Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery ঝর্ণা The Untold story ! সমাপ্ত
সুনন্দকে দেখে ভীষণ হিংসে হচ্ছে, কলেজে ওঠার আগেই কত জনের সাথে চক্কর আবার কলেজে ঢোকা মাত্রই একের পর এক মেয়ে ওর বান্ধবী হয়ে উঠছে, কপাল করে নিয়ে এসেছিল সুনন্দ !!!!!!
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 3 users Like pinuram's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(22-11-2020, 09:23 PM)ddey333 Wrote: মনে হচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি নায়ক নায়িকাকে ঢোকাবে তোমার গল্পে

সময় যতই এগুবে অনেকে জীবনে আসবে আবার অনেকে জীবন থেকে হারাবে ! যাদের আসার তাদের তুমি রুখতে পারবে না ! আবার যারা যাবে তাদের তুমি বাঁধতে পারবে না ! এটাই তো জীবন !
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
আমিও দেখে যাচ্ছি ! কি হয় শেষ পর্যন্ত !
Like Reply
(23-11-2020, 11:35 AM)dada_of_india Wrote: সময় যতই এগুবে অনেকে জীবনে আসবে আবার অনেকে জীবন থেকে হারাবে ! যাদের আসার তাদের তুমি রুখতে পারবে না ! আবার যারা যাবে তাদের তুমি বাঁধতে পারবে না ! এটাই তো জীবন !

দারুন বলেছো দাদা !!
একটা গুরুগম্ভীর ব্যাপারকে কত সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিলে !!
লাইক আর রেপু রইলো

Smile
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
একটু ভালো করে দেখতেই বুঝতে পারলাম ওই দুটি মেয়ের একটি হরপ্রীত আর একটি সুজাতা ! এতক্ষনে সমীর আর রাজুর আমার পিছনে লোকানোর কারণ ধরতে পারলাম ! কোয়েলরা এগিয়ে এসে আমাদের হাই  করলো ! আমরাও হাই  করলাম ! সুভাষ বাবু বললেন এরাও তোমাদের সাথে যাবে ! এরা  আমার মেয়ের বান্ধবী !
কোয়েল তো বলেছিলো যে পঞ্চমী বলে কেউ যাবে ! এখানে তো পঞ্চমী বলে কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা !
- কি রে কি রকম সারপ্রাইজ দিলাম বলতো ! রাজু আর সমীরের দিকে চোখ টিপে কোয়েল ইশারা  করলো ! এ হচ্ছে হরপ্রীত ! আর এ হচ্ছে পঞ্চমী  মানে সুজাতা ! সুজাতার ডাক নাম পঞ্চমী !
সুভাষ বাবু বললেন এখন থেকেই তোমাদের ব্রেকফাস্ট কিনে নাও ! রাস্তায় ট্রেনের প্যান্ট্রি  থেকে দুপুরের আর রাতের খাবার কিনে নিও !
আমাদের চারজনের সিট্ একটা কূপের মধ্যেই ! শুধু হরপ্রীতের একদম শেষের দিকে ! সুভাষ বাবু ট্রেনে উঠে সবাইকে আমাদের সীটে বসিয়ে দিলেন ! বললেন হরপ্রীতের সিট্ যাতে তোমাদের সাথে হয় সে ব্যবস্থা করে আসি !
হরপ্রীত সুজাতা আর কোয়েল সমীর আর রাজুর পিছিনে পরে গেলো ! আমাদের সামনের সীটে এক ভদ্দরলোক এলে তাকে আমি রিকোয়েস্ট করলাম যদি উনি হরপ্রীতের সীটে নিজেকে এডজাস্ট করে নিতে পারেন ! ভদ্রলোক বললেন কোনো ব্যাপার নয় ! উনি হরপ্রীতের সিটে চলে গেলেন ! কিছুক্ষন পরেই সুভাষ বাবু একজন টিটিকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাদের দেখিয়ে দিলেন এবং হরপ্রীতের সিটের ব্যাপারে বললেন ! আমি বললাম আমরা সিট চেঞ্জ করে নিয়েছি ! হরপ্রীতের সিটে এক ভদ্রলোক কে পাঠিয়ে দিয়েছি !
- তাহলে তো প্রব্লেম সল্ভ হয়ে গেলো ! সুভাষ বাবু বললেন ! টিটি  সাহেবের সাথে আগে নিজের মেয়ের পরিচয় করলেন তারপর আমাদের সবার সাথে ওনার মেয়ের বন্ধু হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন যেন আমাদের প্রতি উনি খেয়াল রাখেন ! বিশেষ করে আমাদের খাওয়াদাওয়ার যেন কোনো প্রব্লেম না হয় ! টিটি  সাহেব সুভাষ বাবুকে আশ্বস্ত  করলে সুভাষ বাবু আমাদের সবাইকে সাবধানে যাবার সতর্কবাণী শুনিয়ে চলে গেলেন !
ট্রেন ছাড়তেই আমাদের হৈ  হুল্লোড় শুরু হয়ে গেলো ! তিনটে মেয়েই পুরো কম্পার্টমেন্টকে মাতিয়ে রাখলো ! সাথে রাজু আর সমীর তো আছেই ! সাধারণত আমি চুপচাপ ছিলাম ! আমার মাথায় একটাই চিন্তা মঞ্জুকে কি করে বোঝাবো কোয়েল শুধুই আমার বন্ধু !  যাই হোক ! আমাদের আনন্দের মাঝেই কখন যে আমাদের সফরের তিনদিন পেরিয়ে গেলো আমরা বুঝতেই পারলাম না ! ওদেরকে নিয়ে সোজা আমাদের বাড়ির উদেশ্যে রওনা দিলাম ! স্টেশন থেকেই পিসির বাড়িতে  ফোন করে দিয়েছিলাম  মঞ্জুকে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবার জন্য !
হাওড়া স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনের টিকিট কেটে বর্ধমান লোকালে চেপে গেলাম ! ওদের বোঝালাম যে হাওড়া হলো কলকাতার একটি বড়ো  স্টেশন ! এখানে দুটো বড়ো  স্টেশন আছে ! একটা শিয়ালদহ আর অন্যটি হাওড়া ! এখন থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার ! ওরা  সবাই অবাক হয়ে হাওড়া স্টেশনের ভিড় দেখছিলো ! লক্ষ লক্ষ লোক কেমন ছুঁটে  বেড়াচ্ছে ! এতো লোক ওরা  আগে কোথাও এইভাবে ছুঁটতে দেখেনি ! ট্রেনে বসে ওরা  আরও  অবাক ! কারণ লোকাল ট্রেনে যাত্রীর থেকে হকার বেশি ! আমি ওদের কে বাংলার বেকার সমস্যার কথা বোঝালাম ! বললাম এই হকারি করেই কত লক্ষ লক্ষ লোকের সংসার চলে এখানে ! এটাও একটা প্রধান জীবিকা এখানে !
ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমরা আমাদের স্টেশনে নেমে পড়লাম ! দূর থেকে দেখি পিসি আর মঞ্জুও অন্য কম্পার্টমেন্ট থেকে নামছে ! আমি মঞ্জুর নাম ধরে চিৎকার করতেই মঞ্জু ছুঁটে  আমাদের কাছে চলে আসলো ! কিন্তু আমার সাথে দুইজন অপিরিচিত যুবক আর তিনজন যুবতীকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো ! আমি সবার সাথে মঞ্জুর পরিচয় করিয়ে দিলাম ! বললাম ওরা সবাই কলকাতার দূর্গা পুজো দেখতে এসেছে ! একটু মুখটা গম্ভীর হলেও কোয়েলদের ব্যবহারে মঞ্জু ওদের সাথে মিশে গেলো ! আমি পিসির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা দেখে ওরা সবাই পিসিকে প্রণাম করলো ! পিসি সবার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন !  
সবাই হই  হই  করে রিক্সাতে  চেপে বসলাম ! রাস্তায় যাদের সাথেই দেখা হচ্ছে সবাই আমার কুশল জিজ্ঞাস্যা  করছে ! দেখছে যে আমি এখনই আসছি তবুও একটাই প্রশ্ন " কবে এলি ? কতদিন থাকবি !" উত্তর দিতে দিতে আমার নাজেহাল অবস্থা ! বুঝি এটাই সকলের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর প্রতীক তবুও মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে ! বাড়িতে আগেই আমি আমার বন্ধু বান্ধবী নিয়ে আসার কথা বলে দিয়েছিলাম ! তাই বাড়িতে কোনো অসুবিধা হবার কথা নয় !
বাড়ির গেটে আসতেই ঝর্ণা এক ছুঁটে  ভিতরে গিয়ে চেল্লাতে লাগলো ! " দাদা এসে গেছে ! " মা আর বাবা দুজনেই বাইরে বেরিয়ে এলেন হাসি মুখে ! " সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন ! আমার বন্ধু বান্ধবীরা অভিভূত আমাদের অথিতি পরায়ণতা দেখে !
সবাই ঘরে ঢুকে বসে পড়লাম ! মা এসে বললেন রাজু আর সমীরকে বললেন তোমরা দুজন সুনন্দর সাথে এই ঘরেই থাকবে আর ওরা  তিনজন মঞ্জু আর ঝর্ণার সাথে অন্য ঘরে থাকবে ! মেয়েরা হই হই করে উঠলো ! আমরা সবাই একসাথে থাকবো ! মা ওদের বোঝালেন একটা ঘরে এতজনের জায়গা হবে না তাই...
কেউ আর কোনো কথা বললো না ! প্রায় ১২টা বাজে ! আমি ওদের বললাম যে ওরা  স্নান কোথায় করবে বাড়িতে না আমাদের সামনের নদীতে ! নদীর নাম শুনে সবাই নদীতে স্নান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলো ! মঞ্জু আর ঝর্ণা সবার আগে ওদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে চললো ! বেশ কিছুক্ষন নদীতে হৈ  হুল্লোড় করার পর সবাই বাড়িতে এসে খেতে বসে পড়লাম ! ভাত মুগের ডাল  আলু পোস্ত মাছের ঝাল ওরা  বেশ তৃপ্তি করেই খেয়ে নিলো ! রাজু বললো " যাবার সময় ট্রেনের জন্য আলুপোস্ত আর ভাত প্যাক করে দিতে !"
মা হেসে ফেললো !
দুপুরে বাবা আমার পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করলেন ! আমি বললাম সব ভালো চলছে ! বাবাকেই বললাম "ওদের দুর্গাপুজো কি ভাবে দেখাবো ? বাবা বললেন যে কানাই অ্যাম্বাসেডর গাড়ি কিনে ভাড়াটে খাটাচ্ছে ! ওকে বলে দিলেই হবে !
দুপুর বেলায় সবাই আমার ঘরে বসে আড্ডা দিতে শুরু করলাম ! মঞ্জু, কোয়েল, সুজাতা, হরপ্রীত আর ঝর্ণার কলকলানি কিছুতেই থামছে না ! দেখে মনেই হচ্ছে না ঝর্ণা আর মঞ্জুর সাথে এদের তিনজনের আজকেই পরিচয় হয়েছে !
বিকেল বেলাতে ওদের সবাইকে নিয়ে আমাদের ক্লাবে গেলাম ! ক্লাবের সবাই ওদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
(23-11-2020, 11:09 AM)pinuram Wrote: সুনন্দকে দেখে ভীষণ হিংসে হচ্ছে, কলেজে ওঠার আগেই কত জনের সাথে চক্কর আবার কলেজে ঢোকা মাত্রই একের পর এক মেয়ে ওর বান্ধবী হয়ে উঠছে, কপাল করে নিয়ে এসেছিল সুনন্দ !!!!!!

কপালের নাম গোপাল বলা উচিত ! তাই নয়কি?
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
দুটো অ্যাম্বাসেডর ভাড়া নিতে হবে ওদের জন্য ,

আমি আর দাদা মোটরসাইকেল এ পেছন পেছন ফলো করে যাবো !!

Big Grin
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
DArun laglo. Khub valo
Like Reply
(23-11-2020, 11:09 AM)pinuram Wrote: সুনন্দকে দেখে ভীষণ হিংসে হচ্ছে, কলেজে ওঠার আগেই কত জনের সাথে চক্কর আবার কলেজে ঢোকা মাত্রই একের পর এক মেয়ে ওর বান্ধবী হয়ে উঠছে, কপাল করে নিয়ে এসেছিল সুনন্দ !!!!!!

পাপ কাম ভালোবাসার দেবায়নের কাছে তো কিছুই না !!  Big Grin
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply
(23-11-2020, 06:09 PM)Mr Fantastic Wrote: পাপ কাম ভালোবাসার দেবায়নের কাছে তো কিছুই না !!  Big Grin

একদম ঠিক বলেছো !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
ওরা  সবাইকার বাংলা হিন্দির মিশ্রণ ভাষা বেশ উপভোগ করতে লাগলো ! বেশ কিছুক্ষন আড্ডা মারার পর কানাই এলো ! এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো ! দুপুরেই ও শুনেছে যে আমি এসেছি ! কিন্তু ভাড়া থাকার জন্য আমার সাথে দেখা করতে পারেনি ! সবার সাথে কানাইয়ের পরিচয় করিয়ে দিলাম ! ওদের কলকাতার দূর্গা ঠাকুর দেখানোর কথা বললাম ! কানাই বললো "তুই শুধু ডিজেলের খরচ দিয়ে দিস  বাকি আমি দেখে নেবো !
- তোর একটা গাড়িতে কি করে যাবে রে সবাই ?
- সেটা আমার ভাবনা ! তোকে চিন্তা করতে হবেনা ! তবে আমরা সকাল বেলাতেই বেরিয়ে যাবো ! সন্ধ্যেবেলায় কলকাতায় গাড়ি নো এন্ট্রি ! সারাদিনে তোরা যত খুশি ঠাকুর দেখে নিস্ !
সেই মতোই প্ল্যান হলো ! আমরা কাল সকাল সকাল বেরিয়ে পড়বো  ! সারাদিন কলকাতার ঠাকুর দেখবো ! একদিনে যদি সব না দেখা হয় তাহলে আরেকদিন যাবো না হয় ! দেবাশীষ আর কানাই বললো " আজকে তাহলে একটু পার্টি হয়ে যাক ! "
আমি বললাম হয়ে যাক কিন্তু  বেশি খেয়ে বাওয়াল করা চলবে না ! মেনু ঠিক হলো কষা মুরগি আর মদ ! আমি বললাম মদের  দাম আমি দিয়ে দেব ! বাকি তোরা দেখে নে  ! নিলয় বললো " তোকে কিছুই দিতে হবে না ! তোর কলেজের বন্ধুরা আমাদের অতিথি ! ওদের সেবা আমরাই করবো ! সন্ধে ৭টায় সমস্ত ব্যবস্থা করতে শুরু করে দেবো টালিখোলার মাঠে ! তুই সবাইকে নিয়ে চলে আসিস ! আমি সমীর আর রাজুকে বলতে ওরা  এক পায়ে খাড়া ! বাড়িতে গিয়ে মাকে ম্যানেজ করতে হবে !
সবাই মিলে  বাড়ি ফিরে এলাম ! মেয়েরা আমার উপর চোটে লাল ! আমরা এনজয় করবো ওরা  কি ধুন্দুল চুষবে ?
আমি ওদের বললাম আমার ব্যাগে একটা ভদকার বোতল রাখা রয়েছে যেটা ট্রেনে ওরা  খায়নি সেটা নিয়ে ওরা নিজেদের মতো ছাদে  গিয়ে পার্টি করতে পারে ! কিন্তু সমস্ত ব্যবস্থা মঞ্জু আর ঝর্নাকে করতে হবে ! বাড়িতে মা বাবা পিসি সবাইকে ম্যানেজ করার দায়িত্ব ঝর্ণা নিলো ! এই প্রথম ঝর্নাকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কিছু করার চেষ্টা করতে দেখলাম ! বন্ধুদের জন্য আমি মঞ্জুর সাথে বেশি কথা বলতে পারছিনা ! তাতে মঞ্জুর মনের ভিতর কি চলছে সেটা বোঝার উপায় আমার নেই ! কোনো এক ফাঁকে মঞ্জুকে একটু আদর করতেই হবে ! কারণ আমি নিজেই থাকতে পারছি না ! এতো কাছে থেকেও মঞ্জুকে আমি ছুঁতে পাচ্ছিনা ! মঞ্জুকে চোখের কাতর ইশারায় বোঝাতে চেয়েছি অনেকবার ! কিন্তু মঞ্জু আমাকে কোনো পাত্তাই দেয়নি ! বুঝতে পারছি যে মঞ্জু খুব রেগে আছে ! কিন্তু আমার বন্ধুবান্ধবীদের সামনে কি সুন্দর অভিনয় করে যাচ্ছে ! এক ফাঁকে ঝর্নাকে ধরলাম ! " হ্যারে কি ব্যাপার তোর মঞ্জুদি মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে ?"
- রেগে থাকবে না তো কি তোমাকে পুজো করবে ?এতদিনে তুমি কতবার মঞ্জুদিকে ফোন করেছো ? তুমি তো তোমার বন্ধুবান্ধবীদের নিয়েই মেতে আছো ! কাল কলকাতা যাবার সময় ওর মান ভাঙিয়ে দিও ! বলে ঝর্ণা চলে গেলো !
আমি মায়ের ঘরে ঢুকলাম ! মা আর পিসি গল্প করছে ! যদিও সমস্ত গল্পই আমাকে নিয়ে বা আমার বন্ধুদের নিয়ে সেটা বেশ বুঝতে পারলাম ! আমার বন্ধু বান্ধবীদের মায়ের আর পিসির ভালো লেগেছে ! কলেজের বন্ধু সমন্ধে ওনাদের ধারণা খুব একটা ভালো ছিল না ! কিন্তু এদের দেখে ওনাদের ধারণা বদলে গেছে !
- কি রে কিছু বলবি ? মা আমাকে দেখে প্রশ্ন করলেন !
- না। . মানে আজকে ক্লাবে আমার নতুন বন্ধুদের অনারে সবাই পার্টির আয়োজন করছে ! তাই বলছিলাম।........
- সেতো  ভালো কথা ! যা এনজয় কর ! তোর বন্ধুরাও জানুক আমরা বাঙালিরা অতিথি সৎকার করতে জানি ! কিন্তু বেশি ড্রিংক করিস না ! আমরা কেউ চাইনা তোদের আমাদের পাড়ার লোকে খারাপ বলুক !
মায়ের উদারতায় আমি অবাক হয়ে গেলাম !
- কি দেখছিস হা করে ! এখন তোরা বড়ো  হয়ে গেছিস ! একটু আধটু পার্টি যদি এখন না করিস তবে কি আমাদের মতো বয়সে এসে করবি ?
মাকে জড়িয়ে ধরলাম ! -- কিন্তু বাবা !!
- ওরে তোর বাবাই বলে গেছে তোদের এইসময় ছাড় দিতে !
মাকে জড়িয়ে ধরে একটা হামি খেয়ে নিলাম ! পিসিকেও একটা হামি খেলাম !
মেক বললাম আজ মেয়েরাও একটু এনজয় করতে চাইছে !
এবারে পিসি বললেন " করুক না ! কে মানা  করেছে ! এবার পিসি মুখ খুললেন ! তবে ওরা  যেন হুইস্কি বা রাম খাওয়া চলবে না ! খাবার টেবিলে যেন কেউ বমি না করে ! তোদের ট্রেনের সমস্ত ঘটনা আমি শুনেছি ! সেটা যেন মনে থাকে !
- আমাদের ট্রেনের ঘটনা তুমি কি করে জানলে ?
- মঞ্জু আমাকে সব বলেছে !
আমি মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম !
ঝর্ণা আমাকে দেখে প্রশ্নবাচক মুখ করে দেখতে থাকলো ! আমি শুধু বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বুঝিয়ে দিলাম অল ইস ওকে !
দেখতে দেখতে সাড়ে ছটা  বেজে গেলো ! রাজু আমাকে তারা দিতে শুরু করলো ! "কি রে কখন যাবি ?"
বললাম " যাবো এইবার ! " মঞ্জুকে আর ঝর্নাকে ডেকে বলে দিলাম যে পারমিশন হয়ে গেছে ! ওরা  যেন ছাদে গিয়ে ওদের প্রোগ্রাম চালু করে দেয়  ! সেই সাথে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলাম যেন বেশি না খায় !
হরপ্রীত বললো " কি দিয়ে খাবো ?" ঝর্ণা বললো বাড়িতে বাদাম আছে ! ভেজে নেওয়া হবে !
- না  ! আমাদেরও  চিকেন চাই ! আমি পরে গেলাম ফ্যাসাদে ! ওদের জন্য চিকেনের ব্যবস্থা কোথা থেকে করবো ?
ঝর্ণা বললো " তুমি যাও  ! আমি দেখে নেবো ! ফ্রীজে পম্পলেট মাছ আছে ওদের ভেজে দেবো  !" বাপের কালে খায়নি ! ওতেই কাজ হয়ে যাবে !"
মনে মনে নিশ্চিন্ত হলাম ! আমি সমীর আর রাজু তিনজনে বেরিয়ে পড়লাম ! একটু মার্কেটের দিকে গেলাম ! সিগারেট নিতে হবে ! কলেজে হকার পর থেকে এখনো পর্যন্ত সিগারেট খাইনি ! আজ অনেকদিন পরে সিগারেট খাবো ! সিগারেট কিনে পিছন ঘুরে তাকাতেই দেবাশিসের সাথে দেখা ! " দিলি তো আমার গাঁড়  মেরে ?" দেবাশিস আমাকে দেখেই বলে উঠলো !
- আমি আবার তোর গাঁড়  কখন মারলাম ?
- এই যে পাঁচ কিলো চিকেন আমার পোঁদ  মেরে দিলো নিলয় ! বললো যে যদি চিকেন নিয়ে না যাই তাহলে আমার ক্লাবে ঢোকা বন্ধ করে দেবে ! বলেই হেসে ফেললো ! " বুঝলি তুই এসেছিস শুনেই আজ তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে চিকেন নিয়ে ক্লাবে যাচ্ছি ! "
পিছন থেকে "এ বড়দা  ! কেমন আছিস ?" শব্দে পিছন ঘুরে দেখি সাধু সাইকেলের পিছনে একটা পেটি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে ! সাধু মদের  দোকানে কাজ করে ! মাধ্যমিক অবধি আমাদের সাথে পড়তো ! তারপর অভাবের তাড়নায় মদের  দোকানে চাকরি নিয়েছিল  ! ভালোই কামায়
- কি রে কেমন আছিস ? যাচ্ছিস কোথায়
[+] 7 users Like ddey333's post
Like Reply
ভাবছি আর আপডেট দেবোনা ! এখানে পাঠকের সংখ্যা খুব কম ! আর যারা আসে তারা কমেন্ট করতে চায় না ! গল্পটাকে শেষ করবো ভেবেছিলাম ! কিন্তু মনে হচ্ছে শেষ করা সম্ভব নয় ! উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি ! আমার থ্রেডে মাত্র ৩ জন পাঠক ! ...
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
না দাদা লেখা বন্ধ করবেন না দয়া করে।এই লেখাটা শেষ করবেন আশা করি।
[+] 1 user Likes Prince056's post
Like Reply
(23-11-2020, 09:17 PM)Prince056 Wrote: না দাদা লেখা বন্ধ করবেন না দয়া করে।এই লেখাটা শেষ করবেন আশা করি।

এই থ্রেডে ভিজিটর নেই ! কমেন্ট নেই ! ফালতু লিখে কোনো লাভ নেই ! এখানেই শেষ করলাম ! কোনো বড়ো  লেখক নোই ! একপাতা আপডেট দিয়ে সবার বাহবাহী লুটবো ! কিন্তু। ..... যাক ! এখানেই শেষ করলাম !
Like Reply
(23-11-2020, 09:27 PM)dada_of_india Wrote: এই থ্রেডে ভিজিটর নেই ! কমেন্ট নেই ! ফালতু লিখে কোনো লাভ নেই ! এখানেই শেষ করলাম ! কোনো বড়ো  লেখক নোই ! একপাতা আপডেট দিয়ে সবার বাহবাহী লুটবো ! কিন্তু। ..... যাক ! এখানেই শেষ করলাম !



ভারতীয় দাদা,কিছু লেখা তো নিজের জন্যেও লিখতে পারেন।
Like Reply
(23-11-2020, 09:27 PM)dada_of_india Wrote: এই থ্রেডে ভিজিটর নেই ! কমেন্ট নেই ! ফালতু লিখে কোনো লাভ নেই ! এখানেই শেষ করলাম ! কোনো বড়ো  লেখক নোই ! একপাতা আপডেট দিয়ে সবার বাহবাহী লুটবো ! কিন্তু। ..... যাক ! এখানেই শেষ করলাম !

কয়েকটা ব্যাপারে তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ...
১) এই গল্পটা এখন অবধি যা লিখেছো তার 90% কিন্তু পুরোনো আর মোটামুটি সবার পড়া তাই কমেন্ট এর সংখ্যা কম হওয়া স্বাভাবিক , অনেকের কমেন্ট " বাগদি বাড়ির ....." থ্রেড এর সঙ্গে ডিলিট হয়ে গেছে
২) শুধু গল্পের নতুন লেখা অংশের জন্য এখন অবধি ৩১৪ পোস্ট আর ১২৭৭২ ভিউস এবং এটা একটা বিরাট সাফল্য অন্তত আমার হিসেবে

তাই  ছিঁচকাঁদুনে বাচ্চাদের মতো ফ্যাচ ফ্যাচ না করে এগিয়ে চলো , আমার মতো অনেক পাঠকেরা বসে আছে সুনন্দ আর মঞ্জুর শেষ অবধি কি হবে সেটা জানার জন্য !!!   

Angry Angry
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
গাছ কি ফল দেয়া বন্ধ করে দেয় মানুষ ফল খাচ্ছে আর তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছেনা বলে? বরং গাছ তার ফলে আরো রঙ চড়ায় আরো বেশি মানুষ কে আকর্ষণ করার জন্য।
[+] 2 users Like ছোটভাই's post
Like Reply
এতো রাগ করতে নেই, সোনা।
সেই কবে থেকে পড়ছি এই গল্পটা, সেটাকে অকালে মেরো না।
[+] 1 user Likes TumiJeAmar's post
Like Reply
(24-11-2020, 09:48 AM)ddey333 Wrote: কয়েকটা ব্যাপারে তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ...
১) এই গল্পটা এখন অবধি যা লিখেছো তার 90% কিন্তু পুরোনো আর মোটামুটি সবার পড়া তাই কমেন্ট এর সংখ্যা কম হওয়া স্বাভাবিক , অনেকের কমেন্ট " বাগদি বাড়ির ....." থ্রেড এর সঙ্গে ডিলিট হয়ে গেছে
২) শুধু গল্পের নতুন লেখা অংশের জন্য এখন অবধি ৩১৪ পোস্ট আর ১২৭৭২ ভিউস এবং এটা একটা বিরাট সাফল্য অন্তত আমার হিসেবে

তাই  ছিঁচকাঁদুনে বাচ্চাদের মতো ফ্যাচ ফ্যাচ না করে এগিয়ে চলো , আমার মতো অনেক পাঠকেরা বসে আছে সুনন্দ আর মঞ্জুর শেষ অবধি কি হবে সেটা জানার জন্য !!!   

Angry Angry

সাধে কি আর তোমায় গালাগালি দিই ?
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(24-11-2020, 03:08 PM)TumiJeAmar Wrote: এতো রাগ করতে নেই, সোনা।
সেই কবে থেকে পড়ছি এই গল্পটা, সেটাকে অকালে মেরো না।

মান্তু  সোনা আমার ! তোমার পাকুপাকু হয়েছে ! আমার কিন্তু কিছুই করার নেই !  devil2
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply




Users browsing this thread: 3 Guest(s)