Thread Rating:
  • 20 Vote(s) - 2.75 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance Accounting_Teacher
#11
#___Part___11
.
.

দুই পাশে ব্যবস্থাপণা আর মাঝখানে হিসাব বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট দের সীট ফেলছে।
দুই পাশে অন্য কলেজে বেড়া আর চাটমোহর কলেজের স্টুডেন্ট দের সীট পড়ছে।
ভয়ে হাত পা কাপাঁকাপিঁ শুরু করছে।০৪ টা রুম একত্রে একটা মিলনায়তন রুম।যেখানে কয়েকশ স্টুডেন্ট আর প্রায় ২০ জনের মতো টিচার্স।
এতলোক এক সঙ্গে দেখে নার্ভাস হওয়ারই কথা।টিচার্স দের মাঝে একজনকে দেখে একটু হলেও ভয় কেটে গেলো ঋতুর।
আর সে টা হলো ইহান কে দেখে।সেদিন এর ইহান আর আজকের ইহানের মাঝে দারুণ তফাৎ। আজকের ইহানের মাঝে কেমন টিচার টিচার ভাব ফুটে উঠেছে।
যদিও ইহান কে ঋতু সেভাবে চিনে না বা পরিচিত হয়নি।
তারপরেও একটু ভয় টা কমছে এই ভেবে হয়তো একজন কে টিচার কে চিনে।
পরিক্ষা শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি আছে।খাতা দিয়ে দিয়েছে সবাই রোল,রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করায় বিজি।স্যার ম্যাম রা বার বার বলে দিয়ে যাচ্ছে কেউ যেনো ভুল করেও কাটাকাটি বা ঘষাঘষি না করে খাতায়।
ভুল হলে উপস্থিত শিক্ষক দের দ্বারা দেখে নিতে পারে।
.
১ম বর্ষের পরিক্ষার হলে মিলনায়তন ০২ নং কক্ষে গার্ডের ডিউটি পড়ছে আমার।যথা সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে গেলাম।সবার সাথে কুশল বিনিময় করে খাতা এগিয়ে দিচ্ছিলাম সব স্টুডেন্ট দের মাঝে।হঠাৎ চোখ দুটো এক জায়গায় গিয়ে আটকে গেলো।এ তো সেই পিচ্চি মেয়েটা(ঋতু) নীলের বিয়েতে গিয়ে দেখেছিলাম।
ওহহ!!আই সি।তার মানে পিচ্চি টা অনার্সে পড়ে।দেখে তো মনে হয় সবে ক্লাস টেনে উঠলো।যাই হোক অতটাও পিচ্চি না।
দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেনশনে আছে পরিক্ষা নিয়ে।
অভয় দিতে এগিয়ে গেলাম ওর কাছে।ভয় নেই আমি আছি বলে আশ্বাস দিলাম।কোনো সমস্যা হলে জানাবে বললাম।
আমার কথায় কিছুটা ভয় মুক্ত হলো মনে হচ্ছে।
ঘন্টা পড়ছে দেখে প্রশ্ন দেয়া শুরু করলাম।
,
প্রশ্ন মোটামুটি সহজ হয়েছে।যতটা ভয় পেয়েছিলাম অতটাও ভয় পাওয়ার মতো না।খুব সুন্দর হয়েছিল প্রশ্ন টা।
চার ঘন্টা সময় ও মনে হয় কম হয়ে গেছে।লেখে কভার করা যায় না।আগে তিন ঘন্টায় সাত টা সৃজনশীল কম্পিলিট করে রিভিশন দেয়ার জন্য পনেরো মিনিট সময় থাকতো হাতে আর এখন চার ঘন্টায়ও হয়না।
যাই হোক পরিক্ষা টা খুব ভালো হয়েছে।ঐ লোকটা মানে ইহান এসে বার বার খোজ খবর নিয়ে গেছে।
পরিক্ষার শেষে গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি।স্যার এখানে দাড়িয়ে থাকতে বলে গেছিলেন তাই।
আস্তে আস্তে কলেজ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পরিক্ষার শেষে যে যার মতো ঘরে ফেরায় ব্যস্ত।
ইতিহাস খুব সহজ একটা সাবজেক্ট। অল্প কিছু পড়ে নিজে থেকে বানিয়ে ও লেখা যায়।
সবাই হাসি মুখেই বের হয়ে যাচ্ছে তার মানে মোটামুটি সবারই ভালো হয়েছে।
,
পরিক্ষার শেষ হওয়ায় অফিশিয়াল কাজে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।আস্তে আস্তে সবাই হল পরিত্যাগ করে চলে যাচ্ছে।
মেয়েটাও হয়তো অন্য সবার মতো চলে গেছে।
কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছিলাম উদ্দেশ্য বাসার দিকে।
আমার ভাবনা ভুল হলো মেয়েটাকে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বেঞ্চিতে বসে থাকতে দেখে।
সেই কখন থেকে মেয়েটা মেয়েটা করে যাচ্ছি কি যেনো নাম ওর।ওহ সীট!আমি তো ওর নামই জানি না।
আচ্ছা..!কি নাম হতে পারে?
উমম!!আমার মোটা মাথায় এসব ভাবা হবে না।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি খেয়াল নেই।ওর কথায় হঠাৎ কল্পনার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম।
,
এই যে শুনছেন!!!
--হু কিছু বলছো?
--সেই কখন থেকে দেখছি কি যেনো ভাবছেন।এতো কি ভাবছেন শুনি?
--ওহ কিছুনা।তারপর বলো এক্সাম কেমন দিলে?
--আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।থ্যাংকস ফর এভরিথিংক এন্ড সেই সাথে সরি ও।
--থ্যাংকস কেনো?আবার সরিই বা কেনো?
--আজকের জন্য থ্যাংকস।আর সেদিনের ব্যবহারের জন্য সরি।
--নো নো ইটস অকে।
--থ্যাংকস।একটা প্রশ্ন করতে পারি?
--হুম। কেনো নয়?
--আপনাকে দেখে কেনো জানি স্যার স্যার মনে হয় না।
--তাই নাকি?তা কি মনে হয়?
--স্টুডেন্ট।
--হাহাহা।আমি কিছুদিন হলো জয়েনিং করছি।
বাই দ্যা ওয়ে।আমি ইহান মাহমুদ।
আজকে নাম বলতে নিশ্চয় তোমার কোনো আপত্তি নেই?
--নাহ।আমি ঋতু রশনি।
--নাইস নেম।
--ধন্যবাদ।
--স্বাগতম। আমি কিন্তু তোমায় রশনি বলেই ডাকবো।
--আপনার ইচ্ছা সেটা।
--থ্যাংকস। এনি ওয়ে কারো জন্য ওয়েট করছো নাকি?
--জ্বি।
--ওহহহ!!আমি কি ওয়েট করবো সে না আসা পর্যন্ত?
--না নাাহ। কোনো দরকার নেই।এখনি এসে পড়বে।
ঐ তো এসে পড়ছে।বায় বলে চলে এলাম।
,
কয়েকদিন পড়াশুনা নিয়ে অনেক বিজি ছিলাম। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া ঘুম কোনো টাই হয়নি।
আবার পরবর্তী পরিক্ষা হতে প্রায় সপ্তাহ খানিক সময় বাকি।
বাসায় গিয়ে গোসল করে খাওয়াদাওয়া করে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।এক ঘুমে রাত টা কেটে গেলো।খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।সচরাচর আমার এত ভোরে কখনো ঘুম ভাঙ্গে না।
আজ হঠাৎ কি মনে করে হলো জানিনা।এই ঘুমের জন্য ফযরের নাম পড়া হয়না কখনো।আজ যখন সময় পেয়েছি তখন নামায টা পড়েই নিই।
নামায পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করলাম খানিকখন।
মনটা বেশ ফুরফুরে।
অনেকদিন ছাদে যাওয়া হয় না যেই ভাবা সেই কাজ।
ছাদে গিয়ে ফুলের টবে পানি দিলাম।
আমি আর শোভা ছাদের এক কোনায় ফুলের বাগান
করছি ছোট্ট করে।আর এক পাশে কিছু শাক সবজি।
আসলে শহরে ঐভাবে মাটি পাওয়া যায় না তাই সবাই যেটুকু পারে ছাদেই এসব করে।অবসরে আমরা এখানে গাছের পরিচর্যার কাজে সময় দেই আঙ্কেল আমাদের কাজে সাহায্য করেন মাঝেমাঝে। 
,
নিচে গিয়ে টুকটাক পড়াশুনা করে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
আসলে সাধারণত, পরিক্ষার আগে ছুটি থাকলে কখনোই আগের দিন ছাড়া পড়তে বসি না আমরা।এটা তো আগে থেকেই হয়ে আসছে।
আজকে শুক্রবার সাপ্তাহিক একটা ছুটির দিন।
আঙ্কেল বাইরে গেছেন কি একটা কাজে।আম্মা আর সোনা মা গল্প করছে আর এদিকে আমি শোভা আর বর্ষা প্ল্যানিং করছি বিয়েতে কি কি করবো।
আর শুভ্র ড্রয়িংরুমে বসে ল্যাপটপে কি সব ঘাটাঘাটি করছে।
আসলে ল্যাপটপে তেমন কিছুই করছে না।এখানে বসার মূল উদ্দেশ্য হলো ওকে দেখা।ওর কথা শোনা এ ছাড়া আর কিছুই না।
একটা মানুষ কি করে অনর্গল এত কথা বলতে পারে তা এই মেয়েটা না দেখলে আর জানা হতো না।
কথা না বললেও কেমন মানায় না ওকে। ও যদি কখনো কোনো কারণে চুপ থাকে তাহলে কেমন যেনো বেমানান লাগে।মাঝেমাঝে মনে হয় গুরুগম্ভীর ওর জন্য না।ওর সাথে যায় না।শুভ্র ঋতুকে একটা নাম দিয়েছে আর সেটা হলো কথার রাণী।
শুভ্র ওর এই পাগলামো, বেশি কথা বলা,অদ্ভুদ আচরণ গুলোকেই কিভাবে যেনো ভালোবেসে ফেলেছে।
মেয়েটার মাঝে কেমন অদ্ভুদ রকমের একটা টান অনুভব করে শুভ্র।যেটা ওকে দূর থেকে চুম্বকের মতো ওর দিকে টানে।
অনার্স পড়ুয়া মেয়ের স্বভাব এখনো কেমন বাচ্চাদের মতো।
কেউ ওর কথার ধরণ,ওর বাচ্চামী দেখে বিলিভই করবে না যে ও অনার্সে পড়ে।
দূর থেকে যে কেউ ওর উপর লক্ষ্য রাখছে সে খেয়াল ওর নেই।ও তো কথার ফুলঝুরি নিয়ে বসে আছে।এত কথা পায় কোথায় কে জানে!!
মাঝেমাঝে ওদের কথা শুনে শুভ্র হেসে ফেলছে।
,
এদিকে ঋতু ভাবছে একজন মানুষ এত রোবট অর্থাৎ যান্ত্রিক মানবের মতো হয় কি করে?একটা রস কষহীন আনরোমান্টিক বুইড়া ব্যাডা।মনে শখ আল্লাদ বলতে কিছুই নাই নাকি।যে হের বউ অইবো তার কপাল এক্কেবারে পুরছে।
এর সাথে কেমনেই যে সংসার করবে।
কখনো ভুলেও হয়তো আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখার চেষ্টা করেনি যে হাসলে আসলে তাকে কেমন দেখায়।
হাসতেও মনে হয় আজকাল টাকা পয়সা লাগে।
তানাহলে কিভাবে পারে উনি?
আচ্ছা মানুষ এমন রোবট তো তখনি হয়ে যায় যখন কারো কাছে থেকে তীব্র থেকে তীব্রতর ভাবে একেরপর এক আঘাত পেতে পেতে ভেতরটায় আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না অনুভূতি হীন শূন্যতায়।
আচ্ছা উনি কারো কাছে ছ্যাঁক ট্যাঁক কিছু খায়নি তো নাকি।
কি জানি খাইলেও খাইতে পারে।
,
আপুউউউউউহহহহ
--কি কিিিিিি,,ষাঁড়ের মতো এতো চেঁচাচ্ছিস কেনো?
--চেঁচাবো না তো কি করবো।তোকে ডাকছি সেই কখন থেকে তুই শুনছিসই না।
--কি বলছিলি আবার বল।
--চল লুডু খেলি।বসে থাকতে আর ভাল্লাগছে না।
--নট এ ব্যাড আইডিয়া।চল খেলা যাক।
--তিন জনে খেলায় মজা হবে না আপু।
--তিনজন ছাড়া এখন আর লোক পাবো কোথায়?
--চলো আম্মু আর আন্টিকে বলে দেখি রাজি হয় কিনা।
--অকে চল।
দুজনের কেউই রাজি হলো নানা বাহানায়।
এখন বাকি আছে একজন জানি রাজি হবে না।তারপরেও চেষ্টা করা তো নেই মানা।
শোভা আর বর্ষা কে পাঠিয়ে দিয়ে আমি রুমের বাইরে দাড়িয়ে আছি।
--ভাইয়া কি করছিস?
--দেখছিস না কাজ করছি।
--সে তো করবিই।ল্যাপটপ ঘাটা ছাড়া তোর আর কোনো কাজ আছে নাকি।
শুক্রবার সাপ্তাহিক একটা ছুটির দিন সেদিনেও তোর যত রাজ্যের কাজ।
--এত প্যাঁচাল না পেরে যা বলতে এসেছিস তাই বলে চলে যা।আমার অনেক কাজ পরে আছে হাতে।(ধমক দিয়ে)
--হুমম যাবোই তো।দুদিন পরে যখন পরের ঘরের চলে যাব,তখন আর কেউ সময়ে অসময়ে জ্বালাতন করতে আসবে না।তখন বুঝবি আমি তোর কি ছিলাম।খুব বিরক্ত হস আমার উপর তাই না?যখন আমি থাকবো না তখন আর কেউ বিরক্ত করতে আসবে না।বলে শোভা কান্না করতে করতে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।

--কাজ ছাড়া কিছুই বুঝেন না আপনি। ঠিক কবে বাবা মা,বোন কে সময় দিয়েছেন আপনার মনে আছে?
আপনি কি আসলেই একটা মানুষ? নাকি মানুষের ছদ্মবেশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অনুভূতিহীন একটা যান্ত্রিক রোবট।যার মধ্যে ভালোবাসা বলে কিছু নেই।কাজ পাগল লোক একটা।
--ঋতুউউউহহহ!!তোমার স্পর্ধা হয় কি করে আমার মুখের উপর কথা বলার।
--আরে রাখেন তোহ!!শুভ্রকে থামিয়ে দিয়ে।
পারেন তো শুধু ঐটাই।সব সময় ধমকি ধামকি করবেন অন্যের উপর।এটা আপনার ভার্সিটি নাহ আর আমিও এখানে আপনার স্টুডেন্ট নই সো ডোন্ট শাউট।
আপনি সব সময় নিজেকে কি মনে করেন বলেন তো?প্রেসিডেন্ট? হাহাহাাা,আর বাকি সবাই আপনার প্রজা তাই আপনার ভয়ে মুখ লুকিয়ে বেরাবে।
অবশ্য আপনার মতো রষকষ হীন মানুষের কাছে এর থেকে বেশি কিছু এক্সপেক্ট ও করা উচিৎ না।
যে কাজ টা হুমকি ধামকি দিয়ে করছেন সেটা ভালোবেসেও খুব সহজেই করতে পারবেন।
আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন তোহহ আপনি যা করছেন তা আদৌ ঠিক করছেন তো।
ভার্সিটি,বাসায় সবাই আপনার ভয়ে ভীতু।সবাই ভয়ে থাকে কখন না জানি কোন ভুলের পানিশমেন্ট পেতে হয়।
আপনি কি কখনোই উপলম্ধি করতে পেরেছেন এভাবে আস্তে আস্তে আপনি আপনার ফ্যামিলির মাঝে দূরত্ব তৈরী করছেন। 
কখনো কি প্রয়োজন ব্যতীত আপনার মা কে জিজ্ঞেস করেছেন
করছেন সে আদৌ ভালো আছে কি না।কি করছে,কিভাবে সময় যাচ্ছে। ছোট বোন কে শাসন ছাড়া কখনো ভালোবেসে বুকে টেনে নিয়েছেন?নেন নি তো।
এভাবে চলতে থাকলে দেখবেন সবাই আপনার থেকে মুখ লুকিয়ে নিচ্ছে। কাউকে পাশে পাবেন না আপনার।
জানি আজ এই কথা গুলো বলার জন্য হয়তো আমার পানিশমেন্ট এর ব্যবস্থা করছেন অবশ্য আপনার মতো মানুষ আর কি বা করতে পারবে।আমি আর সবার মতো আপনাকে দেখে ভয় পাই না আপনি শুনে রাখুন।
কথা গুলো একদমে বলে থামলো ঋতু।
শুভ্র ঠিক সেই জায়গাতেই ঠাই দাড়িয়ে আছে।লাল টকটক করছে চোখ দুটি,ভয়ংকর দৃষ্টিতে ঋতুর দিকে তাকিয়ে আছে।
,
ঋতু ভাবছে সে কি বলতে কি বলে ফেললো।আসলে রাগের সময় মাথা ঠিক থাকে না।মাথা ঠান্ডা হলে পরে তার জন্য অনুশোচনায় অনুতপ্ত হয়।
এভাবে শুভ্রকে বলাটা উচিৎ হয়নি বলে মনে হচ্ছে এখন ঋতুর।
শুভ্রের কাছে সরি বলার জন্য এগিয়ে গেলো।
--স,,,সররররিিিি
--গেট লস্ট।
--সরিি
--আই সে গেট লস্ট।(জোরে ধমক দিয়ে)
শুভ্রের ধমকে ঋতুর বুকেঁর ভেতরটায় ভয়ে কেঁপে উঠলো।
ঋতুর মুখের উপর ধরাম করে দরজা লাগিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো শুভ্র।রাগে ফসফস করছে।
কিছুতেই নিজেকে সংযত করতে পারছে না।ঘরের মধ্যে তান্তব বয়ে চলেছে।
,
আর এদিকে ঋতুর মা পারলে ঋতু কে মারে।যাচ্ছে নয় তাই বলে ঋতু কে গালাগাল পারছে।
শুভ্রর কিছু হলে ঋতুকে দেখে নিবে।কত বড় সাহস ওর যে শুভ্রের মুখে মুখে কথা বলে।
আর এদিকে শুভ্রের মা ঋতুর কে মা কে বলছে ও তো ভুল কিছু বলেনি যা সত্য সেটাই শুধু বলেছেন।তুমি অযথাই ঋতুর উপর রাগ দেখাচ্ছ।
সোনা মা তুই রুমে যা।কোনো টেনশন করিস না আমি আছি তো।আমি থাকতে তোকে কেউ কিছু বলতে পারবে না।
,
বিকেল বেলা বই হাতে ছাদে বসে আছি।রুমে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলাম বই নিয়ে ছাদে যাই।মনটাও ভালো হবে আর মাঝেমধ্যে একটু আধটু বই পড়াও হবে।
এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে পড়লে আমি খুব একটা মনে রাখতে পারি না।আমার একটা বদ অভ্যাস আছে হেটে হেটে পড়া।এই ধরুন একটানা আধ ঘন্টা পড়লাম এর পরে বিনোদনের জন্য একটা গান শুনে বা দেখে আবার পড়তে বসবো।আমি বুঝে গেছি এখন আর পড়া হবে না।
আসলে সকালে শুভ্র স্যারের সাথে ঐ বিহাভ টা করা আমার ঠিক হয়নি।অবশ্যই আমার উচিৎ এখন তাকে সরি বলা।যে যেভাবে থাকতে পছন্দ করে তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া উচিৎ।
নিচে যাচ্ছিলাম স্যারের কাছে ক্ষমা চাইতে আর ঐদিক থেকে হদন্ত হয়ে ছুটে আসছিল এক জোড়া চোখ,,,,
.
Like Reply


Messages In This Thread
Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 08-01-2023, 07:23 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 08-01-2023, 10:51 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 09-01-2023, 07:24 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 10-01-2023, 08:07 AM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 10-01-2023, 12:12 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 11-01-2023, 08:56 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 13-01-2023, 12:47 AM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 13-01-2023, 10:05 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 14-01-2023, 07:49 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 15-01-2023, 12:56 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 16-01-2023, 04:17 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 17-01-2023, 06:44 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 18-01-2023, 01:32 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 19-01-2023, 10:26 PM
RE: Accounting_Teacher - by Manjarul Haque - 20-01-2023, 03:29 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)