10-04-2022, 10:16 PM
(This post was last modified: 10-04-2022, 10:21 PM by Bumba_1. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
(10-04-2022, 10:07 PM)ddey333 Wrote: ব্রা পরা কন্যা
আজকাল সংক্ষেপে লেখার চল বেড়েছে। নরেন্দ্র মোদী নমো হয়েছেন, রাহুল গান্ধী হলেন রাগা। এসব মিডিয়ার সৃষ্টি। কম জায়গায় বড় শব্দ বা বাক্য লেখার কৌশল। খরচ বাঁচে। বিজ্ঞাপনে দেদার ব্যবহার দেখা যায় এই কৌশলের। এই যেমন পাত্রপাত্রী বিজ্ঞাপনে প্রায়শই ব্যবহার হয় পূ.ব.কা., অর্থাৎ পূর্ববঙ্গীয় কায়স্থ। এগুলো প্রায় জানাই হয়ে গেছে। কিন্তু সেদিন ছেলে সুবর্ণের জন্য পাত্রী খুঁজতে গিয়ে যারপরনাই বিষম খেলেন অধ্যাপক শিশির ভট্। গৃ.ক.সু., বি.শি.ক., কে.অ. সবই বুঝলেন। গৃহকর্মে সুনিপুণা, বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে, কেমিস্ট্রিতে অনার্স। কিন্তু আটকে গেলেন ব্রা.পরা.কন্যা. পড়ে। সদ্য কলেজ পড়ুয়া ভাতিজীকে ডেকে বললেন, "দেখতো এটা কি ছাপার ভুল নাকি অন্য?" সোস্যাল মিডিয়ার যুগের ইচড়ে পাকা চ্যাংড়া ভাতিজী পমি বলল, "জ্যেঠু, ওটা মনে হয় বুঝাতে চাইছে মেয়ে ব্রা পরে, মানে কন্যা বিয়ে দেওয়ার মতো বড় হয়ে গেছে আরকি!" ধমক দিয়ে তাড়ালেন পমিকে। সুবর্ণকেও ডেকে জিজ্ঞেস করতে সাহস পাচ্ছিলেন না। এমন সময় কাগজের বিল নিতে এলো পত্রিকাওয়ালা সোমেনের বড় ছেলে সুবোধ। ওকে বিজ্ঞাপনটি দেখিয়ে বললেন, "এটা পড়ে বলতো, কী লেখা এতে?"
সুবোধ পড়তে লাগলো, "... ব্রাহ্মণ, পরাশর গোত্র, কন্যারাশি ...।"
শিশিরবাবু চকিত হয়ে ভাবতে লাগলেন এই বিজ্ঞাপনটা আসলে তার চো.খু.দি.।
স. গৃ
ওহ দারুন দারুন তোমার এই লেখাটা পড়ে একটা কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদের অফিসের একজন সহকর্মী আছেন, যার নাম - অরুণকুমার ব্যানসোড। আমরা ওনাকে ছোট করে বান্চোদ বলে ডাকি।