06-05-2020, 04:45 PM
DArun update
Romance অবাধ্য আকর্ষণ
|
07-05-2020, 09:48 PM
" কার ফোন শালা,"
" দ্যাখ কার " " দরকার নেই, যার দরকার আবার করবে " মোবাইলে আবার আশা ভোন্সলের গলা " দ্যাখ, মনে হয় জরুরী" পকেট থেকে ফোন বের করে গুঞ্জন দেখল লাভ্লির নাম্বার " এই মাল টা ফোন করছে কেন। হ্যালো বোল ক্যায়া হুয়া ? " অনিন্দ্য লক্ষ্য করল আসতে আসতে গুঞ্জনের মুখের রেখা বদলে গেল। আর তারপর গুঞ্জনের মুখ থেকে শুনল " চল ফিরতে হবে, চাপ " " কি হয়েছে? " " নিখিল আর লাভ্লি বেরিয়েছিল, রাস্তায় কোথাও যশের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তোর রাগ টা নিখিলের ওপর মিটিয়েছে। মাথা ফেটেছে, কলেজ হসপিটালেই ভর্তি " অনিন্দ্য চুপচাপ শুনল। গুঞ্জনের গাড়ি ১০০ তে। " কি রে কিছু বল " " বলে কি হবে, কিছুই না " " আমার কিছু চেনা পাব্লিক আছে, ওদের কে ভাবছি কাজে লাগাব। ওই মাদারচদের বাচ্চাকে শেষ করে দেবে। " " তুই কিচ্ছু করবি না, সোজা হসপিটাল চল " " আমি করব না , কিন্তু তুই করবি তাই তো? " " লড়াই তো আমার সাথেই " " বেশি হিরো সাজিস না, আমায় না জানিয়ে কিন্তু কিচ্ছু করবি না " " হম " প্রায় ঝড়ের গতিতেই গাড়ি চালিয়ে আনল গুঞ্জন, হসপিটাল এর মেন গেটের কাছেই দেখা হয়ে গেল লাভ্লির সাথে। ওর সাথেই এল নিখিলের কাছে। সিডেটিভ দিয়েছে, ঘুমাচ্ছে। ৪ স্টিচ পড়েছে। আর লাভ্লি কেঁদে ভাসাচ্ছে। " গুঞ্জন তুই থাক, আমি আসছি " " তুই কোথাও যাবি না, আর গেলে আমি যাব তোর সাথে " " তুই এখানে থাক, আমি একাই যাব " " কসম খা তুই এখন যশের কাছে যাবি না " " আমি দিব্বি মানিনা রে " " তবু খা " " আমি যশের কাছে যাবনা, তুই এখানেই থাক " বেড়িয়ে গেল অনিন্দ্য, অজান্তেই বিড়বিড় করে বলল গুঞ্জন "ওাহে গুরু ইস বন্দে কো সমহালে রাখনা " ****************** “ গিরধর জী বাড়ি আছেন? “ “ কে ভাই? আরে বাপরে আপনি, আইয়ে আইয়ে অন্দর আইয়ে “ “ একটা জরুরী দরকারে এসেছিলাম গিরধর জী “ “ঠিক হ্যায় অন্দর তো আইয়ে ইস গরিবখানে মে “ কলেজ কম্পাউন্ডের মধ্যেই থাকে পিওন গিরধারিলাল। তার স্ত্রী আর ৩ বাচ্চা কে নিয়ে। “ আইয়ে অন্দর আইয়ে, বলিয়ে কি লিবেন চায় না কফি ?” “ কিচ্ছু লাগবে না গিরধর জী, শুধু একটা ঠিকানা দরকার ছিল “ “ সব মিলবে দাদা, এক কাপ চায় তো লিন “ “ না পরে খাব, আজ একটু জলদি আছে “ “ কি হয়েছে যদি বলেন ?” “ তুমি নিখিল কে চেন? “ “ আপনার দোস্ত? সরদারজি? “ “ হ্যা, ওকে আজ যশ আর ওর বন্ধুরা মিলে মেরেছে, হসপিটালে ভর্তি “ “ আপ কো যশ কা পতা চাহিয়ে ? ম্যায় দে সকতা হু, লেকিন এক বাত কেহনা চাহতা হু। ইয়ে গলতি না কিজিয়ে “ “ না গিরধর জী, যশের ঠিকানা চাই না “ “ তব কিসকা লিজিয়েগা? “ “ প্রিন্সিপাল ডি সুজার” কলেজ কম্পাউন্ডের বাইরেই থাকেন প্রিন্সিপাল শালিনী ডি সুজা। শহরের বাইরে, বাংলো ধরনের বাড়ি, অনেকটা জায়গা জুড়ে বাগান, আর তার মধ্যখানে তার বাংলো। গেট খুলে ভিতরে ঢুকল অনিন্দ্য, কলিং বেল বাজাল। একটা ১৯-২০ বছরের মেয়ে এসে দরজা খুলল। “ কহিয়ে “ “ ম্যাডাম আছেন? “ “ হ্যাঁ, অন্দর আইয়ে, পুজা করকে আ রাহি হ্যা, বৈঠিয়ে “ শালিনি ডি সুজা অত চটকদার না হলেও তার ঘর রীতিমত চোখ ধাঁধানো। ঘরের আসবাবপত্র বেশ শৌখিন আর রুচি সম্মত। অনিন্দ্য মনে মনে তারিফ না করে পারল না। “ লিজিয়ে স্যর, পানি। চায় ইয়া কফি ?” “ কিছু লাগবে না, থ্যাঙ্কক্স” ঠাণ্ডা জল টা গলায় ঢালতেই অনিন্দ্য টের পেল যে অনেকক্ষণ ধরেই তেষ্টা পেয়েছিল, মাথা গরম থাকায় বুঝতে পারেনি। যাক জল টা খেয়ে তেষ্টা মিটল আর মাথাটাও একটু ঠাণ্ডা হল। “ কি ব্যাপার, তুমি এখানে কেন?” ঘরে ঢুকেই অনিন্দ্য কে দেখে বেশ অসন্তুষ্ট গলাতেই প্রশ্ন করলেন প্রিন্সিপাল ডী সুজা। “ গুড ইভনিং ম্যাডাম “ সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো অনিন্দ্য। “ গুড ইভনিং, কি হয়েছে? “ সামনের সোফায় বসতে বসতে জিজ্ঞেস করলেন শালিনি ডি সুজা। “ সেরকম কিছুই না, একটা জিনিস জানবার জন্য এসেছিলাম” “ কি জিনিস? “ “ যশ দিক্ষিতের কাছে কি এমন আছে যা অন্য কোন স্টুডেন্টের কাছে নেই? “ “ what do you mean ?” “ গত ৪ বছর ধরে যশ দীক্ষিত এত অন্যায় করেও কোন শাস্তি পায় না কেন? “ “ তুমি বলতে কি চাও?” “ সে তো আপনি ভালই বুঝেছেন যে আমি কি বলতে চাই” “ না বুঝিনি, খোলাখুলি বল “ “ কলেজের প্রথম দিনেই সে গুঞ্জন মাখিজা বলে একটি ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রীর বুকে হাত দেয়, এবং তাতে তার কোন শাস্তি হোল না। কিন্তু তার গায়ে হাত তোলায় তার বাবা আপনার সামনে আমাকে থ্রেট করে গেল। সিনিয়ার বনাম জুনিয়ার এর ফুটবল ম্যাচে সে যথেচ্ছ ভাবে আমাকে মেরে গেল। এমনি মারল যে আমাকে হসপিটালে রাতও কাটাতে হল, তবু তার কোন শাস্তি হোল না। আজ সে আমার বন্ধু নিখিল অরোরা কে এমন মারল যে সেও হসপিটালে ভর্তি। কিন্তু তবু তার কোন শাস্তি হবেনা, কেন? “ “ সে কৈফিয়ত কি তোমাকে দিতে হবে? “ “ আমি চাইছি যখন, তখন আমাকেই দিয়ে দিন “ “ Anindyo Banerjee, do not cross your limits. তুমি জাননা আমি এই মুহূর্তে তোমায় এই কলেজ থেকে রাস্টিকেট করতে পারি আর তুমি যাতে ভবিষ্যতে কোন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি না হতে পার সে ব্যাবস্থাও করতে পারি “ “ কিন্তু যশ দীক্ষিতকে কিছছু করতে পারবেন না, “ “ Get out from my house, I say. Get out “ উত্তেজিত হয়ে সোফা ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন প্রিন্সিপাল ডি সুজা, তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। “ বেড়িয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে এই মুহূর্তে “ “ থাকব বলে আসিনি ম্যাডাম, শুধু জানতে এসেছিলাম যে আপনি এত ভিতু কেন? “ “ Get out I say, at once “ গলার স্বর সপ্তমে চড়িয়ে বললেন শালিনী ডি সুজা। অনিন্দ্য সোফা ছেড়ে দরজার দিকে এগোল, হটাত দেওয়ালে একটা ছবি দেখে আটকে গেল সে। এ ছবি তো তার চেনা। এ ছবি এখানে কি করে এল? “ কি হল, বললাম না তোমায় বেড়িয়ে যেতে “ “ এই … এই ছবিটা এখানে এল কি করে? এ ছবি আপনার কাছে কি করে এল?” “ That is none of your business, you get out of my house, now “
09-05-2020, 03:39 AM
দুম দুম করে খানিক গুলো লাথি পড়লো অনিন্দ্যর হোস্টেলের রুমের দরজায়।
আবার ঠিক লাথি টা মারতে যাবে গুঞ্জন, এমন সময় দরজা টা খুলে গেল। অনিন্দ্য খুলল “ আয়” সংক্ষিপ্ত আহ্বান অনিন্দ্যর। “ যাব না, এখানে দাঁড়িয়েই চেঁচাবো। কি ভাবিস কি তুই নিজেকে? খুব বড় বস হয়ে গেছিস যশ কে ঘুষি মেরে? “ “ ভিতরে আয় “ “ বললাম তো যাব না, কি করে নিবি? আমাকেও মারবি? মার। “ অনিন্দ্য কোন কথা না বলে ঘরের ভিতরে ঢুকে এল, পিছন পিছন এল গুঞ্জন। “ সারা সন্ধে ফোন করছি ফোন তুলিস না কেন? তোর যদি কিছু হয়ে যেত? কোথায় যাচ্ছিস সেটা বল্লেও কি তোর মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় “ অনিন্দ্য নির্বাক। পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে মাথার ওপরের ঘূর্ণায়মান পাখার দিকে। “ কোথায় যাচ্ছিস বলবিনা, কেন যাচ্ছিস বলবিনা, বললে কি আমি কিছু করে দেব? তোর কি মনে হয় আমাকে? “ অনিন্দ্য তবু নিরুত্তর, “ ভালই করেছিস বলিসনি, আর কেনই বা বলবি। আমি কে যাকে বলতে হবে? আমি তো কেউ না। আমি তো একটা বোকাচোদা, বোকার মত তোর প্রেমে পড়েছি। I am nothing but a slut, hopelessly in love with you. “ চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল বেড়িয়ে এল গুঞ্জনের, কাঁদ কাঁদ স্বরে বলতে লাগলো “ আমি খুব খারাপ মেয়ে, বাজারের বেশ্যার চেয়েও খারাপ। কিন্তু আমার ফোনটা একবার তো তুলতে পারতিস। ফোন টা রিসিভ করে আমায় গালি দিতিস, আমি কিচ্ছু মনে করতাম না। শুধু এটুকু জেনে যেতাম যে তুই ঠিক আছিস। ভয়টা কেটে যেত। বাজারের বেশ্যা হলেও তো মন আছে রে, যাকে ভালবাসি তার জন্য চিন্তাও হয় রে। পারিনা নিজেকে ঠিক রাখতে রে “ আর নিজেকে সামলে রাখতে পারল না গুঞ্জন, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। গুঞ্জনের মত দাপুটে আর জেদি মেয়ে যে এরকম কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে পারে, এটা বোধহয় না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ভালবাসা কি এতই দুর্বল করে দেয়? কে জানে। তবু চুপ অনিন্দ্য, যেন বোবা মেরে গেছে। চোখের জল মুছে উঠে দাঁড়াল গুঞ্জন, অভিমান ভরা সুরে বলল “ আমি আর কোনদিন তোকে বিরক্ত……… গুঞ্জন থমকে গেল, অনিন্দ্য কাঁদছে। চেয়ারে বসে, চোখ সিলিং এ, আর দু চোখে নিঃশব্দে বয়ে চলা জলের ধারা। “ কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন তুই। কি হয়েছে বল ? “ অনিন্দ্যর যেন ঘোর কাটল, হাত দিয়ে দু চোখের জল মুছে বলল “ না কিছু না “ অনিন্দ্যর বাঁ হাত টা নিজের দুহাতে নিয়ে গুঞ্জন বলল “ যেটা হয়েছে সেটা কি আমাকেও বলা যাবে না? “ “ বোস “ অনিন্দ্যর চৌকি তে বসতে গেল গুঞ্জন, চোখ পড়লো একটা ছবির ওপর। চৌকির ওপর রাখা ছবি। অনেক দিনের পুরনো। মনে হচ্ছে কোন কলেজের স্টুডেন্ট দের ছবি। “ এটা কিসের ছবি “ জিজ্ঞেস করল গুঞ্জন “ আমার মায়ের, বলতে পারিস আমার মায়ের এই একটাই স্মৃতি চিহ্ন থেকে গেছে আমার কাছে “ খুব মন দিয়ে ছবিটার দিকে তাকাল গুঞ্জন, “ চিনতে পারবি না, আমি বাবার মত দেখতে “ “ কোনটা তোর মা? “ “ ২ নং লাইনের একদম মাঝখানে, লম্বা বিনুনি আছে যার “ মন দিয়ে দেখল গুঞ্জন ছবিটাকে। অনেক পুরনো ছবি যদিও, কিন্তু অনিন্দ্যর মা যে বেশ সুন্দরী ছিল বোঝা যায়। “ কিন্তু আজ হটাত এই ছবিটা দেখে তুই কাঁদছিস কেন? “ “ কলকাতায় আমার মায়ের বেশ সুনাম ছিল সেতার শিল্পি হিসেবে “ “ she was a musician? “ “ হ্যা, মায়ের সঙ্গে অনেক জায়গায় গেছিও। মা যখন স্টেজে বসে বাজাত, দেবী মনে হত রে “ আবার চোখে জল অনিন্দ্যর, “ এই তোর কি হয়েছে রে? তুই এত ভেঙ্গে পড়েছিস কেন? “ চোখের জল মুছে, গলা টা ঝাড়ল অনিন্দ্য “ আমার মায়ের বাঁ পাশে যে দাঁড়িয়ে আছে তাকে চিনতে পারছিস? “ অনেকক্ষণ মন দিয়ে দেখল গুঞ্জন, কোথায় যেন দেখা দেখা মনে হচ্ছে কিন্তু…… “ চেনা চেনা টাইপের লাগছে, কিন্তু বুঝতে পারছি না “ “ Her name is Shalini Di Souza “ ঘরের মধ্যে যেন একটা ছুঁচ পড়লেও শোনা যাবে। “ তার মানে তোর মা আর প্রিন্সিপাল ডি সুজা ক্লাসমেট ছিল? “ ঘরের নিস্তব্ধতা কে ভেঙ্গে প্রশ্ন করল গুঞ্জন। “ আমি নিজেই এখন নিজেকে এই প্রশ্ন করছি, আমি পুরো ঘেঁটে গেছি। এতদিন জানতাম যে আমার মা সেতার শিল্পী। আর আজ জানতে পারছি মা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ছিল। I am really confused. “ “ এমন ও হতে পারে যে তোর কোথাও ভুল হচ্ছে “ “ তাহলে এই একি ছবি প্রিন্সিপালের ঘরেও কেন থাকবে? “ “ গাঁড় মেরেছে, ইম্পসিবল “ “ আর আমি ১০০% সিওর যে আমি এই ছবিটাই দেখেছি, আর তাতে কোন ভুল নেই “ “ তুই কি করে এতটা সিওর হচ্ছিস? “ “ মা বাবা মারা যাবার পর যখন রাত্রে বেলায় শুয়ে শুয়ে কাঁদতাম, তখন এই ছবিটাই আমার কাছে থাকত। এই ছবিটায় মাকে নালিশ জানাতাম যখন কাকিমা মারত বা খেতে দিত না। পরীক্ষা দিতে যাবার আগে এই ছবিটাকেই প্রনাম করে যেতাম। সুতরাং এই ছবি চিনতে আমার ভুল হবে না, হতে পারে না। “ গুঞ্জন উঠে অনিন্দ্যর কাছে এল, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল “ শোন, তুই এটা নিয়ে আর ভাবিস না। যাই হোক কাকিমা তো আর আমাদের মধ্যে নেই, তাই উনি কি ছিলেন তা নিয়ে ভেবে কি হবে বল “ হটাত কি ভেবে গুঞ্জন বলে উঠল “ এই, তোর মামার বাড়ির কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখলে হয় না? “ “ মা যতদিন ছিল ততদিন আমি মামারবাড়ির ব্যাপারে কথা বলতে শুনিনি। এমনকি কখন মামার বাড়িও যাইনি। কোনদিন কোন মামাকেও দেখিনি “ “ তোর কাকা বা কাকিমা তো জানতে পারে “ “ তারাও জানেনা “ “ সেটা তুই কিকরে বলছিস? “ “ জানলে সেখানেই ফেলে আসত রে, বাড়িতে রাখত না “ “ বেশ, তাহলে এখন কি করতে চাস তুই ? “ অনিন্দ্য কিছু বলতে যাবে, এমন সময় দরজায় একজন ভদ্রলোক এসে দাঁড়াল “ ইয়ে বাঙালি বাবু কা রুম হ্যায়? “ “ আপসে মতলব? “ উত্তর টা দিল গুঞ্জন ওই ভদ্রলোক পকেট থেকে ফোন বের করল আর কাউকে ফোন করল, আর তারপর গুঞ্জনের দিকে ফোন টা এগিয়ে দিয়ে বলল “ বাত কিজিয়ে “ গুঞ্জন অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোন টা ধরল “ কহিয়ে “ “ Is it Gunjan? “ ও প্রান্ত থেকে আওয়াজ এল। “ জী, পর আপ ? “ “ আমি ম্যাডাম মেহের আলম, অনিন্দ্য আছে? “ গুঞ্জন অনিন্দ্য কে ফোন টা দিল “ হ্যালো” “ অনিন্দ্য, আমি মেহের আলম বলছি “ “ বলুন ম্যাডাম “ “ একটু আমার বাড়ি আসতে পারবে? Its urgent “ “ এত রাত্রে, আর আমি তো আপনার বাড়ি চিনিওনা “ “ তুমি যার ফোনে কথা বলছ সে আমার ড্রাইভার, তোমাকে ওই নিয়ে আসবে” “ ওকে ম্যাডাম “
09-05-2020, 12:48 PM
(This post was last modified: 10-05-2020, 02:45 PM by buddy12. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
খুব সুন্দর আপডেট। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
09-05-2020, 01:07 PM
গল্পের টার্নিং পয়েন্ট টা দারুন। প্রতিটা আপডেটের শেষে একটা সাসপেন্স থাকছে যা পড়ার তেষ্টা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
11-05-2020, 02:14 AM
কাঁটায় কাঁটায় ঠিক ৯ টা বাজছে যখন প্রফেসার মেহের আলমের বাড়ি পৌঁছল অনিন্দ্য। বাড়িটা দোতলা, কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর দেখতে। গেট খুলতে এল বছর ১৪র একটি ছেলে, ড্রাইভার মিশিরলালের ছেলে, নাম সুরজ। ড্রাইভার মিশিরলালের ফ্যামিলি একটা আউট হাউসে থাকে। অন্যটায় থাকে বাড়ির সবসময়ের কাজের কাম রান্নার লোক। এ সবই গাড়ীতে আসতে আসতেই শুনল ড্রাইভার মিশিরলালের কাছে।
গেট পেরিয়ে গাড়িটা ঢুকতেই বাড়ির দরজা খুলে গেল। অনিন্দ্য ধীর পায়ে ঢুকল ঘরের ভিতর। ঢুকতেই অবাক, এ কোথায় এল সে? এটা কোন মানুষের ঘর না স্টুডিয়ো? মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখতে লাগলো গোটা ঘর টা। “ কি হোল ইয়াং ম্যান, কি দেখছ? “ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করল অনিন্দ্য “ আপনার ঘর ম্যাডাম, আসলে এত সুন্দর ভাবে সাজান যে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না “ “ তাই নাকি? “ “ হ্যা ম্যডাম। যেমন ঘরের ডিজাইন, তেমন সুন্দর কালার কম্বিনেশন, তার সঙ্গে মানানসই ফার্নিচার আর লাইটিং। দারুন।“ “ যাক তোমার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগলো। কাম অন উপরে এসো। “ বলেই মেহের আলম সিঁড়ি দিয়ে উঠতে লাগলেন। পরনে একটা হাউস কোট, মিষ্টি গোলাপি রঙের আর তার ওপর রং বেরঙের গোলাপ আঁকা। পিছন পিছন উঠতে শুরু করল অনিন্দ্য। দোতলায় উঠেই দেখতে পেল একজনের পোট্রেট আঁকা, আর্মির পোষাকে। সম্ভবত মেহের আলমের বাবা। তার ঠিক উল্টো দিকের দেওয়ালে একটা মডার্ন আর্ট, যার মাথা বা মুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারল না অনিন্দ্য। “ এসো ভিতরে এসো “ পরদা সরিয়ে ভিতরে ঢুকল অনিন্দ্য। এই ঘরও যথেষ্ট সুন্দর ভাবে সাজান। একটা বড় বিছানা ঘরের মাঝখানে, গোলাকার। একটা দেওয়ালে এক দেওয়াল জোড়া আয়না, সঙ্গে কস্মেটিক্স এর ক্যাবিনেট। অন্য দেওয়াল জোড়া এক দেওয়াল আলমারি। দরজার পাসের দেওয়ালে সেলার, অর্ধ উন্মোচিত। “ আর কত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আমার ঘর দেখবে অনিন্দ্য? পরীক্ষায় একটা প্রশ্নও কিন্তু এর থেকে আসবে না “ “ না মানে ম্যডাম, সরি “ “ বুঝেছি, বস “ সোফায় বসল অনিন্দ্য। ঠিক তখনি এক মহিলা এক প্লেট স্যালাড, এক প্লেট পকোড়া, আর এক প্লেট ভর্তি কাজু আর কিশমিশ এনে রেখে গেল। অনিন্দ্য বুঝল এই সেই দ্বিতীয় আউট হাউসের বাসিন্দা। “ ড্রিঙ্কস চলে? “ একটা বোতল আর একটা গ্লাস নিয়ে উল্টো দিকের সোফায় বসলেন মেহের আলম। “ না ম্যাডাম খাই না “ “ গুড, ভেরি গুড। তা চিকেন পকোড়া চলে তো? “ “ হ্যাঁ ম্যাডাম “ “ তো চালাতে শুরু কর” বলে নিজেই একটা মুখে ঢুকিয়ে নিলেন। দেখাদেখি অনিন্দ্যও নিল। সত্যি দারুন খেতে বানিয়েছে, যেমন সুন্দর উপরের কোটিং, ভিতরে তেমন ই নরম চিকেন। খাবার সাথে সাথে খিদেটাও বেড়ে গেল। “ কেমন লাগলো?” “ দারুন ম্যাডাম “ “ তুমি কি সব কিছুতেই দারুন বলবে ঠিক করে এসেছ “ “ না না তা নয়, সত্যি ভাল লাগলো তাই বললাম “ “ হুম বুঝলাম, রাতে ডিনার কোথায় কর? হস্টেলেই? “ “ হ্যাঁ ম্যাডাম “ “ ফোন করে বলে দাও ডিনার তুমি এখানেই করে যাবে “ “ না না ম্যাডাম আমি ওখানে গিয়েই খেয়ে নেব “ “ মাঝবয়েসী মহিলারা কখন সব থেকে ভয়ঙ্কর হয় জান অনিন্দ্য? “ এ আবার কি রকম প্রশ্ন? এর কি উত্তর দেবে ভেবে না পেয়ে দুবার ঘাড় নাড়াল অনিন্দ্য। “ রাত্রে বেলায় হাতে মদের গ্লাস থাকলে, বুঝেছ ? “ অনিন্দ্য আবার ও বোকার মত ঘাড় নাড়াল। “ so call and inform somebody that you won’t have your dinner tonight in the hostel diner “ “ মেসেজ করে দিচ্ছি “ “ হুম “ বলে একটা কাজু কামড়ালেন মেহের আলম তার সুদৃশ্য দাঁত দিয়ে। “ তুমি দাবা খেলতে জান অনিন্দ্য? “ “ অল্প সল্প ম্যাডাম “ “ জানারই কথা, বাঙ্গালীরা তো intelligent by birth হয় বলেই জানতাম, কিন্তু ……” পুরো কথা শেষ না করে উঠে দাঁড়ালেন মেহের আলম। সেলারের কাছে গিয়ে গ্লাস টা আবার ভর্তি করলেন, তারপর ওপরের হাউস কোট খুলে সেটাকে বিছানায় ফেলে দিলেন। তারপর আবার অনিন্দ্যর সামনে এসে বসলেন। মেহের আলম, সম্ভবত ভগবানের তৈরি করা সব থেকে সুন্দর সৃষ্টি। মাথার চুল খোলা, কপালে শুধু ছোট্ট একটা টিপ। গলায় একটা চেন, আর সারা শরীরে কোন গয়না নেই। স্লিভ্লেস নাইটি, হাল্কা সবুজ রঙের, ডিপ কাট গলা। গায়ের চামড়ার ওপর আলো পড়লে যেন ঠিকরে যাবে, এতটাই মসৃণ। অনিন্দ্য আর তাকাতে পারল না, যদিও চোখ সরাতেও ইচ্ছা যাচ্ছে না। “ কিন্তু মিঃ অনিন্দ্য ব্যানারজি, being a Bengali you have proved yourself a dumb fool today “ মেহের আলামের গলার স্বরের কাঠিন্য ঠিক ধরা পড়ল অনিন্দ্যর কানে। “ কেন ম্যাডাম ?” “ কেন সেটা তো তুমি বলবে, আর সেটা জানতে চাই বলেই তো তোমাকে ডেকে এনেছি “ “ কিন্তু আমি কি করেছি সেটা তো বলুন “ “ Anindyo, what do you think of me? “ “ Excuse me, I didn’t get you “ “ বলছি তুমি আমাকে কি ভাবো? Just a lady professor with sexy looks and shapely assets ? “ লজ্জায় অনিন্দ্যর কান লাল হয়ে গেল। “ Come on, speak up.. কি ভাবো আমাকে তোমরা?” “ না ম্যাডাম “ “ Listen to me very carefully. কলেজ ক্যাম্পাস এ না থাকলেও ক্যাম্পাসের সব খবরই আমি রাখি অনিন্দ্য। নিখিলের এর সাথে যশের মারামারি হয়েছে আর তাই তুমি পৌঁছে গেলে প্রিসিপাল শালিনী ডি সুজার বাড়ি? What did you want to prove? “ অনিন্দ্য চুপ.
11-05-2020, 03:23 PM
গোলমেলে লাগছে। মেহের আলম আর ডি সুজা দুজনেই কিছু একটা গোপন কথা লুকিয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্যর কাছে, মেহের আশা করি খোলসা করে বলবে।
12-05-2020, 02:51 PM
Professor D Souza er character ki Harry Potter er Snape er moto ?
Hoito uni Anindya er baba k valo basten ebong ei jonno Anindya er kono khoti korben na . But she's attached to Yash team...Snape jamon Voldemort er team e thekeu Harry k choke choke rakhto baire theke dekle mone hoto Snape Harry er khoti chai kintu sese ese ulto promanito hoyeche Snape Harry er valo chaito.
12-05-2020, 03:59 PM
(This post was last modified: 12-05-2020, 04:03 PM by SriGho. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(12-05-2020, 02:51 PM)Buro_Modon Wrote: Professor D Souza er character ki Harry Potter er Snape er moto ? Anindya r baba ke D'souza bhalobasto kina jani na..Tobe Anindyo r maa ke je chinto seta toh thik! Hoyto bondhutto r jonye Anindyo ke chokhe rakhche! Ar Meher Alam Dumbledore naki Moody r veshe Barty Crouch Jr? Seki sotti Anindya ke sahajyo korte chaye naki sahajjer bhaan kore khoti korte chaye? Ei golpe kaukei biswas kora jacche na..Emonki Gunjan ar Nikhil keo noy!! Porer update er opekkhay roilam
12-05-2020, 09:52 PM
ডি সুজার চরিত্রটা Snape-র মতো হলেও হতে পারে। তবে গুঞ্জন আর নিখিলকে নিয়ে মনে হয় না সন্দেহ করার কিছু আছে, তবে মেহেরকে ঘোড়েল মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে গল্পটা জমে গেছে। পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম।
|
« Next Oldest | Next Newest »
|