যার কারণে অপারেশনের সময় অনেক কিছু কেঁটে বাদ দেওয়া লেগেছে। আসলে অঞ্জলী যে বেঁচে গেছে এটাই আমাদের কাছে বড় পাওয়া ছিলো।এর ফলে স্বাভাবিক মানুষের মত শারীরিক সম্পর্ক ওর দ্বারা আর সম্ভব ছিলো না। এসব শুনে অমিত আর ম্যাগী দুজনেই কেঁদে উঠলো কিন্তু শব্দ করতে পারছেনা সাথে মেয়েটা আছে।ডাঃ সেনের চোখ ও ভিজে উঠলো। তো সেদিন রাতে অঞ্জলী আমাকে বললো ,,,, স্যার আমার আর বিশিষ্ট জ্বালানী বিজ্ঞানী অমিতাব রায় চৌধুরির সাথে বিয়ের কথা ছিলো এর মাঝেই এসব হয়ে গেলো।আমি জানি আমি কি কি হারিয়েছি। প্রথমে কষ্ট পেয়েছি স্যার কিন্তু নিয়তি যা চায় তা তো হবেই। এখন আপনিই বলুন একজন অসম্পূর্ণ নারী হয়ে কিভাবে এমন একজন মানুষের গলায় ঝুলে পরি?!! কিন্তু অমিত এসব জানার পরও আমাকে বিয়ে করতে দ্বিধা করবেনা কিন্তু আমি তো এটা হতে দিতে পারিনা একটা মানুষের জন্য গোটা পরিবারটাকে সমস্যায় পরতে দিতে পারিনা।আমি অঞ্জলীর কথা শুনে অবাক হয়ে যাই কি বলতে চায় মেয়েটা। তারপর ও আমাকে শোনালো আপনাদের অমর প্রেমের কাহিনী। সব শুনে আমি অঞ্জলীর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। সব কথা শুনতে শুনতে কখন বোধহয় আমার চোখে জল এসে গেছিলো,অঞ্জলী নিজের হাতে আমার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বললো।আমাকে একটু সাহায্য করবেন? আমি বললাম কি সাহায্য বলো? আমি ওদের থেকে দুরে চলে যেতে চাই এ ছাড়া আমার কোন উপায় নেই । আমি পালাতে চাই। কিন্তু এতো সিসিটিভি সিকিউরিটির ভিতর দিয়ে তা সম্ভব না। আপনি আমাকে সাহায্য করবেন প্লিজ? আমি বুঝতে পারছিলাম কথা গুলা বলতে অঞ্জলীর কতো কষ্ট হচ্ছে। তবুও বললাম না না এটা কি করে সম্ভব আমি একজন ডাঃ আমি রোগীর কথা শুনে তার পরিবারের লোকের সাথে এমনটা করতে পারিনা। তখন অঞ্জলী আমার পাশে ধরে বললো আমি যদি আপনার মেয়ে হতাম পারতেন জেনে শুনে এমন একটা মেয়েকে একজন ভালো মানুষের গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে শান্তিতে থাকতে। তারচেয়ে আমি পড়াশোনা জানা মেয়ে দুরে চলে গেলেও ঠিক কিছু জোগাড় করে নিবো। সত্যি বলতে নিজের মেয়ের কথা শুনে একজন নিঃসন্তান পিতার বুকটা হু হু করে উঠেছিলো। তাছাড়া অঞ্জলী ভুল কিছুও বলছেনা। তাই শেষ পর্যন্ত ওর কথা মেনে এসব করি। আমি লাইট অফ করে ওকে অন্য জায়গায় লুকাতে সাহায্য করি।আমিই অঞ্জলীর পাশে বসে মনি শংকর বাবু কে কল করে ওসব বলি।পরে আপনারা চলে গেলে আমি ওকে আমার বাসায় নিয়ে যাই। আমার ওখানে মাস খানিক ও ছিলো পরে আমার অনুমতি নিয়ে কোথায় যে চলে গেল মেয়েটা।মাঝে মাঝে ফোন করে খোঁজ নেয় কিন্তু সেটা বিভিন্ন নম্বর থেকে।মানে আমাদের ওকে ধরা সম্ভব না। একবার শুনেছিলাম একটা বাচ্চাদের কলেজে পড়ায়। বলেছিলো গরীব বাচ্চাদের জন্য একটা কলেজ ও খুলবে।তারপর আর অনেক দিন যোগাযোগ নেই। ডাঃ সেনের কথা শেষ হতেই অমিত রাস্তাতে বসে কেঁদে ফেললো শব্দ করে।ছোট্ট অঞ্জলী বাপিকে কাঁদতে দেখে বাপির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো কি হয়েছে বাপি তোমার? কাঁদছো কেন তুমি?মা বাপি কাঁদছে কেন? অমিত নিজের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললো কই আমি কাঁদছিনা তো মা। আমি কাঁদবো কেন আমার অঞ্জু থাকতে।,,,মেয়ে কোলে তুলে নিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।ছোট্ট অঞ্জলী বাপির কোলে মুখ গুজে বললো,,বুঝেছি তুমি অন্য অঞ্জলীর জন্য কাঁদছো! কিন্তু শুধু অঞ্জলী নয়,আমিও তোমাকে আর অঞ্জলীকে ভালবাসি বাপি।ছোট্ট মেয়ের মুখে এ কথা শুনে অমিতের সারা শরীর কেঁপে উঠলো,বুকের মাঝের ব্যথাটা যেন তরল হয়ে আবারও চোখ দিয়ে বেড়িয়ে আসলো। শুধু মনে মনে বললো আমিও অঞ্জলী আর তোমাকে ভালবাসি ঠাকুমা। দুজন দুরে থেকেও আমাকে এখনো আগলে রাখছো। নিজের চোখের জল মুছে মেয়েকে কোলে নিয়ে এক হাত দিয়ে ম্যাগীর হাত ধরে সামনের দিকে পা বাঁড়ালো বিদ্রোহী রাজকুমার।। ***************সমাপ্ত************ ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
23-12-2020, 11:05 PM
অবশেষে শেষ হলো অঞ্জলী দি নামক অসমাপ্ত গল্পটি। আমি চেষ্টা করেছি যাতে পাঠকদের ভালো লাগে গল্পটি কিন্তু আমি জানিনা কতটা সফল হয়েছি। এমন কি পাঠকের কতটুকু আশা পূরণ করতে পেরেছি। মুনদা লিখলে হয়ত পাঠকগন এবং আমি নিজেও গল্পটা দারুন ভাবে উপভোগ করতাম। অন্যর লেখা অসমাপ্ত গল্প সমাপ্ত করন খুব চাপের একটা কাজ। তবুও পাঠকদের সহোযোগিতায় তা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এই পুরো সময়টা যারা আমার সাথে ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
24-12-2020, 07:18 AM
যাক ভালো লাগলো কিছু খুশি কিছু দুঃখ নিয়ে গল্পটা শেষ করলেন। আমার মনে হয় আপনি পাঠকদের মন জয় করতে পেরেছেন এবং পাঠকরাও গল্পটি উপভোগ করেছে। আমাকে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি আপনি আরো গল্প উপহার দিবেন আমাদের। আর অঞ্জলির শেষ অবস্থান টা দিলে ষোলকলা পূর্ণ হতো।
24-12-2020, 08:24 AM
(24-12-2020, 07:18 AM)sorbobhuk Wrote: যাক ভালো লাগলো কিছু খুশি কিছু দুঃখ নিয়ে গল্পটা শেষ করলেন। আমার মনে হয় আপনি পাঠকদের মন জয় করতে পেরেছেন এবং পাঠকরাও গল্পটি উপভোগ করেছে। আমাকে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি আপনি আরো গল্প উপহার দিবেন আমাদের। আর অঞ্জলির শেষ অবস্থান টা দিলে ষোলকলা পূর্ণ হতো। যদিও স্পষ্ট করে লিখিনি তবুও বলা আছে অঞ্জলী এখন কি করছে। ধন্যবাদ ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
24-12-2020, 08:51 AM
স্বাগতম গল্পটা শেষ করার জন্য। অনেক ভাল লেগেছে। একবারের জন্যেও মনে হয় নাই যে আপনি মাঝখান থেকে শুরু করেছেন।
অনেক সুন্দর গল্প মরে যেতে দেখেছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ গল্পটাকে পূর্নতা দেওয়ায়। দাবী রাখছি বন্ধু ও সতি নামক গল্প দুইটি শেষ করার। ভাল থাকবেন।
24-12-2020, 11:49 AM
(24-12-2020, 08:51 AM)Reader01 Wrote: স্বাগতম গল্পটা শেষ করার জন্য। অনেক ভাল লেগেছে। একবারের জন্যেও মনে হয় নাই যে আপনি মাঝখান থেকে শুরু করেছেন। ধন্যবাদ দাদা । কিন্তু সত্যি বলতে অন্যর লেখায় হাত দেবার আর ইচ্ছা নেই। তাছাড়া এর ফলে নিজের লেখা গুলা আর লেখা হয়ে উঠে না। সত্যি বলতে আর লেখারই ইচ্ছা করেনা। কারণ আমার গল্প পাঠকদের তেমন মনে ধরে না। আমার লেখা শূন্য খাঁচা গল্পটা আমি নিয়মিত আপডেট দিয়ে শেষ করেছিলাম কিন্তু জানেন কি ওই গল্পেে পাঠক সংখ্যা মাএ ২৩০০ জন। আর কমেন্ট মাএ ২৫ টা মত। তাহলে বলুন এই পরিশ্রম করে লেখার কোন মানে হয় ? ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
24-12-2020, 01:23 PM
মূল লেখক যদি গল্পটা পড়তেন তাহলে যে অসম্ভব খুশি হতেন কোনো সন্দেহ নেই। গল্পটা আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ভীষণ প্রানবন্ত, উত্তেজনাপূর্ণ কাহিনী, বিশেষ করে অন্তিম পর্ব তো মন ছুঁয়ে গেল।অঞ্জলির আশঙ্কা অমূলক নয়, কিন্তু সেটাই চিরন্তন নয়। ও অমিতের কথা ভাবল না ? অমিতের কাছে শরীরের চাহিদার থেকেও হৃদয়ের ভালোবাসা যে অনেকগুণ বেশি ছিল। অঞ্জলি চিরকাল প্রবাদপ্রতিম আর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে অমিত আর ম্যাগির জীবনে।
24-12-2020, 01:25 PM
(24-12-2020, 11:49 AM)Kolir kesto Wrote: ধন্যবাদ দাদা । কিন্তু সত্যি বলতে অন্যর লেখায় হাত দেবার আর ইচ্ছা নেই। তাছাড়া এর ফলে নিজের লেখা গুলা আর লেখা হয়ে উঠে না। সত্যি বলতে আর লেখারই ইচ্ছা করেনা। কারণ আমার গল্প পাঠকদের তেমন মনে ধরে না। আমার লেখা শূন্য খাঁচা গল্পটা আমি নিয়মিত আপডেট দিয়ে শেষ করেছিলাম কিন্তু জানেন কি ওই গল্পেে পাঠক সংখ্যা মাএ ২৩০০ জন। আর কমেন্ট মাএ ২৫ টা মত। তাহলে বলুন এই পরিশ্রম করে লেখার কোন মানে হয় ? এসব বলে লাভ নেই, অনেক পাঠক আছে যারা তোমার লেখা পছন্দ করে। লিখতে থাকো আরও অনেককে পাশে পেয়ে যাবে।
24-12-2020, 06:57 PM
দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্প টা শেষ করার জন্য। এটার অপেক্ষায় ছিলাম অনেক সময় ধরে। পড়ে মনেই হচ্ছিল না যে আপনি এটাকে নতুনভাবে শুরু করেছেন, মনে হচ্ছিল এর লেখক একজনই। আপনার লেখা চমৎকার। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুভকামনা রইল, আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে আমাদের এরকম আনন্দিত করুন।
24-12-2020, 07:39 PM
(24-12-2020, 06:57 PM)o...12 Wrote: দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্প টা শেষ করার জন্য। এটার অপেক্ষায় ছিলাম অনেক সময় ধরে। পড়ে মনেই হচ্ছিল না যে আপনি এটাকে নতুনভাবে শুরু করেছেন, মনে হচ্ছিল এর লেখক একজনই। আপনার লেখা চমৎকার। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শুভকামনা রইল, আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে আমাদের এরকম আনন্দিত করুন। ধন্যবাদ আপনাকেউ আপনাকে আমার আগের গল্পে দেখিনি । নতুন পেয়ে ভালো লাগলো। এই সাইটে আমার নিজের লেখা আরো দুইটা গল্প আছে "পরশপাথর" আর "শূন্য খাঁচা" না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। আপাতন কিছুদিন আমার ছুটি তারপর শুরু করবো আমার নতুন গল্প দেবদাস এর আপডেট দেওয়া। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !! |
« Next Oldest | Next Newest »
|