27-08-2021, 10:41 AM
কালো রাত
বাবা আর আমি শহরে এক আত্বীয়ের বাসা যাব সেখানে রাত্রি অবস্থান করে সকালে চক্ষু হাস্পাতালে চোখের সমস্যার কারনে ডাক্তার দেখাব। শহর থেকে বাড়ি দূর বিধায় আমাদের এ ব্যবস্থা। হাসপাতালে যে লম্বা লাইন পরে খুব ভোরে পৌছাতে না পারলে অসুবিধায় পরতে হয়।
যাত্রাপথে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ মাইল যাওয়ার পর হঠাত আমাদের বাস টা লাইনে দাঁড়ানো আরো কয়েকটা বাসের পিছনে দাঁড়িয়ে গেল।কেন দাড়াল, আমাদের বাসের যাত্রীরা কেউ কিছু বুঝলাম না। একজন যাত্রী একটা লোক কে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই কি হয়েছে ,কিছু জানেন? জবাবে বলল, আমি আপনার মত একজন যাত্রী, কিছুই জানিনা।
মুহুর্তের মধ্যে কয়েকশত বাস ট্রাক এক্টার পিছে একটাদাঁড়িয়ে বিরাট লাইন হয়ে গেল। কিছু কিছ বাস এলো পাথারী দাঁড়িয়ে রোডের জ্যামটাকে আরো দুর্ভেদ্য করে তুলল। রাস্তায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নরনারী বাস থেকে নেমে হাটাহাটি করতে লাগল। কারো কোন গন্তব্য নেই, সবাই শুধু হা হুতাশ করে যাচ্ছে কিভাবে গন্তব্যে যাবে। এভাবে থাকতে থাকতে রাত নেমে এল। দূর দুরান্তের সব যাত্রীদের সবাই দুশ্চিন্তায় পরে গেল। কোথায় যাবে, কি করবে, কিভাবে রাত কাটাবে। বিশেষ
করে যাদের সাথে মহিলা আছে তারা খুব সমস্যায় পরে গেল। সবাই বলাবলি করছিল চিটাগাং এর মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেপতার করাতে তার সমর্থক রা রোড ব্লক করে রেখেছে, আজ নয় শুধু আগামীকাল ও গাড়ি ছারবে কিনা সন্দেহ আছে।
আমি আমার বাবা সবার মত গাড়ি হতে নেমে গেলাম, মানুষের প্রচন্ড ভীর, হাটতে ও কষ্ট হচ্ছিল, একেত অন্ধকার রাত্রী। কিছু মানুষ মিছিল দিচ্ছিল মেয়রের মুক্তি চাই , দিতে হবে। একজন লোক কানে কানে আমার বাবাকে সাবধান করে দিয়ে বলল, “চাচাজী আপনি বুড়ো মানুষ শুনছি মেয়েদেরকে নিয়েও কিছু বদমায়েশ ছেলে টানাটানি করছে, একটু সাবধানে আপনার মেয়েকে আগলে রাখবেন” শুনে আমার বুক ধপাশ করে উঠল। কিছুক্ষন পর একটা মানুষের কাতর আহাজারী শুনতে পেলাম, কেদে কেদে বলছে তার সহায় সম্বল সব মেয়রের সমর্থক কিছ যুবক কেড়ে নিয়ে গেছে। সে এখন নিঃস্ব। আমরা বাপ মেয়ে অন্য সবার মত গন্তব্যহীন ভাবে হাটছিলাম। কিছুদুর যাওয়ার পর একটা মহিলা চিতকার করে করে কেদে কেদে ডাকছে দীপালী তুই কোথায় গেলি। বুঝলাম তার মেয়েকে হারীয়ে ফেলেছে, জিজ্ঞেস করার কোন সুযোগ নেই, বাপ -মেয়ে একটু ফাক হলে ভীড়ের মাঝে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে। দীপালীর জন্য খুব চিন্তা হল , স্রষ্টাই ভাল জানে তার ভাগ্যে কি ঘটেছে।
বাবা আর আমি শহরে এক আত্বীয়ের বাসা যাব সেখানে রাত্রি অবস্থান করে সকালে চক্ষু হাস্পাতালে চোখের সমস্যার কারনে ডাক্তার দেখাব। শহর থেকে বাড়ি দূর বিধায় আমাদের এ ব্যবস্থা। হাসপাতালে যে লম্বা লাইন পরে খুব ভোরে পৌছাতে না পারলে অসুবিধায় পরতে হয়।
যাত্রাপথে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ মাইল যাওয়ার পর হঠাত আমাদের বাস টা লাইনে দাঁড়ানো আরো কয়েকটা বাসের পিছনে দাঁড়িয়ে গেল।কেন দাড়াল, আমাদের বাসের যাত্রীরা কেউ কিছু বুঝলাম না। একজন যাত্রী একটা লোক কে জিজ্ঞেস করল, এই যে ভাই কি হয়েছে ,কিছু জানেন? জবাবে বলল, আমি আপনার মত একজন যাত্রী, কিছুই জানিনা।
মুহুর্তের মধ্যে কয়েকশত বাস ট্রাক এক্টার পিছে একটাদাঁড়িয়ে বিরাট লাইন হয়ে গেল। কিছু কিছ বাস এলো পাথারী দাঁড়িয়ে রোডের জ্যামটাকে আরো দুর্ভেদ্য করে তুলল। রাস্তায় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ নরনারী বাস থেকে নেমে হাটাহাটি করতে লাগল। কারো কোন গন্তব্য নেই, সবাই শুধু হা হুতাশ করে যাচ্ছে কিভাবে গন্তব্যে যাবে। এভাবে থাকতে থাকতে রাত নেমে এল। দূর দুরান্তের সব যাত্রীদের সবাই দুশ্চিন্তায় পরে গেল। কোথায় যাবে, কি করবে, কিভাবে রাত কাটাবে। বিশেষ
করে যাদের সাথে মহিলা আছে তারা খুব সমস্যায় পরে গেল। সবাই বলাবলি করছিল চিটাগাং এর মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেপতার করাতে তার সমর্থক রা রোড ব্লক করে রেখেছে, আজ নয় শুধু আগামীকাল ও গাড়ি ছারবে কিনা সন্দেহ আছে।
আমি আমার বাবা সবার মত গাড়ি হতে নেমে গেলাম, মানুষের প্রচন্ড ভীর, হাটতে ও কষ্ট হচ্ছিল, একেত অন্ধকার রাত্রী। কিছু মানুষ মিছিল দিচ্ছিল মেয়রের মুক্তি চাই , দিতে হবে। একজন লোক কানে কানে আমার বাবাকে সাবধান করে দিয়ে বলল, “চাচাজী আপনি বুড়ো মানুষ শুনছি মেয়েদেরকে নিয়েও কিছু বদমায়েশ ছেলে টানাটানি করছে, একটু সাবধানে আপনার মেয়েকে আগলে রাখবেন” শুনে আমার বুক ধপাশ করে উঠল। কিছুক্ষন পর একটা মানুষের কাতর আহাজারী শুনতে পেলাম, কেদে কেদে বলছে তার সহায় সম্বল সব মেয়রের সমর্থক কিছ যুবক কেড়ে নিয়ে গেছে। সে এখন নিঃস্ব। আমরা বাপ মেয়ে অন্য সবার মত গন্তব্যহীন ভাবে হাটছিলাম। কিছুদুর যাওয়ার পর একটা মহিলা চিতকার করে করে কেদে কেদে ডাকছে দীপালী তুই কোথায় গেলি। বুঝলাম তার মেয়েকে হারীয়ে ফেলেছে, জিজ্ঞেস করার কোন সুযোগ নেই, বাপ -মেয়ে একটু ফাক হলে ভীড়ের মাঝে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে। দীপালীর জন্য খুব চিন্তা হল , স্রষ্টাই ভাল জানে তার ভাগ্যে কি ঘটেছে।