Thread Rating:
  • 135 Vote(s) - 3.69 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery পদ্ম নাগের বিষ
আশ্চর্য! রহস্য! নাকি কোনো অতীন্দ্রিয় শক্তি! নাকি নিছকই প্রাচীন বেদেদের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা! জানা নেই রমার। কিন্তু আশ্চর্য তো বটেই। মধ্যরাতে সেই আশ্চর্য রমার চোখের সামনে ঘটল। তখন রাত্রি আড়াইটে। অকস্মাৎ অস্পষ্ট শব্দ কানে এলো রমার। কেউ যেন ডাকছে তাকে। প্রথমটা মনে হল, 'রমা' বলে তাকে কেউ আহ্বান করছে। পরক্ষনে বুঝতে পারলো 'রমা' নয় 'মা' বলেই কেউ ডাকছে। এবং সেই ডাক তার ঘুমঘোরে স্বপনে। কিন্তু এ কি! এ শব্দ তো স্বপ্নের মধ্যে নয়! ঘুম ভেঙে গেছে তার। এখন সেই শব্দ আরো স্পষ্ট। স্পষ্টতই পিকলু তার পাশে আড়ষ্ঠ গলায় বিড়বিড় করছে, শব্দটি পরিষ্কার 'মা'।

রমা ঘুরে পড়ল পিকলুর দিকে,---পিকলু! পিকলু! বলে ঠেলা দিল রমা। এখনও যেন মনে হচ্ছে পিকলু তাদের লেক টাউনের বাড়িতে ঘুমিয়ে রয়েছে। আর ঘুমের মধ্যে কোনো ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে মাকে ডাকছে।

খানিক ঠেলা দিতেই চোখ মেলে তাকালো পিকলু। কি আশ্চর্য! রমা আনন্দে কেঁদে ফেলবে। সরলাও উঠে পড়েছে। পিকলু মায়ের দিকে তাকিয়ে, অস্পষ্ট, জড়ানো জিভে সে কিছু বলতে চায়। তার প্রথম শব্দ আবারও 'মা'।

সরলা গিয়ে ডেকে আনলো শম্ভুকে। ঝিম ধরা পদ্মের নেশা থেকে সে আজ বহুদিন দূরে। এখন হালকা ঘুম হয় তার। সেও এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখছিল; মজিদ চাচা গান গাইছে, পিকলুর মত একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে নিয়ে সে নদীতে মাছ ধরা শেখাচ্ছে। ঠিক যেভাবে তার দাদু সনাতন মাঝি কিংবা মা কমলা তাকে নদী চিনিয়েছিল। শিশুটির গলায় সে শুনতে পাচ্ছে 'বাপ' ডাক। ঘুম ভাঙতে সামনে সে সরলাকে দেখতে পেল। একি তার বত্রিশ বছরের যৌবনের অচেতন ইচ্ছার স্বপ্ন গ্রাস!

শম্ভুরটির স্বপ্ন হলেও রমারটি বাস্তব। পিকলুর মাথাটা কোলে নিয়ে বসে আছে রমা। লম্ফের আলোতে রমার ফর্সা কোমল মুখটায় লাল আভা। মুখে উছ্বলতা। একজন মায়ের সবচেয়ে সুখী সময়, তার অসুস্থ সন্তানের সুস্থ হয়ে ওঠা।


পিকলু আধো আধো কথা বলছে। সেই কথায় জড়তা আছে। তবে বোঝা যায়। রমা বুঝতে পারছে। সে কোথায়, কি হয়েছে তার, তার ভয় করছে, এইসব বলছে পিকলু। মায়ের কাছে মুখ লুকোতে চায় তার সদ্য কৈশরে পা দেওয়া চৌদ্দ বছরের ছেলে। যে কিনা কৈশরের দেহজ চাহিদায় সবসময় এখন বড়দের মত হতে চাইতো। রমা পিকলুর কপালে চুমু এঁকে দিল। শম্ভু এসে পিকলুর পাশে বসতে পিকলুর বিস্ময়ের অন্ত নেই। সেই অস্পষ্ট স্বরে সে বললে--এ কে মা?

---তুই অসুস্থ ছিলি সোনা। তোকে এই কাকুটা ভালো করেছে।

রমা শম্ভুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে চরম বিস্ময়ে, আশ্চর্যতায়, শ্রদ্ধায়, মুগ্ধতায়। কি এক চরম ভুল করতে যাচ্ছিল সে। এই গ্রামীন বেদেকে বিশ্বাস না করে যদি সে আজও হাসপাতালের বেডে পিকলুকে ফেলে রাখতো! গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল রমার। এই দীর্ঘদেহী কৃষ্ণবর্ণ পেশীবহুল সুঠাম চেহারার বেদে যুবকটিকে, এখন তার ঈশ্বর মনে হচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে ঈশ্বর এমনই থাকেন, লোকচক্ষুর আড়ালে, কোনো এক বন্যা কবলিত নদীর ধারে দু' চালা মাটির ঘরে।

ভোরের দিকে একটা স্নিগ্ধ বাতাস বয়ে যাচ্ছে নদীর বুক চিরে এই হোগলা, গোলপাতা, গরানের জঙ্গল দিয়ে। শম্ভুকে জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করতে হবে কিছু গাছের বীজ, শিকড়, জড়ি-বুটি। সে তাই বেরিয়েছে তার ডিঙিতে করে কালনাগিনী পেরিয়ে ঠিক উল্টো দিকের গভীর জঙ্গলে। ওদিকে বনবিবির বাহনের দেখা পাওয়া যায়। শম্ভু সেসব পরোয়া করে না। বেদে আর সুন্দরবনের দুঃসাহসিক জেলে রক্ত তার গায়ে। মা কমলাকে দেখেছে সে জেলে বাড়ির মেয়ে হয়ে কি সাহসটাই না রাখতো। যাবার সময় রমাকে বলে গেছে---দিদিমণি, জ্ঞানটা ফিইরছে মানে বিষটা নামে লাই, সারা গায়ে বিষটা আছে। বাচ্চারে এখন প্যারালাইসটা হছে। এ বাচ্চা হাঁইটতে, চইলতে আরো পাঁচ-ছ মাস লাইগবে। বিষ তো আর কম ঢাইলে লাই গোখরাটা। পাঁচ-ছ মাস চিকিচ্ছা কইরলে আপনার বাচ্চাটা ঠিক হবে।


রমার বিশ্বাস জন্মেছে শম্ভুর ওপর। যে লোক তার ছেলের জীবন বাঁচাতে পারে তার ওপর বিশ্বাস না করে উপায় আছে। তাই রমা বলেছিল--ভাই, আপনি কলকাতায় আমাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করবেন। আপনার থাকা খাবার সব ব্যবস্থা করে দেব। কোনো সমস্যা হবে না। আপনি যত টাকা চাইবেন...

শম্ভুকে এই টাকার কথাটা বলা বোধ হয় ঠিক হয়নি রমার। খানিকটা রেগে গিয়ে বলেছিল---দিখেন দিদিমণি, টাকা আমি লেই, সে চিকিচ্ছা যখুন আমার কাজটা আছে। আমি ঠিক কইরেছি আর বেদের কাজ কইরব লা। আপনার ছেলার লগে আমি কইরছি, বাচ্চা ছেলা বইলে। আর সবচেয়ে বড়টা হইল, আমি এই ঘটনা জেবনে একবার দিখছি, তখুন আমি সাত-আট বছরের। আমার বাপ বাঁকুড়ার একটা আদিবাসী ছেলার জেবন বাঁচাইছিল ছ মাস চিকিচ্ছা কইরে। সে ঘটনাও আপনার ছেলাটার মতন ছিল, পচুর বিষ ছিল তার গা'রে। আরেকটা কথা মনে রাইখবেন আপনারা বড়লোকটা আছেন বইলে শম্ভু বেদেরে পয়সার লালসা দিবেন লাই।

ষষ্ঠীপদ শম্ভুর গরম মাথা বাগে আনতে বলেছিল---দিদিমণিটা কি বুঝে কয়েছে এসবটা, সেটা লা বুঝে তু বড় রাগ করিস শম্ভু।

শম্ভুর মাথা ঠান্ডা হল তখন। বলল---বাচ্চারে লয়ে আমার দু' চালা ঘরে রয়ে যাতে হবে দিদিমণি। শহুরে গিয়া চিকিচ্ছা হবে লাই। যখুন তখুন জড়ি বটি বানাইতে লাইগবে, জঙ্গলটাই হল রুগীর দাওয়াই। আপনারা শহুরের লোক আছেন কষ্টটা হবে, দিখেন যদি ছেলাটারে বাঁচাইতে চান।

রমা বুঝতে পারছিল রাতের বেলা নদীর ওপর দিয়ে বাতাস বইলেও দুপুরে গ্রীষ্মের তীব্র গরম এখানে। মাটির এই দোচালা ঘরে পিকলুকে নিয়ে থাকাটা বড্ড কষ্টকর তার এবং পিকলু উভয়ের পক্ষে। রমা নিজেও এসি কিংবা বৈদ্যুতিক ফ্যানে অভ্যস্ত। পিকলুটা তো একেবারেই গরম সহ্য করতে পারে না। স্কুল হোক বা খেলে বাড়ি ফিরলেই ও এসি চালিয়ে দেয়। সেই তাদেরকে যে করে হোক এখানে থেকে যেতে হবে।

সকালবেলা সরলা চলে গেল দেউলবাড়িতে তার শ্বশুরের ভিটেতে। সেখান থেকে হয়ে ও কলকাতা ফিরে যাবে। পীযুষ পৌঁছল ঠিক ন'টা নাগাদ। ষষ্ঠীপদ স্যারকে দেখতে পেয়ে আহ্লাদিত হয়ে বললে---সার, আমাদের গেরামটা খুঁজে পেলেন কি কইরে?

পীযুষের এখন বিশেষ কথা বলবার মত মানসিকতা নেই। সে জানে না পিকলু কেমন আছে। পিকলুর হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়নি তো! মন্দ কথাটা কাল রাত থেকে তাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে বারবার। বললে---তোমার দিদিমণি কোথায়?

ষষ্ঠী ডাক ছাড়লো---দিদিমণি বাইরে আসেন, সার আসছে।

রমা বেরিয়ে এলো তৎক্ষনাৎ। পীযুষকে দেখতে পেয়ে তার মনের ভেতর চাপা উচ্ছাস বার হয়ে এলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে। পীযুষও চমকে উঠল, এ ক'দিনে ভেঙে পড়া রমার মুখে মৃদু হাসি দেখে। বললে---হয়েছে তোমার ওঝা দেখানো? চলো এবার।

রমা বললে---ভেতরে আসবে না?

পীযুষ কিছুটা বিরক্তি সহকারেই এই মাটির হাভাতে ঘরে ঢুকল। পেছন পেছন ষষ্ঠীপদও সঙ্গ দিল। চমকে উঠল হারপেটোলজিতে পোস্ট ডক্টরেট, জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ পীযুষ মৈত্র। সত্যিই কি ও স্বপ্ন দেখছে না! তক্তাপোষের রুক্ষ শীতল পাটিতে শায়িত পিকলু তাকিয়ে আছে বাবার দিকে। জড়তা যুক্ত স্বরে বলে উঠছে---বাবা!

এ কেমন করে সম্ভব! পিকলু কথা বলছে! পীযুষ পিকলুর মাথার কাছে বসে ছেলের মাথায় হাত রাখল। পায়ে হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ময়লা একটা কাপড়ের ব্যান্ডেজ। তিনটে সূচ সকালে বার করে নিয়েছে শম্ভু। ফলত ঐ জায়গাটি স্বাভাবিক হয়ে আছে।

বিস্ময়ে তাকালো পীযুষ একবার রমার দিকে, একবার ষষ্ঠীপদর দিকে। রমা বললে---আজ ভোর রাতে জ্ঞান ফিরেছে পিকলুর। যদি এখানে না আনতাম কি ভুলটাই না করতাম।

পীযুষের সকল চিকিৎসা বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি আস্থা কি মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে। কিচ্ছু মাথায় ঢুকছে না ওর। তীব্র বিষ নিউরোটক্সিন, মাত্রাতিরিক্ত বিষ প্রয়োগ, সময়মত এন্টি ভেনাম না দেওয়া! সবকিছুর পরও তার ছেলে জীবিত! এক গেঁয়ো বেদের চিকিৎসায় এত ক্ষমতা!

পীযুষ যে তার যুক্তিবিদ্যার কাছে হেরে যাচ্ছে সেটা রমাও বুঝতে পারছে। বললে---ও কিন্তু কোনো তাবিজ, কবচ কিছুই প্রয়োগ করেনি দেখো। শুধু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যাকে বলে তাই করেছে।

পীযুষের মুখে যেমন একরাশ বিস্ময়, তেমনই তীব্র আনন্দ, বললে---রমা, এ কি করে সম্ভব হল?

যা যা হয়েছে পীযুষকে সবটা গুছিয়ে বলল রমা। এ ও জানালো পিকলুকে সুস্থ করে তোলার চিকিৎসা চালাতে তাদের থেকে যেতে হবে। পীযুষ বললে---সবটাই বুঝলাম। চোখের সামনে যা দেখছি তাকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু এমন পরিবেশে থাকবে কি করে তোমরা?

রমা বললে---ছেলের জন্য আমাকে থাকতেই হবে। যত কষ্টই হোক।

পীযুষ খানিক স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। পিকলু অস্পষ্টভাবে বললে---বাবা, আমরা বাড়ি কবে যাবো?

পীযুষ ছেলের কপালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললে---যাবো বাবা, যাবো। তুই সুস্থ হয়ে ওঠ, আর কটা দিন পর। তারপর নিয়ে যাবো তোকে।

শম্ভুর উঠোনে এসে দাঁড়ালো পীযুষ। বন্য সুন্দরবনের অসামান্য প্রকৃতির কোলে এই নদী তীরবর্তী জায়গাটা। কদিন থেকে বেড়ানোর জন্য ঠিক আছে। কিন্তু বসবাসের জন্য! একটা সিগারেট ধরিয়ে ষষ্ঠীকে বললে---ষষ্ঠীপদ, এখানে গরম কেমন হয়?

---সার। আমরা গেরামের জল জঙ্গলের লোক। আমাদের তেমুন কষ্ট হয় লা। কিন্তু দিদিমণির কষ্ট হবে। শহুরের মানুষ কিনা। তবে সার রাতে শম্ভুর ঘরটাতে বাতাস হু হু কইরে ঢুকে।

----হুম্ম। কিন্তু তোমাদের ঐ শম্ভু বেদেটি কোথায়?

---সে জঙ্গলে গিছে ওষুধ আইনতে। জড়ি বুটি, শিকড় সব তো জঙ্গল হতে লিয়ে আসে সে।

---লোকটা কি ভালো? মানে নেশা টেশা কিছু করে না তো?

ষষ্ঠী শম্ভুর আজকাল দিশি মদের নেশার কথাটা চেপে গেল। বললে---নেশা টেশা শম্ভুর কিছু লাই। লোক ভালো সে। বয়সটা কম, যুবক ছোকরাটা আছে। বিড়িটা খায় আরকি। মেয়েছেলে লিয়ে তার কুনো....

পীযুষ ষষ্ঠীপদর কথা শেষ হবার আগে বললে---এখানে বাথরুম, স্নানের কি আছে?

---কলতলা আছে সার। দিদিমণির জন্য ঘিরে দিব।

পীযুষ সিগারেট শেষ করে বললে---দেখো ষষ্ঠীপদ, আমি তোমাকে চিনি। তোমার ঐ শম্ভু বেদেকে চিনি না। অবশ্য সে আমার ছেলেকে সুস্থ করেছে মানতেই হবে তার ক্ষমতা। তবে তুমি তোমার দিদিমণি এখানে যেহেতু থাকবে, বাথরুম, একটা রান্নাঘর, যা যা তার প্রয়োজনে লাগবে তৈরি করে দিও। টাকা পয়সা আমি তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি। আর কাছে কোনো বাজার আছে?

---বাজার বইলতে সার, সরবেড়িয়াতে আছে, সে হাট যারে বলে আরকি। তবে দেউলবাড়ী কাছে দেবীপুরে বড় বাজার আছে।

---কতটা এখান থেকে?

---এখান থিকা চার-পাঁচ কিমি। সামান্যটা আছে সার।


রমার লিস্ট মত কিছু জিনিস ছাড়াও একটা মিক্সি মেশিন, গ্যাস স্টোভ, বালিশ, বেডকভার, ম্যাট্রেস থালাবাসন, সাবান-শ্যাম্পু তেল, চাল, ডাল, এসকল জিনিস কিনে দিয়ে গেল পীযুষ। এখানে এখনো বিদ্যুতায়ন হয়নি। তবে পীযুষ লক্ষ্য করল দেউলবাড়িতে কিছু অবস্থাপন্ন বাড়িতে সোলার প্যানেল বসানো আছে। এখুনি এই সোলার প্যানেল বসানো অসম্ভব। একটা ইলেট্রনিক্সের দোকানে ইনভার্টার ব্যাটারির অর্ডার করে দিল পীযুষ। গ্রাম্য দোকান; তাই অর্ডার করলে মেলে। ষষ্ঠীকে টাকা পয়সা দিয়েও গেল পীযুষ, সময়মত যেন ব্যাটারিটা নিয়ে গিয়ে ফিট করে দেয় শম্ভুর বাড়িতে।

পীযুষ দুপুরের আগেই ফিরে গেল। পরের সপ্তাহে শনিবার ও আসবে। এর মাঝে ষষ্ঠীর হাতে রমা আর পিকলুর পোশাক পরিচ্ছদ পাঠিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে সে।

বাসন্তী হাইওয়ে ধরে গাড়িটা ছুটছে। স্টিয়ারিং ধরা পীযুষের হাতে। মনের মধ্যে অনেককিছুই ধন্দ তৈরি হচ্ছে তার। কি করে একজন সামান্য বেদে এই দুঃসাধ্য করে তুলতে পারে। শুধু কি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে! আয়ুর্বেদ পঞ্চভূতের মত বাতিল তত্বে বিশ্বাস করে। আজকের কোয়ান্টাম ফিজিক্সে যার কোনই মূল্য নেই। রমা আসলে যা বলল তাতে কি একে প্রাচীন মেডিসিনাল সায়েন্স বলা চলে? প্রাচীন মেডিসিনাল সায়েন্স দিয়ে অবশ্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগ সারানো সম্ভব। কিন্তু সাপে কাটা রোগী, ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্টের রোগ সারানো কি সম্ভব! ভাবনার তরঙ্গ পীযুষের মস্তিষ্কে খেলা করতে লাগলো। মনে হল আজকের দিনেও ভারতবর্ষে লৌকিক অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে গেছে, যা জেনারেল বিজ্ঞানের আড়ালেই। সবটা বুজরুকী নয়।
[+] 9 users Like Henry's post
Like Reply


Messages In This Thread
পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 21-10-2023, 11:21 PM
RE: পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 21-11-2023, 09:41 AM



Users browsing this thread: 10 Guest(s)