Thread Rating:
  • 138 Vote(s) - 3.72 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery পদ্ম নাগের বিষ
চা খেয়ে ওরা নদীর দিকে এগোতে লাগলো। পীযুষ দেখল নদীটা এখানে বেশ প্রশস্ত। তবে সব জায়গায় এমন নয়। শম্ভুর সাথে পীযুষ চাইছে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে। বুঝতে পারছে শম্ভুর মধ্যে একটা গোয়ার্তুমি আছে। সেটাকে ভেঙে যতটা সম্ভব ওকে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে লাগাতে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে পীযুষের সাথে ডঃ মাহাতোর ফোনে কথা হয়েছে। ডঃ মাহাতোও আগ্রহী এই বেদের অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে। পীযুষও চায় শম্ভুদের এই চিকিৎসাপদ্ধতি যেভাবে তার ছেলের জীবন বাঁচিয়েছে, তেমন করেই সাপে কাটার চিকিৎসায় তা আরো মানুষের কল্যাণে লাগুক। হাঁটতে হাঁটতে খানিক বিরতি নিয়ে সে বললে---শম্ভু, এই যে তোমরা চিকিৎসা করো, এতে তো কোনো তন্ত্র মন্ত্র...

----সার, ইসব মিছা কথা। তন্ত্র মন্ত্র দিয়া চিকিচ্ছা হয় লা। সাপ ধইরতেও মন্ত্র লাইগে লা। তবে আমরা হলাম গিয়া বেদে, মিছা কথা বইলে লোকে ভিরমি খাওয়াইতে হয়। পিকলু বাবুর চিকিচ্ছা অনেক কঠিনটা আছে সার। আপনি তো সাপের মাস্টারটা আছেন, কুনো মন্ত্র দিয়া চিকিচ্ছা হতে পাইরে বইলে মনে কইরেন?

বিষয়টা ভালো লাগলো পীযুষের। ওর যুক্তিবাদী মনকে সমর্থন জোগালো। একবার ভাবলো শম্ভুকে ওর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আরো কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে একটা গবেষণাদি চালানোর কথা এখুনি বলবে। বললোও কৌশলে---শম্ভু, তুমি চাইলে আমি তোমার ঐ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে একটা গবেষণা চলতে পারে। আরো মানুষের কল্যাণে এটা অনেকদূর যেতে পারে।

শম্ভুর মুখটা গম্ভীর হয়ে উঠল। একেবারেই যা ওর পছন্দ হল না। বললে---সার, ই চিকিচ্ছা আমি কাউরে শিখাইবো লাই। ই আমার বাপর দাদারে দিয়া গেছে। আমি বেদে দলে বড় হই লাই সার, তবু তো বেদের জাত। বাপ তো মোর বেদেটা আছে। বেদে জাত তার রক্ত ছাড়া কাউরে কখুনো এ শিক্ষাটা দেয় লা। আমি যদি ইটা কাউরে শিক্ষা দিই, সেটা আমার বাচ্চা কাচ্চা হইলে।

পীযুষ হেসে বললে---তবে তো তোমার এই শিক্ষা বংশগত ধরে রাখতে বিয়ে করতেই হবে।

---সার ফাঁদটাতে ফেলাই দিলেন ইবার আমারে। বে শাদী কইরে কি আর সার ই বড় নদীর মাঝি হওয়া যায়! মজিদ চাচা বইলে এক মাঝি আছে সে বইলে বড় দরিয়ার মাঝি হতে হইলে সব কিছু ছাইড়ে দরিয়ারেই ডুব দিতা লাগে।

পীযুষ খানিক ক্রুদ্ধ হল। শম্ভু যে প্রচণ্ড গোঁয়ার মুখ্য সেটা বুঝতে ওর বাকি রইল না। তা নাহলে এমন চিকিৎসা জ্ঞান রেখে কেউ জল জঙ্গলের মাঝি হতে চায়। বিরক্ত হয়ে বললে---শম্ভু তোমার স্টুপিড ফিলোজফি...ভুল ধারণাগুলো থেকে বেরোনো দরকার। দেখো তুমি বহু মানুষের বিপদে আপদে যেভাবে দাঁড়াও, ঠিক সেভাবে এই চিকিৎসাপদ্ধতি শহর অবধি গেলে, বড় বড় বিজ্ঞানীদের নজরে এলে আরো বেশি লোকের ভালো হবে। শুধু যে তোমার আয় উপার্জন বাড়বে একথা বলছি না। মানুষের...

পীযুষকে কথা শেষ না করতে দিয়ে থামিয়ে দিল শম্ভু। বললে---সার, আপনার শহুরের শিক্ষিত মানুষটা আছেন। আপনাদিগের ভাবনাটা আমাদিগের চেয়ে আলাদা। রাতভিতে মানুষরে সাপে কাইটলে আমি শরীল চইললে যিতে পারি। কিন্তু বেদে জাতের শিক্ষাটা কাউকে দিতে পারবো লাই।

পীযুষ বুঝতে পারলো এই চিকিৎসাপদ্ধতি বেদে রক্তে পাওয়া শম্ভুর একান্ত। সে এই শিক্ষা নিয়ে কারো সাথে ভাগ করে নেবে না। সে কোনো গবেষণারও অংশ হতে চায় না। শম্ভু যে বেশ গোঁয়ার ধরনের সেটা পীযুষ ঠাহর করতে পারলো। তা নাহলে এমন চিকিৎসা পদ্ধতিকে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে কাজে লাগিয়ে ও তো বেশ টাকা পয়সাও করতে পারে।

পীযুষের শম্ভুকে এর জন্য খানিক বিরক্তিকর মনে হল। নোম্যাডস অর্থাৎ যাযাবর সম্প্রয়দায় নিয়ে পীযুষ সেদিন যে বইটা পড়েছিল তাতে বেদে জনজাতি সহ যাযাবর যেকোনো সম্প্রদায় নিয়ে এমন কথাই লেখা ছিল; এই বেদেরা আপন সীমাবদ্ধ চিন্তার বাইরে বেরোতে চায় না বলেই এরা আজও যাযাবর। এরা নিজেদের গোষ্ঠীর গন্ডির মধ্যে থাকতে চায়, বিভিন্ন ধরনের কাল্ট মেনে চলে এরা। জীবন জীবিকার জন্য এদের সাপ ধরা ও তার জন্য বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ, তুকতাক করা ছাড়া এদের খানা, পিনা, দলবদ্ধ ভ্রমণ, সেক্স ও বংশবৃদ্ধি ছাড়া আর বিশেষ কিছু নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। শম্ভু আজ যাযাবর না হলেও জিনগতভাবে সেই গোয়ার্তুমি সে বহন করছে।
পীযুষের আফসোস স্নেক বাইট নিয়ে এত বড় চিকিৎসা জনিত সাফল্য আড়াল থেকে যাবে গোটা দুনিয়া থেকে। এই যুবকের যে জীবনের কোনো এম্বিশন নেই, তাও বুঝতে পারছে পীযুষ। বিয়ে থা না করলে হয়ত এই চিকিৎসাপদ্ধতি তার সন্তান-সন্ততির মধ্যে বাহিত হওয়ার বিষয়টিও আর থাকবে না। অবশ্য পীযুষ কোনো জোরাজুরিতে গেল না। কারোর ব্যক্তিস্বাধীনতা যদি এমন হয়, যে সে তার সমস্ত সঞ্চিত জ্ঞানকে জলাঞ্জলি দিয়ে এমনই বনজ জীবন কাটিয়ে দেবে, তাতে পীযুষের কিছু করার নেই। দিনের শেষে তো এরা বেদেই। এদের কাছে সংস্কারমূলক কিছু আশা করা বৃথা ভেবে কিছু হতাশ হল পীযুষ।


পীযুষের উল্টোপিঠে দাঁড়িয়ে আছে যেন শম্ভু। ঘাট লাগোয়া কয়েকটা আগাছা গাছের ডাল সরিয়ে বললে--দিখেন সার, ই হল মোর নদীঘাট। যেমুনটা আমার দাদু সনাতন মাঝির বাপ জনার্দন মাঝি বানাইছিল তেমন আছে। নদী হতে খানিক দূর পর্যন্ত আমার রায়তি জাগা। নদীঘাট বন্যার সময় কালনাগিনী মা তার বুকে টাইনে লেয়। আবার জলটা কমলে ফিইরে দে সে। আপনি যিটা ভাইবছেন যে গেরামের এই বেদে ব্যাটা চইলে গেলে হারায় যাবে এ চিকিচ্ছা গুন। সিটা আপনার মিছা ভাইবনা। নদীঘাটের মতটা ফিইরে আসবে দিখেন কেউ লা কেউ লয়ে।

----দেখো শম্ভু তুমি যেমন ভাবে ভাবছ পৃথিবী কিন্তু আজকের দিনে তেমন ভাবে চলছে না। গোটা পৃথিবী তোমার থেকে অনেকগুন এগিয়ে গেছে।

গম্ভীর মুখ অথচ তাচ্ছিল্যের হাসি শম্ভুর মুখে। বললে---দুনিয়া আগাইছে! হা হা! কি কন সার। একবার গেরামে আপনার মত এক মাস্টার আইসেছিল ভাষণ দিতে, ১৫ আগস্ট ছিল বুধহয়। বইলছিল জাতপাত মাইনা চলার দিন নাকি শেষ। যারা শুইনে তালি দিতেছিল তারা ছিল নমঃশূদ্র, জালি, চাষা ঘরের লোক। তারাই আমারে বেদের ব্যাটা বইলে দূরে রাইখে। দায়ে পইড়লে ঘরে উঠতে দেয়। এমনি সময়টা হলে জাত যাইবে বলে ডরে

----ঠিক তোমার কথা, এখনো এসব আছে। কোনো কোনো জায়গায় বাড়াবাড়িও আছে। কিন্তু সকলে নয়। আজকের দিনে...

---দিখেন সার, আমি মুখ্য লোক। জোয়ান আছি, গায়ে গতরে জোর আছে বইলে লোকে ডরে। যিদিন তা থাইকবে লাই? তখুন কেউ ডরবে লাই। তার লগে আমার একটা বে শাদী দরকার। ইটা আপনি ভুল কয়েন লাই। কিন্তু তার মাইনে ইটা লা আমি বেদে চিকিচ্ছা বেইচে হাসপাতাল হতে টাকা লিব।

পীযুষ বুঝতে পারছে বড্ড আনাড়ি আর গোঁয়ার এই যুবক। হাসপাতাল কখনোই ওর চিকিৎসাকে মান্যতা দেবে না। ওর চিকিৎসা পদ্ধতিকে গবেষণা করে থিসিস পেপার তৈরী করতে হবে। তারপর নিশ্চই তার আলোচনা সমালোচনা আসবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অঙ্গ হতে পারে এই বেদে চিৎসার কিছু মেডিসিনাল প্ল্যান্ট বা তার প্রোডিউস পদ্ধতি। যাইহোক এই যুবককে বোঝানোর ক্ষমতা পীযুষের যে নেই বুঝতে পেরে এখন ওকে খান্ত করাটাই লক্ষ্য হল তার। তাই প্রসঙ্গ বদলে বললে---তোমার গ্রামীন প্রকৃতি বেশ সুন্দর। আমি এর আগে খুব ছোটবেলায় বাবা মায়ের সাথে সুন্দরবনে এসেছিলাম; ঐ পিয়ালির দিকটা বোধ হয়।


শম্ভুর চোখ মুখে এখনো গাম্ভীর্য। দূর নিবদ্ধ চোখে কিছু একটা ভাবছে ও। পীযুষ বুঝতে পারছে শম্ভুদের মত মূর্খ অশিক্ষিত লোকেরা সহজে রাগ দমাতে পারে না। তাই খানিক স্থিরকৃত থাকাই ঠিক করল। অবশ্য তার আগেই শম্ভু আচমকা বললে---রমা দিদিমণি একটা আলাদা মানুষ আছে, জাইনেন সার। আপনি ভাগ্য কইরেছেন, রমা দিদিমণি আপনার সত্যিকারের বউটা আছে। পড়ালিখা করা দিদিমণি হুয়েও কত দরদ আছে তার মনে। শহুরের সব পড়ালিখা করা লোকের সেরমটা হয় লা।

পীযুষ বুঝতে পারছে শম্ভু তার প্রতি বিরক্ত হয়ে রমার সাথে তুলনা করতেই আচমকা রমার প্রশংসা করল। তাছাড়া পীযুষ এই কথায় একটা নতুন জিনিস খেয়াল করল, শম্ভু রমার প্রতি অনুরক্ত। শুধু যে রমার সংযমী ব্যক্তিত্ব, মিষ্টি ব্যবহার এবং শিক্ষিতা চেতনাতেই ওর অনুরাগ নয়, শম্ভুর এই কথাগুলিতে মিশে আছে রমার প্ৰতি তার একটি চাপা বাসনা। যার জন্যই সে পীযুষকে ভাগ্যবান মনে করছে। তাই পীযুষ স্বাভাবিক হয়ে হেসে বলল---তোমার রমা দিদিমণি যদি তোমায় বলে যে শম্ভু তোমাকে তোমার বেদে চিকিৎসার শিক্ষাকে বিজ্ঞানের কাজে দান করতে হবে, তুমি রাজি হবে?

শম্ভু খুব দৃঢ়তার সাথে বলল---দিদিমণি এমন বইলবে লাই।

পীযুষ অবাক হয়ে গেল শম্ভুর রমার প্রতি এমন দৃঢ়বিশ্বাস দেখে। ওরা ফিরে এলো নদীর পাড় থেকে। সন্ধে নেমেছে বলে একচালার আলোটা জ্বেলে দিয়েছে রমা।
ফেরার পর থেকে রমা লক্ষ্য করছে শম্ভু কেমন চুপ করে আছে। সন্ধে গড়িয়ে রাত নামলো। পিকলুর পায়ে মালিশ করে শম্ভু উঠে গেছে তার দোচালায়। আর নামেনি সেখান হতে। রমা রান্না শেষ করে পীযুষের পাশে এসে বসে বলল----তুমি কি কিছু শম্ভুকে বলেছ?

পীযুষ সকালে আসার সময় কেনা খবরের কাগজটায় পুনর্বার চোখ বোলাচ্ছিলো। কাগজ থেকে মাথা তুলে চশমার ওপর দিয়ে রমার দিকে তাকালো। রমা মনে করছে নির্ঘাত শম্ভুর সাথে পীযুষের আলাপচারিতায় এমন কিছু কথা হয়েছে, যা শম্ভুকে আঘাত করেছে।
পীযুষ বলল---আচ্ছা রমা, তোমার কি অভিমত, শম্ভু যে প্রাচীন ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের পিকলুকে বাঁচালো, তা যদি বিজ্ঞানের বেনিফিটে লাগে তাহলে বিজ্ঞানের প্রগ্রেস হয়, শম্ভুও আয় উপার্জন বাড়িয়ে একটা স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত জীবন পেতে পারে।

রমা চমকে উঠে বললে---তুমি ওকে এমন প্রস্তাব দিয়েছ নাকি?

---হুম্ম। কিন্তু একটা স্টুপিড, স্টাব্বর্ন! নিজের ভালো বুঝতেই চায় না।

রমা বাধা দিয়ে বললে---আঃ! কি করছ কি? ও যদি শুনতে পায় কি ভাববে?

পীযুষ হেসে গলা নামিয়ে বললে---ও ইংরেজী বোঝে না, চিন্তা নেই।

---বোঝে না ঠিকই। তবে তোমার বলার ধরণ দেখে ও বুঝে নেবে, তুমি ওকে কিছু খারাপ কথা বলছ। আসলে দেখো, শম্ভুকে আমি প্রায় দেড়মাস ধরে দেখছি। এটা ঠিক ও জেদি, গোঁয়ার, তবে কি জানো তো, ও আবার বোকা নয়। যথেষ্ট বুদ্ধিমান। ও আসলে আমাদের মত নয়। ওর জীবনটাই আসলে এই জল জঙ্গল, সাপ ধরা, মাছ ধরা, ইচ্ছে হলে মানুষের চিকিৎসা করা এমন একটা এডভেঞ্চারপূর্ণ। আসলে ও যে তোমার কথা বোঝেনি তা নয়। কিন্তু ও এমনটাই থাকবে, সত্যি কথা বলতে আমার অভিমতও তাই ওকে ওর মতই থাকতে দাও। এমনভাবেই ওকে মানায়।

পীযুষ বুঝতে পারলো শম্ভুর রমার প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তার কোনো ভুল নেই। রমাও চায় না এই বেদে যুবক মূলধারার জনজীবনের কাজে লাগুক। রমা পুনরায় বললে---ওকে এমন করে কখনো বলো না। ও যে তোমার সাথে এত কথা বলল, কিংবা আমার সাথে যে কথা বলে, এটা ইদানিং ওর পরিবর্তন। আগে তো ও সারাক্ষণ নিজের জগতে গম্ভীর হয়ে থাকতো। আমি তো অবাক হয়ে যেতাম একটা লোক এমনিতে এমন একটা একা নির্জন ঘরে দিনরাত থাকে। তারওপর এমন নির্বাক থাকে কি করে?

----কেন ষষ্ঠীপদ তো ওর খুব ভালো বন্ধু বলেই জানলাম! পীযুষ জিজ্ঞেস করল।

রমা বললে----ষষ্ঠীপদ তার বন্ধু হলেও শম্ভুর একার জগতে সে কেবল একাই থাকে। ষষ্ঠীপদ ঠিক শম্ভুর মত নয়। বরং ও তোমার ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করার মত কমপ্লিট বার্গেইনার।

----এটা বার্গেইন নয় রমা। এতে বিজ্ঞান, জনমানুষ, শম্ভুর; সকলেরই ভালো হবে।

রমা হেসে বললে---মোটেই না। শম্ভুর অবস্থা তখন কেমন হবে জানো? তোমার ঐ কাচের বাক্সে রাখা সাপগুলোর মত। শম্ভু কিন্তু সাপগুলোর মত বোকা নয়, ও আগে থেকেই বুঝতে পারে, তাই চায় না এই ফাঁদে পড়তে।

পীযুষের মনে হল রমাও কেমন যেন স্টুপিডের মত কথা বলছে। ও আর কথা না বাড়িয়ে বললে---যাই হোক। খিদে পেয়েছে খেতে দাও। রাত বাড়ছে। কাল কলেজ যেতেই হবে। বারোটায় ক্লাস, ঠিক সময় পৌঁছাতে হলে ভোরে বেরোতে হবে।
Like Reply


Messages In This Thread
পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 21-10-2023, 11:21 PM
RE: পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 18-12-2023, 10:27 PM



Users browsing this thread: Sandyds, 7 Guest(s)