Thread Rating:
  • 98 Vote(s) - 3.11 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Horror অভিশপ্ত সেই বাড়িটা - বাবান
khub valo update....oshadharon hoyeche
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
Khubi bhalo hochhe dada wait korchi next updater
Like Reply
Nice story
Like Reply
ধন্যবাদ বন্ধুরা..... নতুন আপডেট শীঘ্রই আসবে. সঙ্গে থাকুন. আসার আগে জানিয়ে দেবো কবে আসবে. ❤️
Like Reply
আপডেটের আশায় রইলাম
Like Reply
Apnar lekhay jadu ache bolte hoy
Apnar update er ashay protidin 1bar holeo site tay dhuki
Arokom golpo aro chai apnar kach theke
পাঠক
happy 
Like Reply
অনেক ধন্যবাদ kakarot, boren raj, shoumen, s2929, black rainbow, santanu mukherjee, monirul, bratapol এবং বাকি সকলকে. কিছু ব্যাস্ততার কারণে আপডেট লিখতে পারছিনা. তবে শীঘ্রই আপডেট আসবে. আপনারা সঙ্গে থাকুন.
Like Reply
বন্ধুরা.... খুব শীঘ্রই গল্পের আপডেট আসবে. কবে আসবে তা আগেই জানিয়ে দেবো. ধন্যবাদ.
Like Reply
বন্ধুরা কাল রাত্রে আপডেট আসছে. তৈরী থাকুন সেই বাড়ির অতীতের কিছু গোপন ব্যাপার জানতে.
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
I have started reading your story today only and I am hooked ...eagerly waiting for the next update...keep writing and thank you.
[+] 1 user Likes kishen's post
Like Reply
Baah..! khub valo hoyeche..

Asha kori, anupama r bepar tao ektu details e likhbe... ki holo, kemon kore holo...etc.. Nice going.. keep it up..

Best Wishes.
Like Reply
[Image: 20191031-021534.png]

বুবাই রাজুকে জিজ্ঞেস করলো কি বিপদ হয়েছিল?  রাজু একটু ভাবলো তারপর বললো শোনো তাহলে. এখন আমি যা বলবো তা তোমার কাছে একদম নতুন কিছু হবে. তবে আমি যতটা পারি গুছিয়ে বলবো. (এবার যে ঘটনাটি বলা হবে সেটি একটি ছোট বাচ্চার মুখ দিয়ে বেরোলেও বিশেষ মুহূর্ত গুলোর বর্ণনা আমি অর্থাৎ বাবান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তাদের ভাষায় লিখবো. ) রাজু বলা শুরু করলো : সেদিন জেঠুর ঘর থেকে  মা বেরোনোর পরে আমি ছাদে চলে গেছিলাম. কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করার পরে যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছি তিনতলার ওই ঘরটায় যে ঘরটা তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলে ওই ঘরটা থেকে হাসির শব্দ শুনতে পেলাম. ওই ঘরটা জেঠুর ঘর. আমি এগিয়ে গেলাম ওই ঘরে. জানলা দিয়ে দেখি লাবনী আর কল্যাণ জেঠুর সাথে গল্প করছে. লাবনী হটাত আমায় দেখতে পেয়ে গেলো আর জেঠুকে বললো : গুরু...... না মানে দাদা দেখুন অনুপমার ছেলে এসেছে. তারপর আমাকে ভেতরে ডাকলেন জেঠু. এসো সোনা ভেতরে এসো. আমি এগিয়ে গেলাম. বাবা জেঠুর কাছে যেতেই বুঝলাম কি লম্বা জেঠামনি. আমাকে কোলে তুলে আমার গাল টিপে লাবনীকে বললেন : লাবনী..... দেখেছিস কি সুন্দর দেখতে হয়েছে আমার ভাইয়ের ছেলেকে. একদম মায়ের মুখ. যেমন সুন্দরী ওর মা ছেলেও তেমন সুন্দর দেখতে হয়েছে. তারপর আবার আমার গাল টিপে বললেন জেঠু : তোমাদেরকে দেখার জন্য কবে থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি. তোমরা আসোনি কেন?  তুমি তোমার ভাই, তোমার বাবা আর তোমার সুন্দর মাকে দেখার জন্য কবে থেকে অপেক্ষা করছি. আমি হাসলাম. লাবনী হেসে বললো : সত্যি দাদা. অনেকদিন অপেক্ষা করতে হলো ওদের আসার. তবে আর চিন্তা ওর মা যখন আমাদের বাড়িতে এসে গেছে তখন আর দুঃখ কি. কথাটার মানে তখন বুঝিনি. আজ বুঝি. যাইহোক...... আমি জেঠুর কোল থেকে নেমে ঘরে চলে আসি. এসে দেখি মা ভাইকে দুধ খাওয়াচ্ছে. এই মেজো ভাই গল্পের বই পড়ছে. সেদিন রাতে খাওয়া দেয়া শেষ করার পর আমি আর ভাই বারান্দায় খেলছি. মা বাবার সাথে কথা  বলছে. আমি দেখলাম লাবনী তিনতলা থেকে নীচে নেমে গেলো. হয়তো জেঠুর ঘরে গেছিলো. মা আমাদের ঘরে ডাকলো শোবার জন্য. আমরা বেশ তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তাম. বাবা নীচে বিছানা পেতে শুয়ে পড়লেন. আমি আর দুই ভাই মায়ের সাথে খাটে. আমরা তোমাদের ওই ঘরটায় ছিলাম যেটাতে তোমার বাবা মার ঘর. মা জানলা খুলেই ঘুমায়. ওই বারান্দার পাশের জানলাটা খোলা ছিল. সেটা দিয়ে বেশ হাওয়া ঢুকছিল আর চাঁদের হালকা আলোও. রাত তখন কটা বাজে জানিনা, হটাৎ কিসের জন্য যেন আমার ঘুমটা ভেঙে গেলো. আমি চোখ খুলে দেখি মায়ের চুড়ির শব্দ. আর মা কিসব যেন বলছে. জানলা দিয়ে আলো ঢুকছিল তাতেই আমি দেখলাম মা খুব নড়াচড়া করছে. কিসব বলছে. মা নিজের হাত দিয়ে গলার কাছে কি যেন ধরে আছে আর সেটায় হাত বোলাচ্ছে. মা পা দুটো একে অপরের সাথে ঘসছে. মায়ের চোখ বন্ধ কিন্তু মুখ দিয়ে কিসব বলে চলেছে . তারপর মা পাশ ফিরে শুলো. আমারো ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছিলো. তাই ওতো কিছু না ভেবে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম. পরের দিন সকালে উঠে দেখি ভাইরা ঘুমোচ্ছে. মা নেই. বোধহয় কল ঘরে গেছে. বাবা সকাল সকাল শহরে চলে যান. তাই বোধহয় বেরিয়ে গেছেন. আমি উঠে নীচে নামতে লাগলাম. দালানে এসে দেখি অদ্ভুত কান্ড. জেঠু দাঁড়িয়ে. আমায় দেখতে পাননি উনি. আমি দেখলাম জেঠু কলঘরের একটা দরজার কাছে গিয়ে সেই দরজায় হাত রাখলো তারপর নিজের মনেই কিসব বলতে লাগলো. তারপরেই ওই দরজা লক্ষ্য করে ফুঁ দিলো. তিনবার. আমি কিছুই বুঝলাম না. আমি দেখলাম জেঠু দরজার সামনে দিয়ে সরে গিয়ে পেছনের ভাঙা পাঁচিল ডিঙিয়ে কলঘরের বাইরের দিকটায় চলে গেলেন. তিনি চলে যেতেই আমি তাড়াতাড়ি বাথরুম করে বেরিয়ে ওই ভাঙা পাঁচিল এর কাছটায় গেলাম. আমি সাহস করে আর লাফ দিতে পারলাম না. চলে এলাম. তখনি দরজা খোলার শব্দ হলো. আমি এগিয়ে আসতেই দেখি মা কলঘর দিয়ে বেরিয়ে এলো. মা ওই বাথরুমটাতেই ঢুকে ছিল যেটার সামনে একটু আগে জেঠু দাঁড়িয়ে ছিলেন আর কিসব করছিলেন. আমি মায়ের কাছে এগিয়ে যাবো ভাবছি হটাৎ দেখি মা নিজের মনেই হেসে উঠলো আর গামছা দিতে তার লম্বা চুল মুছতে লাগলো. আমি তখনি প্রথম লক্ষ্য করলাম মায়ের গলায় ঝুলছে জেঠুর দেওয়া সেই লকেট. শাড়ীটা ভিজে মায়ের গায়ে লেপ্টে ছিল তারমানে মায়ের স্নান হয়ে গেছিলো. মা গামছা দিয়ে চুল মুছতে মুছতে ওপরে যেতে লাগলো. এরপর আরেকটু সময় পার হলো. আমি আর ভাই বারান্দায় দৌড়ো দৌড়ি করে খেলা করছি. মা আমাদের বকা দিয়ে দাদুর ঘরে গেলো. এখন মা নিজেই দাদুকে খাইয়ে দেন. একটা আশ্চর্য জিনিস লক্ষ্য করলাম মায়ের হাতের খাবার খেয়ে দাদুকে যেন আগের থেকে ভালো লাগছিলো. মনে হচ্ছিলো অবস্থার উন্নতি হচ্ছে. মা দাদুকে খাওয়ানো শেষ করে নিজেই  লাবনীর সঙ্গে তিনতলায় চলে গেলো. অর্থাৎ জেঠুকে খাবার দিতে . আমি আর ভাই একতলায় নেমে দালানে ছোট একটা বল নিয়ে খেলতে লাগলাম. তখন আমাদের ছুটির সময় তাই আমরা দুই ভাই খেলে নয় গল্পের বই পড়ে সময় কাটাই. বল খেলতে খেলতে একসময় হয়তো আমি একটু জোরেই বলটা ছুড়ে ছিলাম. বলটা ভাইয়ের ওপর দিয়ে একতলার একটা ঘরে ঢুকে গেলো. ভাই ছুট্টে গেলো বলটা আনতে. আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় আমি শুনলাম ভাই আমায় ডাকছে. আমিও ভেতরে গেলাম. দেখি ভাই যে ঘরে ঢুকেছে সেখানে পুরোনো সব আসবাব পত্র রাখা. ও বললো বলটা খাটের  নীচে ঢুকে গেছে, ওখানে নানারকম জিনিসে ভর্তি আর অন্ধকারও. ওখানে ঢুকতে ওর ভয় করছে. ও ছোট তাই আমিই ঢুকবো বলে স্থির করলাম. আমি খাটিয়ার নীচে ঢুকলাম. কিন্তু বল খুঁজেই পাচ্ছিনা. আমার হাতে একসময় বলটা ঠেকলো. আমি ওটা নিয়ে হাতে নিতেই আরো একটা জিনিস আমার হাতে ঠেকলো. একটা কাপড়ের ঝোলা. আমার কি মনে হতে আমি ওটাও বাইরে নিয়ে এলাম. বাইরে এনে দেখি ওটা একটা লাল কাপড়ের পুটলি. খুব পুরোনো আর বেশ কয়েকটা গিঁট বাঁধা. আমি খুলতে যাবো এমন সময় কার যেন পায়ের শব্দ পেলাম. আমি চালাকি করে ওটা আবার ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম আর দরজা দিয়ে বেরোতে গেলাম. তখনি একজনের সাথে ধাক্কা খেলাম. দেখি কল্যাণ. সে আমাদের এই ঘরে দেখে অবাক. আমি লক্ষ্য করলাম আমাদের এখানে দেখে তার মুখে একটা রাগ ফুটে উঠলো কিন্তু সে সেটা সামলে নিয়ে হেসে বললো : আরে.... বাবুরা... তোমরা এই ঘরে কেন?  আমি বললাম বল ঢুকে এসেছিলো. ও বললো : আচ্ছা.... আচ্ছা.... কিন্তু বাবারা তোমরা এই ঘরে ঢুকনা হা. আমি কেন জিজ্ঞেস করতে সে বললো : আসলে দেখতেই পাচ্ছ খুব নোংরা ঘরটা, তাছাড়া নানারকম পোকা মাকড়, ইঁদুর আরশোলা থাকতে পারে যদি তোমাদের কামড়ে দেয়. এই শুনে ভাই ভয় পেয়ে গেলো আর আমাকে ধাক্কা দিতে লাগলো বাইরে যাওয়ার জন্য. আমি আর ভাই বাইরে আসতেই কল্যাণ ঘরটা তালা মেরে দিলো. আমার কেমন জানি লাগলো ব্যাপারটা. সকালে জেঠু ঐরকম আবার এখন কল্যাণের তাড়াহুড়া করে ঘর বন্ধ করে দেওয়া. ভাই আমাকে বললো ও মায়ের কাছে যাবে. আমরা ওপরে চলে এলাম. দেখলাম মা আর লাবনী বারান্দায় গল্প করছে. মাকে দেখে ভাই দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো. মা ভাইকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করে বললো : কি হয়েছে সোনা?  ও আমাদের একটু আগের ঘটে যাওয়া সব কিছু বললো. মা ওই কথা শুনে আমাকে হালকা বকা দিলো. বললো : ও ছোট কিন্তু তুই তো বড়ো হচ্ছিস. ওরম নোংরা জায়গায় একটা বল এর জন্য গেলি কেন. ইশ.... জামায় নোংরা গুলো লাগিয়ে এসেছে. আয় জামা পাল্টে নে. লাবনী দেখলাম ভাইয়ের ওই কথা শুনে বললো : বৌদি আমি বরং নীচে যাই হ্যা...  আর জামাটা আমাকে দিয়ে দিন আমি ধুয়ে দেবো. মায়ের কথায় জামাটা খুলে লাবনীকে দিয়ে দিলাম. ও জামাটা নিয়ে বেরিয়ে গেলো. মা ভাইকে নিয়ে ঘরে চলে গেলো. আমি বারান্দা দিয়ে নীচে তাকিয়ে দেখলাম লাবনী নীচে নেমে কল্যাণের ঘরের দিকে চলে গেলো. আমি ঘরে এসে জামা আরেকটা জামা পড়ে নিলাম. আমরা দুই ভাই সকালেই স্নান সেরে কলেজে যেতাম. কিন্তু যেহেতু এখন ছুটি তাই আমরা সারাদিন খেলা আর দুস্টুমি করে বেড়াই আর দুপুরে স্নান করতে যাই. আমি নিজে স্নান করতে পারি কিন্তু ভাই এখনও ছোট তাই মা ওকে স্নান করিয়ে দেয়. মা আমাকে ছোট ভাইয়ের সাথে  ঘরে থাকতে বলে মেজো ভাইকে নিয়ে স্নান করাতে চলেছে গেলো. আমি বারান্দায় বল নিয়ে খেলছি. নিচেই কলঘর. ঐতো... দেখতে পাচ্ছি মা ভাইকে. মা ভাইকে মগে জল নিয়ে ভাইয়ের মাথায় ঢালছে ভাই দুস্টুমি করছে. মা হাসছে. হটাৎ আমার পিঠে একটা হাত. আমি ঘুরে দেখি জেঠু. জেঠু আমায় দেখে হেসে বললেন : কি দেখছো বাইরে?  এইবলে তিনিও নীচে তাকালেন আর তাকাতেই আমি দেখলাম ওনার চোখ মুখের ভঙ্গি কেমন যেন বদলে গেলো. সে একদৃষ্টিতে নীচে তাকিয়ে আছে. ওদিকে মা ঝুঁকে ভাইকে স্নান করাচ্ছিল. মা সামনের দিকে ঝুঁকে ছিল আর মায়ের শরীর আঁচলটা কখন কাঁধ থেকে সরে গিয়ে মায়ের ব্লউসেটা বেরিয়ে পড়েছে সেটা সে লক্ষই করেনি সে ভাইকে স্নান করাতে করাতে হাসছে আর ভাইকে আদর করছে. মা আমাদের তিন ভাইকেই খুব আদর করে খুব ভালোবাসে. কিন্তু জেঠু ঐভাবে মাকে দেখছেন কেন? জেঠুর পরনে ছিল ধুতি আর গেঞ্জি. আমি দেখলাম তিনি গেঞ্জিটা খুলে ফেললেন আর সেটা কাঁধে রেখে তার লোম ভর্তি বুকে হাত বোলাতে বোলাতে নীচে দেখতে লাগলেন. জেঠুর চোখ দুটো লাল হয়ে গেলো. তার চোয়াল শক্ত. আমার কেমন যেন লাগছে. আমি জেঠুকে ডাকলাম. কিন্তু তিনি যেন শুনতেই পেলেননা. তিনি আমার সামনে থেকে থেকে সরে গিয়ে আরো এগিয়ে বারান্দায় যেখান দিয়ে আরো ভালোভাবে কলঘরটা দেখা যায় সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে ঝুঁকে দেখতে লাগলেন. একটু পরে দেখলাম মা ভাইকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসছে. সেটা দেখে জেঠুও বারান্দায় থেকে সরে গিয়ে ওপরে নিজের ঘরে যেতে লাগলেন. আমার মনে হলো উনি যখন হাঁটছিলেন ওনার ধুতির সামনের দিকটা কেমন যেন উঁচু হয়ে ছিল. আমি বুঝলাম না. এরপর মা ভাইকে নিয়ে ওপরে উঠে এলো আর আমি গেলাম স্নান করতে. দুপুরে খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে মা একটু ঘুমিয়ে নেয়. সেদিনও মা আর আমার দুই ভাই মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পরলো. মা আমাকেও জোর করে শুইয়ে দিয়েছিলো. কিন্তু আমি ছিলাম খুব ছট ফটে. তাই আমি জেগে রইলাম. ওরা ঘুমিয়ে পড়তেই আমি আসতে করে বেরিয়ে এলাম আঁকার খাতা নিয়ে তোমার মতোই. আমিও ভাবলাম ছাদে গিয়ে একটা ছবি আঁকবো. আমি ছাদে উঠছি এমন সময় একটা কান্না জড়ানো শব্দ শুনতে পেলাম. ভুল হয়ে গেছে ছেড়ে দিন বাবাজি. তারপরেই একটা হুঙ্কার ছেড়ে দেবো তোকে তোর জন্য আজ আমার এতদিনের পরিকল্পনা ভণ্ডুল হতে যাচ্ছিলো. আর তোকে ছেড়ে দেবো?  কে বলেছিলো দরজা খোলা রেখে বেরিয়ে যেতে? আমি ভয় পেলাম তাই চুপচাপ ছাদে উঠেছে গেলাম. আমি ভেবে ছিলাম কল্যাণের কোনো ভুলে জেঠু তাকে বকছেন. আমি ছবিটা আঁকতে বসলাম. আমার মা আমি আমার ভাইয়েরা আর বাবার একসাথে দাঁড়িয়ে একটা ছবি. সেটা আজও আঁকা শেষ হলোনা. আজও অসমাপ্ত. এই বলে রাজু একটু থামলো. তারপর কি যেন ভাবলো. শেষে আবার বলতে শুরু করলো : আমি কিছুটা ছবি এঁকে নীচে নেমে এলাম. খুব শান্ত ভাবেই দিন শেষ হলো. নেমে এলো রাত. বাবা সন্ধের মধ্যে ফিরে এসেছিলেন. রাত্রে খাওয়া শেষ করে বাবা গেলেন দাদুর সাথে দেখা করতে. দাদুর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে বাবা ঘরে এলেন. মা তখন বিছানা পাতছে. বাবা মাকে বললেন যে তিনি 6 দিনের জন্য কলকাতার বাইরে যাবেন. ব্যাবসার জন্য. বাবার কথা শুনে আমি ভাই বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম : বাবা... আপনি এতদিন থাকবেননা... আমরা আপনাকে ছাড়া কি করে থাকবো?  বাবা হেসে আমাদের আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন : আরে চিন্তা করছিস কেন? এখানে তো সবাই আছে. দাদু জেঠু  বাড়ির লোক. চিন্তা কিসের? মা বললেন : কিন্তু.........? মাকে থামিয়ে বাবা বললেন : কোনো চিন্তা নেই. আমি তো আগেও এরকম বাইরে গেছি. তখন তো তোমাকেই সব সামলাতে হতো. আর এখানে তো কত লোক. চিন্তা করোনা. আমি 6 দিনের দিনই ফিরে আসবো. চলো শুয়ে পড়ি. বাবা আমাদের মাথায় আবার হাত বুলিয়ে শুয়ে পড়লেন. মা আমাদের নিয়ে শুয়ে পড়লেন. আমি একদিকের ধারে আর মা আরেক ধারে, মাঝে দুই ভাই. মায়ের দিকের জানলাটা খোলা. আমরা আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম. কি  শান্ত পরিবেশ. বাইরে ঝিঁঝি পোকার আওয়াজ. মাঝে মাঝে শেয়ালের ডাক. এইসব শুনতে শুনতে কখন জানি ঘুমিয়ে পড়লাম . কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানিনা হটাৎ ঘুমটা ভেঙে গেলো. আমার ঘুমটা একটু পাতলা, একটুতেই ভেঙে যেত. আমি ঘুম ভেঙে দেখি মায়ের আওয়াজ আসছে. আমি মায়ের দিকে ফিরলাম. দেখি মা কালকের মতোই নড়াচড়া করছে. তার ঠোঁটে হালকা হাসি. মা মাথার বালিশটা দু হাতে চেপে ধরে আছে. মায়ের শাড়ীর আঁচল খসে পড়েছে. ব্লাউস বেরিয়ে এসেছে. খুব জোরে জোরে নিঃস্বাস নিচ্ছে মা. তারপর দেখি মায়ের শাড়ী সায়া হাঁটু পর্যন্ত তোলা. পা দুটো হাঁটু পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে. মা কিসব বলে চলেছে. আমি কান পেতে শুনলাম. মা বলছে : উফফফফ..... এসব কি হচ্ছে.... আমি.. আমি.... পারছিনা... কে আপনি?  যাবেন না.... যাবেন না... কোথায় যাচ্ছেন? . .... আমায় এইভাবে ছেড়ে যাবেন না..... আমি পারছিনা..... একি !!! দাদা আপনি !! তারমানে কালকে ওটা আপনি ছিলেন !! এমা.... না না... ছাড়ুন ছাড়ুন.... উফফফ কি সুখ.... এটা ঠিক নয়.... এটা ঠিক নয়.....উঃ আঃ.....আস্তে... আস্তে কি সুখ. 


আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না. মা দেখলাম কালকের মতো লকেটটা খামচে ধরে হাসছে. মা নিজের পায়ে পা ঘসছে. মায়ের পায়ে নুপুর ছিল. সেই নুপুরের শব্দ সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে. মায়ের শাড়ী নীচে ঝুলছে. তার অপরের অঙ্গে শুধু ব্লাউস. মায়ের পেট বেরিয়ে পড়েছে. মা বলছে :দাদা দাদা আস্তে আস্তে করুন..... হ্যা এইভাবে.... এ কি করছি আমি . দাদা আমি একি করছি? উফফফফ পাপি আমি. আমাকে শাস্তি দিন. আঃ উঃ মাগো কি সুখ. মাকে ওরকম দেখে আমার ভয় লাগলো. আমি মাকে ডাকতে লাগলাম মা মা করে. একটু পরেই মায়ের ঘুম ভেঙে গেলো. মা ধড়ফড় করে উঠে বসলো. আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?  মা বললো : কৈ? কিছু হয়নি তো..... ঘুমিয়ে পর. এইবলে নিজেকে ঠিক ঠাক করে মা শুয়ে পরলো. আমি আবার শুয়ে পড়লাম. আমার চোখটা গেলো জানালায় আর আমার বুকটা ধক করে উঠলো. আমি স্পষ্ট দেখলাম কেউ একজন জানলা দিয়ে সরে গেলো. 

পরের দিন সকালে বাবা আমাদের আদর করে দাদুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন. মা আমি আর ভাইও গেলাম বাবার সাথে. গিয়ে দেখি জেঠুও ঐঘরে বসে. আমি মায়ের পেছনে ছিলাম. ঘরে ঢোকার মুখে মা হটাৎ কি দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পরলো. আমি দেখি জেঠুকে দেখে মা দাঁড়িয়ে আছে. তারপর মাথা নিচু করে ঘরে ঢুকলো মা. বাবা গিয়ে দাদুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন আর বললেন তিনি কয়েকদিনের জন্য বাইরে যাচ্ছেন. জেঠু জিজ্ঞেস করলেন : কতদিনের জন্য বাইরে যাচ্ছিস?  বাবা উত্তর দিলেন 6 দিন. এটা শুনেই আমি দেখলাম জেঠুর মুখে একটা হাসির ঝলক খেলে গেলো. তার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো. প্রচন্ড খুশির খবর শুনলে মানুষের মুখে যে ভাব ফুটে ওঠে সেই রকম একটা ভাব. তবে সেটা সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে স্বাভাবিক ভাবে জেঠু বাবাকে বললেন : সাবধানে যা. এখানের কোনো চিন্তা করিসনা. (তারপরে মায়ের দিকে তাকিয়ে): আমি আছি তো ওদের দেখভাল করার জন্য. বাবা খুশি হয়ে জেঠুকে প্রণাম করলেন. বাবার প্রণাম করার সেই মুহূর্তে দেখলাম জেঠু একবারও বাবার দিকে না তাকিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল. মা দাদুর পাশে দাঁড়িয়ে ছিল. মাও আড়চোখে কয়েকবার জেঠুকে দেখলো. তারপর লজ্জায় মুখ নামিয়ে নিলো. বাবা উঠে দাঁড়াতেই জেঠু বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো. বাবা মাথা জেঠুর কাঁধের কাছেই শেষ. আর স্বাস্থ্যের দিক দিয়েও জেঠু অনেক স্বাস্থবান. আমরা দাদুর ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম. আমি বাবা ভাই মা আর পেছন পেছন জেঠুও বেরিয়ে এলেন. তিনিও আমার ভাইকে কোলে নিয়ে আমাদের সাথে নিচ অব্দি এলেন. বাবা বেরিয়ে যাবার আগে আমার মাথায় হাত রেখে আদর করে বলে গেছিলেন : রাজু.... তুমি বড়ো ভাই, তাই ছোট ভাইদের খেয়াল রাখবে আর মায়ের কথা শুনবে. ঠিক আছে?  আমি মাথা নেড়ে জবাব দিয়েছিলাম : হ্যা বাবা আমি ভাইদের খুব খেয়াল রাখবো. ওদের কোনো বিপদ হতে দেবোনা. আমার উত্তরে বাবা খুশি হয়ে আমার মাথায় চুমু খেয়ে চলে গেছিলেন. আমি বাবাকে সেই শেষ দেখেছিলাম. 

বুবাই হটাৎ রাজুকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলো : সেই শেষ দেখেছিলে মানে?  তোমার বাবার কি কিছু হয়েছিল?  এই কথা শুনে রাজু মুচকি হেসে উঠলো. তারপর বলল : সেটা পরে বলছি. আগে বাকিটা শোনো. বাবা চলে যেতে আমরা ঘরে ঢুকে এলাম. মেজো ভাই জেঠুর কোলে চড়ে তার সাথে গল্প করছিলো. মা ওপরে চলে গেলো. আমি মায়ের পেছন পেছন উঠছিলাম হটাৎ দেখলাম কল্যাণ জেঠুর সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে গেলো. আমার কি মনে হতে আমি আর ওপরে না উঠে সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম. লুকিয়ে দেখলাম কল্যাণ কাচুমাচু মুখ করে জেঠুর কাছে এগিয়ে এলো. জেঠু ভাইকে কোলে নিয়ে আদর করছিলো. ছোট্ট 5 বছরের বাচ্চা তখন ভাই. কল্যাণ এসে বললো : আর কোনোদিন এরকম হবেনা. ক্ষমা করে দিন. জেঠু হেসে বললেন : থাক.... আমি তোদের ক্ষমা করে দিয়েছি. আজ আমি খুব খুশি. তারপর ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন : এর বাবা আজ 6 দিনের জন্য কাজে বেরিয়ে গেলো. এটা শুনে কল্যাণেরও চোখ মুখ আনন্দে ভোরে উঠলো. সে বললো : বাহ্..... এতো সোনায় সোহাগা বাবাজি. আপনার এতদিনের মনের আশা পূরণ হওয়ার পথে আর বাঁধা নেই. জেঠু বললেন : তা ঠিক বলেছিস. আমার ভাইয়ের ছেলেটাকে কি মিষ্টি দেখতে হয়েছে না.... কি বলিস কল্যাণ?  কল্যাণ এগিয়ে এসে ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো : তা ঠিক বলেছেন. তিনটেরই মুখ মায়ের মতন. জেঠু ভাইকে চুমু খেয়ে বললেন : একদম ঠিক বলেছিস. একদম অনুপমার মুখ বসানো. কল্যাণ বিশ্রী হাসি হেসে বললো : আপনি ভাববেন না..... আপনারটাও এমন সুন্দর দেখতে হবে. জেঠু বললেন : শোন......আজকেই ওই ওষুধটা নিয়ে আসবি আর লাবনীকে বলবি ওর খাবারে............কল্যাণ জেঠুকে থামিয়ে বললো : আপনি কিচ্ছু ভাববেন না..... আমি কালকেই ওটা নিয়ে এসেছি. লাবনীকে বলাই আছে. আজকেই সব মিশিয়ে দেবে. আপনি কোনো চিন্তা করবেননা. আপনি শুধু এর মায়ের সাথে.... হা.. হা... হা.. হা. 

ভাই হটাৎ জিজ্ঞেস করলো : তোমরা হাসছো কেন?  এটা শুনে ওরা আরো হেসে উঠলো.  তখনি মা ওপর থেকে হাঁক দিলো. জেঠু ভাইকে নামিয়ে দিলো. ভাই দৌড়ে ওপরে উঠে গেলো. আমি লুকিয়ে ছিলাম বলে ও আমায় দেখতে পেলোনা. আমি শুনলাম জেঠু বলছে : বাচ্চাদের মন কি পবিত্র হয় বল?  বলে তোমরা হাসছো কেন?  কল্যাণ বললো : বেচারা জানেই না আমরা ওর জননীকে নিয়েই আলোচনা করছিলাম. ও জানেনা আর জানতেও পারবেনা কি ব্যাপার. শুধু জানবো আমি লাবনী আপনি আর ওর মা. জেঠু বললো : এই সুযোগ এসেছে যখন তখন আবার এই বাড়িতে সেই দিন ফিরে আসবে. সেই অসম্পূর্ণ কাজ যা সুজাতার সাথে হয়ে ওঠেনি তা এবার সম্পন্ন হবে অনুপমার মাধ্যমে. 

আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না ওদের কথাবার্তা. শুধু কেন জানি খারাপ অনুভূতি হচ্ছিলো. আমি ওপরে উঠে এলাম. মা তখন ছোট ভাইকে দুধ দিচ্ছে. মেজো মায়ের গলা জড়িয়ে আদর খাচ্ছে. আমি ওদের দেখে আবার বাইরে বারান্দার চেয়ারে বসে গল্পের বই পড়তে লাগলাম. একটু পরে দেখি মা ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এলো. পেছনে মায়ের শাড়ীর আঁচল ধরে মেজো. মা বারান্দাটা এদিক থেকে ওদিক হাঁটতে হাঁটতে ভাইকে ঘুম পাড়াতে লাগলো. আমি আবার বইতে মনোযোগ দিলাম. যখন আমি আবার মাথা তুললাম দেখি মা ভাইকে কোলে নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে. ব্যাপারটা স্বাভাবিক কিন্তু একটা ব্যাপার আমার কেমন যেন লাগলো. আমি দেখলাম মা একদৃষ্টিতে নীচে তাকিয়ে আছে. আর জোরে জোরে নিঃস্বাস নিচ্ছে. আমার কি মনে হতে আমিও এগিয়ে গিয়ে বারান্দার রেলিং এর ধারে এসেছে নীচে তাকালাম. দেখলাম জেঠু. তিনি পুরো দালানটা ঘুরে ঘুরে ব্যায়াম করছেন. এ দৃশ্য আমি আগেও দেখেছি. তাই এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়. কিন্তু মা তাহলে ঐভাবে চেয়ে আছে কেন? জেঠু খালি গায়ে শুধু ধুতি পরে খোলা হাতে ব্যায়াম করছেন. কি লম্বা চওড়া শরীর জেঠুর. কিন্তু আমাদের বাবা এনার কোনো ধাঁচ পাননি. দালানের একটা দিকে বড়ো বড়ো ইট পাথর এসব পড়ে থাকে. এবার দেখলাম তিনি দু হাতে দুটো বড়ো বড়ো পাথর নিয়ে হাত ভাঁজ করে হাতের ব্যায়াম করতে লাগলেন. বাব্বা কি হাতের জোর. আমি মাকে বলতেই যাচ্ছিলাম জেঠুর হাতে কি জোর তাইনা মা?  কিন্তু সেটা বলতে যেই মায়ের দিকে মুখ ঘোরালাম আমি দেখলাম মা একদৃষ্টিতে জেঠুর ওই ব্যায়াম করা দেখছে আর কেমন করে যেন জেঠুর দিকে চেয়ে আছে. এই দৃষ্টির মানে আমি বুঝলাম না. মা ভাইকে এক হাতে ধরে আরেকটা হাত ঘরের কাছে, গলায় বোলাতে লাগলো তারপর ওই লকেটটা ধরে ওই নীল মনিটার ওপর আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে চেয়ে রইলো জেঠুর দিকে. হটাৎ দেখি মা লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলো. নীচে তাকিয়ে দেখি জেঠু ওপরেই চেয়ে আছে মায়ের দিকটায়. মা আর তাকালোনা ভাইকে নিয়ে ঘরে চলে গেলো. আমি দেখলাম জেঠু পাথর দুটো ফেলে দিয়ে মুচকি হেসে কল ঘরে ঢুকে গেলেন. আমি আবার চেয়ারে বসে বই পড়তে লাগলাম. এরপর দুপুরে ভাইকে স্নান করানোর সময় আমি আবার দেখলাম অদ্ভুত ব্যাপার.  মা ভাইকে স্নান করাচ্ছিল. আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম. ভাই দুস্টুমি করছে. মা হাসছে. হটাৎ মায়ের দৃষ্টি চলে গেলো উপরের দিকে. আমি দেখলাম মা উপরের দিকে মানে আমাদের দোতলার ওপরে চেয়ে আছে. মানে তিনতলায়. কিন্তু তিনতলায় মা বার বার কি দেখছে?  বুঝতে পারলাম না. মা দেখলাম ভাইকে স্নান করানো ছেড়ে ওপরেই চেয়ে আছে আর তারপরই হটাৎ কাকে দেখে যেন হেসে উঠলো মা. আমি কিজানি মনে হতে দৌড়ে তিনতলায় গেলাম. দেখি জেঠু বারান্দায় দাঁড়িয়ে. তার মুখেও হাসি. কিন্তু তার একটা হাত নিজের দুই পায়ের মাঝে. খুব জোরে জোরে নড়ছে. কি করছেন বুঝতে না  পেরে চলে এলাম. দুপুরে খাবার পর মা একটু ঘুমায়. কিন্তু সেদিন ঘুমানোর সময় মাকে দেখলাম মা শুয়ে শুয়ে খালি কেমন নড়াচড়া করছে. আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে মা? মা যদিও মুখে বললো কিছু হয়নি সোনা. কিন্তু আমার মাকে দেখে মনে হলো মায়ের কিছুতো হয়েছে. একটু পরে মা বিছানায় থেকে উঠে নীচে নেমে বাইরে গেলো. বলে গেলো কলঘর থেকে আসছি. বেশ কিছুক্ষন কেটে গেলো. আমারো ঘুম আসছিলোনা. একটু পরে আমিও বাইরে বেরোলাম. বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরের হাওয়া খাচ্ছি. খুব হাওয়া দিচ্ছে. হটাত নীচে কলঘরে চোখ চলে গেলো. দেখলাম জেঠু সেদিনের মতোই একটা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সেই দরজাটায় কান পেতে কি যেন শুনছেন. আমি স্পষ্ট দেখলাম ওনার মুখে হাসির ঝলক. উনি একহাত নিজের ধুতির ভেতর ঢুকিয়ে কি যেন করছেন আর কান পেতে কি শুনছেন. এরপর হটাৎ করেই উনি দরজার কাছ থেকে সরে গেলেন আর দৌড়ে কলঘরের আরেকটা বাথরুমে ঢুকে গেলেন. তখনি দেখলাম মা সেই দরজা খুলে বেরোলো. তার মুখে একটা কেমন হাসি. চোখ বুজে একবার উপরের দিকে মুখ তুলে হেসে উঠলো মা. তারপর উপরে আসতে লাগলো. আমি চুপচাপ গিয়ে ভাইয়ের পাশে শুয়ে পড়লাম. একটু পরে মা এসে আমার পাশে শুয়ে পরলো. সন্ধেবেলায় আমি আর ভাই দাদুর ঘরে বসে আছি. মা দাদুকে খাইয়ে দিচ্ছে. হটাৎ জেঠু ঘরে ঢুকলেন. পেছন পেছন লাবনী আর কল্যাণ. জেঠু মাকে দেখে বললেন : ওহ তুমি এখানেই আছো.... ভালোয় হলো. তারপর দাদুর দিকে চেয়ে বললেন : বাবা.... কল্যাণ আর লাবনী দুজন কদিনের জন্য নিজেদের বাড়ি যাবে. ওদের কাকার নাকি খুব শরীর খারাপ. এইশুনে মা বললো : ওমা.... সেকি ! তাহলে তো যাওয়া উচিত. দাদুও বললেন : হা..... তোমরা  যাও যাও.... তার সাথে দেখা করে এসো. লাবনী কাচুমাচু মুখ করে বললো : না মানে বৌদি একা হয়ে যাবেন.... মানে ওনার একা সব সামলাতে কোনো অসুবিধা......... লাবনীর কথা শেষ করতে না দিয়েই মা বললো : তুমি কোনো চিন্তা করোনা লাবনী. আমি সব সামলে নেবো. কোনো অসুবিধা হবেনা. তোমরা নিশ্চিন্তে যাও. এটা শুনে ওরা দুজন দাদুকে প্রণাম করে জেঠুকে প্রণাম করে বেরিয়ে গেলো. তার আগে জেঠুর সঙ্গে ওদের ইশারায় কি যেন কথা হলো আমি বুঝলাম না. ওরা বেরিয়ে গেলে জেঠু মাকে বললেন : অনুপমা...... তুমি কোনো চিন্তা করোনা আমি আছিতো. মা হেসে লজ্জা পেয়ে বললো : দাদা.... আমার কোনো অসুবিধা হবেনা. নিজের লোকেদের জন্য কাজ করতে কি কারোর অসুবিধা হয়. এই কথা শুনে দাদু মায়ের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন. ওদিকে জেঠুও বললেন : সত্যি বলেছো অনুপমা..... নিজের মানুষের সেবা করার আনন্দই আলাদা. এক আলাদাই সুখ আছে তাতে. এই কথা জেঠু মায়ের দিকে চেয়ে বললেন. মাকেও দেখলাম জেঠুর দিকে চেয়ে আছে. এরপর জেঠু নিজের ঘরে চলে গেলেন. যাবার আগে আরেকবার মুখ ফিরিয়ে মায়ের দিকে চাইলেন. মা আর জেঠুর আবার চোখাচুখি হলো. মা কেমন করে যেন জেঠুর শরীরটা দেখে নিলো তারপর আবার চোখ নামিয়ে নিলো. জেঠুও ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো. আমি বুঝতে পারিনি সেদিন কি ভয়ানক সময়ের সূচনা হতে চলেছিল এবার. যা সব কিছু বদলে দিয়েছিলো. স্বাভাবিকতার পাতলা বাঁধন ভেঙে অস্বাবিকতার কঠিন দেয়াল গড়ে উঠেছিল. শুরু হতে চলেছিল নতুন অধ্যায়ের. 

চলবে...... 
[Image: 20190929-153425.png]
[Image: 20240716-212831.jpg]
[+] 5 users Like Baban's post
Like Reply
পুরো গল্পটা শেষ না হলে আর পড়ছি না।
মজাই শেষ।
একটু একটু করে পড়লে এক্সাইটমেন্ট টাই নষ্ট হয়ে যায়।
Like Reply
বাবান দাদা অসাধারণ একটা আপডেট ছিল। সাথে কিন্তু আছি, চালিয়ে যান আপনি।
Like Reply
Ato choto update!
But ank darun chilo
Eagerly waiting for more
N hopefully we'll see some twists
পাঠক
happy 
Like Reply
দাদা দারুণ হয়েছে আপডেট টা. যে পরিবেশটি আপনি তৈরী করেছেন সেটা দারুণ. এবার শুরু হবে আসল কাজ. লকেট কাজ শুরু করে দিয়েছে.
Reps added
Heart Abhishek Heart
Like Reply
Darun Update
Like Reply
Wow .... Darun hocche dada ....
Like Reply
Nice update
Like Reply
ALFANSO F, monirul vai, kakarot, chndns, dreampriya, s29s29, Avishek..... সকল পাঠকদের ধন্যবাদ. আপনারদের গল্পটা এতো ভালো লাগছে যে পরবর্তী আপডেট এর জন্য অপেক্ষা করছেন, আমার কাছে খুব ভালো লাগছে আপনাদের খুশি করতে পেতে. পরবর্তী আপডেট কবে আসবে জানিয়ে দেবো. সঙ্গে থাকবেন.

আগের পৃষ্ঠায় আপডেট আছে. যাদের এখনও পড়া হয়নি পড়ে নেবেন 
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply




Users browsing this thread: 16 Guest(s)