16-02-2020, 12:53 AM
(This post was last modified: 04-12-2023, 07:55 PM by Baban. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.
Edit Reason: Improvement
)
গল্প- পার্ভার্ট
লেখক ও ছবি - বাবান
বন্ধুরা আমি বাবান আবারো ফিরে এসেছি আপনাদের মাঝে আমার নতুন গল্প নিয়ে. ছোট হলেও গল্পটা প্রচন্ড উত্তেজক আর কামুক হবে. আশা করবো আপনারা আমার আগের গল্পকে যেমন ভালোবেসে সফল বানিয়েছেন এই গল্পটিকেও সফল করবেন নিজেদের কমেন্ট, Reps এবং Likes দিয়ে. ধন্যবাদ।
পার্ভার্ট..... কথাটার মানে আমি ছোটবেলায় জানতাম না. কিন্ত যখন জানলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো. আর কিচ্ছু করার ছিলোনা. নিজের চোখের সামনে বাবাকে হেরে যেতে দেখেছিলাম. বাবার জীবন থেকে সব সুখ নিঃশেষ হয়ে গেছিলো. বাবাকে সর্ব শান্ত হতে হয়েছিল. আর বাবার এত বড়ো ক্ষতি যে লোকটি করেছিল সে অন্য কেউ নয়, এমন একজন মানুষ যে এরকম কাজ করতে পারে বাবা সেটা ভাবতেও পারেনি.
ঘটনাটা খুলেই বলি তাহলে. আমার নাম অজয়. আমি এখন হোস্টেলে থাকি. বাবাই আমাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দিয়েছে. বাবা এখন একা নিজের জীবন কাটান. আপনারা ভাবছেন আমি খালি বাবার কথা বলছি আর মায়ের কোনো কোথাই বলছিনা তাইনা? আসলে কি বলবো বুঝতে পারছিনা. যাক সে কথায় পরে আসি. সালটা ছিল ২০০৬। এই চরম দুর্ভোগ যখন আমাদের কপালে নেমে আসে তখন আমি খুবই ছোট. কোনো কিছু বোঝার সুযোগ বা বয়স হয়নি তখনো. তখন আমি খালি বুঝি বাবা মা, টিভি, খেলা পড়াশোনা ব্যাস. বাবা মা আমি তিনজনে কলকাতায় থাকতাম. বাবা ব্যাবসা করতেন. কি ব্যাবসা ওসব আর নাই বা বললাম. কারণ তার সাথে এই কাহিনীর বিশেষ কোনো যোগাযোগ নেই. মা ই বেশির ভাগ সময় আমার দেখা শোনা করত. আমার খাওয়া, পড়াশোনা ঘুম পড়ানো সব সেই খেয়াল রাখতো. আমার বাবা আসলে ব্যাবসার কাজে এই কলকাতায় চলে আসেন. অন্তত বাবা আমাকে তাই বলেছিলো. এখান থেকে যাতায়াত সুবিধা হয় বলে. কিন্ত আসলে তিনি ছিলেন দূরের এক গ্রামের বড়োলোক বাড়ির একমাত্র ছেলে. আমি যদিও সেই গ্রামে তখনো যাইনি. আমার মাও বিয়ের পর কোনোদিন ওই বাড়িতে যায়নি. শুধু বাবার মুখেই শুনেছেন দাদুর কথা. গ্রামের বাড়িতে আমার দাদু থাকতো. ঠাম্মা অনেক আগেই চলে গেছেন. দাদু বাড়িতে একাই থাকেন. অনেক বার বাবাকে লিখেছেন বৌ বাচ্চা নিয়ে গ্রামে চলে আসতে. দাদুর অনেক জমি অনেক সম্পত্তি আছে সেইসবের দায়িত্ব তিনি বাবাকে দিতে চান. কিন্তু বাবা কেন জানেনা নিজের বাবার কাছে যেতে চায়না. কেন কি কারণে তা অবশ্য আমি জানিনা আর বোঝার বয়সও তখন হয়নি. একদিন বাবা আর মা শুয়ে একে ওপরের সাথে গল্প করছেন. মাঝে আমি শুয়ে. মা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বাবার সাথে কথা বলছে. মা ভেবেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি. মা বাবাকে বলছে...
মা : মানুষটা তো তোমার বাবা নাকি? একা ওই ওতো বড়ো বাড়িতে ভুতের মতো দিন কাটায়. ছেলে হিসেবে তোমার দায়িত্ব নেই ওনার কথা একবার শুনে ওখানে যাবার?
বাবা : আমি জানি দীপালি. কিন্তু বাবাকে তুমি যতটা বুড়ো ভাবছো বাবা অতটা বুড়ো নন. তুমি তো বাবার ফটো দেখেছো. আমার থেকেও জোয়ান মনে হয়. আমার থেকেও প্রায় একহাত লম্বা বাবা. আমি আর লম্বা হলাম কই? আসলে বাবা পুলিশ ছিলেন তো তাই তার মধ্যে এখনও সেই কঠোর ভাবে নিজের খেয়াল রাখা, ব্যায়াম করা, এই ব্যাপার গুলো রয়ে গেছে. বাবা ছোট বেলায় রোজ আমায় জোর করে ব্যায়াম করাতো. করতে না চাইলে খুব বকতো আর মারতো. মা এসে আমায় বাঁচাতো.
মা : তোমার মায়ের মুখেই শুনেছি সব. উনি তোমায় খুবই মারতেন. একবার তো তোমাকে এমন মেরে ছিলেন যে তোমার পিঠে কালশিটে পরে গেছিলো. তুমি বাবাকে যমের মতো ভয় পেতে. সেই জন্যই কি তুমি তোমার বাবার ওপর রাগ করে ওনার কাছে যাওনা. তোমার মা যতদিন বেঁচে ছিলেন উনি একা আসতেন এই বাড়িতে কিন্তু শশুরমশাইকে আনতেন না. কেন গো?
বাবা চিন্তিত হয়ে মাকে বলেছিলো : তুমি যেটা ভাবছো সেই ব্যাপার নয় গো. বাবার ওপর রাগ করে নয়. কিছু কারণে মা নিজেই আমাকে মামারবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো. কলেজ শেষ হতেই. কেন জানিনা মা আমাকে বাবার যাচ্ছে থেকে দূরে দূরে রাখতে চাইতো.
মা : কেন?
বাবা : জানিনা গো. তবে মা মনে হয় মনে করতো বাবার কাছে থাকলে আমি খারাপ হয়ে যাবো.
মা অবাক হয়ে : ওমা.... সে আবার কি? নিজের বাবার কাছে থাকলে ছেলে আবার খারাপ হয়ে যায় নাকি? তোমার মা কেমন যেন ছিলেন. আমাদের বিয়ের সময় ওনারা কেউ এলেন না. পরে শাশুড়ি মা একা এসে আমায় আশীর্বাদ করে গেলেন. বাবাকে আনলেন না. তারপর উনি দুদিন পরে ফিরে গেলেন. বিয়ের পর থেকে আমি খালি তোমার বাবার ফটোই দেখেছি. ওনাকে দেখিনি. তবে তোমার বাবার ওই ফটোটা দেখেই বুঝেছিলাম উনি খুব রগচটা মানুষ. তোমার মা তো ওনার সামনে একদম বাচ্চা মনে হয়. ওনার হাইট কত গো?
বাবা : ৬ ফুটের ওপরে. অথচ দেখো আমি মাত্র সাড়ে পাঁচ ফুট. আসলে বাবা কম বয়সে মাকে বিয়ে করে আর তাই বাবা কম বয়সে বাবাও হয়ে যান. আজ বাবাকে দেখলে কেউ বলবেনা তারপর এক নাতি আছে. যেমন লম্বা তেমনি তাগড়াই ব্যায়াম করা শরীর. কিন্তু আমি সেই দিক দিয়ে বাবার কোনো গুন পাইনি.
মা : তুমি তোমার মায়ের মতো হয়েছো.
বাবা : হ্যা.... আর আমি খুশি যে আমি আমার মায়ের মতো হয়েছি. বাবার মতো নয়. জানো বাবার এক ভাই ছিল সে পাগল ছিল. তাকে একটা ঘরে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হতো. সেই ঘরে বাবা ছাড়া আর কেউ ঢুকতোনা. একবার আমি লুকিয়ে ওই ঘরে উঁকি দিয়েছিলাম. দেখি পাগলা কাকু মানে আমার কাকু বিছানায় উলঙ্গ হয়ে বসে আছে আর বাবা কাকুর সামনে খাবারের থালা রেখে ওনার চুল ধরে বলছে : নে শালা খেয়ে নে তাড়াতাড়ি. তোর হয়ে গেলে আবার আমি যাবো.
সেদিন বাবা আমাকে দেখতে পেয়ে যায় আর আমাকে খুবই মারে. মা এসে আমাকে বাঁচায়. নইলে বাবা আরও মারতো হয়তো. আসলে বাবার টাকা পয়সার অভাব ছিলোনা. পুলিশে ছিলেন তাছাড়া বড়ো বাড়ী সম্পত্তি সব ছিল. ওই পাগলা কাকুর সম্পত্তি বাবার নামেই ছিল. তবে ওই পাগলা কাকু আজ আর বেঁচে আছে কিনা জানিনা.
মা : তোমার বাবা খুবই রাগী মানুষ ছিলেন সেতো বোঝাই যাচ্ছে. কিন্তু এখন সেসব ভাবলে চলবেনা. উনি যেমনি হোক উনি তোমার বাবা. তাছাড়া এখন ওসব রাগ অভিমানের সময় নয়. উনি আমাদের দেখতে চাইছেন. মানুষটা একা. তাছাড়া উনি ওনার সম্পত্তি তোমাকে মানে নিজের ছেলেকে দিয়ে যেতে চাইছেন. তোমার আমার সেটা পেলেতো সুবিধাই হবে. এমনিতেও তোমার এই ব্যাবসাটা সেরকম ভালো চলছেনা. তোমার বাবার ওই বিপুল সম্পত্তির মালিক তুমি হলে আমাদের কত সুবিধা হবে বলো দেখি. আমি বলি কি চলো সামনেই অজয়ের কলেজে গরমের ছুটি পড়বে. চলো এই ফাঁকে তোমার গ্রাম থেকে ঘুরে আসি. উনি নিজের নাতিকে কাছে পেয়ে কত খুশি হবে বলোতো. দেখবে আমাদের পেয়ে উনি খুবই খুশি হবে আর ওনার সম্পত্তি তোমার নামে এই ফাঁকে লিখিয়ে নিও.
বাবা : সেতো তাহলে বেশ কয়েকদিনের ব্যাপার. না.. না অতদিন ব্যাবসা ছেড়ে আমি কিকরে থাকবো.
মা : উফফফ..... তোমার এই ব্যাবসা যেমন তুমি চালাচ্ছ চালাও. আমি আর তোমার ছেলে না হয় কদিন ওই বাড়িতে থাকবো. ওনার সেবা করবো. তুমি আবার এসে আমাদের নিয়ে যাবে. দেখবে তোমার বাবার এমন সেবা করবো যে উনি খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি সব তোমার নামে লিখে দেবেন. এতে আমাদের ছেলের ভবিষ্যতের কত সুবিধা হবে বলো. ওকে এই কলেজ ছাড়িয়ে নামি ভালো কলেজে ঢুকিয়ে দেবো এই বয়স থেকেই নামি কলেজে পড়লে ওর অনেক ভালো হবে. তুমিও ব্যাবসায় জোর পাবে. আমিও তোমাদের নিয়ে ভালো থাকবো.
বাবা : বেশ...... তুমি যখন বলছো তাহলে চলো. অনেক বছর যাইনি. ঘুরেই আসি. বাবার সাথে দেখা করে আসি. তাহলে পরের হপ্তায় চলো যাওয়া যাক. আমি এদিকটা ঘুছিয়ে নি একটু.
কি? আপনারা ভাবছেন তো কি সরল পথে আমার এই গল্পটা চলছে, সব সোজা কোনো বাঁক নেই তাইতো? আমিও আজ ভাবি ইশ যদি তাই হতো. যদি সব সোজা পথে চলতো কত ভালো হতো. কিন্তু তা নয়. আজও যখন ঘুমাই চোখের সে সামনে ভেসে ওঠে সেই বীভৎস বিকৃত চরম নোংরা দৃশ্যগুলো আর সেই কথাটা আজও মনে পড়ে : আমার থেকে আমার সব কাড়তে এসেছিলি না ???? এই দেখ আমি তোর থেকেই তোর আসল জিনিস কেড়ে নিলাম !!!
চলবে.........
পার্ভার্ট..... কথাটার মানে আমি ছোটবেলায় জানতাম না. কিন্ত যখন জানলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো. আর কিচ্ছু করার ছিলোনা. নিজের চোখের সামনে বাবাকে হেরে যেতে দেখেছিলাম. বাবার জীবন থেকে সব সুখ নিঃশেষ হয়ে গেছিলো. বাবাকে সর্ব শান্ত হতে হয়েছিল. আর বাবার এত বড়ো ক্ষতি যে লোকটি করেছিল সে অন্য কেউ নয়, এমন একজন মানুষ যে এরকম কাজ করতে পারে বাবা সেটা ভাবতেও পারেনি.
ঘটনাটা খুলেই বলি তাহলে. আমার নাম অজয়. আমি এখন হোস্টেলে থাকি. বাবাই আমাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দিয়েছে. বাবা এখন একা নিজের জীবন কাটান. আপনারা ভাবছেন আমি খালি বাবার কথা বলছি আর মায়ের কোনো কোথাই বলছিনা তাইনা? আসলে কি বলবো বুঝতে পারছিনা. যাক সে কথায় পরে আসি. সালটা ছিল ২০০৬। এই চরম দুর্ভোগ যখন আমাদের কপালে নেমে আসে তখন আমি খুবই ছোট. কোনো কিছু বোঝার সুযোগ বা বয়স হয়নি তখনো. তখন আমি খালি বুঝি বাবা মা, টিভি, খেলা পড়াশোনা ব্যাস. বাবা মা আমি তিনজনে কলকাতায় থাকতাম. বাবা ব্যাবসা করতেন. কি ব্যাবসা ওসব আর নাই বা বললাম. কারণ তার সাথে এই কাহিনীর বিশেষ কোনো যোগাযোগ নেই. মা ই বেশির ভাগ সময় আমার দেখা শোনা করত. আমার খাওয়া, পড়াশোনা ঘুম পড়ানো সব সেই খেয়াল রাখতো. আমার বাবা আসলে ব্যাবসার কাজে এই কলকাতায় চলে আসেন. অন্তত বাবা আমাকে তাই বলেছিলো. এখান থেকে যাতায়াত সুবিধা হয় বলে. কিন্ত আসলে তিনি ছিলেন দূরের এক গ্রামের বড়োলোক বাড়ির একমাত্র ছেলে. আমি যদিও সেই গ্রামে তখনো যাইনি. আমার মাও বিয়ের পর কোনোদিন ওই বাড়িতে যায়নি. শুধু বাবার মুখেই শুনেছেন দাদুর কথা. গ্রামের বাড়িতে আমার দাদু থাকতো. ঠাম্মা অনেক আগেই চলে গেছেন. দাদু বাড়িতে একাই থাকেন. অনেক বার বাবাকে লিখেছেন বৌ বাচ্চা নিয়ে গ্রামে চলে আসতে. দাদুর অনেক জমি অনেক সম্পত্তি আছে সেইসবের দায়িত্ব তিনি বাবাকে দিতে চান. কিন্তু বাবা কেন জানেনা নিজের বাবার কাছে যেতে চায়না. কেন কি কারণে তা অবশ্য আমি জানিনা আর বোঝার বয়সও তখন হয়নি. একদিন বাবা আর মা শুয়ে একে ওপরের সাথে গল্প করছেন. মাঝে আমি শুয়ে. মা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বাবার সাথে কথা বলছে. মা ভেবেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি. মা বাবাকে বলছে...
মা : মানুষটা তো তোমার বাবা নাকি? একা ওই ওতো বড়ো বাড়িতে ভুতের মতো দিন কাটায়. ছেলে হিসেবে তোমার দায়িত্ব নেই ওনার কথা একবার শুনে ওখানে যাবার?
বাবা : আমি জানি দীপালি. কিন্তু বাবাকে তুমি যতটা বুড়ো ভাবছো বাবা অতটা বুড়ো নন. তুমি তো বাবার ফটো দেখেছো. আমার থেকেও জোয়ান মনে হয়. আমার থেকেও প্রায় একহাত লম্বা বাবা. আমি আর লম্বা হলাম কই? আসলে বাবা পুলিশ ছিলেন তো তাই তার মধ্যে এখনও সেই কঠোর ভাবে নিজের খেয়াল রাখা, ব্যায়াম করা, এই ব্যাপার গুলো রয়ে গেছে. বাবা ছোট বেলায় রোজ আমায় জোর করে ব্যায়াম করাতো. করতে না চাইলে খুব বকতো আর মারতো. মা এসে আমায় বাঁচাতো.
মা : তোমার মায়ের মুখেই শুনেছি সব. উনি তোমায় খুবই মারতেন. একবার তো তোমাকে এমন মেরে ছিলেন যে তোমার পিঠে কালশিটে পরে গেছিলো. তুমি বাবাকে যমের মতো ভয় পেতে. সেই জন্যই কি তুমি তোমার বাবার ওপর রাগ করে ওনার কাছে যাওনা. তোমার মা যতদিন বেঁচে ছিলেন উনি একা আসতেন এই বাড়িতে কিন্তু শশুরমশাইকে আনতেন না. কেন গো?
বাবা চিন্তিত হয়ে মাকে বলেছিলো : তুমি যেটা ভাবছো সেই ব্যাপার নয় গো. বাবার ওপর রাগ করে নয়. কিছু কারণে মা নিজেই আমাকে মামারবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো. কলেজ শেষ হতেই. কেন জানিনা মা আমাকে বাবার যাচ্ছে থেকে দূরে দূরে রাখতে চাইতো.
মা : কেন?
বাবা : জানিনা গো. তবে মা মনে হয় মনে করতো বাবার কাছে থাকলে আমি খারাপ হয়ে যাবো.
মা অবাক হয়ে : ওমা.... সে আবার কি? নিজের বাবার কাছে থাকলে ছেলে আবার খারাপ হয়ে যায় নাকি? তোমার মা কেমন যেন ছিলেন. আমাদের বিয়ের সময় ওনারা কেউ এলেন না. পরে শাশুড়ি মা একা এসে আমায় আশীর্বাদ করে গেলেন. বাবাকে আনলেন না. তারপর উনি দুদিন পরে ফিরে গেলেন. বিয়ের পর থেকে আমি খালি তোমার বাবার ফটোই দেখেছি. ওনাকে দেখিনি. তবে তোমার বাবার ওই ফটোটা দেখেই বুঝেছিলাম উনি খুব রগচটা মানুষ. তোমার মা তো ওনার সামনে একদম বাচ্চা মনে হয়. ওনার হাইট কত গো?
বাবা : ৬ ফুটের ওপরে. অথচ দেখো আমি মাত্র সাড়ে পাঁচ ফুট. আসলে বাবা কম বয়সে মাকে বিয়ে করে আর তাই বাবা কম বয়সে বাবাও হয়ে যান. আজ বাবাকে দেখলে কেউ বলবেনা তারপর এক নাতি আছে. যেমন লম্বা তেমনি তাগড়াই ব্যায়াম করা শরীর. কিন্তু আমি সেই দিক দিয়ে বাবার কোনো গুন পাইনি.
মা : তুমি তোমার মায়ের মতো হয়েছো.
বাবা : হ্যা.... আর আমি খুশি যে আমি আমার মায়ের মতো হয়েছি. বাবার মতো নয়. জানো বাবার এক ভাই ছিল সে পাগল ছিল. তাকে একটা ঘরে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হতো. সেই ঘরে বাবা ছাড়া আর কেউ ঢুকতোনা. একবার আমি লুকিয়ে ওই ঘরে উঁকি দিয়েছিলাম. দেখি পাগলা কাকু মানে আমার কাকু বিছানায় উলঙ্গ হয়ে বসে আছে আর বাবা কাকুর সামনে খাবারের থালা রেখে ওনার চুল ধরে বলছে : নে শালা খেয়ে নে তাড়াতাড়ি. তোর হয়ে গেলে আবার আমি যাবো.
সেদিন বাবা আমাকে দেখতে পেয়ে যায় আর আমাকে খুবই মারে. মা এসে আমাকে বাঁচায়. নইলে বাবা আরও মারতো হয়তো. আসলে বাবার টাকা পয়সার অভাব ছিলোনা. পুলিশে ছিলেন তাছাড়া বড়ো বাড়ী সম্পত্তি সব ছিল. ওই পাগলা কাকুর সম্পত্তি বাবার নামেই ছিল. তবে ওই পাগলা কাকু আজ আর বেঁচে আছে কিনা জানিনা.
মা : তোমার বাবা খুবই রাগী মানুষ ছিলেন সেতো বোঝাই যাচ্ছে. কিন্তু এখন সেসব ভাবলে চলবেনা. উনি যেমনি হোক উনি তোমার বাবা. তাছাড়া এখন ওসব রাগ অভিমানের সময় নয়. উনি আমাদের দেখতে চাইছেন. মানুষটা একা. তাছাড়া উনি ওনার সম্পত্তি তোমাকে মানে নিজের ছেলেকে দিয়ে যেতে চাইছেন. তোমার আমার সেটা পেলেতো সুবিধাই হবে. এমনিতেও তোমার এই ব্যাবসাটা সেরকম ভালো চলছেনা. তোমার বাবার ওই বিপুল সম্পত্তির মালিক তুমি হলে আমাদের কত সুবিধা হবে বলো দেখি. আমি বলি কি চলো সামনেই অজয়ের কলেজে গরমের ছুটি পড়বে. চলো এই ফাঁকে তোমার গ্রাম থেকে ঘুরে আসি. উনি নিজের নাতিকে কাছে পেয়ে কত খুশি হবে বলোতো. দেখবে আমাদের পেয়ে উনি খুবই খুশি হবে আর ওনার সম্পত্তি তোমার নামে এই ফাঁকে লিখিয়ে নিও.
বাবা : সেতো তাহলে বেশ কয়েকদিনের ব্যাপার. না.. না অতদিন ব্যাবসা ছেড়ে আমি কিকরে থাকবো.
মা : উফফফ..... তোমার এই ব্যাবসা যেমন তুমি চালাচ্ছ চালাও. আমি আর তোমার ছেলে না হয় কদিন ওই বাড়িতে থাকবো. ওনার সেবা করবো. তুমি আবার এসে আমাদের নিয়ে যাবে. দেখবে তোমার বাবার এমন সেবা করবো যে উনি খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি সব তোমার নামে লিখে দেবেন. এতে আমাদের ছেলের ভবিষ্যতের কত সুবিধা হবে বলো. ওকে এই কলেজ ছাড়িয়ে নামি ভালো কলেজে ঢুকিয়ে দেবো এই বয়স থেকেই নামি কলেজে পড়লে ওর অনেক ভালো হবে. তুমিও ব্যাবসায় জোর পাবে. আমিও তোমাদের নিয়ে ভালো থাকবো.
বাবা : বেশ...... তুমি যখন বলছো তাহলে চলো. অনেক বছর যাইনি. ঘুরেই আসি. বাবার সাথে দেখা করে আসি. তাহলে পরের হপ্তায় চলো যাওয়া যাক. আমি এদিকটা ঘুছিয়ে নি একটু.
কি? আপনারা ভাবছেন তো কি সরল পথে আমার এই গল্পটা চলছে, সব সোজা কোনো বাঁক নেই তাইতো? আমিও আজ ভাবি ইশ যদি তাই হতো. যদি সব সোজা পথে চলতো কত ভালো হতো. কিন্তু তা নয়. আজও যখন ঘুমাই চোখের সে সামনে ভেসে ওঠে সেই বীভৎস বিকৃত চরম নোংরা দৃশ্যগুলো আর সেই কথাটা আজও মনে পড়ে : আমার থেকে আমার সব কাড়তে এসেছিলি না ???? এই দেখ আমি তোর থেকেই তোর আসল জিনিস কেড়ে নিলাম !!!
চলবে.........
ভালো লাগলে Reps দেবেন বন্ধুরা