15-05-2019, 07:48 PM
রাজাসাহেব-->
মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটে যায় যা মানুষ্ কখনো ভুলতে পারে না . আমার জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যা আমি কোনদিনও ভুলতে পারিনি. এই ঘটনাটা ঘটেছিল আমার চোখের সামনে। এই ঘটনার সব দৃশ্য এখনো আমার চোখের সামনে ভাসে। আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান .কথাটা পুরো পুরি সত্যি নয়ে . সমাজের চোখে আমার আরেকটি ভাই আছে যাকে সমাজের সবাই আমার বাবা মায়ের দিতীয় সন্তান হিসাবে চেনে কিন্তু আমি জানতাম আমার ভাইটি আরেক পুরুষের বীর্যের ফসল .
আমার মা কাকলি সেন যাকে আপনারা এতক্ষণে ব্যভিচারিনী ভাবছেন , কিন্তু আমার মা পুরোপুরি এরকম মহিলা ছিল না . ঘটনাটা অনেক ভোলার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারেনি . আজ থেকে ১০ বছর আগেকার ঘটনা। আমার বয়েস তখন ৯ বছর। আমার বাবা ট্রান্সফার হয়ে আসে একটি গ্রামে। আমার বাবা জয়ন্ত সেন একজন ডাক্তার , এই গ্রামের একটি হাসপাতাল এ আসে . আমরাও কিছুদিন পরে সেই গ্রামে আসি। আমরা বলতে আমি আর মা।গ্রামটি খুব সুন্দর ছিল . চারিদিক ধু ধু করছে মাঠ কিন্তু একটাই জিনিস খুব বিরক্তিকর ছিল . জায়গাটির আবাহায়া . প্রচন্ড গরম ছিল।
প্রথম দিন আসার পরেই আমার সারির খারাপ হয়ে যায়ে গরমে। আমরা যে বাংলো তে থাকতাম সেখান থেকে গ্রামটি অনেক দূর ছিল।বাবাকে রোজ গাড়ি করে নিয়ে যেত হাসপাতালে রঘু নামে একটি লোক . আমাদের বাড়িতে ঘর ধর পরিস্কার করার জন্য একটি মহিলা থাকত , মহিলাটির নাম কমলা ছিল। বেটে মোটা সটা সেই মহিলাটি মায়ের সাথে খুব গল্প করত , মা আসে পাসে কেউকে চিনতনা বলতে কমলার সাথে সব রকম গল্প করত।
একদিন আমি তাদের কথা আরি পেতে শুনেছিলাম , কমলা মাকে বলছে-“বৌদি একটা কথা বলব, কিছু মনে করবে না তো !!!’, মা বলল-“কি বলবি বল?”
কমলা-“শুনেছি …শহুরের মেয়েরদের অনেক ছেলে বন্ধু হয়, তা তোমার কোনো বিয়ের আগে ছেলে বন্ধু ছিল নাকি”
মা-“আমার বাবাকে তো চিন্তিস না, আমাকে মেরেই ফেলত ”
কমলা বলল-“সত্তি কথা বলনা ….তোমার মত এত সুন্দরীর কেযু ছিল না !”
মা -“মিথ্যে কেন বলতে যাব তোকে !”
কমলা-“তুমি বলছ তোমার জীবনে দাদা ছাড়া কেযু ছিল না।”
মা-“এতে অবাক হওয়ার কি হলো”
কমলা-“না এমনি !!! আচ্ছা তুমি দাদাকে খুব ভালোবাসো না ”
মা-“বিয়ের ১০ বছর হয়ে গেল আর ভালবাসব না, কি বলিস!!”
কমলা-“জানো বৌদি এই গ্রামটায় বেশিদিন কোনো ডাক্তার তেকে না .”
মা-“কেন?”
কমলা – “এখানে এই হাসপাতাল গুলোতে খুব অসুধের চরা কারবারি চলে !!!…এখানকার রাজনৈতিক দলের কিছু লোক যুক্ত থাকে …”
মা -“তোমার দাদা আমাকে এই সব কথা তো জানায়নি।”
কমলা -“সেকি বৌদি ….আপনি জানেন না এর মধ্যেই ডাক্তার বাবুর সাথে কিছু লোকের ঝামেলা হয়েছে হাসপাতালে …তারা ডাক্তার বাবুকে সাশিয়েছে”
মা চুপ করে শুনছিল।
এরপর আমার মনে আছে সেদিন রাতে বাবা মায়ের মধ্যে এই সব নিয়ে ঝগড়া হয়ে গেল।
দুই তিন দিন পর আমাদের বাড়িতে একজন মধ্য বয়স্ক লোক এলো . লোকটি নাকি গ্রামের খুব প্রভাবশালী লোক। আমার এখনো মনে আছে সেই দিনটার কথা যখন লোকটি প্রথম আমাদের বাড়িতে আসে , আমি বারান্দায় খেলছিলাম বিকাল বেলা যখন একটা কালো গাড়ি এসে আমাদের বাড়ির সামনে দাড়ায়ে। গাড়ি থেকে কিছু লোককে নামতে দেখে , আমি ভয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে যায়ি। মা আমাকে জিজ্ঞেস করলো-“কি হল …তুই বাইরে থেকে ছুটে এলি কেন ?”
আমি বললাম-“বাইরে করা সব এসেছে …. কিরকম যেন গুন্ডাদের মত দেখতে !!!”.
আমি ঠিক বলেছিলাম , লোকগুলো সত্যি গুন্ডাদের মত দেখতে ছিল।
মা আমার সাথে বাইরে আসতেই একটু থমকে গেল। মা-“আপনারা !!!!”
একজন নমস্কার করে বলে উঠল -” নমস্কার বৌদি !!!….আপনি কি ডাক্তার বাবুর স্ত্রী …”
মা-“হা …উনিতো এখনো হাসপাতাল থেকে অসেননি !!!”
আবার লোকটি বলে উঠলো -” আমি ডাক্তার বাবুর সাথে কথা বলতে এসেছিলাম ….আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমরা কি ডাক্তার বাবুর জন্য বাইরে অপেখ্যা করতে পারি …..আমার এক খুব বিশেষ বিষয় নিয়ে ডাক্তার বাবুর সাথে কথা বলার ছিল …”
মা -“উনি কখন আসবেন ….এতক্ষণ এখানে আপনারা অপেখ্যা করবেন?”
লোকটি বলল-“না ….আমাদের কোনো অসুবিধা নেই …..”
মা আমাকে নিয়ে ঘরের ভেতর গেল।
ঘরে গিয়ে সে হাসপাতালে ফোন করে বাবাকে লোকগুলোর ব্যাপারে বলতে লাগলো।
বাবার সাথে কথা বলে মা জান্লা দিয়ে উকি মেরে লোকগুলো কে দেখতে লাগলো, তারপর কি যেন একটা ভেবে আবার বাইরে গিয়ে বলল – “আমি খুব দুখিত যে আপনাদেরকে ভেতরে ডাকতে পারছিনা ….আমার ঘরের ভেতর টা অগোছালো হয়ে আছে ”
আবার সেই লোকটাই উত্তর দিল-“না না আপনি এইসব নিয়ে চিন্তা করবেন না …আমরা বাইরে বেশ ভালো আছি ….”
দেখে মনে হছিল এই লোকটাই কথা বলতে পারে বাকি লোকগুলো অদ্ভুত চোখে যেন মার দিকে তাকিয়ে আছে, দেখে মনে হছিল তাদের কাছে আমার যেন দুর্লভ কোনো বস্তু।
মা ভেতরে চলে এলো , কিছুক্ষণ পরে বাবা গাড়ি করে ফিরল।
বাইরে থেকে শুনতে পেলাম বাবা বলছে -“আরে রাজাসাহেব আপনি এখানে …বাইরে দাড়িয়ে আছেন …”
লোকটি ঠাট্টা করে বলে বলল-“আরে আপনার স্ত্রী তো আমাদের ভয় ঘরে ঢুকতে দিল না।”
বাবা -” আপনি আসুন ….আমারি দোস …আমার ওকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল কে এসছে।”
এরপর বাবা লোকটিকে কে নিয়ে ঘরে ঢুকলো। মাকে লোকটির সাথে ভালো ভাবে আলাপ করলো। আমাকেও লোকটির সামনে নিয়ে গিয়ে নিজের ছেলে হিসাবে পরিচয় দিল।
লোকটিকে এবার আমি ভালো ভাবে দেখলাম , বেশ সুগঠিত চেহারা , গায়ের রং তামাটে এবং সারা শরিরে প্রচুর লোম।
লোকটি-“আপনার বউ ছেলে সবাই খুব সুন্দর দেখতে , আপনার ভাগ্য দেখে খুব হিংসে হছে …”
বাবা -“তো আপনি আশা করি আমার সাথে হাসপাতালের এই সব বেকানুনি জিনিস পত্র বাপার নিয়ে কথা বলতে আসেন নি বধয়ে ?”
রাজাসাহেব-” কি আর বলব ডাক্তার বাবু …আমার হয়েছে ঝামেলা …সামনে ভোট আসছে …. আর এদিকে এই গুন্ডাদের উপদ্রবে আগামী ৬ মাসে দুই জন ডাক্তার পালিয়েছে !!!”
বাবা- ” আপনারই তো দলের লোক!!!”
রাজাসাহেব মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল -“আপনার সামিকে আমি আর বোঝাতে পারলাম না ”
বাবা মাকে বলল-“কাকলি ….আমার আর রাজা সাহেবের জন্য একটু চা বানিয়ে দাও না”
মা অনিচ্ছা সত্যেও তাকে রান্না ঘরে যেতে হলো। বাবা এবার রাজাসাহেব -” আপনার এর মধ্যে কোনো রকম জড়িত না থাকলেও …আমার পক্ষ্যে সম্ভভ হছে না …”
বাবা আর রাজা সাহেব অনেক্ষণ ধরে নিজেদের মধ্যে কথা বলে চলছিল , আমি আর তাদের কথা কান দিছিলাম না।
কিছুক্ষনের মধ্যে মা চা নিয়ে ঘরে ঢুকলো , মায়ের হাতের চা খেয়ে রাজাসাহেব খুব পছন্দ করলো।
শেষে চলে যাবার সময় বলল -” বৌদি !!! …. পরের বার কিন্তু এলে …. আর কিন্তু ঘর অগোছালো থাকার অজুহাথ দেবেন না।।।”
মা মুচকি হেসে বলল -” এবার অন্য কোনো অজুহাথ দেব ….”
আসতে আমাদের বাড়িতে রাজাসাহেবের আসা যাওবা বাড়তে লাগলো।
এক দিন রাতে শোবার সময়ে মা চুল আচরাতে আচরাতে বলল -” শুনলাম …তুমি নাকি হেড অফিসএ কয়েক জনের নামে নালিশ করেছ , তুমি জানো ওরা কারা ?”
বাবা আর চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল-“তুমি জানলে কোথায় থেকে?”
মা-“সকালে রাজাসাহেব বাড়িতে এসেছিল …. অনার কাছ থেকে ?”
বাবা-“লোকটা যখন দেখছে আমি ওর কোনো কথা শুনছি না …. এখন তোমার কান ভাঙ্গছে ”
মা এবার একটু রেগে গিয়ে বাবার কথার উত্তর দিল-“অদ্ভুত ….. লোকটার কি আসা যায় আমাকে জানিয়ে …যা করছে আমাদের পরিবারের ভালোর জন্য করছে ”
বাবা – ” আমার পরিবারের ভালো বাপারটা নিয়ে বাইরে কোনো লোক মাথা না ঘামালে ভালো।”
সেদিন রাতে মা কিছু বলল না , কিন্তু পরের দিনমা বাবার মধ্যে খুব ঝগড়া হলো এই সব নিয়ে। মা শেষ পর্যন্ত কাদতে সুরু করে দিল, বাবা মাকে বোঝালো-“দেখো ….. কাকলি ….তুমি ভয় পেয় না…আমার কোনো ক্ষতি হবে না ….রাজাসাহেব ভয় পেয়েছে ….ও তোমাকে ব্যবহার করছে যাতে আমি ওদের উপর থেকে অভিযোগ তা তুলে নি”
এরপর নিজেদের মধ্যে কিছুটা মিটমাট হওয়ার পর, বাবা হাসপাতালে চলে গেল।
সেই রাতে যা অনিবার্য ছিল তাই হলো , রাতে মা খুব চিন্তায় ছিল , বাবার আসতে বাকি দিনের তুলনায় অনেক দেরী হছিল।
এমন সময় আমাদের বাড়ির সামনে রাজাসাহেবের গাড়ি এসে দাড়ালো। গাড়ি থেকে রাজাসাহেব নামতেই মা বুঝতে পারল কিছু একটা অঘটন ঘটেছে।
মা বলল -“রাজাসাহেব আপনি?”
রাজাসাহেব -“কাকলি ….. একটা খারাপ খবর আছে?”
মা রাজাসাহেবের কাছে ছুটে এলো-“কি হয়েছে জায়ান্তার ?”
মায়ের সারা শরীর কাপছে। রাজাসাহেব-“তোমাকে কতবার বুঝিয়েছি ….ওকে বোঝাও ”
মা কাদো কাদো অবস্থায়-“কি হয়েছে …তারাতারি বলুন!! … কিছু গুন্ডারা তোমার সামীর উপর হামলা করেছে …..এখন ওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।”
মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটে যায় যা মানুষ্ কখনো ভুলতে পারে না . আমার জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল যা আমি কোনদিনও ভুলতে পারিনি. এই ঘটনাটা ঘটেছিল আমার চোখের সামনে। এই ঘটনার সব দৃশ্য এখনো আমার চোখের সামনে ভাসে। আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান .কথাটা পুরো পুরি সত্যি নয়ে . সমাজের চোখে আমার আরেকটি ভাই আছে যাকে সমাজের সবাই আমার বাবা মায়ের দিতীয় সন্তান হিসাবে চেনে কিন্তু আমি জানতাম আমার ভাইটি আরেক পুরুষের বীর্যের ফসল .
আমার মা কাকলি সেন যাকে আপনারা এতক্ষণে ব্যভিচারিনী ভাবছেন , কিন্তু আমার মা পুরোপুরি এরকম মহিলা ছিল না . ঘটনাটা অনেক ভোলার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারেনি . আজ থেকে ১০ বছর আগেকার ঘটনা। আমার বয়েস তখন ৯ বছর। আমার বাবা ট্রান্সফার হয়ে আসে একটি গ্রামে। আমার বাবা জয়ন্ত সেন একজন ডাক্তার , এই গ্রামের একটি হাসপাতাল এ আসে . আমরাও কিছুদিন পরে সেই গ্রামে আসি। আমরা বলতে আমি আর মা।গ্রামটি খুব সুন্দর ছিল . চারিদিক ধু ধু করছে মাঠ কিন্তু একটাই জিনিস খুব বিরক্তিকর ছিল . জায়গাটির আবাহায়া . প্রচন্ড গরম ছিল।
প্রথম দিন আসার পরেই আমার সারির খারাপ হয়ে যায়ে গরমে। আমরা যে বাংলো তে থাকতাম সেখান থেকে গ্রামটি অনেক দূর ছিল।বাবাকে রোজ গাড়ি করে নিয়ে যেত হাসপাতালে রঘু নামে একটি লোক . আমাদের বাড়িতে ঘর ধর পরিস্কার করার জন্য একটি মহিলা থাকত , মহিলাটির নাম কমলা ছিল। বেটে মোটা সটা সেই মহিলাটি মায়ের সাথে খুব গল্প করত , মা আসে পাসে কেউকে চিনতনা বলতে কমলার সাথে সব রকম গল্প করত।
একদিন আমি তাদের কথা আরি পেতে শুনেছিলাম , কমলা মাকে বলছে-“বৌদি একটা কথা বলব, কিছু মনে করবে না তো !!!’, মা বলল-“কি বলবি বল?”
কমলা-“শুনেছি …শহুরের মেয়েরদের অনেক ছেলে বন্ধু হয়, তা তোমার কোনো বিয়ের আগে ছেলে বন্ধু ছিল নাকি”
মা-“আমার বাবাকে তো চিন্তিস না, আমাকে মেরেই ফেলত ”
কমলা বলল-“সত্তি কথা বলনা ….তোমার মত এত সুন্দরীর কেযু ছিল না !”
মা -“মিথ্যে কেন বলতে যাব তোকে !”
কমলা-“তুমি বলছ তোমার জীবনে দাদা ছাড়া কেযু ছিল না।”
মা-“এতে অবাক হওয়ার কি হলো”
কমলা-“না এমনি !!! আচ্ছা তুমি দাদাকে খুব ভালোবাসো না ”
মা-“বিয়ের ১০ বছর হয়ে গেল আর ভালবাসব না, কি বলিস!!”
কমলা-“জানো বৌদি এই গ্রামটায় বেশিদিন কোনো ডাক্তার তেকে না .”
মা-“কেন?”
কমলা – “এখানে এই হাসপাতাল গুলোতে খুব অসুধের চরা কারবারি চলে !!!…এখানকার রাজনৈতিক দলের কিছু লোক যুক্ত থাকে …”
মা -“তোমার দাদা আমাকে এই সব কথা তো জানায়নি।”
কমলা -“সেকি বৌদি ….আপনি জানেন না এর মধ্যেই ডাক্তার বাবুর সাথে কিছু লোকের ঝামেলা হয়েছে হাসপাতালে …তারা ডাক্তার বাবুকে সাশিয়েছে”
মা চুপ করে শুনছিল।
এরপর আমার মনে আছে সেদিন রাতে বাবা মায়ের মধ্যে এই সব নিয়ে ঝগড়া হয়ে গেল।
দুই তিন দিন পর আমাদের বাড়িতে একজন মধ্য বয়স্ক লোক এলো . লোকটি নাকি গ্রামের খুব প্রভাবশালী লোক। আমার এখনো মনে আছে সেই দিনটার কথা যখন লোকটি প্রথম আমাদের বাড়িতে আসে , আমি বারান্দায় খেলছিলাম বিকাল বেলা যখন একটা কালো গাড়ি এসে আমাদের বাড়ির সামনে দাড়ায়ে। গাড়ি থেকে কিছু লোককে নামতে দেখে , আমি ভয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে যায়ি। মা আমাকে জিজ্ঞেস করলো-“কি হল …তুই বাইরে থেকে ছুটে এলি কেন ?”
আমি বললাম-“বাইরে করা সব এসেছে …. কিরকম যেন গুন্ডাদের মত দেখতে !!!”.
আমি ঠিক বলেছিলাম , লোকগুলো সত্যি গুন্ডাদের মত দেখতে ছিল।
মা আমার সাথে বাইরে আসতেই একটু থমকে গেল। মা-“আপনারা !!!!”
একজন নমস্কার করে বলে উঠল -” নমস্কার বৌদি !!!….আপনি কি ডাক্তার বাবুর স্ত্রী …”
মা-“হা …উনিতো এখনো হাসপাতাল থেকে অসেননি !!!”
আবার লোকটি বলে উঠলো -” আমি ডাক্তার বাবুর সাথে কথা বলতে এসেছিলাম ….আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমরা কি ডাক্তার বাবুর জন্য বাইরে অপেখ্যা করতে পারি …..আমার এক খুব বিশেষ বিষয় নিয়ে ডাক্তার বাবুর সাথে কথা বলার ছিল …”
মা -“উনি কখন আসবেন ….এতক্ষণ এখানে আপনারা অপেখ্যা করবেন?”
লোকটি বলল-“না ….আমাদের কোনো অসুবিধা নেই …..”
মা আমাকে নিয়ে ঘরের ভেতর গেল।
ঘরে গিয়ে সে হাসপাতালে ফোন করে বাবাকে লোকগুলোর ব্যাপারে বলতে লাগলো।
বাবার সাথে কথা বলে মা জান্লা দিয়ে উকি মেরে লোকগুলো কে দেখতে লাগলো, তারপর কি যেন একটা ভেবে আবার বাইরে গিয়ে বলল – “আমি খুব দুখিত যে আপনাদেরকে ভেতরে ডাকতে পারছিনা ….আমার ঘরের ভেতর টা অগোছালো হয়ে আছে ”
আবার সেই লোকটাই উত্তর দিল-“না না আপনি এইসব নিয়ে চিন্তা করবেন না …আমরা বাইরে বেশ ভালো আছি ….”
দেখে মনে হছিল এই লোকটাই কথা বলতে পারে বাকি লোকগুলো অদ্ভুত চোখে যেন মার দিকে তাকিয়ে আছে, দেখে মনে হছিল তাদের কাছে আমার যেন দুর্লভ কোনো বস্তু।
মা ভেতরে চলে এলো , কিছুক্ষণ পরে বাবা গাড়ি করে ফিরল।
বাইরে থেকে শুনতে পেলাম বাবা বলছে -“আরে রাজাসাহেব আপনি এখানে …বাইরে দাড়িয়ে আছেন …”
লোকটি ঠাট্টা করে বলে বলল-“আরে আপনার স্ত্রী তো আমাদের ভয় ঘরে ঢুকতে দিল না।”
বাবা -” আপনি আসুন ….আমারি দোস …আমার ওকে জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল কে এসছে।”
এরপর বাবা লোকটিকে কে নিয়ে ঘরে ঢুকলো। মাকে লোকটির সাথে ভালো ভাবে আলাপ করলো। আমাকেও লোকটির সামনে নিয়ে গিয়ে নিজের ছেলে হিসাবে পরিচয় দিল।
লোকটিকে এবার আমি ভালো ভাবে দেখলাম , বেশ সুগঠিত চেহারা , গায়ের রং তামাটে এবং সারা শরিরে প্রচুর লোম।
লোকটি-“আপনার বউ ছেলে সবাই খুব সুন্দর দেখতে , আপনার ভাগ্য দেখে খুব হিংসে হছে …”
বাবা -“তো আপনি আশা করি আমার সাথে হাসপাতালের এই সব বেকানুনি জিনিস পত্র বাপার নিয়ে কথা বলতে আসেন নি বধয়ে ?”
রাজাসাহেব-” কি আর বলব ডাক্তার বাবু …আমার হয়েছে ঝামেলা …সামনে ভোট আসছে …. আর এদিকে এই গুন্ডাদের উপদ্রবে আগামী ৬ মাসে দুই জন ডাক্তার পালিয়েছে !!!”
বাবা- ” আপনারই তো দলের লোক!!!”
রাজাসাহেব মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল -“আপনার সামিকে আমি আর বোঝাতে পারলাম না ”
বাবা মাকে বলল-“কাকলি ….আমার আর রাজা সাহেবের জন্য একটু চা বানিয়ে দাও না”
মা অনিচ্ছা সত্যেও তাকে রান্না ঘরে যেতে হলো। বাবা এবার রাজাসাহেব -” আপনার এর মধ্যে কোনো রকম জড়িত না থাকলেও …আমার পক্ষ্যে সম্ভভ হছে না …”
বাবা আর রাজা সাহেব অনেক্ষণ ধরে নিজেদের মধ্যে কথা বলে চলছিল , আমি আর তাদের কথা কান দিছিলাম না।
কিছুক্ষনের মধ্যে মা চা নিয়ে ঘরে ঢুকলো , মায়ের হাতের চা খেয়ে রাজাসাহেব খুব পছন্দ করলো।
শেষে চলে যাবার সময় বলল -” বৌদি !!! …. পরের বার কিন্তু এলে …. আর কিন্তু ঘর অগোছালো থাকার অজুহাথ দেবেন না।।।”
মা মুচকি হেসে বলল -” এবার অন্য কোনো অজুহাথ দেব ….”
আসতে আমাদের বাড়িতে রাজাসাহেবের আসা যাওবা বাড়তে লাগলো।
এক দিন রাতে শোবার সময়ে মা চুল আচরাতে আচরাতে বলল -” শুনলাম …তুমি নাকি হেড অফিসএ কয়েক জনের নামে নালিশ করেছ , তুমি জানো ওরা কারা ?”
বাবা আর চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল-“তুমি জানলে কোথায় থেকে?”
মা-“সকালে রাজাসাহেব বাড়িতে এসেছিল …. অনার কাছ থেকে ?”
বাবা-“লোকটা যখন দেখছে আমি ওর কোনো কথা শুনছি না …. এখন তোমার কান ভাঙ্গছে ”
মা এবার একটু রেগে গিয়ে বাবার কথার উত্তর দিল-“অদ্ভুত ….. লোকটার কি আসা যায় আমাকে জানিয়ে …যা করছে আমাদের পরিবারের ভালোর জন্য করছে ”
বাবা – ” আমার পরিবারের ভালো বাপারটা নিয়ে বাইরে কোনো লোক মাথা না ঘামালে ভালো।”
সেদিন রাতে মা কিছু বলল না , কিন্তু পরের দিনমা বাবার মধ্যে খুব ঝগড়া হলো এই সব নিয়ে। মা শেষ পর্যন্ত কাদতে সুরু করে দিল, বাবা মাকে বোঝালো-“দেখো ….. কাকলি ….তুমি ভয় পেয় না…আমার কোনো ক্ষতি হবে না ….রাজাসাহেব ভয় পেয়েছে ….ও তোমাকে ব্যবহার করছে যাতে আমি ওদের উপর থেকে অভিযোগ তা তুলে নি”
এরপর নিজেদের মধ্যে কিছুটা মিটমাট হওয়ার পর, বাবা হাসপাতালে চলে গেল।
সেই রাতে যা অনিবার্য ছিল তাই হলো , রাতে মা খুব চিন্তায় ছিল , বাবার আসতে বাকি দিনের তুলনায় অনেক দেরী হছিল।
এমন সময় আমাদের বাড়ির সামনে রাজাসাহেবের গাড়ি এসে দাড়ালো। গাড়ি থেকে রাজাসাহেব নামতেই মা বুঝতে পারল কিছু একটা অঘটন ঘটেছে।
মা বলল -“রাজাসাহেব আপনি?”
রাজাসাহেব -“কাকলি ….. একটা খারাপ খবর আছে?”
মা রাজাসাহেবের কাছে ছুটে এলো-“কি হয়েছে জায়ান্তার ?”
মায়ের সারা শরীর কাপছে। রাজাসাহেব-“তোমাকে কতবার বুঝিয়েছি ….ওকে বোঝাও ”
মা কাদো কাদো অবস্থায়-“কি হয়েছে …তারাতারি বলুন!! … কিছু গুন্ডারা তোমার সামীর উপর হামলা করেছে …..এখন ওকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।”