05-03-2019, 01:59 AM
১
জানলা দিয়ে দেখলাম পুলিসের গাড়ি তে বসিয়ে রহমান আর সেলিমকে থানায় নিয়ে গেল। ওদেরই দিকে সন্দেহের তির। কালকের মতন আর অত ভয় লাগছে না। আসলে সমস্যা যাই হক মানুষ ঠিক ই মানিয়ে নেয়। তবে এটা জানি আজ আর কলেজে যাওয়া হবে না। কলেজে না গেলে আমার খুব মন খারাপ করে।
“যাই বল পুলিসে এই তাড়াতাড়ি খবর দেওয়া টা কাজে এসেছে। “
বাবাকে হন্তদন্ত করে ভেতরে আসতে দেখে আমিও সজাগ হয়ে গেলাম। আসলে কলেজ টিউশন এর পর আর বাড়ি পাড়া কিছুর ই খবর রাখা হয়না। তাই বাবা আর মায়ের থিক কি কথা হয় তা আমার জানতে খুব আগ্রহ।
“সেলিম আর যাই হয়ে যাক মানুষ খুন করবে না”
আমার মা প্রচণ্ড শান্ত আর নম্র স্বভাবের। সাধারনত বাবার সামনে ছাড়া মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলেনা।
সেলিম প্রায় ই আমাদের বাড়ি আসত। এলাকায় ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে অওর বেশ নাম আছে।
মায়ের মতন আমিও ঠিক বুঝিনি বাবা এরম তেলে বেগুনে জ্বলে যাবে।
“দেখো শিখা আমি বুঝিনা ওদের প্রতি কিসের তমার দুর্বলতা। “
মা চুপচাপ রান্নাঘরে চলে গেল।
ভিন্নধর্মী মানুষ এর প্রতি বাবার এই রাগ নতুন নয়।
আসলে রাগের পেছনেও কিছু কারন থাকে। মানুষ এর মনে এমন কিছু জটিলতা থাকে যা প্রকাশ্যে আসেনা।
ইস আজ যদি কলেজে যেতাম কতই না গল্প হত।
এইসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল
“ক্ষ্যাপাবাবার শেষ সেই কথা টা “
“কারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলবি “আয়না”
ক্ষ্যাপাবাবা কি আমায় এমন কিছু বর দিয়ে গেল যা সাধারন আর ১০ টা মানুষ এর চেয়ে আমায় আলাদা করতে পারে।
সত্যি কি হবে আমি যদি কারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলি আয়না।
ভেতরের ঘর থেকে মায়ের আওয়াজ ভেসে এল
“বাবু আমি স্নান করতে যাচ্ছি “
বাবা সামনের বারান্দায় বসে পেপার পড়ছিল। আমার চেয়ে হয়ত ৩ ৪ হাত দূরে।
হথাত যেন মনে হল বাবার নজর টা পেপার এর দিকে হলেও মন টা কেমন যেন অশান্ত। যেন কত শত চিন্তা বাবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
কিজানি এর আগে কখনো আমি এভাবে লক্ষ্য করিনি। অন্য কাউকে কেন নিজের বাবাকেও নয়। এসব ই কি ক্ষ্যাপাবাবার দেওয়া বর নাকি আমার মনের ভুল।
দেখলাম বাবা জামা টা খুলে চেয়ারের ওপর রাখল। দ্রুত লুংগি টা প্যান্ট এর ওপর দিয়েই পড়ে হনহন করে একটু দূরে সরে গেল।
বারবার মনে হচ্ছিল বাবা আমায় নয় অন্য কারুর থেকে লুকাতে চাইছে। কিন্তু কার থেকে? নাকি এসব আমার মনের ভুল।
ছন ছন করে মায়ের হাতের শাখা পলার শব্দ ভেসে আসছিল। আমার মা আদর্শ * রমনি। বরাবর দেখেছি স্নান করে তুলসি মঞ্চে জল ঢেলে সিথি তে চওরা করে সিঁদুর দিতে। কত পার্থক্য মায়ের সাথে। পাশের বারির আমিনা চাচি বা সালিমা দির। দেখতে ওদের ও ভাল। কিন্তু আটপউরে সাড়ি আর মাথায় লাল সিঁদুর হলে এক টা আলাদা মাত্রা হয়।
এইসব ভাবছি কিন্তু আমার মনে তখন ও একটাই চিন্তা। ক্ষ্যাপাবাবার শেষ কথা টা। ইস যদি কারুর একজনের চোখের দিকে তাকাতে পারতাম! কিন্তু কাকে দিয়ে শুরু করব। আমায় যে জানতে হবেই সত্যিই কি ক্ষ্যাপাবাবার বর কাজ করবে।
হথাত সেই শাখা পলার টুং টাং শব্দ বন্ধ হল।
অবাক লাগল। মায়ের স্নান ৫ মিনিট এ হয়ে গেল। মায়ের বেশ সময় লাগে।
“বাবু বাথ্রুমে জল আসছে না। দেখ ত পাম্প চালিয়ে দে নয়ত”
আমি অগত্যা উঠে গিয়ে সুইচ টা দিলাম।
কিন্তু পাম্প চলল না।
বাধ্য হয়ে চেঁচিয়ে উথলাম “মা কারেন্ট নেই”
মা জবাব দিল না।
আমার মস্তিস্কে তখন একটাই চিন্তা। ক্ষ্যাপাবাবার বর সত্যি কিনা জানতে হবে।
“বউদি বাসন বার করেছ?”
ঠিক এই কথাটাই বলতে বলতে বাড়িতে আসে আমাদের কাজের মাসি মালতি। আমি বলি মালতি পিসি। একটু সহজ সরল ধরনের। মনে মনে বলে ফেললাম “ইউরেকা”
মালতি পিসিই হবে আমার এক্সপেরিমেন্ট এর গিনিপিগ।
“ মালতি পিসি একটু এদিকে আস”
চেষ্টা করলাম সজা চোখের দিকে তাকাতে। বারবার করে মনে মনে বললাম “আয়না আয়না আয়না”
নিজের মনকেই বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। যেন দুনিয়া টা মিনিট দুয়ের জন্য স্থির হয়ে গেল দিয়ে বেশ কিছুটা পেছনে গেল। আবার চালু হল।
আমি দেখছি। সবই দেখছি কিন্তু মালতি পিসির নজর দিয়ে।
“ আজ সোমবার। দাদা বাড়ি নেই। বউদি নিজেই অর্ধেক কাজ করে রেখেছে। আমার আর কি। কনরকমে সাবান বুলিয়ে বাসন ধুয়ে দেব।
বউদি খুব ভাল। এই বাড়িতে কাজ করে আরাম আছে।
একি দাদা বাড়িতে। ও বুঝেছি। (বিচ্ছিরি এক টা হাসি)
এইভাবেও কেউ আনন্দ পায়। যাকগে আমার কি দরকার এসবে মাথা ঘামানোর। বাকি সব ঠিক আছে কিন্তু হারামি শাহবাজ টা। হারামি হলেও শালা খানের বাচ্চার এলেম আছে। যা শরির টা বানিয়েছে আমার ই যদি বয়স থাকত এক বাচ্চা ত ওর থেকে নিতাম ই।
শাহবাজ চাচার মুখ টা কেমন অন্য রকম লাগছে। জেন কিছু এক টা দেখে জিভ টা লক লক করছে”
“কি হয়েছে বাবু কিছু বলবে আমায়? কি শরির খারাপ করছে নাকি”
মালতি পিসির কথায় হুশ ফেরে আমার।
জানলা দিয়ে দেখলাম পুলিসের গাড়ি তে বসিয়ে রহমান আর সেলিমকে থানায় নিয়ে গেল। ওদেরই দিকে সন্দেহের তির। কালকের মতন আর অত ভয় লাগছে না। আসলে সমস্যা যাই হক মানুষ ঠিক ই মানিয়ে নেয়। তবে এটা জানি আজ আর কলেজে যাওয়া হবে না। কলেজে না গেলে আমার খুব মন খারাপ করে।
“যাই বল পুলিসে এই তাড়াতাড়ি খবর দেওয়া টা কাজে এসেছে। “
বাবাকে হন্তদন্ত করে ভেতরে আসতে দেখে আমিও সজাগ হয়ে গেলাম। আসলে কলেজ টিউশন এর পর আর বাড়ি পাড়া কিছুর ই খবর রাখা হয়না। তাই বাবা আর মায়ের থিক কি কথা হয় তা আমার জানতে খুব আগ্রহ।
“সেলিম আর যাই হয়ে যাক মানুষ খুন করবে না”
আমার মা প্রচণ্ড শান্ত আর নম্র স্বভাবের। সাধারনত বাবার সামনে ছাড়া মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলেনা।
সেলিম প্রায় ই আমাদের বাড়ি আসত। এলাকায় ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে অওর বেশ নাম আছে।
মায়ের মতন আমিও ঠিক বুঝিনি বাবা এরম তেলে বেগুনে জ্বলে যাবে।
“দেখো শিখা আমি বুঝিনা ওদের প্রতি কিসের তমার দুর্বলতা। “
মা চুপচাপ রান্নাঘরে চলে গেল।
ভিন্নধর্মী মানুষ এর প্রতি বাবার এই রাগ নতুন নয়।
আসলে রাগের পেছনেও কিছু কারন থাকে। মানুষ এর মনে এমন কিছু জটিলতা থাকে যা প্রকাশ্যে আসেনা।
ইস আজ যদি কলেজে যেতাম কতই না গল্প হত।
এইসব হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল
“ক্ষ্যাপাবাবার শেষ সেই কথা টা “
“কারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলবি “আয়না”
ক্ষ্যাপাবাবা কি আমায় এমন কিছু বর দিয়ে গেল যা সাধারন আর ১০ টা মানুষ এর চেয়ে আমায় আলাদা করতে পারে।
সত্যি কি হবে আমি যদি কারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বলি আয়না।
ভেতরের ঘর থেকে মায়ের আওয়াজ ভেসে এল
“বাবু আমি স্নান করতে যাচ্ছি “
বাবা সামনের বারান্দায় বসে পেপার পড়ছিল। আমার চেয়ে হয়ত ৩ ৪ হাত দূরে।
হথাত যেন মনে হল বাবার নজর টা পেপার এর দিকে হলেও মন টা কেমন যেন অশান্ত। যেন কত শত চিন্তা বাবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
কিজানি এর আগে কখনো আমি এভাবে লক্ষ্য করিনি। অন্য কাউকে কেন নিজের বাবাকেও নয়। এসব ই কি ক্ষ্যাপাবাবার দেওয়া বর নাকি আমার মনের ভুল।
দেখলাম বাবা জামা টা খুলে চেয়ারের ওপর রাখল। দ্রুত লুংগি টা প্যান্ট এর ওপর দিয়েই পড়ে হনহন করে একটু দূরে সরে গেল।
বারবার মনে হচ্ছিল বাবা আমায় নয় অন্য কারুর থেকে লুকাতে চাইছে। কিন্তু কার থেকে? নাকি এসব আমার মনের ভুল।
ছন ছন করে মায়ের হাতের শাখা পলার শব্দ ভেসে আসছিল। আমার মা আদর্শ * রমনি। বরাবর দেখেছি স্নান করে তুলসি মঞ্চে জল ঢেলে সিথি তে চওরা করে সিঁদুর দিতে। কত পার্থক্য মায়ের সাথে। পাশের বারির আমিনা চাচি বা সালিমা দির। দেখতে ওদের ও ভাল। কিন্তু আটপউরে সাড়ি আর মাথায় লাল সিঁদুর হলে এক টা আলাদা মাত্রা হয়।
এইসব ভাবছি কিন্তু আমার মনে তখন ও একটাই চিন্তা। ক্ষ্যাপাবাবার শেষ কথা টা। ইস যদি কারুর একজনের চোখের দিকে তাকাতে পারতাম! কিন্তু কাকে দিয়ে শুরু করব। আমায় যে জানতে হবেই সত্যিই কি ক্ষ্যাপাবাবার বর কাজ করবে।
হথাত সেই শাখা পলার টুং টাং শব্দ বন্ধ হল।
অবাক লাগল। মায়ের স্নান ৫ মিনিট এ হয়ে গেল। মায়ের বেশ সময় লাগে।
“বাবু বাথ্রুমে জল আসছে না। দেখ ত পাম্প চালিয়ে দে নয়ত”
আমি অগত্যা উঠে গিয়ে সুইচ টা দিলাম।
কিন্তু পাম্প চলল না।
বাধ্য হয়ে চেঁচিয়ে উথলাম “মা কারেন্ট নেই”
মা জবাব দিল না।
আমার মস্তিস্কে তখন একটাই চিন্তা। ক্ষ্যাপাবাবার বর সত্যি কিনা জানতে হবে।
“বউদি বাসন বার করেছ?”
ঠিক এই কথাটাই বলতে বলতে বাড়িতে আসে আমাদের কাজের মাসি মালতি। আমি বলি মালতি পিসি। একটু সহজ সরল ধরনের। মনে মনে বলে ফেললাম “ইউরেকা”
মালতি পিসিই হবে আমার এক্সপেরিমেন্ট এর গিনিপিগ।
“ মালতি পিসি একটু এদিকে আস”
চেষ্টা করলাম সজা চোখের দিকে তাকাতে। বারবার করে মনে মনে বললাম “আয়না আয়না আয়না”
নিজের মনকেই বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। যেন দুনিয়া টা মিনিট দুয়ের জন্য স্থির হয়ে গেল দিয়ে বেশ কিছুটা পেছনে গেল। আবার চালু হল।
আমি দেখছি। সবই দেখছি কিন্তু মালতি পিসির নজর দিয়ে।
“ আজ সোমবার। দাদা বাড়ি নেই। বউদি নিজেই অর্ধেক কাজ করে রেখেছে। আমার আর কি। কনরকমে সাবান বুলিয়ে বাসন ধুয়ে দেব।
বউদি খুব ভাল। এই বাড়িতে কাজ করে আরাম আছে।
একি দাদা বাড়িতে। ও বুঝেছি। (বিচ্ছিরি এক টা হাসি)
এইভাবেও কেউ আনন্দ পায়। যাকগে আমার কি দরকার এসবে মাথা ঘামানোর। বাকি সব ঠিক আছে কিন্তু হারামি শাহবাজ টা। হারামি হলেও শালা খানের বাচ্চার এলেম আছে। যা শরির টা বানিয়েছে আমার ই যদি বয়স থাকত এক বাচ্চা ত ওর থেকে নিতাম ই।
শাহবাজ চাচার মুখ টা কেমন অন্য রকম লাগছে। জেন কিছু এক টা দেখে জিভ টা লক লক করছে”
“কি হয়েছে বাবু কিছু বলবে আমায়? কি শরির খারাপ করছে নাকি”
মালতি পিসির কথায় হুশ ফেরে আমার।