13-04-2023, 12:06 AM
২৮ বছর বয়সী সুস্মিতা রায় (বিবাহ পূর্বে মজুমদার ) , রায় পরিবারের বড়ো বউ। বিয়ে হয়েছে প্রায় চার বছর হয়েগেলো। শশুরের ভিটে গ্রামে , বর্ধমানে। কিন্তু গত দুবছর ধরে স্বামীর কাজের বদন্যতায় স্বামীর সাথে থাকা হয় কলকাতায়। আর বাপের বাড়ি কোচবিহারে। যাই হোক , মিহির ও তিমির রায় পরিবারের দুই বংশধর। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে সুস্মিতা বাড়ির বড়ো ছেলে মিহির রায়ের স্ত্রী। ছোট ছেলে তিমির সবে মাধ্যমিক দিয়েছে। এবার উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠাতে চায় বাবা মা , তার বড়ো দাদার কাছে। ঠিক সেই সময়ে মিহিরের পোস্টিং হলো দেশের বাইরে , দুবাই তে , তাও আবার এক বছরের জন্য। অর্থাৎ এক বছর মিহির কে নিজের দাম্পত্য সংসার ছেড়ে আরব দেশে কাটাতে হবে। সুস্মিতাকে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই , কারণ এটা অফিস ভিজিট। অফিস মিহিরের খরচা বহন করলেও সুস্মিতার করবে না। অগত্যা সুস্মিতাকে দেশেই থাকতে হবে।
ওদিকে মাধ্যমিক পাশ করে তিমির আসছে কলকাতায় , বড়ো কলেজে ভর্তি হতে। সুস্মিতার সাথে তিমিরের সম্পর্ক বেশ ভালোই। বিয়ের প্রথম দুবছর যখন সুস্মিতা নিজের শ্বশুর ভিটেতে ছিল তখন তিমিরের সাথে ভালো ভাব হয়েগেছিলো। তিমির কে সে নিজের ভাইয়ের মতোই দেখতো। আসলে সুস্মিতা নিজের বাবা মা এর একমাত্র সন্তান , তাই সুস্মিতার আফসোস হতো , রাখি পূর্ণিমায় বা ভাই ফোঁটায় সে কাউকে রাখি বা ফোঁটা দিতে পারতো না। বিয়ের পর সেই সাধ তার তিমিরকে দিয়ে পূরণ হতো। তিমিরকেই সে রাখি পড়াতো , ফোঁটা দিতো। তিমিরও তাকে নিজের দিদির মতোই দেখতো। কলকাতায় চলে যাওয়ার পরও বউদি-দেওরের বা বলা ভালো দিদি ভাইতে ফোনে কথা হতো আকছার। তাই উচ্চমাধ্যমিকের জন্য তিমিরের কলকাতায় আসাতে সুস্মিতার লাভই হয়েছিল। মিহির চলে যাওয়াতে ও একা হয়ে পড়েছিল , তিমির এলে কিছুটা সময় তার কাটবে। সুস্মিতার শশুড় শাশুড়িও সুস্মিতার হাতে নিজের ছোট ছেলের দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিল। সুস্মিতা পড়াশুনায় যথেষ্ট ভালো ছিল। তিমির কে হেল্প করতে পারতো। যখন সে বর্ধমানে থাকতো তখনও সে প্রায় তিমিরকে নিয়ে পড়তে বসাতো।
মিহিরের বাবা মা তিমির কে কলকাতার এক নামী বড়ো কলেজে ভর্তি করিয়ে সুস্মিতার হাতে নিজের ছোট ছেলেকে তুলে দিয়ে গ্রামে ফিরে গেলো। সুস্মিতাও কথা দিলো যে সে তিমিরের সবরকম খেয়াল রাখবে। তিমির তার দাদার মতোই মাধ্যমিকের পর সাইন্স স্ট্রিম নিয়েছিল। তার বউদিও সাইন্সের ছাত্রী ছিল। তাই বউদির পক্ষে অসুবিধা হবেনা নিজের সাধের একমাত্র দেওর কে ক্যারিয়ার গাইডেন্স দিতে। সেইমতো সে তিমিরকে কিছু কোচিং ইন্সটিটিউটেও ভর্তি করিয়েছিল যেখান থেকে তিমির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স এক্সামের ট্রেনিং নিতে পারে।
সবকিছু বেশ ভালোমতোই চলছিল। তিমির পড়াশুনাতেও বেশ ভালো ছাত্র ছিল। কলকাতার মতো শহরে যোগাযোগ ও চলাচলের জন্য একটা স্মার্টফোন খুব জরুরি হয়ে পড়ে , তাই সুস্মিতা নিজে থেকে তিমিরকে একটা স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলো। উঠতি বয়সের ছেলে , এখন একটা স্মার্টফোন নাহলে চলে ! যেখানে তার সহপাঠিরা রোজ কলেজে কোচিং এ স্মার্টফোন নিয়ে আসে সেখানে ওর খালি হাতে চলাটা তো ওর কাছেও খুব এম্ব্যারাসিং। এইসব ভেবেই সুস্মিতা নিজের দেওর কে একটা দামী ফোন কিনে দিয়েছিলো যাতে সে নিজের সময় ও সমবয়সীদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে। যদিও এতে তার শ্বশুর শাশুড়ির কড়া বারণ ছিল , তবুও সুস্মিতা আজকালকার মেয়ে হয়ে পরিস্থিতি বুঝে তিমিরকে ফোন কিনে দিয়েছিলো , আর সেটাই হয়তো তিমিরের ও তার কাল হয়ে দাঁড়ালো।
ওদিকে মাধ্যমিক পাশ করে তিমির আসছে কলকাতায় , বড়ো কলেজে ভর্তি হতে। সুস্মিতার সাথে তিমিরের সম্পর্ক বেশ ভালোই। বিয়ের প্রথম দুবছর যখন সুস্মিতা নিজের শ্বশুর ভিটেতে ছিল তখন তিমিরের সাথে ভালো ভাব হয়েগেছিলো। তিমির কে সে নিজের ভাইয়ের মতোই দেখতো। আসলে সুস্মিতা নিজের বাবা মা এর একমাত্র সন্তান , তাই সুস্মিতার আফসোস হতো , রাখি পূর্ণিমায় বা ভাই ফোঁটায় সে কাউকে রাখি বা ফোঁটা দিতে পারতো না। বিয়ের পর সেই সাধ তার তিমিরকে দিয়ে পূরণ হতো। তিমিরকেই সে রাখি পড়াতো , ফোঁটা দিতো। তিমিরও তাকে নিজের দিদির মতোই দেখতো। কলকাতায় চলে যাওয়ার পরও বউদি-দেওরের বা বলা ভালো দিদি ভাইতে ফোনে কথা হতো আকছার। তাই উচ্চমাধ্যমিকের জন্য তিমিরের কলকাতায় আসাতে সুস্মিতার লাভই হয়েছিল। মিহির চলে যাওয়াতে ও একা হয়ে পড়েছিল , তিমির এলে কিছুটা সময় তার কাটবে। সুস্মিতার শশুড় শাশুড়িও সুস্মিতার হাতে নিজের ছোট ছেলের দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত ছিল। সুস্মিতা পড়াশুনায় যথেষ্ট ভালো ছিল। তিমির কে হেল্প করতে পারতো। যখন সে বর্ধমানে থাকতো তখনও সে প্রায় তিমিরকে নিয়ে পড়তে বসাতো।
মিহিরের বাবা মা তিমির কে কলকাতার এক নামী বড়ো কলেজে ভর্তি করিয়ে সুস্মিতার হাতে নিজের ছোট ছেলেকে তুলে দিয়ে গ্রামে ফিরে গেলো। সুস্মিতাও কথা দিলো যে সে তিমিরের সবরকম খেয়াল রাখবে। তিমির তার দাদার মতোই মাধ্যমিকের পর সাইন্স স্ট্রিম নিয়েছিল। তার বউদিও সাইন্সের ছাত্রী ছিল। তাই বউদির পক্ষে অসুবিধা হবেনা নিজের সাধের একমাত্র দেওর কে ক্যারিয়ার গাইডেন্স দিতে। সেইমতো সে তিমিরকে কিছু কোচিং ইন্সটিটিউটেও ভর্তি করিয়েছিল যেখান থেকে তিমির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স এক্সামের ট্রেনিং নিতে পারে।
সবকিছু বেশ ভালোমতোই চলছিল। তিমির পড়াশুনাতেও বেশ ভালো ছাত্র ছিল। কলকাতার মতো শহরে যোগাযোগ ও চলাচলের জন্য একটা স্মার্টফোন খুব জরুরি হয়ে পড়ে , তাই সুস্মিতা নিজে থেকে তিমিরকে একটা স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলো। উঠতি বয়সের ছেলে , এখন একটা স্মার্টফোন নাহলে চলে ! যেখানে তার সহপাঠিরা রোজ কলেজে কোচিং এ স্মার্টফোন নিয়ে আসে সেখানে ওর খালি হাতে চলাটা তো ওর কাছেও খুব এম্ব্যারাসিং। এইসব ভেবেই সুস্মিতা নিজের দেওর কে একটা দামী ফোন কিনে দিয়েছিলো যাতে সে নিজের সময় ও সমবয়সীদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে। যদিও এতে তার শ্বশুর শাশুড়ির কড়া বারণ ছিল , তবুও সুস্মিতা আজকালকার মেয়ে হয়ে পরিস্থিতি বুঝে তিমিরকে ফোন কিনে দিয়েছিলো , আর সেটাই হয়তো তিমিরের ও তার কাল হয়ে দাঁড়ালো।