Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery ঝর্ণা The Untold story ! সমাপ্ত
সেই সন্ধে আমাদের খুব ভালোই কাটলো ! লাহিড়ীদা, ঘোষ দা ! মুখার্জি দা ! রেবা দি সবাই কমলদার এই মহৎ কার্যে সাথে আছেন ! রেবাদির হাসবেন্ড  নেই ! একমাত্র ছেলে সে আমেরিকাতে সেটল ! তাই রেবাদিই হাসি মুখে বাছা দেড় নিয়েই থাকেন ! আর তাছাড়া সারা জীবন একপাল ছাত্রী ঠেঙাতে ঠেঙাতে ছোট ছোট বাচ্ছাদের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন আগেই ! এখন ওনাকে এই রূপে দেখে খুব ভালো লাগলো ! কানাই কমলদা, লাহিড়ীদাদের দেখে অবাক ! আমার মতো একটা ছোট ছেলের সাথে ওরা  কি রকম বন্ধুর মতো মিশছে ! আরও  অবাক হলো যখন লাহিড়ীদা আমার কাছে সিগারেট চাইলেন ! " দে সুনন্দ আজ একটা তোর সিগারেট দে ! অনেক দিন তোর সিগারেট খাইনি ! " অবাক চোখে কানাই আমাদের দেখতে থাকলো ! মোটামুটি সবাই দু তিন পেগ করে মাল খাবার পর আমি ওনাদের কাছে বিদায় চাইলাম !
গাড়িতে বসে কানাই আমাকে বললো " তুই করেছিস কি রে ? বাবার বয়সী লোকেদের সাথে সিগারেট খাচ্ছিস, মদ খাচ্ছিস ! তুই তো গুরুদেব লোক মাইরি ! "
- ওনাদের দেখে তোর কি মনে হলো বলতো ? আমি কানাইকে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করলাম !
- না মানে সেরকম কিছুই নয় কিন্তু ওনারা খুব আমাকেও তোর বন্ধু জেনে কেমন নিজের করে নিলো !  !
তখন আমি কানাইকে আমাদের প্রথম পরিচিত হবার দিন থেকে আজ পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে সমস্ত বললাম ! শুনে কানাই আমাকে জড়িয়ে ধরলো ! সত্যিই তুই গুরুদেব !
সবাই বিষয়ে করে রাজু আর সমীর অবাক হয়ে গেলো সবার সাথে পরিচিত হয়ে ! এইরকম সমাজ বা এইরকম মানুষ ওরা  আজ পর্যন্ত দেখেনি ! শুধু মাত্র গল্পে বা উপন্যাসে পড়েছে ! আজ যখন ওনাদের সামনে সামনি দেখতে পেলো ওরা  অভিভূত এবং বিহ্বল  ! আমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানালো ওদের একটা নতুন পৃথিবী দেখানোর জন্য ! বাড়ি পৌঁছে গেলাম ! কানাই বললো কাল আবার সকাল দশটায় গাড়ি চলে আসবে ! আমি কানাই কে থামিয়ে বললাম " এই আজকের খরচ কত হলো সেটা বল ! এতগুলো মোঘলাই কষা  মাংস অনেক খরচ হয়েছে !"
- বোকাচোদা ! সমস্ত খরচ তোমার গাঁড়ে ঢুকিয়ে নাও ! আমার সাথে হিসাব মারতে এস না ! নিলয়কে বললে তোমার কেলিয়ে গাঁড়  ভেঙে দেবে !
হাসতে  হাসতে আমি ঘরে ঢুকে পড়লাম !  
সবাই আমার ঘরে ! শুধু কমলদা আর লাহিড়ীদার গল্প ! ওরা  সবাই অভিভূত ! মা এসে সবাইকে খেতে ডাকলেন !
হাত মুখ ধুয়ে সবাই খাবারের থালা নিয়ে আবার আমার ঘরে ঢুকে গেলাম ! কারণ  ডাইনিং টেবিলে অত জনের বসার জায়গা নেই ! গল্প করতে করতে খাসির মাংস সহকারে রুটি খেয়ে নিলাম ! এবারও সমীর বললো " যাবার সময় আন্টির হাতের খাসির মাংস নিয়ে গেলে দারুন হয় ! " আমার আমার মুখ দিয়ে চুটিয়ে খিস্তি বেরুলো ! " শালা খেয়ে খেয়ে মরবি ! ট্রেনে আলুপোস্ত ভাত চাই, বুধুর হাতের কষা  মাংস চাই আবার এখন মায়ের রান্না খাসির মাংস চাই ! খেয়ে খেয়ে মরবি শালা  !
সবাই আবার হেসে উঠলো ! খাবার পরে সবাই ঘুমাতে চলে গেলো !
ভোর বেলায় আমরা যথারীতি ফুটবল খেলতে বেরিয়ে গেলাম ! আজ ক্লাবের মাঠে আমাদের বন্ধুদের প্রায় সবাই হাজির ! ববি বাগ্গাও এসেছে ! নিলয়কে কানাই তাড়িয়ে তাড়িয়ে কালকের সব ঘটনা বলছে আর সবাই শুনে এনজয় করছে ! কিন্তু কানাই যখন কমলদার কথা বলতে শুরু করলো ! সবার চোখে মুখে এক অপরিসীম শ্রদ্ধা নেমে এলো ! নিলয় আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো " এই জন্যই শালা তোকে আমি গুরু মানি ! ( কে কার গুরু ! স্কুলে ওরাই আমার গুরু ছিল ! ) ববি বললো তুই সেই একইরকম আছিস সুনন্দ ! এই জন্যেই তোকে এতো সবাই ভালোবাসি রে ! গল্পে গল্পে খেলা আর হলো না ! সাড়ে আটটায় বাড়ি ফিরে এলাম ! আসার আগে ববি বললো গাড়ি ঠিক সময়ে তোদের বাড়ি চলে আসবে ! আমি ববিকে রিকোয়েস্ট করলাম যেন তেলের আর ড্রাইভারের খরচ আমার থেকে নিয়ে নেয় ! প্রথমে রাজি না হলেও পরে বললো ঠিক আছে কানাইয়ের হাতে দিয়ে দিস  !
আজ সকালে আমাদের বাড়িতে কোনো ব্রেকফাস্ট হয়নি ! বাবা দেশবন্ধুর হিঙের কচুরি নিয়ে এসেছেন ! দেশবন্ধুর কচুরি পুরো হুগলি জেলাতে প্রসিদ্ধ ! গরম গরম কচুরির সাথে ছোলার ডাল  ! আমি নিজেই লোভ সামলাতে পারিনা ! দেশবন্ধুর কচুরি আমি একই গোটা দশ বারো  খেয়ে ফেলি ! দেখি সমীর আর রাজু কি বলে খেয়ে ! সমীর একটুকরো মুখে দিয়েই ওয়াও বলে চিল্লিয়ে  উঠলো ! " এই ধরণের পুরি ( সমগ্র নর্থ বা সাউথ ইন্ডিয়াতে ফুলকো কোনো জিনিস মানেই পুরি !) এই পুরি তো গজব কে হায়  ! মাঝে অউর  চাহিয়ে !
হরপ্রীত বললো " তু  অউর সমীর  এক কাম কর ! এহিপে রেহে জা  ! রোজ ইয়ে  খানা খানা ! নেহি তো অভি বোলেগা ইয়ে  ভি ট্রেন কে লিয়ে প্যাক করনে কে লিয়ে !"
সবাই হেসে ফেললাম হরপ্রীতের কথা বলার ভঙ্গিতে !  
আজ সবাই খুব খুশির মুডে আছে ! আমাদের সাথে পিসি ও তৈরী হয়ে নিলো ! উনি বৈদ্যবাটিতে নেমে যাবেন ! মঞ্জু আমাদের সাথেই থাকবে !
বাবা আমাকে চুপি চুপি ডেকে আমার হাতে তিন হাজার টাকা ধরিয়ে দিলেন ! বললেন "দেখিস যেন কেউ তোর নিন্দে না করে ! " আমি হাসি মুখে টাকা নিয়ে বললাম "বাবা ! ওরা এতো অভিভূত যে তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না !
আজকেও ঝর্নাকে সাথে নিয়ে নিলাম ! পিসি আমাদের সাথেই গাড়িতে উঠে পড়লেন ! সবাইকে বুঝিয়ে দিলাম যেন ইয়ার্কি একটু কম  মারে ! মোড়ের মাথায় কানাই নিলয় আর একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে ! ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দিলে সবাই গাড়িতে উঠে পরে ! পিসিকে দেখে একটু চিন্তিত হয়ে পরে নিলয় ! আমি পিসির সাথে নিলয় আর কানাইয়ের  পরিচয় করিয়ে দিলাম ! সাথে মেয়েটার পরিচয় আমি জানতাম না ! তাই। ....
পিসি সবাইকে আশীর্বাদ করলেন ! পিসির বাড়ির সামনে দাঁড়াতেই পিসি আর মঞ্জু নেমে গেলো ! আমি মঞ্জুকে বললাম " কিরে তুই কেন নামলি ?"
- তোমরা ঘুরে এসো  ! যাবার পথে আমাকে তুলে নিও ! '
বুঝলাম মঞ্জুর মাসিক এসে গেছে  ! সবাই লাহিড়ীদার বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলাম ! কানাই নিজেই আগে গাড়ি থেকে নেমে গেলো ! চৈতালিকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসে পড়লো ! মঞ্জুর বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল ! ওকে তুলে নিয়ে নিলয়ের নিয়ে আসা মেয়ের সাথে আলাপ করা শুরু করলাম ! ওই মেয়েটির নাম স্বরস্বতী ! নিলয়ের অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয় ! নিলয়ের সাথে বিয়ে হবার কথা পাকা হয়ে আছে !
শালা আমি নিজেই জানিনা ! নিলয় আমাদের সবাইকে এই কথাটা লুকিয়ে রেখেছিলো ! কিন্তু আজ বেরিয়ে পড়লো ! নিলয়ের মুখে লজ্জার হাসি !
সারা রাস্তা আমি আর কানাই নিলয়ের খিঁচাই করতে থাকলাম !
নিলয় আর থাকতে  না পেরে জোর গলায় চেঁচিয়ে বলে উঠলো " ওই বোকাচোদা কানাই যে চৈতালিকে ছিপ  ফেলেছে সেটা কোনো ব্যাপার নয় নাকি ?!"
আবার একপ্রস্থ হাসি ! চৈতালির মুখে রক্তিম ছটা  ! মঞ্জু চৈতালিকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে নিলো ! কানাই লজ্জায় মুখ তুলে তাকাতে পারছিলো না !
ড্রাইভার বললো " আজ একটু ঘুরে যেতে হবে ! রাস্তায় অনেক জায়গা বন্ধ করে রেখেছে ! আমাদের হাওড়া হয়েই যেতে হবে  ! ওরা  সবাই হাওড়ার নাম শুনে হই  হই  করে উঠলো ! ওরা হাওড়া ব্রিজ হেঁটে হেঁটে পার হতে চায় !
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
বাহ্ চৈতালি-কানাইয়েরও একটা হিল্লে হয়ে গেল। 
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
সবার দেখি এক এক করে হিল্লে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমের দিকটা একটু দেখালে মনে হয় ভালো হত। দ্বিতীয়ত, একটু বানানের দিকে নজর রেখো, মাঝে মাঝে নিজেকে বুঝে নিতে হয় দাদা এই লিখতে চেয়েছে !!!!!!! yourock  বেবি বুড়ো দামড়া Heart
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 4 users Like pinuram's post
Like Reply
বেশ কয়েকদিন আউট অফ সাইট ছিলাম!!
গল্পের খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম! এর মাঝেই
শুনছি ভাঙ্গনের ধ্বনি! বড়ই কষ্ট পাবো যদি
গল্পটির সুন্দর পরিসমাপ্তি না দেখতে পাই!
[+] 1 user Likes ব্যাঙের ছাতা's post
Like Reply
(26-11-2020, 01:05 AM)pinuram Wrote: সবার দেখি এক এক করে হিল্লে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমের দিকটা একটু দেখালে মনে হয় ভালো হত। দ্বিতীয়ত, একটু বানানের দিকে নজর রেখো, মাঝে মাঝে নিজেকে বুঝে নিতে হয় দাদা এই লিখতে চেয়েছে !!!!!!! yourock  বেবি বুড়ো দামড়া Heart

লাস্ট পোস্টের  সমস্ত বানান ঠিক করে দিয়েছি !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 07:50 AM)ব্যাঙের ছাতা Wrote: বেশ কয়েকদিন আউট অফ সাইট ছিলাম!!
গল্পের খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম! এর মাঝেই
শুনছি ভাঙ্গনের ধ্বনি! বড়ই কষ্ট পাবো যদি
গল্পটির সুন্দর পরিসমাপ্তি না দেখতে পাই!

বেঁচে আছি যখন তখন সমাপ্তি দেখতেই পাবেন !
[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
(25-11-2020, 11:53 PM)Mr Fantastic Wrote: বাহ্ চৈতালি-কানাইয়েরও একটা হিল্লে হয়ে গেল। 

ওটা তো হবারই ছিল !
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 11:47 AM)dada_of_india Wrote: ওটা তো হবারই ছিল !

আর কি কি হবার আছে ??

দাদা তাড়াতাড়ি দাও , আমার আর তর সইছে না !!!

Namaskar
Like Reply
(26-11-2020, 11:57 AM)ddey333 Wrote: আর কি কি হবার আছে ??

দাদা তাড়াতাড়ি দাও , আমার আর তর সইছে না !!!

Namaskar

মঞ্জু-সুনন্দ-কোয়েল থ্রিসাম  Big Grin Big Grin
Like Reply
আমি কানাইকে বললাম তোরা গাড়ি নিয়ে ব্রাবোন  রোডের মুখে দাঁড়া ! এদের আমি হাওড়া ব্রিজ দেখিয়ে নিয়ে আসছে !
গাড়ি থেকে কানাই চৈতালি নিলয় এবং স্বরস্বতী নামলো না ! হাওড়া ব্রিজ পার হতে হতে ওরা  বার বার উপরের দিকে আর নিচের দিকে তাকাচ্ছিলো ! অবাক হয়ে যাচ্ছিলো যে ব্রিজের নিচে কোনো পিলার নেই ! শুধু ওরাই কেন যারাই এই ব্রিজ প্রথম দেখে তারাই আশ্চর্য হয়ে যায় ! ব্রিজের উপর হাঁটতে হাঁটতেই আমি ওদের হাওড়া ব্রিজ তৈরির ইতিহাস জানালাম ! " ১৮৬২ সালে যখন হাওড়া রেল স্টেশন তৈরী হলো তখন ব্রিটিশ বেঙ্গল গভর্নমেন্ট শিপিং কর্পোরেশনর  চিফ ইঞ্জিনিয়ার জর্জ টার্নবুলকে কলকাতা এবং হাওড়ার সাথে যোগ সৃষ্টি করার জন্য একটি ব্রিজ বানানোর সমিখ্যা করতে বললো ! ২৫ বছর ধরে তিনি সমীক্ষা করে জানালেন কলকাতা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে হুগলির শ্রীরামপুরে এই ব্রিজ বানানো যেতে পারে ! ব্রিটিশ সরকার জর্জ টার্নবুলের এই সমীক্ষার রিপোর্টে খুশি হন না ! কারণ কলকাতা আর হাওড়ার ব্যবধান মাত্র তিন কিলোমিটার ! এই তিন কিলোমিটার ব্রিটিশ সরকারের লোকেদের যাওয়া আসার জন্য একমাত্র সাধন স্টিমার ! তাতে অনেক বেশি সময় লাগে আর তা ছাড়া তখন গঙ্গার গতিবেগ অনেক বেশি ছিল যে কোনো সময়ে স্টিমার ডুবি হয়ে যেত ! ব্রিটিশ সরকার হাল ছাড়েন নি ! ১৯৩৬ সালে জর্জ টার্নবুল ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ব্রিটিশ সরকারকে একটি বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর কথা বলেন ! উনি বলেন ওই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে ইংল্যান্ডে বসে হাওড়ার ব্রিজ বানানোর ব্যাপারে অনেক কথা হয়েছে এবং তিনি নাকি বলেছেন যে উনি মাত্র ১০বছরের মধ্যেই হাওড়া এবং কলকাতার সংযোগকারী ব্রিজ বানাতে পারবেন ! ব্রিটিশ সরকার সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার কে তৎক্ষণাৎ আমন্ত্রণ জানিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসলেন  ! তার সাথে কথা ঠিক হলো যে ব্রিজ হাওড়া স্টেশন আর কলকাতার মধ্যেই হওয়া চাই ! এদিক ওদিক নয় ! সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার বলেন হাওড়া স্টেশন থেকেই ব্রিজ তৈরী হবে ! কিন্তু সেই ব্রিজটি হবে সম্পূর্ণ স্টিলের ! লোহা এখানে ব্যবহার করা যাবেনা ! আর এই ব্রিজ তৈরির টেকনোলজি তিনি কাউকে দেবেন না ! সেই ইঞ্জিনিয়ার এর নাম ছিল অতনু মুখার্জি ! দীর্ঘ সাত বছরের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে এবং তখন কার দিনের হিসাব অনুযায়ী ১৪০০ কোটিই টাকার ব্যায়ে ১৯৪৩ সালে ব্রিজটি সম্পূর্ণ হলো ! সমগ্র ব্রিটিশ শাসন ব্রিজটিকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন ! এমন কি সেই ইঞ্জিনিয়ার তখন দাবি করেন যদি এই ব্রিজকে বোমা মেরেও ওড়াতে কেউ চায় সেটা কোনোদিন সম্ভব হবে না ! ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে প্রশ্ন করলো " এই ব্রিজ বানাতে তুমি সাত বছর নিলে ! এই ব্রিজটি ধ্বংস করতে কত বছর নেবে ! তখন অতনু মুখার্জি উত্তর দিয়েছিলেন মাত্র সাত মিনিট ! কারণ পুরো ব্রিজ রিভেট এর উপর বাঁধা ! এমন একটা মেইন রিভেট আছে যেটাকে খুলে নিলেই এই ব্রিজ ধরধরিয়ে ভেঙে  পড়বে  ! ব্রিটিশ সরকার অতনু মুখার্জিকে সম্মান জানানোর জন্য তাকে ইংল্যান্ড এ নিয়ে যান ! তারপর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি ! যতোদুন জানা গেছে ইংরেজরা অতনু মুখার্জি কে পাগলাগারদে রেখে তিলে  তিলে শেষ করে দিয়েছে ! ( তথ্য ইঞ্জিনিয়ারিং মিউজিয়াম অফ লন্ডন ১৯৫০ by জর্জ টার্নবুল ! তিনি  নিজে ইংরেজদের এই আচরণে এতই  ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে ব্রিটিশ সরকার তাকেও ৭ বছরের জেল দিয়েছিলো ! ভারতের স্বাধীনতার পর তাকে মুক্ত করা হয়েছিল  ) আজ এই ব্রিজের কোথাও সেই মহান ইঞ্জিনিয়ার অতনু মুখার্জির নাম নেই ! আমাদের স্বাধীন ভারতবর্ষের কোনো সরকার, নেতা মন্ত্রী কেউ তার কথা জানতে চান না !
সবাই হাওড়া ব্রিজের ইতিহাস শুনে যৎপরোনাস্তি অবাক এবং দুঃখিত হয়ে গেলো এমন মহান ইঞ্জিনিয়ার এর হারিয়ে যাওয়াতে !
গল্প করতে করতেই আমরা আমাদের গাড়িতে এসে গেলাম !  
সমীর ব্রিজের উপর থেকে ফটো নেবার চেষ্টা করতেই আমি ওকে বারণ  করলাম কারণ ব্রিজের উপর ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ ! বাইরে থেকে ও যত খুশি ফটো নিতে পারে ! তখন রাজু বললো আসার সময় যদি আমরা লঞ্চ করে পার হই  তাহলে লঞ্চ থেকে ফটো নেওয়া যাবে ?
আমি বললাম হ্যা  সেটা নেওয়া যাবে !
গাড়িতে উঠে কলকাতার নতুন দিক সাউথ এর দিকে চললাম ! এখানেও অনেক পূজা মণ্ডপ আছে ! দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা ধর্মতলার মোড়ে অনাদির রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম অনাদির মোঘলাই খাবার জন্য !
মোঘলাই খেয়ে ওরা  খুব খুশি ! শুধু ওদের একটাই দুঃখ যে ট্রেনে ওরা  মোঘলাই নিয়ে যেতে পারবে না ! কারণ অনাদির মোঘলাই দুপুর ১২টার পরেই পাওয়া যায় ! আর আমাদের ট্রেন সাড়ে এগারোটায় ! সব ঘুরে মঞ্জু আর চৈতালিকে ওদের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আমরা যখন বাড়ি  ঢুকলাম তখন সন্ধ্যে আটটা  বাজে ! নিলয় বললো তোরা আধঘন্টার মধ্যে ক্লাবে চলে যায় আমি স্বরস্বতীকে বাড়ি ছেড়ে আসছি !
ক্লাবে আজ আমরা প্রায় জনা দশেক মানুষ ! ববিও এসে বসে আছে ! কাল আর কোথাও ঘোরার  নেই  ! কাল বিকালে জাগরণী সংঘের সাথে ফুটবল ম্যাচ ! সবাই মিলে  দু তিন পেগ করে মাল খেয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম !
রাতে খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমাতে যাবো তখন হরপ্রীত আমাদের রুমে ঢুকে বললো সুজাতার খুব পেটে  যন্ত্রনা করছে ! যদি কোনো ওষুধ থাকে তাহলে ওকে দেওয়া যেতে পারে ! আমি মা কে গিয়ে বললাম যে সুজাতার পেটে  যন্ত্রনা করছে কি করা যায় !
মা ওদের রুমে গিয়ে সুজাতার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে বেরিয়ে এসে বললেন "কোনো ব্যাপার নয় ! এক ব্যারেলগান দিয়ে দাও ঠিক হয়ে যাবে !" মা হরপ্রীতের হাতে একটা ব্যারালাগান ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলেন  ! কিছুক্ষনের মধ্যেই সুজাতার যন্ত্রণার উপশম হলো ! সবাই শুয়ে পড়লাম ! শুয়েও শান্তি নেই ! এবার কোয়েল এসে বাংলায় বললো " এই সুনন্দ এখন কি কোনো ওষুধের দোকান খোলা আছে ?"
- কেন কার আবার কি হলো ?
-আরে ন্যাপকিন চাই সুজাতার !
- আগে ঝর্ণার কাছে জিজ্ঞাসা কর ! যদি ওর থাকে তো কাজ মিতে যাবে ! না থাকলে আমাকে বলে যাস আমি এনে দেব !
হরপ্রীত ফিরে এসে বললো " পাওয়া গেছে ! আর কোনো চিন্তা নেই ! তোরা এবার আরামে ঘুমিয়ে পর !
বেশ কিছুটা ক্লান্ত সবাই ছিলাম ! তাই ঘুম আসতে  বেশি সময় লাগলো না ! সবাই তলিয়ে গেলাম ঘুমের অতলে !
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 11:59 AM)Mr Fantastic Wrote: মঞ্জু-সুনন্দ-কোয়েল থ্রিসাম  Big Grin Big Grin

ওটা হবার নয় ! হয়তো কোয়েলের সাথে কিছু হতে পারে ! কিন্তু মঞ্জুর সাথে এখন কিছু হবার সম্ভবনা নেই !
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার অতনু মুখার্জির কথা জানতাম আগে থেকে। দুর্ভাগ্য যে শেষ জীবনে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, খারাপ ব্যাপার। তবে কেন জানি না মনে হচ্ছে মঞ্জুর সাথে সুনন্দর দূরত্ব বাড়ছে। শারীরিক নয়, মানসিক দূরত্ব।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
বাহ্ , গল্প পড়ার সাথে সাথে হাওড়া ব্রিজের সম্পর্কে কত অজানা তথ্য জানা গেলো !!!
দারুন দারুন !!!
আচ্ছা ওই মেইন রিভেটটা ঠিক কোথায় আছে সেটা কি কেউই জানে না ???

Namaskar Smile
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 03:23 PM)ddey333 Wrote: বাহ্ , গল্প পড়ার সাথে সাথে হাওড়া ব্রিজের সম্পর্কে কত অজানা তথ্য জানা গেলো !!!
দারুন দারুন !!!
আচ্ছা ওই মেইন রিভেটটা ঠিক কোথায় আছে সেটা কি কেউই জানে না ???

Namaskar Smile

সেটা আমিও জানিনা! আমি বানাই নি তো তাই....
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 03:19 PM)Mr Fantastic Wrote: হাওড়া ব্রিজ নির্মাণের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার অতনু মুখার্জির কথা জানতাম আগে থেকে। দুর্ভাগ্য যে শেষ জীবনে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, খারাপ ব্যাপার। তবে কেন জানি না মনে হচ্ছে মঞ্জুর সাথে সুনন্দর দূরত্ব বাড়ছে। শারীরিক নয়, মানসিক দূরত্ব।

দূরত্ব বাড়লে ও বাড়বে না
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(26-11-2020, 03:46 PM)dada_of_india Wrote: সেটা আমিও জানিনা! আমি বানাই নি তো তাই....

সত্যি কথা 
Namaskar Big Grin
Like Reply
হাওড়া ব্রিজ কি ভাবে তৈরি হয়েছে সেটা জেনে কি হবে? বেশি ধানাই পানাই না করে সুনন্দ - কোয়েল - মঞ্জুর একটা জমাটে থ্রিসাম আনো। এমন চাই যেন স্বয়ং বাৎস্যায়ন ব্যাটা লজ্জায় !!!!!!!!
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 1 user Likes pinuram's post
Like Reply
Golpo bolaar sabolilotay mugdho hoye jete hoy.... Hats off dada

Heart
Like Reply
ভোর বেলা উঠে যথারীতি মাঠে চলে গেলাম ! কিছুক্ষন প্র্যাক্টিস করার পরে সবাই বিকালের ম্যাচের স্ট্যাক্টিস তৈরী করে ফেললাম ! আমি রাজু আর সমীর ফরোয়ার্ডে খেলবো ! কানাই আর নিলয় আর দেবাশিস ব্যাকে ! বুধু শম্ভু ডিফেন্সে ! সৈকত গোলে আর ফ্রন্ট লাইনে থাকবে সুব্রত !
বাড়ি এসে ব্রেকফাস্ট করে মোটরসাইকেল বের করলাম ! অনেক দিন চালানো হয়নি ! সমীর আর রাজুকে পিছনে বসিয়ে কুন্তিঘাট নিয়ে গেলাম ! ওখানে কুন্তী যদি গঙ্গার সাথে মিলছে অদূরেই ত্রিবেণী ! এই অঞ্চলটাকে ত্রিবেণী নামেই জানে কারণ এখানে গঙ্গা স্বরস্বতী আর কুন্তীর মিলন স্থল  ! এমনিতেই গঙ্গা এখানে প্রচন্ড উত্তাল ! ওরা  অনেক গুলো ছবি নিয়ে নিলো ! কুন্তিঘাট গঙ্গার ধারেই  আমার ছোট মাসির বাড়ি ! মেসো কেশোরাম রেয়নের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ! বিরাট ইন্টেলেকচুয়াল ! যাকেই সামনে পায়  তাকেই জ্ঞান দিতে শুরু করে বলে কেউ চট  করে মেসোর সামনে আস্তে চায়না ! যাবার ইচ্ছা ছিলোনা ! আসার আগে মা বার বার মাসির সাথে দেখা করার কথা বলেছিলেন বলেই বাধ্য হয়ে ওদের নিয়ে মাসির বাড়ি গেলাম ! মাসি তখন গঙ্গার কুঁচো মাছ ভাজছিলেন ! গঙ্গায় জেলেরা মাছ ধরে ওখানকার লোকাল বাজারেই বিক্রি করে দেয়  ! মেসো কিনে এনেছিলেন ! মাসি ভাজতে ভাজতেই  উঠে এলেন ! আমাদের আদর করে বসালেন  ! ওদের পরিচয় জেনে ওদের দিকে আপ্যায়ন টা  বেশি করেই দিলেন ! একটা প্লেটে কুঁচো মাছ ভাজা দিয়ে বললেন খেয়ে দেখো ! কুড়মুড় করে সমীর আর রাজু মাছ চিবিয়ে আমার দিকে সন্তুষ্টির নজরে তাকালো ! আমি বললাম যে মাছ আমরা হায়দরাবাদ বা দিল্লিতে খাই সেই কুঁচো মাছ সম্পূর্ণটাই প্রায় সমুদ্রের ! এই সামনে গঙ্গা দেখছিস এই  মাছ এই গঙ্গার ! মাছ ভাজা খাওয়ার মাঝেই মেসো এলেন ! আমাদের দেখে হেসে বললেন আরিব্বাস ! সুনন্দ বাবু যে ! আজ হটাৎ আমাদের কথা মনে পড়লো কি করে ! আমি উঠে ওনাকে প্রণাম করলাম ! আমার দেখা দেখি সমীর আর রাজুও মেসোকে প্রণাম করলো ! মেসোকে ওদের পরিচয় দিলাম ! মেসো বললেন " তুই এসেছিস ভালোই হয়েছে ! আমাকে আর তোদের বাড়ি যেতে হলোনা ! আজ বাজারে তাজা গঙ্গার ইলিশ পেয়েছি ! তোদের আর আমাদের জন্য দুটো নিয়ে নিয়েছি ! দিদি (আমার মা ) বলেছিলেন যে গঙ্গার ইলিশ পেলে পাঠিয়ে দিতে ! উনি ব্যাগ থেকে দুটো ইলিশ মাছ বার করলেন ! সমীর বা রাজু কোনোদিন ইলিশ মাছ দেখেনি ! রুপোর মতো চকচকে মাছকে দেখে ওদের চোখ চক চক  করে উঠলো ! মেসো ওদের ইলিশ সমন্ধে অনেক জ্ঞান দিলেন ! মেসোর কথা শোনার ফাঁকে ফাঁকেই ওরা  মুগ্ধ হয়ে ইলিশমাছ দুটোকে দেখতে থাকলো ! এক একটা মাছের ওজন প্রায় ১ কেজি করে হবে ! একটা ব্যাগে ইলিশ মাছ দিয়ে মেসো বললেন এতো বেশি দাম যে কেনার উপায় নেই ! কিন্তু আমি একটু লোভী মানুষ তাই থাকতে পারলাম না ! নিয়ে নিলাম ৭০০ টাকা কিলো ! দুটো মাছ মিলিয়ে দু কিলো ২০০ গ্রাম ! 'মাছ নিয়ে বাড়িতে এসে মাকে  দিয়ে বললাম " মা আজ ইলিশের তেল দিয়ে ভাত খাবো ! অনেকদিন ইলিশের তেল দিয়ে ভাত খাওয়া হয়নি ! ঝর্ণা বঁটি  নিয়ে ইলিশ কাটতে বসে গেলো ! ঝর্নাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে সমীর, রাজু,হরপ্রীত, সুজাতা কোয়েল সবাই ঝর্ণার মাছ কাটা দেখতে লাগলো ! ওরা  কেউ কোনোদিনই ইলিশ মাছ খায়নি ! যদিও কোয়েল ওর বাবা মায়ের কাছ থেকে ইলিশের কথা অনেক শুনেছে কিন্তু জীবনে প্রথম ইলিশ দেখছে ! সমীর ফটাফট বেশ কয়েকটা ফটো তুলে নিলো !
ইলিশ কাটা হয়ে গেলে ঝর্ণা রান্নাঘরে মাকে  দিয়ে এলো ! দুপুর বেলা খেতে বসে সবাইকে ভাত দিলেন এবং প্রথম পাতে  ইলিশের তেল একটু নুন আর একটা করে কাঁচা লঙ্কা দিলেন সাথে একটা করে ইলিশ মাছ ভাজা !! সমীররা ভাতে তেল দেখে ঘাবড়ে গেলো ! আমি ওদের শিখিয়ে দিলাম কি ভাবে লংকাটা ডলে  নুন দিয়ে মেখে খেতে হবে ! ওরা  আমার দেখাদেখি সেই ভাবেই মেখে একদলা  ভাত মুখে দিতেই কোয়েল বলে উঠলো ! " উফফ ! একেবারে অমৃত !"  সবাই বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে ইলিশের তেল মাখা ভাত খেতে লাগলো ! সমস্যা শুরু হলো ইলিশ মাছ খাবার সময় ! এতো কাঁটা ওরা  জীবনে কোনো মাছে  পায়নি ! রাজু দু হাত দিয়ে ইলিশের কাঁটা বাঁচতে ব্যাস্ত  হয়ে পড়লো ! রাজুর দেখাদেখি সবাই দুই হাত লাগিয়ে দিলো ! ওদের কান্ড দেখে মা ঝর্ণা সবাই হেসে ফেললো ! কোয়েল বললো "সত্যি বলছি মাসিমা এতো সুন্দর গন্ধ আর এতো মিষ্টি মাছ জীবনে কোনোদিন খাইনি ! কাঁটা থাকলেও যে মাছ এতো সুস্বাদু হতে পারে সেটা আমাদের জানা ছিল না ! রাজু সমীর সুজাতা হরপ্রীত সবাই কোয়েলের কথাকে সমর্থন করলো !
মা বললেন যদি তোমরা কোনোদিন ভাপা ইলিশ খাও তাহলে অন্য কোনো মাছ জীবনে খেতে চাইবে না !
রাজু বললো আজ সেটা হয়নি ?
- না বাবা এবারে তোমাদের সেটা খাওয়াতে পারলাম না ! সামনের বার যখন আসবে তখন তোমাদের খাওয়াবো ! কথা দিচ্ছি ! খুব তৃপ্তি করে সবাই খেয়ে নিলো ! সবার শেষে মা কোয়েলের পাতে একটু ইলিশের ডিম্ ভাজা দিতেই সবাই কোয়েলের পাতে  হামলে পড়লো ! মা আর ঝর্ণার হাসির ফোয়ারা ! দমকে দমকে হাস্তে লাগলো ! কোয়েল সবাইকে একটু একটু করে মাছের ডিম্ ভাগ করে দিলো ! ঊম্মম্মা  ! একেবারে অমৃত ! রাজু বললো ! সুজাতা বললো "এর পরের বার যদি কোনোদিন আসি তাহলে আমাকে এই ডিম্ দিয়েই খেতে দেবেন ! মা পরম স্নেহে সবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন !
খাওয়া দেওয়ার পরে সবাই আমাদের ঘরে এসে জমিয়ে আড্ডা দিতে শুরু করলো ! বিষয় ইলিশ মাছ ! তখন আমি ওদের বললাম যে ইলিশ সাধারণত সমুদ্রের মাছ ! কিন্তু ওরা  ডিম্ পাড়ার জন্য অপেখ্যাকৃত কম স্রোতের জলে চলে আসে ! সেখানেই ডিম্ না পারা  পর্যন্ত তিন চারমাস অপেখ্যা করে ! জলের স্রোতের সাথে মোকাবিলা করার জন্যই  ওদের কাঁটা বেশি হয় ! ইলিশ বেশি পাওয়া যায় পদ্মায় ! ওদের পদ্দার  ইলিশ বলে ! বাংলাদেশে এই ইলিশ পাওয়া যায় ! বাংলাদেশ এই ইলিশ রপ্তানি করে প্রচুর ইনকাম করে ! গঙ্গায় যে ইলিশ পাওয়া যায় তাদের গঙ্গার ইলিশ বলে ! এই ইলিশের টেস্ট সমস্ত ইলিশের থেকে বেশি সুন্দর ! এদেরও  অনেক নাম আছে ! কোলাঘাটের ইলিশকে খোকা ইলিশ বলে ! ওরা  আমার ইলিশের ব্যাখ্যান শুনতে লাগলো ! কখন যে তিনটে বেজে গেছে খেয়াল ছিলোনা ! বাইরে বুধুর গলা ! "কিরে জাবি না নাকি ?"
তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে বেরিয়ে এলাম ! সমীর  আর রাজুর বুটের ব্যবস্থা সকাল বেলাতেই হয়ে গেছিলো ! মেয়েরাও বললো যে ওরা  খেলা দেখতে যাবে !
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
এখন তিনদিন আর আপডেট দেবোনা ভাবছি !
Like Reply




Users browsing this thread: 7 Guest(s)