Thread Rating:
  • 25 Vote(s) - 3.4 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica আমার পর্ন ডায়রি
#43
(14-10-2021, 09:55 AM)Bichitravirya Wrote: খুব সুন্দর উত্তর পেলাম। কিন্তু এই উত্তরের মধ্যে বলা হয়েছে সেক্সুয়াল অ্যাট্রাকশন আনা হয়েছে যাতে দুটো বিপরীত লিঙ্গের প্রানী একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয় আর নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করতে পারে। তার মানে এই সেক্সুয়াল অ্যাট্রাকশন একটা ফাঁদ যাতে দুটো বিপরীত লিঙ্গের প্রানি আকৃষ্ট হয়। এই উত্তরের সাথেই নতুন দুটো প্রশ্ন চলে এলো দাদা ----

1) পরবর্তী প্রজন্ম সৃষ্টি করতে হবে কেন?
2 ) আমাদের কে সৃষ্টি করা হয়েছে কেন? এর পিছনে কি কোন মহৎ উদ্দেশ্য আছে? নাকি ঈশ্বরের সময় কাটছিল না তাই কয়েকটা পুতুল বানিয়েছে মনোরঞ্জনের জন্য?

এবার আসি বাবান দার কথায় ------

বৈবাহিক জীবনে সেক্স তখনই অপবিত্র বা অশুদ্ধ যখন এটা তাদের ভালোবাসার উপর প্রভাব ফেলে। এবং ডিভোর্স হয়ে যায় শুধু মাত্র একজনের অক্ষমতার জন্য। সেক্স এখানে ভালোবাসাকে ছোট করছে। কিন্তু ভালোবাসা কি ছোট হওয়ার জিনিস!

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই সেক্স, কাম, প্রেম, ভালোবাসা থেকে মুক্তি চাই। চাইনা এসব আমার। অনেক চেষ্টা করেছি এইসব থেকে বার হওয়ার। কিন্তু হতে পারি নি। কি করবো ! সুস্থ শরীরে মাল যে বিচিতে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে 

আপনি আর একটা জায়গায় জিজ্ঞাসা করেছেন --- হাওয়ার রঙ কেমন? বুক ধুকুপুকু করে কেন? --- এইসব প্রশ্ন আমাকে তেমন একটা ভাবায় না বা নাড়াতে পারে না। আমাকে ভাবায় এই সব অতিদৈবিক বা ঈশ্বরিক  ব্যাপার গুল যেটার পুরোপুরি সঠিক বা নির্ভুল একটা উত্তর হবে না বা নেই কোথোও।

❤❤❤

পরবর্তী প্রজন্ম সৃষ্টি করতে হবে কারন তা না হলে সৃষ্টি লোপ পাবে। কোন বস্তু বা বিষয়ই চিরকালীন হয় না, তার রূপ পরিবর্তন হয়। সৃষ্টি ঘটে চলে চক্রাকারে। একই বিষয় বারে বারে ফিরে ফিরে চক্রাকারে চলতে থাকে। পৃথিবীর সব প্রজাতিরই মূল লক্ষ্য বংশবিস্তার করা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে নিজের বংশগতিকে এগিয়ে দেওয়াই জীবনের সার্থকতা।

আমাদের কে সৃষ্টি করা হয়েছে কেন এটা একটা বিরাট বড় দার্শনিক প্রশ্ন। এর উত্তর দেওয়া চটজলদি সম্ভব নয়। প্রথম কথা আমাদের কেউ সৃষ্টি করেছে এটা নাও হতে পারে। হতে পারে প্রাণ নিজে থেকে তৈরি হয়েছে। এর পিছনে কোন ভগবান বা ডিজাইনার নেই। আমাদের শরীর ভাল করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফল আমরা। তাই আমাদের দেহে এমন কিছু অঙ্গ রয়েছে যা আমাদের আর কাজে লাগে না।

আমি যতটা বুঝেছি সৃষ্টির উদ্দেশ্য জগৎকে এক্সপিরিয়েন্স করা। শুরুতে ছিল একটি চেতনা যাকে আপনি ভগবান বলতে পারেন নাও বলতে পারেন। এই চেতনা একটি সম্ভাবনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তখন সময় বা স্থান বলেও কিছু ছিল না।

এখন এই চেতনা কি করতে পারে? চেতনা এই ভাবেই রয়ে যেতে পারে অথবা নিজেকে প্রসারিত করতে পারে। এই চেতনা জানতে চাইল যে আমি কে? উত্তর যখন পেলনা তখন সে বুঝল যে জানতে গেলে কিছু এক্সপিরিয়েন্স করতে হবে। কিন্তু তখনই সে কিছু এক্সপিরিয়েন্স করতে পারে যখন কিছু ঘটবে। তাই তখন তৈরি হল সময় এবং স্থান।

এই চেতনা নিজেকে সময় এবং স্থানে প্রসারিত করল। শূন্য থেকেই জগৎ সৃষ্টি হল। প্রথমে তৈরি হল জড় পদার্থ। যাদের চেতনার মাত্রা খুবই কম নেই বললেই চলে। এই জড়পদার্থ নানাভাবে পরিবর্তিত হতে হতে সৃষ্টির প্রায় এক হাজার কোটি বছর বাদে পৃথিবী নামক গ্রহে এককোষী জীব তৈরি হল। যাদের চেতনার মাত্রা জড় পদার্থের থেকে বেশি। এরপর এককোষী প্রাণী সারভাইভালের জন্য একসাথে জুড়ে বহুকোষী জীব তৈরি হল যাদের চেতনার মাত্রা আরো বেশি। এইভাবে আরো চারশো কোটি বছর পরে মানুষের উদ্ভব হল। পৃথিবী নামক গ্রহে যাদের চেতনার মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

সম্ভবত অন্যান্য ডাইমেনশনে বা গ্রহে এমন প্রাণী রয়েছে যাদের চেতনার মাত্রা মানুষের থেকেও বেশি। আমরা এদেরই হয়ত দেবতা বলে থাকি। যাদের বুদ্ধি ও বোঝার ক্ষমতা মানুষের থেকে হাজার হাজার গুন বেশি। এই সমস্ত রকম চেতনা আলাদা আলাদা কিছু নয় সবই এই মূল চেতনারই অংশ। এই জন্যই আলোকিত ব্যক্তিরা মাঝে মাঝে লাফিয়ে ওঠেন যখন তাঁদের এই অনুভূতি হয় যে "I am not in the universe I am the universe". আমি জগতের ভিতরে নই আমিই জগত। মানে সমস্ত কিছুই সেই মূল চেতনারই বিভিন্ন প্রতিফলন। সমুদ্রের একটা ঢেউ আলাদা কিছু নয় সেটাও আসলে সমুদ্রই। পিঁপড়ে, ইঁদুর, সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, হাতি, ঘোড়া, ঘুষখোর মন্ত্রী, পর্নস্টার, রাস্তায় শুয়ে থাকা ভিখারী, মুকেশ আম্বানী, পাশের বাড়ির সেক্সি বৌদি সবই আসলে একই চেতনার বিভিন্ন রূপ। যে রাম সেই রাবন। যা সন্দেশ তাই গু। যে ভগবান সেই শয়তান। যা শূন্য তাই সবকিছু।

বিবর্তনের প্রয়োজন চেতনার বিকাশের জন্য। চেতনা যখন সর্বোচ্চ পর্যায় পৌছে যায় তখন তা সম্ভবত মূল চেতনার সঙ্গে মিশে যায়। একই বলে নির্বাণলাভ। একসময়ে সব চেতনাও আবার সোর্সে ফিরে যায় তারপর আবার সবকিছু প্রথম থেকে শুরু হয়। কারন এই পদ্ধতি ছাড়া কোন কিছু এক্সপিরিয়েন্স করা সম্ভব নয়। হ্যাঁ এটা বলা যেতে পারে যে ঈশ্বর একা একা বোর হয়ে এই জগত সৃষ্টি করেছেন। যাতে কিছু ঘটতে পারে।

এই চেতনাকে আপনি ভগবান বলতে পারেন, পরম ব্রহ্ম বলতে পারে বা আল্লা বলতে পারেন। তিনিই সবকিছুর মধ্য দিয়ে সবকিছু এক্সপিরিয়েন্স করছেন। ভাল মন্দ সবকিছু। এই দর্শনের নাম হল অদ্বৈত দর্শন। যাতে বলা হয় এক এবং একমাত্র ভগবান ছাড়া আর কিছুরই অস্তিত্ব নেই। বাকি সবই ইলিউশন। এই ইলিউশন তৈরি হয়েছে যাতে আমাদের মধ্য দিয়ে ভগবান এই জগতকে এক্সপিরিয়েন্স করতে পারেন। এই কারনেই পাপ-পুণ্য বৈধ-অবৈধ ভাল-খারাপের অস্তিত্ব শুধু মানুষের ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

অনেকে বলেন এই সৃষ্টিতে এত দুঃখ কষ্ট কেন। তার কারন হল সৃষ্টি তখনই সম্ভব যখন দুটি বিপরীতধর্মী বিষয় কাজ করে। ভাল কি করে বোঝা যাবে যদি মন্দ না থাকে? আলো কি করে বোঝা যাবে যদি অন্ধকার না থাকে। শান্তি কি করে বোঝা যাবে যদি অশান্তি না থাকে। এই জগত আসলে একটি ভারচুয়াল রিয়ালিটি। আমাদের চেতনা এই রিয়ালিটির বাইরে আছে। কিন্তু সেই চেতনা এই রিয়ালিটিতে এখন প্লাগড ইন হয়ে আছে ঠিক যেভাবে একজন গেমার গেম খেলে। মৃত্যু বলে আমরা যেটা বুঝি সেটা আসলে এক রিয়ালিটি থেকে আরেকটি রিয়ালিটিতে প্লাগড ইন হওয়া। বা গেমের একটা লেভেল থেকে আরেকটা লেভেল এই চলে যাওয়া। চেতনার বিকাশের সাথে সাথে সেই চেতনা আরো উঁচু লেভেলের রিয়ালিটিতে পৌছে যায়। মৃত্যু হল এই পরিবর্তনের পথ। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যু বলে কিছু হয় না। এটা একটি ট্রানজিশন প্রসেস।
[+] 4 users Like kamonagolpo's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: আমার পর্ন ডায়রি - by kamonagolpo - 14-10-2021, 07:53 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)