15-09-2020, 02:10 AM
Indian Private Cams | Porn Videos: Recently Featured XXXX | Most Popular Videos | Latest Videos | Indian porn sites Sex Stories: english sex stories | tamil sex stories | malayalam sex stories | telugu sex stories | hindi sex stories | punjabi sex stories | bengali sex stories
Thriller অঞ্জলী দি
|
15-09-2020, 10:39 AM
(15-09-2020, 02:07 AM)TheLoneWolf Wrote: যারা মাসুদ রানা/কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা পড়েছেন তারা হয়তো ভাল আন্দাজ করতে পারবেন। কারন গল্পের এই জায়গায় উনি বলেছিলেন যে গল্পে মাসুদ রানার মতো একটা রহস্য আনার চেষ্টা করবেন। নতুন কেউ শেষ করলে বলবো নিজের মতো করে শেষ করতে, নিজের কল্পনায় যেভাবে হয় আরকি। তাও বলবো প্লিজ শেষ করুন কেউ। in fact, Xossip এ আমার যোগ দেওয়ার একমাত্র কারণ ছিলো এই গল্পটা পড়া। মাসুদ রানার গল্প আমি পড়েছি তাও ২০ টা মত বই কিন্তু ,এখানে লেখক আগাম কোন ক্রু রাখেনি তাই। ওভাবে লেখা আমার পক্ষে কষ্ট কর। আমি ইতিমধ্যো একটা পর্ব লিখেছি নিজের মত করে ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
15-09-2020, 12:14 PM
(14-09-2020, 10:55 PM)Kolir kesto Wrote: গল্পটার সমস্যা শুরু এখান থেকেই। পুরো গল্পে কোথাও রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়নি। হঠাৎ লেখক একটা রহস্যর জাল বুনেছে। আর সেই কারনেই লিখতে সমস্যা হচ্ছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ গল্পটা পড়ার পর চুপিচুপি চলে না যেয়ে ,আমার পড়ে কোথায় কি ধারনা করলেন , ছোট করে হলেও দুটি মন্তব্য করে যাবেন। দাদা আপনিই এগিয়ে নিয়ে যান গল্পটা। প্রথমে অঞ্জলী আর অমিতের মধ্যে প্রেম পুনরুজ্জীবিত হবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় ছিল, এখন সেটা মিটেছে। আর মণিশঙ্করকে সম্পত্তির লোভে পারিবারিক শত্রু ভাবছিলাম, কিন্তু লেখক সেই সম্ভাবনা রাখেনি। যদিও মণিশঙ্কর রাতারাতি পাল্টে যাবার লোক নয় বলে আমার ধারণা। আর মার্গারেট একজন বিদুষী আর সাহসিনী নারী যার মনে অমিতের প্রতি একটা ভালোবাসা আছে, সেটা এতো তাড়াতাড়ি ফিকে হতে পারে না। মার্গারেটকে আরও ভালো ভাবে ব্যবহার করতে হবে। মূল ষড়যন্ত্রকারী বাইরের কেউ যার সাথে মণিশঙ্করের যোগাযোগ আছে বলে আমার বিশ্বাস। লকারে সম্ভবত কোনো বেআইনি ব্যবসার দলিল আছে যার ব্যাপারে জীবদ্দশা অবধি ঠাকুরমা কাউকে কিছু এতদিন জানতে দেয় নি। আর সেই দু-নম্বরি ব্যবসার দ্বিতীয় পার্টনার সম্ভবত এখন পুরো শেয়ার হাসিল করতে চায়, তাই তারা ঘরের খবর জানতে মণিশঙ্করকে নিজেদের দলে টেনেছে। আর অমিতকে মনি বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজনবোধ করেছে কারণ সেই সম্পত্তি সম্ভবত অমিতের নামেই রেখে গেছেন ঠাকুরমা, তাই কোনো কিছু করতে হলে অমিতের বিশ্বাস অর্জন আর স্বাক্ষর ভীষণ দরকার। অজ্ঞাত শত্রু রাজনৈতিক নেতাকেও হাত করেছে আগেভাগে দলে টেনে। এসব পুরোটাই আমার অনুমান অবশ্য।
15-09-2020, 01:09 PM
মার্গারেট আরও বেশি করে মাখোমাখো সম্পর্কে জড়াক মণিশঙ্করের সাথে, তাহলে গোপন শত্রুর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানতে পারবে আর সুযোগ বুঝে হানিট্র্যাপ করতে পারবে। আমার মনে হচ্ছে মণি নিজের ভাইয়ের ক্ষতি করতে না চাইলেও ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না কারণ ওই অজানা বিজনেস পার্টনার ( যে বেশ ভালো পরিমাণের শেয়ার হোল্ডার আর প্রভাবশালী ) হয়তো তাকে কোনো ব্যাপারে ব্ল্যাকমেলিং করছে।
15-09-2020, 02:52 PM
(15-09-2020, 10:39 AM)Kolir kesto Wrote: মাসুদ রানার গল্প আমি পড়েছি তাও ২০ টা মত বই কিন্তু ,এখানে লেখক আগাম কোন ক্রু রাখেনি তাই। ওভাবে লেখা আমার পক্ষে কষ্ট কর। আমি ইতিমধ্যো একটা পর্ব লিখেছি নিজের মত করে 20 ta enough vai. Mr. Fantastic er shathe ami ekmot. tobe apni apnar moto agiye jan vai. amra pashe achi.
15-09-2020, 05:55 PM
**************নতুন পর্ব******************
২৭ পর্ব দুজনেই উত্তেজিৎ কি আছে এর ভিতরে,অমিত আর উত্তেজনা চেপে রাখতে না পেরে বললো আচ্ছা কি থাকতে পারে এর ভিতরে?অঞ্জলী ডাইভ করতে করতে একবার অমিতের দিকে তাকিয়ে বললো,সেটা তো একটু পরই জানতে পারবো আমরা। কিন্তু তুমি যখন জানতে চাচ্ছো সেক্ষেএে বলতে পারি কোন দলিল বা গোপন নথি জাতীয় কিছু হতে পারে এটা আমার ধারনা।কারন ফাইলটা দেখে অনুমান করতে পারি কোন কাগজ পত্রই আছে! প্রায় বিশ মিনিট পর অঞ্জলীর গাড়ি থামলো আশ্রমের গেটে রামলাল গেট খুলে দিতেই হনহন দুজনে হেঁটে চলে এলেন অঞ্জলীর রুমে,দুজনেরই যেন আর তর সইছেনা।রুমে এসেই অমিত বললো এক গ্লাস জল দাও আগে উত্তেজনায় গলা শুকিয়ে গেছে।অঞ্জলী জল এনে দিতেই ঢকঢক করে খেয়ে নিয়ে বললো এবার এটা খোলো ভিতরে কি আছে না জেনে আর থাকা যাচ্ছেনা।অঞ্জলী এবার রুমের জানালা দরজা সব বন্ধ করে দিলেন,সাবধানের মার নেই।এবার অঞ্জলী এক এক করে মোড়ক খুলতে লাগলো,আর ততোই যেন দুজনেই আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে পরছে।সব শেষে দেখা গেলো কাংখিত জিনিস।অঞ্জলীর অনুমানই সঠিক ভিতরে অনেক গুলা কাগজ,কোন গুপ্তধন না।এবার অমিতের চোখ গেল প্যাকেটের কোনায় ছোট্ট একটা লাল ব্যাগ,ওটা হাতে নিয়ে অঞ্জলীর দিকে তাকালো,অঞ্জলী ব্যাগটা হাতে নিলো কিন্তু খুললো না। অমিত বললো কি হলো দেখো ওগুলা কিসের কাগজ আর কি আছে ওই ব্যাগে!না রাজকুমার এখন না।এখন আশ্রমে অনেক মানুষের আনাগোনা।তুমি বরং আজকের রাতটা এখানেই থেকো।তখন নিরিবিলিতে দুজনে দেখবো।কারণ আমার ধারনা এই কাগজ গুলা যখন ঠাকুমা এতো গোপন করে রেখেছে,তখন নিশ্চয় কোন ব্যাপার আছে।অঞ্জলীর কথার অবাধ্য হওয়া সেটা অমিত ভাবতেই পারেনা।তাই অঞ্জলীর কথাই মেনে নিলো। অঞ্জলী অমিতকে বিশ্রাম নিতে বলে বাইরে বেড়িয়ে গেলো,আশ্রমের দেখাশোনার জন্য।বাইরে পুকুর ঘাটে বসে আছে অঞ্জলী,পুজার আর বেশি দেরি নেই।ওদিকে সুব্রত হয়তো সব তথ্য প্রমান জোগার করে ফেলেছে,শুধুমাত্র অঞ্জলী তার দেবীর সমান তাকে মামণি বলে তাই এখনো ব্যাপারটা গোপন রেখেছে।অঞ্জলী জানতো ডাঃ অমলেশ মূখার্জীর মৃত্যুর জন্য একদিন না একদিন সে ফেসে যেতে পারে,কিন্তু অঞ্জলীর তাতে কোন কষ্ট নেই,তার বিদ্রোহী রাজকুমার ভাল আছে এটাই তার কাছে সব থেকে বড় ব্যাপার। অঞ্জলী কখন বেড়িয়েছে আসার আর কোন খোঁজ নাই।বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে অমিত একটু ঘুমিয়ে গেছিলো,যখন উঠলো তখন দেয়াল ঘড়িতে বলছে সন্ধ্যা ৬ টা।অনেকটা সময় ঘুমিয়েছে সে।কিন্তু অমিত জানে না এর মাঝে অঞ্জলী একবার এসেছিলো কিন্তু অমিত ঘুমাচ্ছে দেখে আর ডাকেনি,কিছুক্ষণ অমিতের ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেছে।তারপর অমিতের জন্য সন্ধ্যার নাস্তা বানিয়ে আবার তার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা পুকুর ঘাটে গিয়ে বসে আছে।অমিত উঠে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক খুঁজলো কিন্তু কোথাও না পেয়ে রিসেপসনের সুদীপ্তার কাছে গিয়ে বললো তোমাদের ম্যাডাম কোথায়?সেটা ঠিক জানিনা স্যার আমি দেখছি ফোন করে। অমিত বাঁধা দিলো না না তার দরকার নেই,তুমি শুধু বলো আশ্রমের কোথায় থাকতে পারে?স্যার ম্যাডাম অবসরে পুকুর ঘাটে বসে থাকেন। অমিত এবার পুকুর ঘাটের দিকে গেল,সত্যি অঞ্জলী বসে আছে,অমিত চুপিসারে গিয়ে পিছন থেকে অঞ্জলীর কাধে হাত রাখলো,অঞ্জলী প্রথমে একটু চমকে উঠলেও পরবর্তীতে পিছনে না তাকিয়েই বললো ও রাজকুমার তুমি।এবার অমিত সামনে গিয়ে অঞ্জলীর পাশে বসে বললো তুমি বুঝলে কি করে ওটা আমি!!অঞ্জলী অল্প হেসে বললো যার জন্য পুরো জীবন যৌবন উৎসর্গ করে দিলাম আর তার স্পর্শ বুঝবো না!! এবার অঞ্জলী উঠে দাঁড়িয়ে বললো চলো চলো তোমার জন্য নাস্তা বানিয়ে রেখেছি সেই কখন,চলো খাবে।আর একটু বসিনা!?অমিত বললো!না না এমনি তোমার শরীর পুরো ঠিক নেই।আগে চলো,আজ্ঞা বহন কারী অমিত চললো অঞ্জলীর পিছু পিছু। বন্যাকে অঞ্জলী ফোন করে জানিয়ে দিলো অমিত আজ তার কাছে থাকবে।বন্যাও সুযোগ পেয়ে দুষ্টুমী শুরু কি গো মাসিমনি আমার ছোট কাকুকে কি একদম ঘায়েল করে ফেললে!?এই দুষ্টু মাসিমনির সাথে দুষ্টুমি হচ্ছে দাঁড়াও কাল তোকে দেখাবো মজা। বন্যার সাথে কথা শেষে রাতের খাবার খেয়ে নিলো অমিত আর অঞ্জলী,খাওয়া শেষে অমিত বললো চলো ওগুলা দেখি আমার আর তর সইছে না।তুমি রুমে যাও আমি এগুলা গুছিয়ে আসছি,অমিত রুমে চলে গেল,অঞ্জলী দশ মিনিট পর রুমে ঢুকে জানালা দরজা সব বন্ধ করে দিলো।তারপর আলমারী থেকে ব্যাগটা বের করলো।তারপর দুজনে বিছানার উপর উঠে বসে ব্যাগ থেকে ছোট্ট লাল ব্যাগ আর কাগজ গুলা বের করবো,অনেক গুলা কাগজ এক দিস্তার মত।অঞ্জলী একবার অমিতের দিকে তাকিয়ে প্রথম কাগজটা হাতে নিলো,অমিভ ইশারায় পরতে শুরু করলো,,,! আমার বিদ্যোহী রাজকুমার এই সব কাগজ গুলো তুমি যখন পাবে তখন হয়ত আমি আর এই পৃথিবীতে থাকবো না।সেই জন্য রামলালের কাছে আমি একটা চিরকুট রেখে যাচ্ছি।তুমি যদি কখনো দেশে ফেরো এটা রামলাল তোমাকে দিবে,তা না হলে ওটা আর কারো হাতে পরবেনা।তুমি যখন এগুলো পরছো তার মানে তুমি চিরকুটের অর্থ বের করতে পারছো,আর আমি এটা মনে করি এই কাজেও তুমি অঞ্জলীর সাহায্য নিয়েছো।এতোটুকু পড়ে অঞ্জলী অমিতের দিকে তাকালো।থামলে কেন?শুরু করো!! এই কাগজ গুলো পেয়ে তুমি কি ভাবছো জানিনা,কিন্তু তোমার ব্যাকুলতা দমন করতে আগে থেকেই বলে রাখী এখানে কোন গুপ্তধনের ব্যাপার নেই।তাই কোন পাতা বাদ দিয়ে না পড়ে এক এক করে সব গুলো পড়ো। ইতি তোমার ঠাকুমা! তার মানে কোন গুপ্তধনের ব্যাপার না সেটা ঠাকুমা আগেই বলে রেখেছে,তাহলে কি আছে এসব কাগজে?অমিত কথা গুলো বললো অঞ্জলীর দিকে তাকিয়ে।সেটা জানিনা রাজকুমার তার থেকে বরং চলো সব গুলো পড়ে দেখা যাক,অমিত ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালো।আবার শুরু করলো অঞ্জলী,,,, এই কথা গুলো তোমার না জানলেও চলতো আমার বিদ্রোহী রাজকুমার কিন্তু আমি এক বিপদের আশাংকা দেখেছি তাই এগুলো লিখে যাচ্ছি যদি দেশে আসার পর তুমি এসব উদ্ধার করতে পারো তখন তুমি যাতে সাবধান হতে পারো।তুমি তখন জন্মাওনি দাদুভাই।আজ এসব বলতেও আমার খারাপ লাগছে কিন্তু তোমাকে না জানিয়ে আমি থাকতে পারলাম না।আমার ছোট ছেলে মানে তোমার বাবা ছিলেন তোমারই মত জেদি কিন্তু অতি সরল মানুষ জাগতিক প্যাচ সে বুঝতো তা,তোমার দাদু সবে মাএ আর্মি থেকে রিটায়ার্ড করে কিছুদিন অবসর কাটিয়ে এই রায় গ্রুপের ব্যাবসা শুরু করেছে।উনার পরিশ্রম আর সততায় কিছুদিনের ভিতর রায় গ্রুপ শহরের এক নামীদামী প্রতিষ্ঠানের খাতায় নাম লেখালো।আমার পাঁচ ছেলে আর এক মেয়ে,মেয়েটাকে আমার স্বামী চাকুরিতে থাকা অবস্থায় বিয়ে দেন,কিন্তু কপাল দোষে অল্প দিনে বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসতে হয়। তারপর একে একে সব ছেলের বিবাহ শেষে তোমার বাবা মানে আমার ছোট ছেলের বিয়ে দিই। আমাদের পরিবারে সবাই এক সাথে থাকা এবং এক আত্মা হলেও ছোট ছেলেটা ছিলো ঠিক তোমার মত আমার নেউটা।সব ঠিকঠাকই চলছিলো,ছেলেরাও বড় হয়েছে তোমার দাদু ছেলেদের ব্যবসার ভিতর ঢুকানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।যথা সময়ে ছেলেদের হাতে সব দ্বায়িত্ব তুলে দিলেন।কারো কোন সমস্যা নাই পরিবারে রাজ শেখর রায় চৌধুরি মানে তোমার দাদুর কথাই শেষ কথা।একে একে সব ছেলেদের সন্তানদি হলো,আমাদের বাড়িটাও নাতী নাতনিতে ভরে উঠলো,কিন্তু বিধিবাম আমার ছোট ছেলে বৌমার কোন সন্তান হলো না বিয়ের তিন বছরের মাথায়ও,এটা নিয়ে তোমার বাবা মা সাথে আমি আর তোমার দাদুও চিন্তিত হয়ে পরলাম,একদিন আমি তোমার মাকে আমার ঘরে ডেকে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে,তোমার মা যেটা বললো সেটা হলো এমন যে তারা প্রতিদিন চেষ্টা করছে কিন্তু হচ্ছেনা,কারণ হিসেবে তোমার বাবাকে দায়ী করলো। ছেলের বদনাম শুনে আমি গর্জে উঠলাম,তখন তোমার মা আমার পা ধরে কেঁদে বলে আপনি চাইলে নিজের চোখে দেখবেন,তবুও আমাকে আপয়া বলবেন না মা।আমি আপনার ছেলেকে খুব ভালবাসি তাই সব মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছি। সেদিনের মত তোমার মা কে বিদায় করে আমি এই ব্যাপারে তোমার দাদুর সাথে আলোচনা করি।ইতোমধ্যে রায় গ্রুপ অফ কোম্পানি শহরের এক নম্বর হয়ে গেছে আর সামাজিক মর্যাদা তখন আকাশচুম্বি এই অবস্থাতে রায় পরিবারের যে কোন ঘটনা বাইরে প্রকাশ পাওয়া মানে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাওয়া,তোমার মা যতোই তোমার বাবাকে ভালবাসুক নিজের ভালো সবাই একদিন না একদিন বুঝবে,স্বামীর আদরে মন না ভরার যন্ত্রনা একটা মহা যুদ্ধেরও তৈরি করতে পারে,তবুও একটা সন্তান হলে সেটা থামিয়ে রাখা যায়। ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
15-09-2020, 05:57 PM
দেখুন তো কাহিনী এমন হলে চলবে কিনা ??? আগেই বলেছি আমি বড় কোন লেখক নই। এবং মূল লেখক কি ভেবে রাখছিলো সেটাও জানিনা!!
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
15-09-2020, 06:09 PM
কোনো দলিল বা গোপন নথি থাকবে সেটা আমিও ভেবেছিলাম, কিন্তু এরকম ইতিহাস পাওয়া যাবে কল্পনা করিনি ! অমিতের বাবা কিনা পুরুষত্বহীন ! দ্বিতীয় শরিকের গন্ধ পাচ্ছি একটা...
15-09-2020, 06:27 PM
অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটা
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আপনি আপনার মতো লিখুন। রেপু দিলাম। সাথে আছি দাদা।
15-09-2020, 11:10 PM
Ei rastai jokhon jacchen, tokhon ekta suggestion dite pari. Make amit the son of the late Ray Choudhury for the sake of keeping his family's name, that would explain why his granny had an encounter with him and his striking resemblance with Mr late Ray Choudhury. And then continue with ur own storyline keeping some similarities with the actual story.
16-09-2020, 12:41 AM
২৮ পর্ব
এদিকে আমার ছোট ছেলে সহজ সরল অথচ প্রখর উপস্থিত বুদ্ধি,তার দরুণ কোম্পানির বড় বড় টেন্ডার গুলো অন্য কোম্পানি গুলোকে টপকে আমাদের কোম্পানিতে নিয়ে আসছে।এতে আমাদের কোম্পানি আরো ফুলে ফেপে উঠছে।তোমার দাদু আর আমি দুজনেই তার উপর খুব সস্তুষ্ট,এর ফলে আমার বড় ছেলে সিদ্ধার্থ সবার উপরে বসে থাকলেও সব জায়গাতে তোমার বাবার অগাথ যাতায়াত থেকে শুরু হলো সুনাম,খ্যাতি যেন ওর পিছু ছাড়ছেনা।মানুষ বলেনা কারো ভালো কেউ দেখতে পারেনা,সে যতোই নিজের লোক হোক,ঠিক তেমনি হলো আমার বড় ছেলে সামনে বা সরাসরি কিছু না বললেও তোমার বাবাকে ভাল চোখে দেখতে পেত না।সহজ সরল ছেলে আমার সেসবের ধার ধারতই না। সেদিন আমি আমার ছোট বৌমার সব কথা শুনে নিজের চোখে তাদের রাত্রিমিলন দেখার চেষ্টা করি।একদিন গভীর রাতে আমি গোপনে তাদের মিলন দেখি আর দেখি হতাশা আর তোমার মায়ের চোখের জল ছাড়া কিছুই চোখে পরেনি।চিন্তাতে আমার নাওয়া খাওয়া যাবার অবস্থা,কি হবে ওর ভবিষ্যৎ।তুমি বা অঞ্জলী আজ যে সিদ্ধার্থ কে দেখছো,সে কিন্তু আগে এমন ছিলো না।সামনে ভালো সাজলেও আমার চোখে সে ফাঁকি দিতে পারেনি,রায় পরিবারে কোথায় কি হয় সেটা আমার চোখে ফাঁকি দেয়া সম্ভব না।সেটার প্রমাণ স্বরুপ বলি,তোমার বড় জেঠু মানে আমার বড় ছেলের সাথে আমার বিধবা মেয়ের যে একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো এবং সেই কার্যের প্লান করেছিলো অঞ্জলী সেটাও আমি জানি।কিন্তু তাতে আমি রাগ করিনি অঞ্জলীর উপর কারণ আমার মেয়ে সুহাসিনী যে অঞ্জলীকে এই বাড়িতে থাকতে দেবার পক্ষে ছিলো না,সেটা আমি জানি,তাই অঞ্জলী নিজের জায়গা শক্ত করতেই এই কাজটা করেছে।তাই তার উপর আমার কোন রাগ নেই। এতোটুকু পড়েই অঞ্জলী অপরাধীর মত অমিতের দিকে তাকালো।আমি সত্যি এটা করতে চাইনি কিন্তু কি করবো তুমি তো জানো পিসি কথায় কথায় কি সব বলতো।ঠাম্মি যখন তোমাকে মাফ করে দিয়েছে।সেখানে আমার কিছু বলার নেই অমিত বললো।তুমি পড়া শুরু করো। একদিন রাতে রাজ শেখর মানে তোমার দাদু যখন প্রবল বিক্রমে আমাকে চিরে ফেলছে,তখন আমি আমার বড় ছেলের সাথে ছোট ছেলের সম্পর্ক কেমন আর তোমার মায়ের সাথের বিষয়টা বললাম।দেখো ছোটর যদি সন্তানাদি না হয়,তাহলে বৌমা কিন্তু সারা জীবন মুখ বুজে সহ্য নাও করতে পারে।আর আমরা যখন থাকবো না তখন নিঃসন্তান আমার ছেলেটা এমনি কষ্টে তো মরবেই,তার উপর বড় ছেলে কিন্তু ওকে সারাজীবন হেয় করে রাখবে তাই কোন একটা উপায় বের করো তুমি। একটা কথা বলে রাখি দাদু আজ যেমন এই বাড়িতে শুধু তুমি আমার খোঁজ নাও তখন ঠিক তোমার মতই ছিলো তোমার বাবা। কিছুদিন চিন্তা ভাবনা করেও যখন কোন সুরাহা হলো না,বৌমাকে বললাম ওকে ডাঃ দেখাতে বলতে,বৌমা নাকি সেটা আগেই বলেছে কিন্তু জমিদারী রক্ত যার শরীরে সে কি নিজের দোষ কখনো চোখে দেখে।তারপর একদিন আমিই তোমার দাদুকে বললাম তুমি দিবে একটা সন্তান!আমার কথা শুনে তোমার দাদু আমার দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলো।কি বলছো তুমি ভেবে বলছো?এমন নিচ কাজ আমাকে করতে বলছো?তোমার দাদু রেগে গেল।তোমার কাছে বলতে লজ্জা নেই দাদুভাই মেয়েদের কাছে পুরুষ বধের এক কল আছে শুধু চাবি ঢুকিয়ে দিলেই হলো।আমিও তোমার দাদুকে চিৎ করে ফেলে দিয়ে কলের ভিতর চাবি দিলাম অমনি তোমার দাদু গলে বরফ হয়ে গেল।কলে দম দিতে দিতে তখন তাকে বুঝাতে লাগলাম, দেখো তুমি আমিতে ছিলে আমাকে ছাড়াই বাইরে বাইরে থেকেছো,আমি জানি এমন যন্ত্র নিয়ে কেউ শুধু শুধু বসে থাকে না।আর তুমি সেটা আমার কাছে স্বীকারও করেছো।আমি তাতে কোন আপত্তী করিনি।আর একটি বার তেমন করলে কি এমন ক্ষতি হবে।পুরানেও তো এমন কতো কাহিনী আছে!!দেখো তারা অন্য মেয়ে ছিলো,আর এ আমার বৌমা নিজের মেয়ের মত,তাছাড়া ওই দিনের পর তার সামনে আমি বা সেই কি করে মুখ দেখাবো। সে ব্যবস্থা আমি করবো লক্ষীটি তুমি শুধু রাজী হয়ে যাও।না হলে আমাদের এই সুখের সংসারে ভাঙ্গন ধরবে।আজ যদি বৌমার কোন দোষ থাকতো তাকে বিদেয় করে নতুন বৌ আনতাম,কিন্তু দেখো সমস্যা আমাদের ছেলের,তাই সে উপায় নেই আর এমন লক্ষ্মী বৌমা যে কিনা স্বামীর আদর থেকে বঞ্চিত হয়েও মুখ বুজে আছে এমন মেয়ে কি আর পাবে।তাছাড়া রায় পরিবারের বংশধর হবে রায় পরিবারের বাইরের কারো ঔরসজাত সেটা আমি মেনে নিতে পারবো না।রাজ শেখর কিছুক্ষণ গভীর চিন্তা করে বললো আচ্ছা তাই হবে।কিন্তু বৌমা যেন জানতে না পারে এটা কার দ্বারা হচ্ছে। আজ তোমায় বলতে কষ্ট হচ্ছে দাদু ভাই,তবুও বলছি তুমি তোমার বাবার না তোমার দাদুর অর্থাৎ রাজ শেখরের ঔরসজাত সন্তান।তারপর একদিন তোমার মাকে সব বুঝিয়ে বলি,কিন্তু কার দ্বারা এটা করা হবে সে ব্যাপারে কোন কিছু জানতে দিইনি।তোমার মা তো রীতিমত বিদ্রোহ করে বসে প্রথমে,পরে তাকে বুঝিয়ে বলি ভবিষ্যতের কথা তাছাড়া আমি শাশুড়ি হয়ে যখন অনুমতি দিচ্ছি তখন সমস্যা কোথায়।সব শেষে নিমরাজী হয়ে সম্মতি দেয় তোমার মা। একদিন সময় বুঝে ইচ্ছা করে তোমার বাবাকে কোম্পানির একটা কাজে দূরে পাঠাই,আর সেদিন রাতে তোমার মাকে আমার ঘরে ডেকে নিই,তারপর তোমার মায়ের চোখ বেঁধে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আমি মাথার কাছে বসে থাকি।তারপর আর বর্ণনার অপেক্ষা থাকে না। তোমার দাদুর দ্বারা তার গর্ভ সঞ্চয় হয়। এভাবে সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো,কিন্তু কালো মেঘের ছায়া পরলো কিছুদিন পর।তোমার বাবা কিছুদিন পর নিজে থেকে কি ভেবেই ডাঃ এর কাছে যায় আর জানতে পারে তার অক্ষমতার কথা।ততোদিনে তুমি তোমার মায়ের পেটে বেড়ে উঠছো,এমনিতে তোমার বাবা চিন্তায় দিন পার করছিলো,কিন্তু তোমার মায়ের অবস্থা দেখে পাগল হয়ে গেলো।তোমার মাকে খারাপ মেয়ে ছেলে ভেবে শুরু করলো নতুন অশান্তি কিন্তু সেটা তাদের ঘরের চার দেওয়ালের মাঝেই সীমাবদ্ধ।আমি জানতে পেরে তোমার বাবা কে আমার ঘরে ঢাকলাম একদিন,তোমার বাবা কান্নায় ভেঙ্গে পরলো।ছেলের এমন অবস্থা দেখে আমি তখন সত্যিটা বললাম তাকে শুধু কার দ্বারা সেটা বাদে।আর এটাও বলে দিলাম,বৌ এই ব্যাপারে কিছুই জানে না এমনকি সে রাজিও ছিলো না।তাই এই ব্যাপারটা চিরদিনের মতো গোপন রাখবে।আমার কথার উপর কোন কথা বলার সাহস ছিলো না তোমার বাবার। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয়ে যায় আর এক।দিন দিন তোমার বাবা ভেঙ্গে পরলেন।এর মধ্যে কিভাবে জানিনা তোমার বাবার যে সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা নেই সেটা জেনে গেলো তোমার জেঠু সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী।আর তোমার বাবাকে পরস্ত করার মারণ অস্ত্র হিসেবে সেটাই ব্যবহার করলো।কিন্তু সবই হচ্ছে নীরবে।ধীরে ধীরে তোমার বাবাকে মারছে।যাকে বলে Silent killing,সব দেখে তোমার জেঠুকে একদিন ডাকলাম,কিন্তু বুঝানোর জন্য ডেকে সে আমাকে রীতিমত হুমকি দিলো,যে বাইরের কারো সন্তান এই রায় পরিবারের উত্তরাধীকারি হতে পারেনা। আমিও অপারগ ছিলাম কি করে বলি যে এ সন্তান রায় পরিবারের বাইরের না,রায় পরিবারেরই। তারপর কেটে গেছে কয়েকটা মাস সব দেখে তোমার দাদুর মত মানুষ ও ভেঙ্গে পরলো,ভাল করতে যেয়ে চোখের সামনে পরিবারের ভাঙন দেখতে হবে সেটা তিনি ভাবেননি।তাই চিন্তায় কষ্টে তুমি জন্মাবার দু'মাস আগে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।যাবার আগে আমি বলেছিলাম তুমি চলে গেলে কে দেখবে আমায়?উত্তরে বলেছিলেন কেন আমি তো আবার আসবো তোমার রাজ শেখর হয়ে।তাই তো দাদুভাই আমি তোমাকে মাঝে মাঝে রাজ শেখর বলতাম,কারণ তোমার ভিতর আমি সেই রাজ শেখরের জেদ,তেজ আর পরিক্রমা দেখেছিলাম,আমার প্রতি তোমার ভালবাসা,তাই সেদিন তোমাকে রাজ শেখরের স্থানে বসিয়ে তোমাকে মনের সাথে এই দেহখানও দান করেছিলাম!! পড়া থামিয়ে অমিতের দিকে তাকাতেই অমিত বললো হা ঠাম্মি সেদিন কেমন যেন ব্যবহার করছিলো,বার বার রাজ শেখর বলছিলো,কেষ্ট ঠাকুর বলছিলো, ওটাই আমার প্রথম আর শেষ ঠাম্মীর সাথে।আর কি পড়বো রাজ কুমার??কি আর পড়বে বলো,আজ নিজেকে নতুন করে জানছি।আমার যে জন্মের আগেই কপাল পোড়া অঞ্জলী। মন খারাপ করোনা রাজকুমার ভগবান যা করেন ভালোর জন্যই করেন।কিন্তু আমি ভাবছি এসব কথা ঠাম্মী তো না জানালেও পারতো তোমাকে।হা এটা অতি গোপন বিষয় তাই উনি এতো সিক্রেট ভাবে রেখেছে,কিন্তু এর সাথে তোমার বিপদের কি সম্পর্ক??আমিও তাই ভাবছি অঞ্জলী।আচ্ছা এক কাপ কফি আনতে পারবে।মাথাটা ধরছে একটু,খেতে খেতে না হয় বাকিটা পড়া যাবে হয়ত আরো কিছু জানা যাবে।কারণ ঠাম্মী বলছে ধাপে ধাপে পড়তে তাছাড়া আমি আজকেই এগুলা সব পড়ে শেষ করতে চাই। অঞ্জলী কফি আনতে চলে গেলো,ফিরে আসলো একটু পর হাতে একটি মাএ কাপ!কি ব্যাপার তুমি খাবেনা??প্রশ্ন করলো অমিত!!অঞ্জলী বসতে বসতে বললো পরিমানে একটু বেশি করেই এনেছি!!ইঙ্গিতটা প্রথমে না বুঝলেও পরে ঠিকই ধরে ফেললো অমিত।তারপর নিজে কাপে একটা চুমুক দিয়ে কাপটা বাড়িয়ে দিলো অঞ্জলীর দিকে!!!!! ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
16-09-2020, 07:42 AM
অঞ্জলী আর অমিতের একটা মধুর মিলন দিলে মনে হয়গল্পটার প্রান ফিরে আসতো(আমার ধারনা) ।
16-09-2020, 10:16 AM
(16-09-2020, 07:42 AM)abdi1234 Wrote: অঞ্জলী আর অমিতের একটা মধুর মিলন দিলে মনে হয়গল্পটার প্রান ফিরে আসতো(আমার ধারনা) । সবই হবে কিন্তু সঠিক সময় এবং গল্পের প্রয়োজনে। আমি অযথা যৌনতা পচ্ছন্দ করি না। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটা রহস্য তৈরির চেষ্টা করছি মাএ। এতো তাড়া কিসের ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
16-09-2020, 11:04 AM
ব্যাপারটা মন্দ হচ্ছে না, তবে শত্রু সেই পরিবারের মধ্যেই তাহলে !
16-09-2020, 03:19 PM
(16-09-2020, 11:04 AM)Mr Fantastic Wrote: ব্যাপারটা মন্দ হচ্ছে না, তবে শত্রু সেই পরিবারের মধ্যেই তাহলে !শত্রু তো পরিবারেই হয়। বাইরের শত্রু কি বা করতে পারে!! ""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!
16-09-2020, 08:29 PM
ধন্যবাদ কেষ্টদা!
আপনার অংশটুকু পড়ে দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করছি, আপনিই সবচেয়ে যথোপযুক্ত ও ধারাবাহিকতা ধরে রেখে গল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন! সরব ভাবেই সাথে আছি থাকবো!
16-09-2020, 08:48 PM
|
« Next Oldest | Next Newest »
|
Users browsing this thread: 6 Guest(s)