Thread Rating:
  • 30 Vote(s) - 3.37 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
HORROR ভয় ২ - বাবান
#82
Star 
আগের পর্বের পর

আমি রান্না ঘরে চা করছি আর ওরা ঘরে রয়েছে। জোজো ওর বাবার সাথে খেলছে। ছোট মানুষটা কিছুই বুঝছেনা যে বাবা মায়ের মুখের হাসিটা আজ বড্ড নকল। একটু পরেই শুনলাম আমার ফোন বেজে উঠলো ঘরে। কাজ বন্ধ রেখে দৌড়ে এলাম ঘরে। বাবা ফোন করেছে। রিসিভ করতেই বাবা বললো যে জেঠু নাকি কথা বলতে চায় আমার সাথে। ওনার বাড়িতেই বাবা রয়েছে। পরোক্ষনেই একটা অন্য গলার স্বর কানে ভেসে আসলো। চিনতে অসুবিধা হলোনা আজও। শুধু একটু জড়িয়ে যায় এখন মানুষটার কথাগুলো। আমি ও আমরা কেমন আছি জানার পরে সে জিজ্ঞেস করলো কি অসুবিধা হয়েছে। যা যা হয়েছে সব খুলে বলতে। আমি সেই শুরু থেকে কাল রাত পর্যন্ত যা যা ঘটেছে সব বললাম। এমন কি পল্লবীর ব্যাপারটাও বলতে ভুললাম না। সব শুনে উনি আমায় কয়েকটা প্রশ্ন করোছিলেন। সেগুলো এবার জানাচ্ছি-


১ আমি এর মধ্যে কোনো খারাপ বিশ্রী পোড়া গন্ধ বা নতুন ধরণের কোনো পেয়েছিলাম কিনা

২ আমার কি বিনা কারণে হটাৎ করে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগতো কিনা অর্থাৎ হটাৎ করে কম্পন।

৩ একা হলেই আমার কখনো মনে হয়েছে কিনা যে আসে পাশে কেউ আছে 

৪ বমি বমি ভাব কখনো হয়েছে কিনা

৫ বিনা কারণে খুব রেগে যাচ্ছি কিনা। অর্থাৎ স্বামী বাঁ বাচ্চার ওপর অকারণে রাগ বাঁ ঝগড়া হয়েছে কিনা।

৬ রোজ পূজা করার সময় কোনো বাঁধা আসছে কিনা বা পুজো দিতে গিয়ে অনীহা।

৭ ধুপ জ্বালানোর সময় তার সুগন্ধ আগের মতোই পাচ্ছি কিনা 

এর মধ্যে হালকা রেগে যাওয়া আর ওই অন্ধকারে কারোর স্পর্শ অনুভব ছাড়া বাকি কোনোটাই আমার সাথে হয়নি। রেগে যাওয়াটা তাও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু রাতে ওই স্পর্শ! ওটা যে আমি অনুভব করেছি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তখন জোজো আর ওর বাবা বসার ঘরে ছিল। শুনে উনি যেটা বললেন সেটা শোনার পরে কিছুটা যেন আশার আলো দেখলাম। উনি বললেন যতটা উনি বুঝেছেন তাতে বিশাল ভয়ের কিছু নেই। আর তাছাড়া উনি নিজেই এ বাড়িতে আসবেন আমাদের সাথে দেখা করতে। এটা একদিকে ভালোই হলো। উনি নিজে এসে সব দেখে বুঝুন। উনি জানান আজ সন্ধের দিকে উনি আসবেন আমাদের বাড়ি। বাবাই নিয়ে আসবেন ওনাকে। আমি বাবাকে জানালাম মাকেও নিয়ে আসতে। তবে আমার সাথে ফোনে কথা বলার শেষে উনি এটাও জানিয়ে ছিলেন আমি যেন আজ রান্নাঘরে সামলে সকল কাজ করি। অর্থাৎ রান্না করার সময় যেন সাবধানে থাকি। এটা উনি কেন বলেন সেটা বুঝলাম না কিন্তু উনি যখন বলেছেন আমি আচ্ছা ঠিকাছে ছাড়া আর কি বা বলতাম। হয়তো উনি কিছু একটা আন্দাজ করেছেন। তবে এসবের মাঝেও একটা ভালো লাগায় মনটা অনেক ভালো লাগছিলো। বাবা মা আজ অনেকদিন পরে আসছে আমার কাছে। সাথে তারক জ্যাঠু নিজে আসছেন। দেখা যাক কি হয়। এইসব অদ্ভুতুরে সমস্যার মাঝেও জোজোর বাবা বাজারে গেলো। মাছ কিনে আনলো, সাথে মিষ্টির দোকান থেকে সন্দেশ আর স্পঞ্জ রসগোল্লা (বাবার প্রিয়) । আজ এতদিন পরে বাবা মা আসছে। ওদের আসার অপেক্ষায় আর আশার আলোয় সময় কখন যেন পার হয়ে গেলো। নিজের মধ্যে কয়েকবার হালকা ভয় জাগলেও সত্যি বলছি র কিচ্ছুটি অনুভব করিনি। আমি বা অরিন্দম। ভালো করে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করে একসাথে তিনজনে সময় কাটালাম। হ্যা অবশ্যই রান্নার সময় কেয়ারফুল ছিলাম। আমি সবসময়ই থাকি। এর মাঝেই শশুর মশাই এর ফোন এসেছিলো। অরিন্দম কথা বললো কিন্তু আমি আগেই বারণ করে রেখেছিলাম যেন রাতের ব্যাপার ওদের না জানাতে। মানুষ গুলো চিন্তায় পড়ে যাবে। নিজের বাড়ির আর বাড়ির ছেলে বৌয়ের এমন সমস্যা শুনলে বয়স্কা শাশুড়ি মায়ের আবার কি হয় কে জানে।

সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ ওরা সবাই এলো। তার আগেই মাসি এসে সব কাজ করে গেছে। আমারও পূজা দেওয়া হয়ে গেছে। ট্যাক্সি থেমে নেমে এলো বাবা মা আর রোগা করে একজন বয়স্ক মানুষ। আমাকে দেখেই বাবা মায়ের মতো তার মুখেও একটা হাসি ফুটে উঠলো। বয়সের কারণে মুখে অনেকটা পরিবর্তন আসলেও জ্যাঠার হাসিটা আজও বড্ড চেনা, বড্ড মিষ্টি। সাদা পাঞ্জাবী আর ধুতি আর কাঁধে একটা ঝোলা। জোজোর বাবা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে ওদের নিয়ে এলো ঘরে। আমিও ছেলের হাত ধরে এগিয়ে গিয়ে প্রণাম করলাম বড়োদের। জোজো বাবুকে তো বাবা কোলেই তুলে নিলো। বড্ড ভালো লাগছিলো এতদিন পরে বাবা মাকে কাছে পেয়ে। আমরা সবাই আবার ঘরে প্রবেশ করলাম। বাবা মা জোজোকে নিয়ে বসার ঘরে ঢুকে গেলেও অরিন্দম আর আমি দেখলাম তারক জ্যাঠা দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখছেন। বিশেষ করে ওই সুপারি গাছ আর জামরুল গাছটার দিকে। তারপরে কিছুই যেন হয়নি এমন ভাব নিয়ে সোজা ঢুকে গেলেন ঘরে। সোফায় সবাই বসতে না বসতেই মা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো - কিরে? আবার কিছু হয়েছে নাকি এর মধ্যে? আমি হেসে মাথা নেড়ে না জানালাম।

- সত্যিই মানে কি বলবো.... তোমাদের ডেকে আনলাম তাও আবার কিনা এসব ঝামেলায় পড়ে। অদ্ভুত যে কি সব শুরু হলো। নিজের বাড়িতে এই ভাবে যে......

- আচ্ছা মা কাল রাতে ঠিক কি হয়েছিল আরেকবার বলতো?

আমার কথার মাঝেই জ্যাঠা জিজ্ঞেস করলো আমায় কথাটা। আমি পুনরায় রাতের ঘটনাটা খুলে বললাম। ফোনে তাড়াতাড়ি করে বলা একরকম ছিল কিন্তু এখন মানুষটাকে সামনে পেয়ে সবটা গুছিয়ে বললাম যে রাতে যা যা হয়েছে। সবটা শুনে বাবা মাও অবাক হয়ে গেলো। সত্যি তো এ কি হচ্ছে? মা তো ভয়ে পেয়ে বলেই ফেললো - ও দাদা? কি হচ্ছে এসব মেয়েটার সাথে আমার? এ কি নজর পড়েছে নাকি আমার মেয়েটার ওপর। মরলো ওই বাড়িতে আর কিনা আমার মেয়েটার ওপর নজর দিলো।

তারক জ্যাঠা হালকা হাসি হেসে মাকে সান্তনা দিয়ে বললো - আপনি চিন্তা করবেন না। আমার কিন্তু মনে হয় তেমন কিছু নয়। তিন্নি মা ভয় পাবার কিছু নেই। একটা কথা মনে রাখবি.... যত ভয় পাবি ততো বিপদ। তুই তো আর কোনো খারাপ কাজ করিসনি তাহলে কিসের ভয়? মনের জোর থাকলে কোনো কিছু সহজে ক্ষতি করতে পারেনা। কিন্তু আমরা কিন্তু ভয় পেয়ে নিজের ক্ষতি করে দিতে পারি। তবে এটাও ঠিক কোনো ব্যাপারে অতি সাহস দেখানো উচিত নয়। মানুষের কৌতূহল অনেক সময় তার বিপদ ডেকে আনে। আজকাল তো এসব নিয়েও নাকি মজার খেলা শুরু হয়েছে। ভূত প্রেত নিয়েও খেলা। প্ল্যানচেট তাও একটা অন্য জিনিস ছিল এসব তো আরও সাংঘাতিক। ওই আমার ছোট নাতিটা সেদিন দেখাচ্ছিল ফোনে কি সব যেন বেরিয়েছে.... আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনবার একটা নাম নিতে হয়, আবার চার্লি চার্লি না কি যেন একটা খেলা। এসব কি টাইম পাসের মতো জিনিস? এসব নিয়ে মজা করতে নেই। যত্তসব! তা যা হোক আমি কিন্তু এ বাড়িতে খারাপ কিছু বুঝতে পারছিনা। তবে অরিন্দম বাবার সাথে যেটা হয়েছে ওটা আমায় বেশি ভাবিয়েছে। আর কাল রাতের ঘটনাটা। হটাৎ করে............আচ্ছা অরিন্দম? আমি একটু তোমাদের সব ঘর গুলো ঘুরে দেখবো বাবা। তিন্নি তুই এখানেই থাক।

জোজোর বাবা আর জ্যাঠা বসার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি মায়ের পাশে বসে  এইসব নিয়েই আলোচনা করতে লাগলাম। জোজো নিজের দাদুর সাথে কথা বলতে ব্যাস্ত। কিছুক্ষন পরে আমি সবার জন্য চা বানাতে যাবো এমন সময় দেখি অরিন্দম ফিরে এলো। উনি কোথায় জিজ্ঞেস করাতে সে বললো উনি ছাদে গেছেন। একটু ঘুরে দেখবেন একা। প্রথমে উনি গেছিলেন বাবা মায়ের ঘরে। ঠাকুর এর মন্দিরের কাছে গিয়ে আগে কালী মায়ের ছবির সামনে বসে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করেন। তারপরে ঘরটায় চোখ বুলিয়ে পাশের ঘরে অর্থাৎ আমাদের বেডরুমে যান। সেটা দেখে অরিন্দম তাকে নিয়ে যায় রান্নাঘর আর কলঘরটা দেখাতে। কিন্তু ফেরত আসার সময় উনি সিঁড়ির সামনে পৌঁছে নাকি দাঁড়িয়ে পড়েন। তারপরে অরিন্দমকে বলেন উনি ছাদে যাবেন। সে বলে চলুন কিন্তু উনি বলেন উনি একাই যাবেন। জোজোর বাবা যেন সিঁড়ির আলোটুকু জ্বালিয়ে ফিরে যায়। সবটা শুনে আমি রান্না ঘরে গেলাম সকলের জন্য চা বানাতে। মাও এলো সাথে। আমি আর মা ওখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, সেদিন মা আমার পেছনে যে কিছু একটা দেখেছিলো সেটা নিয়ে মা আর আমি কথা বলছিলাম। আমরা শুনতে পেলাম ওপর থেকে যেন জোরে জোরে তিনবার হাততালি দেবার মতো আওয়াজ এলো। একেবারে পরপর। এমন ভাবে ছয় বার উনি করলেন এটি। আমি আর মা মুখ চাওয়াচায়ী করলাম। উনি হটাৎ এমন করলেন কেন বুঝলাম না। একটু পরেই শুনতে পেলাম সিঁড়িতে পায়ের শব্দ। উনি নামছেন। ওনাকে নামতে দেখে মা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ওনার কাছে গিয়ে কথা বলতে লাগলো। আমি রান্নাঘর থেকে শুনতে পাচ্ছি মা বলছে-

- দাদা? কি কিছু সমস্যা আছে নাকি? কি বুঝলেন?

- আমি কি বললাম তখন? ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছুই নেই। আর তিন্নি মায়ের কোনো বিপদ হবেনা আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন তো। তিন্নি মা? ও কোথায়?

- রান্না ঘরে... চা বানাচ্ছে।

- আচ্ছা আচ্ছা। আমি কিন্তু কিচ্ছু খাবোনা চা ছাড়া। আমায় ফিরে যেতে হবে একটু পরেই। এতো ভাববেন না। তখন গাড়িতেও দেখছিলাম আপনাকে চিন্তিত ছিলেন।আমি বুঝতে পারছি আপনার দিকটা। আমি আবারো বলছি ভয়ের কিচ্ছু নেই। আসলে ওই ওর রাশিটা হালকা তো। তাই একটু ঝামেলা আরকি। আপনি ভাববেন না। কিচ্ছু নেই এই বাড়িতে আপনি যা ভাবছেন। হ্যা একটা হাওয়া হয়তো লেগেছে কিন্তু সেটাও হয়তো কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ওই যে তখন গাড়িতে বললাম না আপনাদের....আসলে ওই সময় অমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া আর ঠিক ওই সময়তেই আপনার মেয়ের বাথরুমে যাওয়া এই দুই সময় মিলে গিয়েই এইটা হলেও হতে পারে। কিন্তু শুধুই তিন্নির ওপর যে কোনো কু-দৃষ্টি পড়েছে সেটা বোধহয় নয়।যদি তাই হতো তাহলে এতক্ষনে অনেক বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারতো। সেতো আবার নাকি আসে পাশের বাড়িতেও জানান দিয়েছে। আমার কেমন যেন খটকা লাগছে।

- কেমন খটকা দাদা?

- যদি সে.... কি যেন নাম? পল্লবী হ্যা পল্লবী..... তা সে যদি আত্মহত্যাই করে তবে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা তো ওর নিজের বাড়িতে হবে। সে এইভাবে সারা পাড়া ঘুরে ভয় দেখাবে কেন? আচ্ছা সেই মেয়ের নিজের বাড়িতে কি কিছু এমন ঘটেছে? কিছু জানেন?

- না তিন্নি তো তেমন কিছু বলেনি। ওদের সঙ্গে তেমন খুব একটা যোগাযোগ ছিলোনা। ওই টুকটাক।

- হুমমমম..... আমার মনে হয় আসলে মেয়েটি যখন কাজটি করে তখন হয়তো সে কোনো একটা দোষ পেয়েছে। তাই সে এতটা প্রকাশ করছে নিজেকে। হয়তো কষ্ট পাচ্ছে তাই...... কিন্তু এটা বেশিদিন হবেনা। বাড়ির লোকেরা সব ব্যবস্থা নিলেই সব শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুদিন এই ব্যাপারটা থাকবে। আমি ভেবেছিলাম ব্যাপারটা বাড়াবাড়ির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু যা বুঝলাম সেরকম কিছু না।

- কিন্তু দাদা! কাল রাতে যে ওই যেটা হলো সেটা? মেয়ে নাকি আমার হেঁটে হেঁটে ঘুমের মধ্যে বাইরে বেরিয়ে.....

- আপনি আপনি ভয় পাবেন না। আমি বলছি তো কিচ্ছু ভয় নেই। ঝামেলাটা থাকবে। কিন্তু সেটা বেশিদিন থাকবেনা। আমি এসেছি তো। সব ঠিক হয়ে যাবে। চা হোক আমি বরং একবার বাড়িটা বাইরে থেকে ঘুরে দেখে আসছি ততক্ষনে। আমি বলি কি বৌদি? আপনি কদিন মেয়ের সাথে এখানেই থাকুন। এতে ওর মনটাও ভালো থাকবে আর একা একা লাগবেনা। ভয় টয় আর লাগবেনা ওর। আচ্ছা আমি বরং যাই বাইরেটা একটু দেখে আসি। 

------------------------------------------

আমরা সবাই বসার ঘরে অপেক্ষা করছি ওনার। একটু পরেই আবারো হাজির হলেন তারক জ্যাঠা। এবারও তিনি একাই কাজটা করতে গেছিলেন। জোজোর বাবা সঙ্গে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু তিনি বললেন কাজটা তাকে একাই করতে হবে। ওর প্রয়োজন নেই। অরিন্দম দাঁড়িয়ে দেখেছিলো ভদ্রলোক মাথায় দু হাত ঠেকিয়ে চোখ বুজে কি একটা বলে বাইরে চলে যায়। গেট পার করে যখন উনি বাইরে গেলেন তখন জোজোর বাবাও দেখেছিলো উনি হাতের সাথে অন্য হাত ঘষছেন। যেমন খুব ঠান্ডায় আমরা হাতে হাত ঘসি অনেকটা এরকম। কিন্তু কয়েকবার এমন করার পরেই উনি সেই একই কাজ করলেন। সজোরে হাতে পরপর তিনবার তালি বাজিয়ে আবার হাতে হাত ঘষতে ঘষতে বাইরে চলে গেলেন। জোজোর বাবা ব্যাপারটা দেখে অবাক হয়েছিল বটে। আমরাও ওর মুখে শুনে একটু অবাক হয়েছিলাম। কিছু সময় পর ওনার আসার পরে দেখলাম ওনার ঠোঁটে হালকা হাসি। এসেই বললেন - ওহ চা হয়ে গেছে না। এহে হে আমার জন্য অপেক্ষায় না থেকে আপনারা শুরু করেননি কেন?

- কি বুঝলেন তারক দা? চিন্তিত মুখে জিজ্ঞাসা করলো বাবা। তাতে উনি আগের মতোই মিষ্টি করে হেসে মাথা নাড়িয়ে নিজের থলিতে হাত ঢুকিয়ে একটা লাল জবা ফুল বার করে এনে সবার আগে এগিয়ে এলেন জোজোর কাছে। জোজোও তাকিয়ে ছিল যতীন দাদুর দিকে। ওর মাথায় ফুলটা ঠেকিয়ে তারপরে বুকে ঠেকিয়ে কি যেন বিড়বিড় করে বললেন। তারপরে জোজোকে বাঁ দিকের খোলা জানলার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে তাকাতে বললেন। জোজো তাকাতেই উনি আদর করে ওর পেটে কাতুকুতু দিতেই জোজো খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। তারপরে ওর গাল দুটো টিপে আদর করে জ্যাঠা আমাদের দুজনকে অর্থাৎ আমাকে আর জোজোর বাবাকে ওনার কাছে যেতে বললেন। আমরা গিয়ে দাঁড়াতেই উনি সেই একই কাজ আমাদের সাথেও করলেন। ফুলটা আমাদের মাথায় ধরে চোখ বুজে কিছু বললেন। তারপরে আমাদের দুজনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। যেন আশীর্বাদ করলেন মনে হলো। তারপরে আমার হাতে ফুলটা দিয়ে বললেন আমি যেন এটা ঠাকুর ঘরে মায়ের পায়ের কাছে রেখে আসি।

- এই নে মা ধর। দু হাত জড়ো কর আগে.... হ্যা নে এবার ধর। এটা তোদের ঠাকুর ঘরের মায়ের পায়ের কাছে রেখে আয় তো। মায়ের ফুল মায়ের কাছেই থাকুক। শুধু এক স্থান থেকে আরেক স্থানে এলো আরকি হাহাহা। নে মা রেখে আয়। আর হ্যা প্রদীপটা জ্বালিয়ে দিস। কিছুক্ষন জ্বলুক পরে নিভিয়ে দিস। 

ঠাকুরের পায়ের কাছে ওটা রেখে  প্রদীপ জ্বালিয়ে আবারো প্রণাম করে ফিরে এলাম ঘরে। কিন্তু একটা জিনিস অবাক লাগলো। আমি যখন কাজটা করতে যাচ্ছিলাম তখন জোজো আমার পিছনে পিছনে আসছিলো। তখনি জ্যাঠা ওকে হাত ধরে থামিয়ে দিয়ে ওনার কাছে থাকতে বলে আমাকে একাই যেতে বলেছিলো। কেন জানিনা। কিন্তু কাজটা করে ভক্তি ভোরে মাকে প্রণাম করার পরে যেন সত্যিই মনে হচ্ছিলো এবার আর কিচ্ছু হবেনা হয়তো। যেন একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছিলো ভেতরে। যেন একটা শান্তি পেলাম আমি হটাৎ করেই। প্রদীপের আলোয় মায়ের মুখটা যেন জ্বলজ্বল করছে। কি সুন্দর লাগছে মায়ের মুখটা। এ মুখ তো আমি রোজ দেখি। রোজ পূজা করি কিন্তু এতো ভালোলাগা আগে অনুভব হয়েছিল কি? জানিনা। ফিরে আসি আবারো বসার ঘরে। আমায় দেখেই ওনার মুখে ওই মিষ্টি হাসিটা আবার ফুটে উঠলো। আমার মুখেও একটা হাসির রেখা ফুটে উঠলো। কেন? নিজেই জানিনা।

- শোন মা! তুই একেবারে নিশ্চিন্ত থাক। তোর সাহস অনেক। তাই সহজে তোকে কেউ কিচ্ছু করতে পারেনি, পারবেও না। শুধু ওই সময় তোর ওই বাইরে বেরোনোটা সেদিন উচিত হয়নি। কিন্তু তুইও বা বুঝবি কিকরে। তোর দোষ নেই....ওটা হবার ছিল হয়ে গেছে। কিন্তু তোকে তোর সাহস আর মা রক্ষা করেছে। কালকে যা হয়েছে ওসব ভুলে যা। কিচ্ছু হয়নি তোর সাথে। ওই একটা হয়তো কিছু ছিল.......সেটা কেটে যাবে। তুই ভগবানের ওপর এই ভাবেই বিশ্বাস রাখ। যেমন পূজা করছিস করে যা। শুধু দুটো জিনিস কর। এই আসন্ন এক সপ্তাহ রোজ বাড়িতে ধুনো দিবি। জানি একটু চোখ জ্বালা করবে কিন্তু তাও করবি। আর হ্যা এই কদিন তোরা তোদের ঘরে ঘুমাবিনা। তোর শশুর শাশুড়ির ঘরটায় ঘুমাবি। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে তারা এখন এখানে নেই। তাই কোনো অসুবিধা নেই। আর বাড়ির দরজায় দরজায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিবি প্রতিদিন। ব্যাস....দেখবি  সব ঠিক হয়ে গেছে। কিচ্ছু চিন্তার ব্যাপার নেই। আর অরিন্দম বাবা তুমি প্রতিদিন কাজে যাবার আগে একবার করে ঠাকুর ঘরে গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে পেন্নাম করে তবে বেরোবে। আর এই হনুমানজির ছবিটা সাথে রাখো। এটা সবসময় সাথে রেখো। ব্যাস আর কিচ্ছু চিন্তা নেই। এবার সব ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি আর কোনো ঝামেলা হবেনা। আর কিছু হলে আমি তো আছিই। আর হ্যা মা আরেকটা কথা। প্রতিদিন ওই ফুলটায় একটু জলের ছিটে দিস। যতদিন না শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাবার পরে ওটাকে আর মায়ের পায়ের কাছে রাখতে হবেনা। কিন্তু জলে দিবিনা। ওটাকে একটা কাগজে মুড়ে ওখানেই কোথাও রেখে দিবি। আমি জানিয়ে দেবো একদিন যে কবে ওটাকে জলে দিবি কেমন? আচ্ছা নে আমার যাবার সময় হয়ে গেলো। চাটা খেয়ে নি।

-------------------------------------

উনি আর বেশিক্ষন থাকেননি আমাদেরর বাড়িতে। চা পান করেই উনি কিছুক্ষন গল্প করে চলে যান। বাবা মা আমাদের সাথেই থেকে যান। কটা দিন না হয় মেয়ের কাছেই কাটিয়ে গেলো দুজনে। এরপর সেই রাত আর তারপরে আরও অনেক গুলো রাত কেটে গেছে। কিন্তু আর কোনো অস্বাভাবিক কিছুর সাক্ষী হতে হয়নি আমাকে বা আমাদেরকে। কিন্তু এর পরে নাকি আমাদের বাড়ির বাইরের ঐ রাস্তায় রাতে দু জনের এক্সিডেন্ট হয়েছিল। একজন সাইকেল থেকে পড়ে যান। আর একজন নিজের বাড়ির গেট থেকে বেরিয়ে দুপা এগোতে না এগোতেই কিসে ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন। দুটোই ঘটেছে রাত নটা থেকে নটা দশ পনেরোর মধ্যে। আর দুটো জায়গাই একবারে কাছাকাছি। ওই মিষ্টির দোকানের রাস্তায়। ঠিক যেখানে একদিন জোজোর বাবা দেখে ছিল কে যেন ওর পেছনে আসছে। এছাড়া আমার শাশুড়ি মায়ের যে বন্ধু সুজাতা কাকিমা মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতো তিনি আর ওনার বড়ো ছেলে নাকি একদিন রাত করে কোথা থেকে ফিরছিলেন বাইকে। বাড়ি পৌঁছে বাইক থেকে উনি যখন নামতে যান তখন উনি পড়তে পড়তে বাঁচেন। পরে উনি একদিন আমাদের বলেছিলেন ওনার নাকি মনে হয়েছিল ওনার শাড়িটায় নাকি উনি টান অনুভব করেছিলেন জোরে। এতটাই জোরে যে পেছনের দিকে কয়েক পা পিছিয়ে যান। যদিও নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনার সাথে ওই ব্যাপারটার কোনো যোগাযোগ ছিল কিনা জানিনা। কারণ ওনার বাড়ি অনেক ভেতরের দিকে। তবে আমাদের আর কোনো অসুবিধা হয়নি এই যা শান্তি। কিন্তু আজও কিছু প্রশ্ন যেন আমায় ভাবতে বাধ্য করে। আজও আমার মনে হয় তারক জ্যাঠা সেদিন কিছু একটা বুঝেছিলেন যেটা তিনি প্রকাশ করেন নি। তাছাড়া ছাদে তিনি একা ছিলেন আর একা বেরিয়ে আমাদের বাড়িটা ঘুরে দেখেছিলেন। ওই সময় টুকুতে কি হয়েছিল আমাদের জানা নেই। ফিরে আসার সময় ওনার মুখে হাসি ছিল কেন? আচ্ছা সবকিছু জানার পরেও উনি এতটা নিশ্চিন্ত ছিলেন কিকরে? ঐভাবে তালি বাজানোর মানে কি? উনি বারবার বলছিলেন যে বেশি দুশ্চিন্তা না করতে। সব ঠিক আছে। এতটা শিওর উনি কিকরে ছিলেন। নাকি আমরা যাতে প্যানিক না করি সেই জন্য সান্তনা? রাতে ওই ভাবে আমার ঘুমের মধ্যে একা বেরিয়ে যাওয়া শুনে ওনার ভ্রূকুটির মানে কি? আর তার চেয়েও বড়ো কথাটা আজও সবচেয়ে বেশি ভাবায় আমায়। বিদায় নেবার সময় উনি আলাদা করে আমায় ডেকে আমার মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন আমি যেন কোনো ভয় না পাই। আর বাচ্চাকে সামলে রাখি, খেয়াল রাখি। আমি হেসে বলেছিলাম হ্যা জোজোর খেয়াল তো আগে রাখবো। সেটা শুনে উনি মিষ্টি করে হেসে মাথা নেড়ে বলেছিলেন - "আমি জোজোর কথা বলছিনা, যে আসবে তার কথা বললাম, আসি হ্যা কেমন। ভালো থাকিস মা। কোনো ভয় নেই "

এই বলার পর আর দাঁড়াননি তিনি। বেরিয়ে যান। অরিন্দম ওনাকে ছাড়তে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু উনিই বারণ করেন। আমি শুধু ওনার বিদায় দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি। আজও জানলাম না উনি কিকরে জানলেন যে আমার  আর জোজোর বাবার ভালোবাসা আবারো একটু একটু করে বাস্তবের রূপ নিচ্ছে আমার অন্তরে? কিন্তু তারপরেই কেঁপে উঠি একটা কথা ভেবে........ যে এতদিন আশেপাশে ছিল সেও কি একই ভাবে এই কথাটা জানতে পেরেছিলো? সেই জন্যই কি আমার সাথে ঐসব ঘটেছে? সেই জন্যই কি আমাকে কোনোভাবে টেনে নিয়ে গেছিলো সিঁড়ির কাছে? কি উদ্দেশ্য ছিল তার? তাহলে কি......!!

আজও যখন এই শেষ কথাটা ভাবি আমায় ঘিরে ধরে ভয়!



|| সমাপ্ত ||

[Image: 20230816-221934.png]
Like Reply


Messages In This Thread
ভয় ২ - বাবান - by Baban - 15-01-2023, 09:25 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 15-01-2023, 09:47 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 15-01-2023, 10:01 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 16-01-2023, 02:11 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 15-01-2023, 09:48 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 15-01-2023, 10:53 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 16-01-2023, 12:09 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 16-01-2023, 12:20 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by nextpage - 16-01-2023, 12:48 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 16-01-2023, 12:07 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 16-01-2023, 12:31 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 16-01-2023, 04:19 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 16-01-2023, 01:09 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 18-01-2023, 12:28 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 18-01-2023, 09:46 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 18-01-2023, 10:10 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 18-01-2023, 11:19 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 18-01-2023, 10:25 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by nextpage - 18-01-2023, 11:31 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 19-01-2023, 12:56 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Deedandwork - 19-01-2023, 12:13 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 19-01-2023, 10:34 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 19-01-2023, 01:32 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 19-01-2023, 01:39 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 19-01-2023, 05:10 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 19-01-2023, 06:22 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 19-01-2023, 08:17 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 20-01-2023, 11:54 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 21-01-2023, 08:26 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 22-01-2023, 12:49 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 04:38 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 22-01-2023, 04:30 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 04:38 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 04:37 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 09:31 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 09:33 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 22-01-2023, 09:38 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 09:42 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 22-01-2023, 09:47 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 22-01-2023, 10:10 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 22-01-2023, 10:15 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 22-01-2023, 09:52 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 22-01-2023, 11:49 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 23-01-2023, 12:32 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by nextpage - 23-01-2023, 12:17 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 23-01-2023, 12:42 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 23-01-2023, 12:35 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 23-01-2023, 10:19 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 23-01-2023, 10:32 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 23-01-2023, 10:14 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 23-01-2023, 11:46 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 25-01-2023, 08:59 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 26-01-2023, 11:00 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 25-01-2023, 06:30 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 26-01-2023, 09:34 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 26-01-2023, 09:59 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 26-01-2023, 10:29 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 26-01-2023, 10:01 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 26-01-2023, 11:06 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 26-01-2023, 11:46 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by nextpage - 27-01-2023, 12:52 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 27-01-2023, 01:04 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 27-01-2023, 01:34 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 28-01-2023, 12:19 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 28-01-2023, 06:37 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 28-01-2023, 10:15 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 28-01-2023, 09:06 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 28-01-2023, 10:21 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 29-01-2023, 08:16 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 29-01-2023, 09:00 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 30-01-2023, 09:27 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 30-01-2023, 09:32 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 30-01-2023, 09:57 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 30-01-2023, 11:00 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 30-01-2023, 10:02 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 30-01-2023, 10:58 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 04-02-2023, 11:08 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Sanjay Sen - 30-01-2023, 10:07 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 30-01-2023, 10:08 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 31-01-2023, 12:57 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 31-01-2023, 11:56 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Boti babu - 31-01-2023, 01:27 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Bumba_1 - 31-01-2023, 10:43 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 31-01-2023, 11:59 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 31-01-2023, 10:05 AM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 31-01-2023, 01:26 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Shuhasini22 - 31-01-2023, 01:32 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 02-02-2023, 02:39 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 31-01-2023, 09:38 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 02-02-2023, 02:36 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by nextpage - 02-02-2023, 01:22 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 04-02-2023, 12:27 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 06-02-2023, 10:05 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by ddey333 - 07-02-2023, 04:53 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 08-02-2023, 01:13 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Avishek - 07-02-2023, 06:20 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Papai - 07-02-2023, 10:20 PM
RE: ভয় ২ - বাবান - by Baban - 12-11-2023, 12:41 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)