Thread Rating:
  • 135 Vote(s) - 3.69 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery পদ্ম নাগের বিষ
#89
কাল রাতে যে বৃষ্টি ধরল, আজও কমবার লক্ষণ নেই। গোটা রাজ্যে কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে না। বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতেও প্রখর রোদ। আর এই কিনা কলকাতায় যত বৃষ্টি। জল দাঁড়িয়ে রাস্তাঘাটের ছবি টিভিতে সকাল থেকে দেখিয়ে চলেছে বারবার। এটাই ওদের ব্রেকিং নিউজ। এ আর নতুন কি। কলকাতা সব সময়ে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়। পীযুষ টিভির সামনে বসে মুড়ি চিবোতে চিবোতে ভাবছিল কথাটা। সকাল বেলা শুকনো মুড়ি চিবোতে আজ বহুদিন পর ভালো লাগছিল। রমা টেবিলের ওপর ঘুঘনির বাটিটা রেখে গেছে, ওটাতে লক্ষ্য নেই তার। পিকলুর আবার মুড়ি পছন্দ হয় না। আজকালকার বাচ্চাদের এসব না পসন্দ। ওর জন্য স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিয়েছে রমা।

একটাই রবিবার। কোথায় এই ছুটির দিনে খেলতে যাবে রনি দাদাদের বাড়িতে, নাঃ তার উপায় নেই। পিকলু স্যান্ডউইচে কামড় দিয়ে ব্যাজার মুখে দেখতে লাগলো জানালার বাইরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিটাকে। কয়েকটা বাড়ি পরেই আচার্য্যদের বাড়ির সামনে সামান্য একটু ফাঁকা জায়গা আছে। আচার্য্যদের ছেলেটা রনি পিকলুর চেয়ে দু'বছরের বড়। পিকলু ক্লাস এইট, রনি এবার মাধ্যমিক দেবে। পীযুষ বা রমা কখনোই ছেলের খেলাধুলোতে বাধা দেয় না। কলকাতা শহরে এমনিতেই বাচ্চাদের খেলবার জায়গা কমে যাচ্ছে। একটা মাঠ আছে, সেখানে কলোনির ছেলেরা খেলে, ওদের সঙ্গে পিকলুকে খেলতে দিতে মানা নেই রমা বা পীযুষের। ওরা মনে করে ছেলে সবরকম সমাজকে দেখুক। কিন্তু পিকলুটাই যেতে চায় না। আসলে পিকলুর স্কুলের যেমন বন্ধুরা হয়, তাদের সাথে ঐ উদ্বাস্তু কলোনির ছেলেদের আচার আচরণ ম্যাচ না করাটাই বোধ হয় ওর অনীহার কারণ। এক্ষেত্রে ছেলেকেই বা দোষ দিয়ে কি লাভ, ছেলেকে নামী স্কুলে ভর্তি করেছে পীযুষ। তাই বিষয়টাকে ও মেনে নিয়েছে। অথচ পীযুষ নিজে আজও রাস্তা ঘাটে সমস্ত স্তরের চেনা মানুষগুলোর সাথে কথা বলে। কলোনির ছেলেগুলো চাঁদা কাটতে এলে রমা ওদের পয়সা দেয়।

টিভিটা দেখতে আর ভাল্লাগছে না পীযুষের। উচ্চঢঙে একনাগাড়ে ঐ একই কথা বলে যাচ্ছে নিউজ রিডার মেয়েটা। রিমোটের শাট ডাউন বাটনটা প্রেস করে ঘুঘনির বাটিটা তুলে ঢেলে নিল মুড়িতে। রমা সকালে একটু চা খেতে ভালোবাসে। ও আজ একটু দেরীতেও উঠেছে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে ড্রয়িং রুমে এসে বলল---চাঁপাটা মনে হয় আজ আর আসবে না। যা বৃষ্টি হচ্ছে।

বলতে বলতেই চাঁপা এসে হাজির হল। শাড়ির নীচটা ওর ভিজে গেছে। দোতলায় ঢোকার মুখে বললে---বৌদি গো কি বিষ্টি...রাস্তায় জল দাঁড়ায়ছে হাঁটু অব্দি।

পীযুষ হেসে বললে---এই তো তোমার অ্যাসিস্টেন্ট চাঁপারানী এসে গেছে।

রমা বলল---ভিজে গেছিস তো। ছাতা আনিসনি নাকি?

---আনছি গো, ছাতা সামলায়ও এ বিষ্টি থেকে বাঁচা যাবেনি।

রমা বলল---যা আর কথা না বলে আমার একটা পুরোনো শাড়ি নিয়ে বাথরুমে ঢুকে পাল্টে নে। ঠান্ডা লাগলে তো আবার তোর কামাইর রেকর্ড হবে।

চাঁপা ভেজা ছাতাটা সিঁড়ির কাছে রাখতে রাখতে বলল---দাদা গো, নীচে সে সাপ ধরা লোকটা আসসে।

পীযুষ বুঝতে পারলো ষষ্ঠীপদ এসেছে। এই ঝড় বৃষ্টিতে সুন্দরবন থেকে চলে এলো লোকটা। অবশ্য খবরে বলছে শুধু কলকাতাতেই বৃষ্টি। পীযুষ উঠে দাঁড়াতে গেলে রমা বললে---কি হল চা খাবে না?

---নীচে পাঠিয়ে দাও।

পীযুষকে দেখেই কাকভিজে অবস্থায় থাকা ষষ্ঠীপদ হে হে হাসি মুখে বললে-----সার, আপনার ইখানটা তো ভালো বিষ্টি হচ্ছে, আমার গেরামে হলে এতক্ষণে বন্যা হই যেত।

পীযুষ মনে মনে ভাবলো 'সে আর হতে বাকি আছে নাকি'। তারপর ষষ্ঠীর হাতের ঝাঁপি দেখে বললে---এনেছো নাকি?

---আনছি মানে! পদ্মগোখরা সার! দিখলে বুঝবেন পুরা গা সোনালী রঙ।

চাবি ঢুকিয়ে দরজাটা খুলল পীযুষ। পাখাটা চালিয়ে দিয়ে বললে---দেখাও দেখি।

ঝাঁপি খুলতেই ফোঁস করে উঠল পদ্ম। সুবিশাল তার ফনা। পীযুষ বিস্ময়ে দেখলে সত্যিই এর গায়ের রঙ সোনার মত। বেরিয়ে পড়েই তেড়ে এলো পীযুষের দিকে। সদ্য ধরে আনার রাগ এখনো যায়নি তার। খুশি হয়ে বলল---চমকপ্রদ! ওয়াইল্ড মনে হচ্ছে। একেবারে বন্য! বড্ড তেজ দেখছি যে ষষ্ঠী, তোমার এই গোখরোর।

---তেজ হবে না সার? শম্ভু বেদের কাছটা যে বেশ আদর খায়ে ছিল। পিরিতের সাপটারে যে ধরে আনছি।

স্টিকে করে বশে আনতে চেষ্টা করলো পীযুষ। বেশ অবাধ্য। বার বার তেড়ে আসছে পীযুষের দিকে। অবশেষে স্টিকে মাথাটা চেপে ধরল সাপটার চোয়াল। তারপর কাচের বাক্সে ঢোকাতে ঢোকাতে বললে---তোমার এই শম্ভু বেদেকে তো কোনোদিন দেখলাম না।

ষষ্ঠীপদ হেসে বললে---শম্ভুটা বড় বদমেজাজী আছে সার। লিজে গিয়ে সাপ বেচে পয়সা লিবে, ইটা তার নাকি ইজ্জতে লাগে।

---কেন? বেদেরা কি সাপ বেচে না?

----খামখেয়ালি জোয়ান মরদ সার। জড়ি বুটি বেচবে, সাপ ধইরবে, কিন্তু সাপ বেচেবেটা লাই।

ষষ্ঠীর কথায় গুরুত্ব না দিয়ে পীযুষ একমনে দেখে যেতে লাগলো পদ্মকে। কাচের বাক্সে ভরে দিলে সচরাচর মিয়েই যায় সাপগুলো। এ সাপ এখনো ক্রুদ্ধ, এমন তেজি গোখরো পীযুষ খুব কম দেখেছে। গোখরোর তেজ এমনিতেই অন্যান্য বিষধর সাপেদের থেকে একটু বেশি। এ যেন তার চেয়েও ঔদ্ধত্যপূর্ন জীব।

রমা এসে পৌছল দু'কাপ চা হাতে। চাঁপা এই ঘরে আসতে চায় না। তাই রমাকেই আসতে হল। পীযুষ বললে---দেখেছ রমা, এমন সোনালী রঙের গোখরো কখনো।

---তুমিই দেখো। চা খাওয়া হয়ে গেলে কাপ প্লেটগুলো গুছিয়ে নিয়েসো। চাঁপা আসবে না এঘরে।
ষষ্ঠী বলল---সার, এই গোখরোটা ভালো জাতের। ফনাটা দেইখেলেন, কি বড়! এটার বিষটাও পচুর। দিখে দাম দিবেন।

পীযুষ হাসলো। এই সাপেই তো সে পোস্ট ডক্টরেট। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আনন্দম কৃষ্ণমূর্তির কাছে সে ডক্টরেট করেছে। পরে ঐ অধ্যাপকেরই অধঃস্তন হিসেবে কলকাতায় দিনের পর দিন পড়ে থেকে ভাইপার সংক্রান্ত বিশেষ থিসিস পেপার নিয়ে গবেষণার কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই পীযুষের সরীসৃপদের নিয়ে প্রায় তিন খানা বই বেরিয়েছে। যার দুটি গবেষণাধর্মী ও একটি পপুলার সায়েন্সের বই। মাস্টার ডিগ্রির ছাত্রদের সে তার নিজের পেপার থেকেই পড়াতে সাহায্য নেয়। তার কাছে এই গেঁয়ো বেদেদের গল্প ধোপে টিকবে না। গোখরো প্রজাতির যে সমস্ত সাপ অতীতে পীযুষ দেখেছে কিংবা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে এটা তার ভিন্ন নয়, শুধু এর ফনাটা বেশ বড়। ভারতীয় গোখরো সাপের ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন নাম হয়, কিন্তু তারা সকলেই ন্যাজা ন্যাজা প্রজাতির সাপ। গোখরোর মাথায় গরুর খুরের মত চিহ্ন থাকায় একে গোখরো বলে। আসলে তা 'গোক্ষুরো' শব্দটি থেকে উৎপত্তি। এদের ইংরেজিতে স্পেক্টাকল্ড কোবরা বলে। 'কোবরা' আসলে যে কোনো ফনাধারী সাপের সাধারণ নাম। কেউটে, গোখরো, শঙ্খচূড় সবই এই কোবরা দলভুক্ত। কিন্তু মজার হল শঙ্খচূড় বা কিং কোবরা ফনাধারী হওয়া সত্যেও সত্যিকারে কোবরা নয়।

সাপেদের সুন্দর এই ফনা বিস্তৃতির কারন তাদের গলার কাছের হাড়। ভয় পেলে, ক্রুদ্ধ হলে কিংবা শিকারকে সামনে পেলে এদের গলার হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে শত্রুকে ভয় পাওয়াতে। এ সাপটিরও তাই, এর ফনা বেশ বড় হওয়ার কারণ এর মজবুত গলার বিস্তৃত হাড়ের জন্য। পীযুষ কাচের উপর টোকা মেরে একটা মৃদু কম্পন করে সাপটাকে ভয় পাইয়ে বললে----ভারতীয় গোখরোর আবার ভিন্ন জাত আছে নাকি? দক্ষিণ ভারতে একধরনের পাওয়া যায়, তবে সেটা এ নয়। কত চাইছ বলো।

হাত কচলে কচলে ষষ্ঠীপদ বললে---দুই হাজার টাকা সার।

পীযুষ চশমার ওপর দিয়ে ষষ্ঠীর দিকে তাকালো একবার। তারপর বললে---এবার দেখছি তোমার ওপর আর আস্থা রাখা যাবে না। আমাকে নিজেকেই নামতে হবে বনে বাদাড়ে সাপ ধরতে।

ষষ্ঠীকে বসিয়ে রেখে ও দোতলায় চলে গেলো। টাকাটা নিয়ে এসে ষষ্ঠীকে বিদেয় করবার সময় ষষ্ঠীপদ বললে---সারের কাছে সবকটা আছে, শুধু শঙ্খিনীটা লাই।

---শঙ্খিনী! মানে শাঁখামুটি? পাও নাকি? ওটা তো খুব রেয়ার!

---আছে সার আছে। শম্ভু বেদের কাছে আছে। লিয়ে আসবো সার?

----অবশ্যই। আগে বললে কি একটা কাচের বাক্স খালি পড়ে থাকতো ষষ্ঠী? নিয়ে এসো একদিন। ভালো দাম দিয়ে পুষিয়ে দেব।

খুশি হল ষষ্ঠী। পীযুষ জানে এভিএস এর জন্য সাপেদের সংগ্রহ করতে অনেক খরচ করে কোম্পানিগুলো। সেক্ষেত্রে এই অশিক্ষিত সাপুড়েগুলোকে ধরলে তেমন দাম দিতে হয় না। পীযুষের পরিচিত নর্থ বেঙ্গলের এক অধ্যাপক যিনি সংগ্রহশালায় সাপ রাখেন, বেদেদের কাছ থেকে সাপ কেনার আইডিয়াটা তিনিই দিয়েছিলেন পীযুষকে। যদিও ষষ্ঠীপদ বেদে নয়, ও নাকি কোনো এক শম্ভু বেদের সাথে থেকে সাপ ধরে। এই প্রথম ষষ্ঠী গোখরোটার জন্য এত দাম নিল। তার কাছে দু হাজার টাকা বিরাট বড় পরিমান। দর করলে আরো কমানো যায়। গরীব লোকটাকে অখুশি করতে ইচ্ছে করে না পীযুষের। বরং এতগুলো টাকা পেয়ে ষষ্ঠীর খুশি খুশি মুখটা ভালো লাগছিল তার। বেদে হোক, আর যাই হোক, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তো সাপ ধরে এরা।

খালি বাক্সটার দিকে তাকালো পীযুষ। সত্যিই একটা কাচের বাক্স খালি পড়ে আছে তার অনেকদিন হল। ওটায় একটা লিজার্ড ছিল। আফ্রিকান লিজার্ড। বছর তিনেক আগে পীযুষ কিনিয়ার নাইরোবিতে একটা আফ্রিকান বেসরকারি সংস্থার সেমিনারে ভারতীয় গবেষক হিসেবে আমন্ত্রিত ছিল। সলসবেরির একটি সরীসৃপ মিউজিয়ামের ম্যানেজার পল এডেলম্যানের সাথে বন্ধুত্ব হয় পীযুষের। তিনি তাঁকে সেই আফ্রিকান টিকটিকিটি উপহার দিয়েছিলেন। যার স্থানীয় নাম ছিল আগামা। উপহার তো দিয়েছিলেন মিঃ এডেলম্যান, কিন্তু আগামা নামক উপহারটিকে দেশে আনতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল পীযুষকে।

মাস ছয়েক আগে আগামার বার্ধ্যকের কারনে মৃত্য হয়েছে। সেই বাক্সটি এখনো খালি। শাঁখামুটির মত বিষধর, কিন্তু নিরীহ, যার কামড়ানোর কোনো নিদর্শন নেই, সেই হলুদ-কালো ছোপের সুন্দর সাপটি যে এই ঘরের শোভা বাড়াবে তা বেশ মনে ধরল পীযুষের। যদিও শাঁখামুটি আজকাল লুপ্তপ্রায়। খুব কমই দেখা মেলে। ওরা আবার অন্যান্য সাপেদেরও শত্রু। তাদের ভক্ষণ করেই শাঁখামুটি তার উদরাপূর্তি ঘটায়। সে নিরীহ শাঁখামুটি একখান থাকলে পীযুষের গবেষণাগার সম্পূর্ন হয়।

রমা কড়াইতে তেল দিয়ে আনাজ ছাড়তেই শব্দ করে উঠল তেল আর সব্জির দাহ। চাঁপা পাশে দাঁড়িয়েছিল চুপচাপ। ড্রয়িং রুমে পীযুষ আসেনি কিনা একবার দেখে এসে বললে---বৌদি গো, দাদা আবার একটা সাপ ঢুকায়েছে ঘরে।

রমা হেসে ফেলল। সাপ নিয়ে চাঁপার এই ভয়টায় বড্ড হাসি পায়। পীযুষ হলে তো আরও বেশি ভয় দেখাত ওকে। রমা ভাবে কবে না চাঁপা সাপের ভয়ে কাজে আসা বন্ধ করে দেয়! অভয় দিয়ে বলল---আরেকটা নয়। যে সাপটা মরে গেছে ওর জায়গায় নতুন আনা হয়েছে।

আসলে সাপে ভয় চাঁপার মত না হলে রমারও বেশ আছে। এত বছর পীযুষের সাথে ঘর করেও সেই ভয় কাটেনি ওর। পীযুষের সাথে রমার পরিচয় তখন যখন পীযুষ সবে পিএইচডি কমপ্লিট করেছ। রমা এসেছে দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় মাস্টার্স করতে। পরিচয়টা হয়েছিল রমার এক বান্ধবি সুজাতার মাধ্যমে। সুজাতাদের বাড়িতেই ভাড়া থাকতো পীযুষ তার মায়ের সাথে। পীযুষ যে মেধাবী ছাত্র কিংবা পোস্ট ডক্টরেট করেছে সে কথা সুজাতা জানালেও এই হারপেটোলজি ব্যাপারটা জানায়নি কখনো। সুজাতা নিজেও জানতো না সাপ, ব্যাঙ নিয়ে গবেষণা করছে তার বাড়ির ভাড়াটে পীযুষ দা।

রমার সাথে যখন পীযুষের প্রেমটা চলতে শুরু করল তখনও পীযুষ বলেনি। শুধু বলেছিল তার দিল্লি ইউনিভার্সিটির কোনো এক দক্ষিণ ভারতীয় প্রফেসর নাকি কলকাতায় আছেন কি একটা গবেষণার কাজে। পীযুষ এখন তার অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করছে। একদিন দুম করে রমাকে নিয়ে এসেছিল পীযুষ, ডঃ আনন্দম কৃষ্ণমূর্তির গবেষণাগারে। সেন্ট্রাল এভিনিভিউর সেই ফ্ল্যাটে দেখেছিল ফরমালিন দিয়ে কাচের জারে রাখা মৃত সব সাপ। তারপর আচমকা কাচের বাক্সে জ্যান্ত একটা সাপ দেখে আঁতকে উঠেছিল রমা। পীযুষের তখন কি হাসি। বলেছিল---আমার কিন্তু এসব সাপই পড়াশোনার বিষয়। রমা তৎক্ষনাৎ বলে উঠেছিল---হারপেটোলজি!

মাথা নেড়েছিল পীযুষ। নৃতত্বের সাথে এই হারপেটোলজি কথাটির একটি সম্পর্ক আছে। কাজেই রমা জানতো যারা সরীসৃপ প্রাণী নিয়ে গবেষণা করে তাদের হারপেটোলজিস্ট বলে।
++++++
Like Reply


Messages In This Thread
পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 21-10-2023, 11:21 PM
RE: পদ্ম নাগের বিষ - by Henry - 06-11-2023, 11:15 PM



Users browsing this thread: 9 Guest(s)