Thread Rating:
  • 52 Vote(s) - 3.4 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Horror উপভোগ
[Image: 20201018-151743.jpg]
কাল রাত্রে আপডেট আসছে

[+] 5 users Like Baban's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
গল্পটা একবারেই শেষ করে ফেললাম,,,,অসাধারণ প্রেক্ষাপট,,,, অসাধারণ কাহিনী,,,যেমন আবেদন আছে গল্পে তেমন রহস্য আর গা ছমছম করা ব্যাপার ও আছে,,,,চমৎকার,,,, খুব ভালো হচ্ছে,,, চালিয়ে যান দাদা,,,,

পরের আপাডেটের অপেক্ষায় রইলাম।
[+] 1 user Likes Shoumen's post
Like Reply
(20-10-2020, 04:49 PM)Shoumen Wrote: গল্পটা একবারেই শেষ করে ফেললাম,,,,অসাধারণ প্রেক্ষাপট,,,, অসাধারণ কাহিনী,,,যেমন আবেদন আছে গল্পে তেমন রহস্য আর গা ছমছম করা ব্যাপার ও আছে,,,,চমৎকার,,,, খুব ভালো হচ্ছে,,, চালিয়ে যান দাদা,,,,

পরের আপাডেটের অপেক্ষায় রইলাম।

অনেকদিন পর আপনার কাছ থেকে কমেন্ট পেয়ে সত্যিই ভালো লাগলো. এইভাবেই পাশে থাকবেন  Heart
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
banana banana banana banana banana
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 1 user Likes pinuram's post
Like Reply
কি ব্যাপার , পিনুদা নাচানাচি শুরু করলো কেন ???
আরে এটা সাংঘাতিক ভয়ের গল্প , নাচার কিছু তো পাইনি !!!!!!!! 

Dodgy
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(21-10-2020, 09:42 AM)ddey333 Wrote: কি ব্যাপার , পিনুদা নাচানাচি শুরু করলো কেন ???
আরে এটা সাংঘাতিক ভয়ের গল্প , নাচার কিছু তো পাইনি !!!!!!!! 

Dodgy

ভয় পেলে মানুষ কি করে বলত, হনুমান চালিশা পড়ে, আমি ত ভাই বাঁদরের গোষ্টি ভুক্ত তাই ভয় হোক বা আনন্দ হোক আমি নাচানাচি করেই থাকি !!!!!!
[Image: 20210115-150253.jpg]
[+] 2 users Like pinuram's post
Like Reply
(21-10-2020, 09:36 AM)pinuram Wrote: banana banana banana banana banana

Lagta hai ... Pinuda........ Khush hua banana Heart
Like Reply
(20-10-2020, 05:26 PM)Baban Wrote: অনেকদিন পর আপনার কাছ থেকে কমেন্ট পেয়ে সত্যিই ভালো লাগলো. এইভাবেই পাশে থাকবেন  Heart

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ,,, অবশ্যই পাশে আছি,,, পাশে থাকব,,,আপনার সব গুলো গল্পই  অসাধারণ,,, এক একটা গল্পের প্রেক্ষাপট এক একটার চেয়ে সুন্দর,,, কি অসাধারণ লিখনি,,,  ভগবান আপনাকে অসাধারণ লিখনির গুন দিয়েই পাঠিয়েছেন,,,  আশা রাখি এরকম মজার মজার গল্প আর রগরগে গল্প আমাদের জন্য সব সময়ই লিখুন,,,,???
[+] 2 users Like Shoumen's post
Like Reply
আমার গল্পের লাস্ট চ্যাপ্টারের আপডেট দিয়েছি দাদা | তোমার মতামত জানতে পেলে খুব ভালো লাগতো | আশাকরি সাথে অবশ্যই বলতে হবে না, তোমার গল্পের নতুন আপডেটের অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছি | ভালো থেকো দাদা | Heart 


সুকুমার বাবু লক্ষ্য করে দেখেছিলেন আজকাল ভাস্বতীর মুখের দিকেও ভালো করে তাকিয়ে কথা বলেনা মৃণাল | খুশিই হয়েছিলেন তাতে, বন্ধুকে আবার আগের মত স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পেরেছিলেন | কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা চরম মারাত্মক হবে তা কি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন !

https://xossipy.com/showthread.php?tid=28896&page=19
[+] 1 user Likes sohom00's post
Like Reply
Star 
[Image: 20200927-182716.png]
১২



(আগের পর্বের পর)

শান্তনুর থেকে ঠিকানা নিয়ে সেই দোকানে পৌঁছলেন দীপঙ্কর বাবু.  বেশ বড়ো দোকান. দেখেই বোঝা যাচ্ছে দোকানের খ্যাতি আর আয়ু দুই বেশ পুরোনো. বেশ ভিড়. বাবা..... এখনও আজকের দিনেও লোকে এত পুরোনো জিনিস কিনে ঘর সাজায়?


চার পাঁচ জনকে কে পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই একটা ছোড়া হাসিমুখে এগিয়ে এলো ওনার কাছে.

- আসুন স্যার.... বলুন কি দেখাবো?

দীপঙ্কর বাবু গম্ভীর মুখে চোখ থেকে চশমাটা খুলে বললেন: আমি অবনী চ্যাটার্জীর সাথে দেখা করতে চাই. একটা দরকারি ব্যাপারে. কোথায় উনি?

কথা বলার ধরণ আর ভঙ্গি দেখেই ওই ছোকরা বোধহয় বুঝে গেলো এই লোক সাধারণ ক্রেতা নন... পুলিশ টুলিসের কেউ. তাই সে আসুন স্যার এদিকে বলে ওনাকে নিয়ে দোতলায় উঠে গেলো. চারিদিকে নানারকম আন্টিক মূর্তি, দেয়ালে সেই পুরোনো আমলের ঘড়ি, কয়েকটা টেবিলে সাজিয়ে রাখা পুরোনো কালের গ্রামাফোন. এসব দেখতে দেখতে ওপরে উঠে এলেন অর্কর মামা ওই ছেলেটার সাথে.

ছেলেটা ওনাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো একটা ঘরের দিকে. দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো দুজনে. দীপঙ্কর বাবু দেখলেন ভেতরে একটা টেবিলে এক বয়স্ক লোক... বয়স ৬০-৬৫ র বসে একজন কম বয়সী লোকের সাথে বসে কথা বলছেন. টেবিলে অনেক ফাইল, কাগজ, আর মূর্তি রাখা. এটা বোধহয় দোকানের অফিস.

ছেলেটি ঢুকতেই ভেতরের দুইজন তাকালো ওদেরই দিকে. বয়স্ক ব্যাক্তিটি কর্মচারীর সঙ্গে অপরিচিত ব্যাক্তিকে দেখে একটু ভুরু কুঁচকে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলেন - কি ব্যাপার? ইনি?

ছেলেটা: স্যার.... ইনি আপনার সাথে একটু কথা বলতে চান. আপনি যদি.....

অবনী বাবু: আমার সাথে?

দীপঙ্কর বাবু ভেতরে ঢুকে অবনী বাবুর দিকে এগিয়ে গিয়ে নমস্কার করে বললেন: নমস্কার অবনী বাবু... আমি দীপঙ্কর বোস. আমার ব্যাপারে শান্তনু বোধহয় আপনাকে জানিয়েছিল.

অবনী বাবু একবার ভুরু কুঁচকে ভেবেই পরোক্ষনে হেসে বললেন: ওহ! আপনি! আসুন আসুন..... নমস্কার.... এই কল্যাণ..... আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো. তুমি যাও.

শেষ কথাগুলো অবশ্য ঘরে বসে থাকা ছেলেটির জন্য ছিল. সে উঠে বাইরে বেরিয়ে গেলো.

অবনী বাবু: ইয়ে.... কি খাবেন? চা.. নাকি....

দীপঙ্কর: আজ্ঞে নানা... কিছুনা... ধন্যবাদ... আমি শুধু একটা মূর্তির ব্যাপারে আপনার থেকে কিছু ইনফরমেশন চাই...

অবনী বাবু সেই ছোকরা কে চলে যেতে বলার পর দীপঙ্কর বাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন : মূর্তির ব্যাপারে? তা আমি চেষ্টা করবো আপনাকে যতোটা সম্ভব সাহায্য করতে. তা কি মূর্তি বলুন?

দীপঙ্কর বাবু নিজের ফোনটা বার করে সেই মূর্তির ছবিটা সিলেক্ট করে ফোনটা অবনী বাবুর হাতে দিলেন. নিজের চশমাটা সেট করে অবনী বাবু ফোনটা হাতে নিয়ে চোখের সামনে সেটাকে ধরলেন আর ধরতেই ওনার যে প্রতিক্রিয়া হলো তা দেখে দীপঙ্কর বাবুও অবাক হয়ে গেলেন. অবনী বাবুর চোখ মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট. এমনকি ওনার হাত কাঁপছে. আতঙ্ক ফুটে উঠেছে ওনার মুখে. এরকম প্রতিক্রিয়া পাবেন সেটা ভাবেননি দীপঙ্কর বাবু.

অবনী বাবু তাকালেন দীপঙ্কর বাবুর দিকে তাকিয়ে আতঙ্কিত স্বরে বললেন: এ.. এই..... এই মূর্তির ছবি... আ.... আ.. আপনি কোথায় পেলেন?

দীপঙ্কর: সে বলছি কিন্তু...... কিন্তু আপনি হঠাৎ এরকম চমকে উঠলেন কেন?

অবনী বাবু নিজেই নিজেকে বলতে লাগলেন: একিকরে হয়? ও  তো.... ওতো বলেছিলো সে ওই মূর্তিটা বাইরে ফেলে দিয়েছিলো... তাহলে এটা আবার কিকরে? এতদিন পরে!!

অবনী বাবু নিজে আবোল তাবোল বকছেন শুনে বললেন: কি হয়েছে অবনী বাবু? আপনি এতটা চমকে উঠেছেন দেখে বুঝতে পারছি আপনি এই মূর্তি খুব ভালো করেই চেনেন. কি ব্যাপার? আমায় সব খুলে বলুন.... আমার জানা দরকার.

অবনী বাবু নিজেকে সামলে গ্লাস থেকে দু ঢোক জলপান করে নিজেকে শান্ত করলেন. তারপরে দীপঙ্কর বাবুর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলেন: আমি তো বলবো..... কিন্তু আমি যা বলবো..... আপনি কি তা বিশ্বাস করবেন? হয়তো ভাববেন বুড়ো বয়সে প্রলাপ বকছি. কিন্তু আমার প্রত্যেকটা কথা সত্য. এই মূর্তির সাথে যে কি বীভৎস রহস্য আর অতীত জড়িয়ে আছে তা আমি কোনোদিন ভুলবোনা.....

দীপঙ্কর বাবু টেবিলের ওপর দুই হাত রেখে অবনী বাবুর চোখে চোখ রেখে বললেন: বলেই দেখুন.... তারপরে বিশ্বাস করা না করা তো আমার ব্যাপার.... আপনি যা যা জানেন সব বলুন..... কি জানেন আপনি এই মূর্তি সম্পর্কে?

অবনী বাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ থেকে চশমা খুলে টেবিলে রেখে জানলার দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন -

এই ঘটনা বেশ অনেক বছর আগের. তখন আমার বয়স এই ধরুন আপনার মতোই... বা হয়তো একটু বেশি. এই দোকান আসলে আমার পিতার. আমি আর আমার পিতা শ্রী পরিমল চ্যাটার্জী মিলেই চালাতাম এই দোকান. তখনো এতবড় দোকান হয়নি. বাবার চলে যাবার পর আমিই এই দোকানের হাল ধরি. দোকানকে দাঁড় করাই. আমার বিয়ের পরে এই দোতলা বানাই. তা এইভাবেই বেশ ভালোই চলছিল. বেশ কিছু বছর আনন্দেই কাটে. আমার ছেলে হয়. যাক... নিজের ব্যাক্তিগত কথা আর না বা বললাম... তা   রোজকারের মতো একদিন আমি দোকানে বসে কাজ করছি. তখন একতলায় আমার অফিস ছিল. দোকানে একজন লোক ঢুকলো আর এদিক ওদিক দেখতে লাগলেন. সেদিন আবার দোকানে সেরকম ভিড় ছিলোনা. দুই কর্মচারীর একজন দোতলায় আরেকজন খেতে গেছে.

যে ঢুকলো তাকে দেখেই বুঝলাম এই দোকান থেকে কিছু কেনার সামর্থ এর মোটেও নেই. বলতে পারেন দেখেও খুব একটা ভালো লাগলোনা লোকটাকে. কেমন যেন দেখতে. খুব লম্বা আর তেমনি রোগা. আর গায়ের রঙ ততোধিক কালো. এরকম মানুষ আগে কোনোদিন দেখিনি. চোখে মুখে সতর্কতা. তাকে দেখে আমি এগিয়ে গেলাম তার কাছে. জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলবেন?

সে দাঁত বার করে হেসে বললো: জি.. জি... বলতেই তো এসেছি. আপনি কি দুকানের মালিক আছেন?

লোকটার কথা শুনে বুঝলাম সে অবাঙালি. আমি বললাম - হ্যা আমিই মালিক. বলুন.

সে বললো: আপনার সাথে থোড়া দরকারি কথা আছে... ভেতরে গিয়ে বসতে পারি  কি?

আমি তাকে নিয়ে আমার অফিস ঘরে বসলাম. সে বসে আরেকবার আমার দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে একবার হেসে নিলো. তারপরে নিজের ঝোলা থেকে একটা কাগজে মোড়ানো কি জিনিস বার করলো. কাগজ সরিয়ে সে যেটা বার করে আমার হাতে সেদিন দিয়েছিলো সেটাই হলো এই মূর্তি যার ছবি আপনার ফোনে. আমি প্রথমে সেইভাবে কিছু না বুঝেই বললাম: এটা কি?

লোকটা আবার হেসে বললো: ইটা হামার একটা সংগ্রহ করা জিনিস. বিদেশী জিনিস. হামার বাবার বাবা.. মানে দাদাজীকে এটা একজন বিদেশি সিপাহী এই দেশে আসার পর উপহার দিয়েছিলো. দাদাজী সিপাহী ছিলেন. একবার উনি ওই বিদেশী সিপাহীর জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন আর সেই জন্য কৃতজ্ঞতা মূলক সে দাদাজীকে ওই মূর্তি দেয়. এত বছর ধরে এই মুরাত হামাদের বাড়িতেই ছিল... কিন্তু অভি আমরা থোড়া পারেশানীর মধ্যে আছি তাই এটা বিক্রি করতে হচ্ছে. আপনি এটা নিবেন? খাঁটি জিনিস বাবু.... দেখবেন যে দেখবে সেই পসন্দ করে নিবে.

আমিও দেখলাম জিনিসটা সত্যিই দারুন. খুবই নিখুঁত কাজ.. তার ওপর বেশ পুরোনো. তাই কেনার চিন্তাই করলাম. আমি কিছু টাকার বিনিময়ে জিনিসটা নিয়ে নিলাম. যদিও আমি ভেবেছিলাম ওই টাকায় লোকটা এটা বিক্রি করতে হয়তো রাজী হবেনা কিন্তু দেখলাম সে ওই টাকাই নিয়ে নিলো, কোনো কথা বল্লোনা. তারপরে হাসি মুখে আমাকে ধন্যবাদ বলে বেরিয়ে গেলো. ঘর ছেড়ে বেরোনোর আগে আরেকবার মুখে ঘুরিয়ে ওই মূর্তিটা দেখলো তারপরে বেরিয়ে গেলো. আমিও বেশি কিছু না বলে জিনিসটা আমার কালেকশানে রেখে দিলাম.

একটানা এতগুলো কথা বলে অবনী বাবু থামলেন. তারপরে একঢোক জল খেয়ে আবার বলতে শুরু করলেন.

এরপর বেশ কিছুদিন পার হয়েছে. আমার ব্যাবসাও বেশ ভালোই চলছে. এমনই একদিন আমার এক বন্ধু দিব্যেন্দু আমার দোকানে আমার সাথে দেখা করতে এলো. দিব্যেন্দু জমিদার পরিবারের ছেলে. অঢেল টাকার মালিক. বেশ আয়েশি জীবন কাটায়. আমি তাকে সবসময় হাসি মুখে দেখেছি. কিন্তু ওর জীবনে একদিন দুঃখ নেমে আসে. ওর স্ত্রী হঠাৎ দু দিনের জ্বরে ওকে ছেড়ে চলে যায়. বহু চেষ্টা করেও কোনো ফল হয়নি. নিজের স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসতো দিব্যেন্দু. সে চলে যাবার পর খুবই ভেঙে পড়েছিল সে. ওর একমাত্র ছেলে তাপসই ছিল এখন ওর সব. সেই ছেলেকে নিয়েই বাকি জীবন কাটাবে ঠিক করলো. বাড়ির লোকেরা কত করে বলেছিলো আবার বিয়ে করতে কিন্তু সুচিত্রাকে... মানে নিজের স্ত্রীকে এতটাই ভালোবাসতো সে যে আর কোনো মেয়েকেই নিজের স্ত্রীয়ের স্থানে বসাতে সে রাজী হয়না.

আগে ও প্রায়ই চলে আসতো আমার দোকানে আড্ডা দিতে. নইলে আমিই চলে যেতাম ওদের বাড়ি. আমরা আয়েস করে গল্প গুজব করতাম.... কিন্তু স্ত্রীকে হারানোর পরে ও বেশ ভেঙে পড়েছিল. এতদিন পরে সেই তাকে আবার আমার দোকানে আসতে দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম. তাই তাকে আমার অফিসে নিয়ে গিয়ে বসালাম. দেখলাম পুরোটা না হলেও সময়ের সাথে কিছুটা হলেও নিজেকে সামলে নিয়েছে সে.

আমরা চা খেতে খেতে গল্প করছিলাম. হঠাৎই ওর নজর পড়লো আমার ঘরের শোকেসের কালেকশানে. কি একটা দেখে ও উঠে এগিয়ে গেলো শোকেসের কাছে.

দিব্যেন্দু: বাহ্..... খুব সুন্দর তো জিনিসটা. কোথায় পেলি?

অবনী: কোনটা বলতো... কোনটার কথা বলছিস?

দিব্যেন্দু শোকেস থেকে যেটা বার করে হাতে নিলো সেটাই ওই মূর্তি. ও ওটা নিয়ে আবার আমার কাছে ফিরে এসে বসলো. দেখতে লাগলো জিনিসটা. ওর চোখ মুখে দেখেই বুঝলাম জিনিসটা ওর পছন্দ হয়েছে. ওর বাড়িতে অনেক পুরোনো জিনিসের কালেকশন আছে... সবই প্রায় আমার থেকেই কেনা, নইলে অকশান থেকে. ও যদিও এসবের মর্ম সেইভাবে বোঝেনা.. শুধুই ঘর সাজাতে কেনে.

যাক গে... যেটা বলছিলাম.... ওকে জিনিসটা এইভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম: কি? পছন্দ?

ও সামান্য হেসে বললো: ভালোই.... মানে এত ছোটোর মধ্যে এরকম নিখুঁত কাজ খুব কমই দেখেছি. কত নিবি?

আমি সেদিন ওকে ওইটা এমনিতেই দিয়ে দিয়েছিলাম. যদিও ও দাম দিতেই চাইছিলো কিন্তু বন্ধুর ঐরকম সময়ে তার সাথে আর টাকার লেনদেন করতে ইচ্ছা করেনি. তাছাড়াও কিনেও ছিলাম সামান্য টাকায় তাই ক্ষতি কিছুই নেই. ও আরও কিছুক্ষন থেকে বিদায় নিয়েছিল. আমিও খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে ও আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে. এরপর আর বেশ কিছুদিন ওর সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি. আমিও কাজের চাপে ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি. মাস খানেক পরে একদিন ভাবলাম একবার ওর বাড়ি থেকে ঘুরে আসি. রবিবার সকাল নাগাদ একদিন গেলাম ওর বাড়িতে. ওর বাড়িতে সেই ভাবে আত্মীয় কেউ থাকেনা... সবাই যে যার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে. বাড়িতে মালিক বলতে ওরাই. দিব্যেন্দু আর ওর ছেলে. এছাড়া বাড়ির কাজের লোক জন.


বাড়িতে পৌঁছে প্রথমেই একটা ব্যাপার আমাকে অবাক করেছিল.

দীপঙ্কর বাবু: কি ব্যাপার?

অবনী: কাক.... সারা বাড়ির ছাদে বহু কাক বসে. মানে কাক বাড়িতে বসে সেটা অবাক করার ব্যাপার নয় অবশ্যই... কিন্তু এত কাক ওর বাড়ির ছাদে ছিল যে ব্যাপারটা না চাইতেও কেমন লাগে. যাইহোক আমি এড়িয়ে গেলাম ব্যাপারটা আর ভেতরে গেলাম.
আমাকে দেখে দিব্যেন্দু হাসিমুখে এসে আমাকে নিয়ে ওদের বসার ঘরে গেলো. ওকে দেখে আমি যতটা খুশি হলাম তার থেকেও বেশি অবাক হয়েছিলাম. আমি খুশি হয়েছিলাম এই দেখে যে ওর মুখে আনন্দ সুখের ছাপ... আর অবাক হয়েছিলাম ওর চোখে মুখে একটু বেশিই খুশির ছাপ. নিজের স্ত্রী বিয়োগের পর যে মানুষটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখেছিলাম তার চোখে মুখের হঠাৎ এতটা পরিবর্তন আমাকে সেদিন অবাক করেছিল. যদিও আমি সেটা প্রকাশ করিনি. ওর কথাবার্তার মধ্যেও সেই পুরোনো তেজ ফিরে এসেছিলো. ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেন ওর সাথে কিছুই হয়নি, যেন সব আগের মতোই.
বেশ কিছুক্ষন ওর সাথে গল্প করে ফিরে আসার সময় মনে পড়লো তাপস.. মানে দিব্যেন্দুর ছেলের জন্য কিছু চকলেট লজেন্স কিনেছিলাম.. তাই ওকে বললাম একবার তাপস কে ডাকতে. বেচারা মা মরা ছেলেটাকেও অনেকদিন দেখা হয়নি. দিব্যেন্দু ওপরে চলে গেলো আর একটু পরেই ফিরে এলো ছোট্ট তাপস কে নিয়ে. আমি ওকে আদর করে তারপরে ওর হাতে লজেন্স দিলাম. তাপস হাসিমুখে সেগুলো নিলেও কেন জানিনা মনে হলো ওই হাসিটা নকল. বরং ওর মুখে চোখে একটা ভয় একটা চিন্তার ছাপ ছিল. ওই টুকু বাচ্চার কিসের এত ভয় বা চিন্তা বুঝতে পারিনি আমি. ভেবেছিলাম মাকে হারানোর দুঃখ বোধহয় এখনও যায়নি. তাই ব্যাপারটাকে সেইভাবে নজর না দিয়ে বিদায় নিয়েছিলাম সেদিন.

কিন্তু বেশিদিন আর ব্যাপারটা ignore করতে পারিনি. আমার ছেলে আর দিব্যেন্দুর ছেলে একই কলেজে পড়তো. দুজনের বন্ধুত্ব ছিল. আমি আমার ছেলের থেকেই তাপসের খবর নিতাম. কেমন অবস্থা.. কতোটা নিজেকে সামলেছে... যতই হোক.. ছোট বাচ্চা.. মাকে হারিয়েছে... তাই ওর ওপর আমার ছেলেকে একটু খেয়াল রাখতে বলতাম. আমার ছেলে আমায় বলতো যে তাপস কিছুদিন হলো আগের থেকেও আরও বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে. কারোর সাথে সেইভাবে কথা বলেনা... বন্ধুদেরও এড়িয়ে চলে... একটুতেই নাকি চমকে ওঠে.

এরপরে অবনী বাবু দীপঙ্কর বাবুর দিকে সোজা তাকিয়ে বললেন: কিন্তু একদিন আমার ছেলে বাড়ি ফিরে আমায় যা বললো... তা শুনে.......

দীপঙ্কর: কি? কি বলেছিলো আপনার ছেলে?

অবনী বাবু: সেদিন আমার ছেলে আমায় জানায় যে তাপস হয়তো মেন্টালি অসুস্থ হয়ে পড়েছে. আমি কারণ জানতে চাওয়ায় আমার ছেলে বললো তাপসের এইরকম ব্যবহারের পরিবর্তন দেখে আমার ছেলে ওকে সেদিন চেপে ধরে. ওকে জোর করে সত্যিটা জানতে... কেন তাপস এরকম চুপচাপ হয়ে গেছে সেটা জানতে চায়. যদিও তাপস প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি কিন্তু বন্ধুর পীড়াপীড়িতে শেষমেষ বলতে রাজী হয়. আর যে কথাটা ও আমার ছেলেকে বলে.. আর আমার ছেলে আমাকে বলে সেটা শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেছিলাম দীপঙ্কর বাবু.

দীপঙ্কর বাবু: কি বলেছিলো তাপস?

অবনী বাবু ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে কাঁপা স্বরে বললেন : তাপস বলেছিলো..... ওর মা... ওর মা নাকি ফিরে এসেছে!!!

দীপঙ্কর: what !! কি বলছেন আপনি!!






চলবে......



বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের আপডেট? কমেন্ট করে জানান আর ভালো লাগলে লাইকরেপস দিতে পারেন.
[Image: 20240716-212831.jpg]
[+] 14 users Like Baban's post
Like Reply
হমম বেশ রহস্য রোমাঞ্চে ভরা পর্ব। বৌদ্ধিক তন্ত্রসাধনা আর দশমহাবিদ্যার আরাধনায় এরকম মূর্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রেতযোনীর তন্ত্রসাধনায় এরূপ নারীমূর্তি ব্যবহার করা হয় কৃচ্ছ সাধনের জন্য। 
[+] 2 users Like Mr Fantastic's post
Like Reply
দশমহাবিদ্যা ! এখনো কি আছে? জানিনা ঠিক ! তবে হরর স্টোরি মাঝরাতে ভালো লাগে ! লেগে থাকো ভাই ! আমি নিজেই ভূত হয়ে তোমার মারবো !
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(21-10-2020, 08:41 PM)dada_of_india Wrote: দশমহাবিদ্যা ! এখনো কি আছে? জানিনা ঠিক ! তবে হরর স্টোরি  মাঝরাতে ভালো লাগে ! লেগে থাকো ভাই ! আমি নিজেই ভূত হয়ে তোমার মারবো !

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই.
 কিন্তু দাদা আমি কি করলাম? আপনি ভুত হয়ে আমার মারবেন কেন? আগেই বলেদি... আমি কিন্তু  ঐরকম নই দাদা....আমি যাকে বলে - chota sa , pyara sa , nannha sa , baccha hu... Aaauuuuuuuu  Big Grin Big Grin Big Grin Big Grin
Like Reply
(21-10-2020, 08:41 PM)dada_of_india Wrote: দশমহাবিদ্যা ! এখনো কি আছে? জানিনা ঠিক ! 


আছে বইকি ! অমাবস্যার শনিবার দেখে এখনও কালীঘাট শ্মশানে তন্ত্রসাধনার আসর বসে। দশমহাবিদ্যার সবচেয়ে ভয়ঙ্করী আর শক্তিশালী  অবতার হচ্ছে মহাডামরী ( স্মশান কালীর একটি রূপ )। এর তেজ এতোই প্রবল যে অনেক সাধকই সহ্য করতে না পেরে শব ছেড়ে উঠে যায়, তাই সিদ্ধিলাভ হয় না আর। মহাডামরী ইচ্ছা মতো রূপ পরিবর্তন করতে পারে, শরীরী ছলাকলার প্রলোভন, উদ্দাম যৌনাচারের আহ্বান তো আছেই !
[+] 2 users Like Mr Fantastic's post
Like Reply
(21-10-2020, 09:18 PM)Mr Fantastic Wrote: আছে বইকি ! অমাবস্যার শনিবার দেখে এখনও কালীঘাট শ্মশানে তন্ত্রসাধনার আসর বসে। দশমহাবিদ্যার সবচেয়ে ভয়ঙ্করী আর শক্তিশালী  অবতার হচ্ছে মহাডামরী ( স্মশান কালীর একটি রূপ )। এর তেজ এতোই প্রবল যে অনেক সাধকই সহ্য করতে না পেরে শব ছেড়ে উঠে যায়, তাই সিদ্ধিলাভ হয় না আর। মহাডামরী ইচ্ছা মতো রূপ পরিবর্তন করতে পারে, শরীরী ছলাকলার প্রলোভন, উদ্দাম যৌনাচারের আহ্বান তো আছেই !

ওরেবাবা!!! দাদা আপনি তো অনেক কিছু জানেন!! তা আপনিও আমার মতো এরকম একটা তন্ত্র মন্ত্রের গল্প লিখুন না... পড়ে মজা পাবো আমরা. আপনি পারবেন.. কারণ এসব বিষয় আপনিও দেখছি বেশ কিছু জানেন. আমার মতো এই তন্ত্র বিদ্যা সম্মানের চোখে দেখেন জেনে ভালো লাগলো. 

 আসলে কোন বিদ্যা কিভাবে প্রয়োগ করা হবে সেটা নির্ভর করে মানুষের চিন্তার ওপর. একই বিদ্যা ভালো কার্যে ব্যবহার করা যেতে পারে আবার কারোর অনিষ্ট করতেও. তবে কিছু বিদ্যা আছে যেগুলোর কাজই অনিষ্ট করা. খুবই ভয়ানক সেগুলি! আমাদের অঘোর তন্ত্রে নানারকম নিয়মাবলী লেখা আছে.

তবে এক্ষেত্রে আমি আগেই বলেদি আমার গল্পের মোহিনীর সঙ্গে এসবকে জড়িয়ে ফেলবেন না. ইনি কোনো দেবী নয়..... যৌন বিষয়ক গল্পে আমি কোনোভাবেই কোনো দেবীকে নিয়ে আসা... অন্তত এইভাবেই নিয়ে আসার বিপক্ষে. দেবী আমার চোখে মা.... আর মাকে নিয়ে এই ধরণের  নোংরামি আমি লিখতে পারবোনা. অর্থাৎ দেবী মাকে নিয়ে. 
[+] 5 users Like Baban's post
Like Reply
(21-10-2020, 08:41 PM)dada_of_india Wrote: দশমহাবিদ্যা ! এখনো কি আছে? জানিনা ঠিক ! তবে হরর স্টোরি  মাঝরাতে ভালো লাগে ! লেগে থাকো ভাই ! আমি নিজেই ভূত হয়ে তোমার মারবো !

বহু সাধ্য সাধনার পর তোমার ,পিনুদার , বোরসেস দাদার মতো ভূত দের ফিরিয়ে এনেছি আমরা ,

যা করবে শিরোধার্য

Namaskar happy
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
এই পার্টটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল মেন্ স্ট্রিমের কোন ভৌতিক গল্প পড়ছি। দারুন লাগল বাবান দা। আশা রাখি মোহিনীর ইতিহাসের সাথে আরো কিছু রোমহর্ষক ঘটনাও পাবো।
[+] 2 users Like Max87's post
Like Reply
(21-10-2020, 11:23 PM)Max87 Wrote: এই পার্টটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল মেন্ স্ট্রিমের কোন ভৌতিক গল্প পড়ছি। দারুন লাগল বাবান দা। আশা রাখি মোহিনীর ইতিহাসের সাথে আরো কিছু রোমহর্ষক ঘটনাও পাবো।

অনেক ধন্যবাদ ❤️ সাথে থাকুন.

বন্ধুরা এখনও যাদের নতুন পর্ব পড়া হয়নি পড়ে নিন.
Like Reply
দাদা আবার দারুণ আপডেট. আপনার লেখার স্টাইল টাই এমন যে যেন প্রতিটা চরিত্র ও মুহূর্ত চোখের সামনে দেখতে পাই. এই মূর্তির একটা কার্য জানতে পেরেছি যে এটা যার বাড়ি যায় সেই বাড়িতে বিপদ নেমে আসে. কিন্তু একটা ব্যাপার আজকের পর্বে লক্ষ্য করলাম অবনী বাবুর কাছে যে লোকটা মূর্তি বিক্রী করতে এসেছিলো আর অর্ককে যে লোকটা মূর্তিটা দিয়েছিলো দুজনের কথা বলার ভঙ্গি চেহারা একদম এক. তাহলে কি দুজনে একই লোক?
ব্যাপক লাগছে গল্পটা দাদা. রেপস লাইক দিলাম.
[+] 3 users Like Avishek's post
Like Reply
ধন্যবাদ Avishek❤️ বাহ্ আপনি ব্যাপারটা লক্ষ করেছেন তাহলে? ভেরি গুড..... সাথে থাকুন সব জানতে পারবেন.
আর সকলকে একটি কথা জানানো প্রয়োজন....যদিও বলার প্রয়োজন নেই তাও বলি এটি রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প.. তাই এটিকে সেইভাবেই দেখবেন.... বাস্তব অবাস্তবের সাথে জড়িয়ে দেখতে যাবেন না.... কারণ বাস্তবের এমন অনেক কিছুই ঘটে বা গুপ্ত অবস্থায় থাকে যা আমাদের কল্পনাকেও হার মানায়. ওই যে কথাতেই আছে Truth is Stranger than fiction !
সাথে থাকুন.
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply




Users browsing this thread: 13 Guest(s)