Thread Rating:
  • 27 Vote(s) - 3.26 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance জীবন যে রকম ( সম্পূর্ণ ধারাবাহিক উপন্যাস) By Lekhak
#68
ডাক্তার এস বাসু মাকে বললেন, ‘আপনি কাঁদছেন কেন? ভয় তো যেটা ছিল সেটা কেটে গেছেশুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দেবেন নাকান্না থামান।’
মাকে আমিও বললাম, ‘হ্যাঁ মা, কেঁদো নাতুমি তো জানোইব্যাথাটা যখন ওঠে, কেমন কষ্ট হয়কাল রাতে যেন আরো বেশি বেশি করে হচ্ছিলোসেই যে শুরু হল, তারপরেই সহ্যের বাইরে চলে গেলো।’
ডাক্তার এস বাসু হঠাৎ প্রসঙ্গটা ঘুরিয়ে মাকে বললেন, ‘ছেলের এবার বিয়ে থা দিচ্ছেন না কেন? আপনি আর কত করবেন? এবার ঘরে বউ আসুকছেলেকে দেখুক।’ বলেই আমার দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ‘কি দেব? তাই তো?’
আমি আর কি বলব? একটু লজ্জ্বা মতন মুখটা করে চুপ করে রইলামদেখছি মা এবার কান্না থামিয়ে মুখ টিপে টিপে হাসছেডাক্তার এস বাসুর মুখেও হাসিঠিক বুঝলাম না ব্যাপারটাআমার দিকে চেয়ে মুখ গম্ভীর করে ডাক্তার বাসু বললেন, ‘বিদিশা কে?’
আমি অবাকএই বিদিশার নাম, ডাক্তার এস বাসু জানলেন কি করে? বেশ খানিকটা বোকা বোকা মতন হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রয়েছি ডাক্তারের দিকেউনি বললেন, ‘কাল রাত্রে তুমি বিছানায় শুয়ে কতবার বিদিশার নাম করেছো, সেটা কি জানো?’
দেখছি আমার মা’ও কথাটা শুনে চুপ করে রয়েছেতারমানে কালরাতে আমি সত্যি অনেকবার বিদিশার নাম উচ্চারণ করেছি, অথচ আমার নিজেরই খেয়াল নেই
ডাক্তার বাসু বললেন, ‘পারো যদি ওই মেয়েটাকেই বিয়ে করে নাওতোমার মা’ও তাহলে অনেকটা হালকা হবেনকাল তোমার জন্য উনি যা টেনশনে পড়ে গেছিলেন, বলার নয়।  আর ভাগ্যিস তোমার ওই বন্ধুটাও চলে এসেছিল অতরাত্রেনইলে একা যে উনি কি করতেন, সেটাই ভাবছি।’
ডাক্তার বাসু এবার উঠে পড়লেনযাবার আগে বলে গেলেন, ‘আজকের দিনটা অন্তত বিছানা থেকে উঠে বেশি হাটাহাটি কোরো না।  একদম বেড রেস্টপেটের ওপর চাপ পড়বে তাহলেঘরের মধ্যেও চলাফেরা করার দরকার নেইএ বেলাটা শুয়েই থাকোপারলে সন্ধেবেলা একটু সো্ফার ওপরে গিয়ে বোসোকিন্তু সেটাও অবস্থা বুঝেআর আমি তোমার মা’কে বলে যাচ্ছি, যে ওষুধগুলো আমি লিখে দিয়েছি, ওগুলো উনি একটু কষ্ট করে কাউকে দিয়ে আনিয়ে নেবেনব্যাস্কয়েকদিন খেলেই তুমি পুরোপুরি ফিটতখন অফিস, কাজকর্ম্ম কোনো কিছু করতেই আর অসুবিধে হবে না।’
ডাক্তারকে এগিয়ে দেবার জন্য মা’ও ওনার পিছু পিছু গেলআমাকে বলে গেল, ‘তুই শুয়ে থাকআমি ওনাকে এগিয়ে দিয়ে এক্ষুনি আসছি।’
শুয়ে শুয়ে ভাবছি, কি একটা মেয়ের সাথে আমি প্রেম করেছি।  জীবন জুড়ে শুধুই বিষন্নতাএই ভাবি, আমার জীবনটা বুঝি আশার আলো দেখতে শুরু করেছে, পরমূহূর্তেই আবার কালো অন্ধকারঠিক যেন দূঃস্বপ্নের মত প্রেমএকটা বিড়ম্বনা, মনের কষ্টপ্রেম যেন এখানে অলৌকিক, এর কোনো বাস্তবতা নেইআমি চিরকাল ভালবাসার কাছে নতজানু হয়ে থাকলামকিন্তু ভালবাসাকে সেভাবে ফিরে পেলাম কই? এরপরেও আমি বিদিশাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো, বিড় বিড় করে ওর নাম উচ্চারণ করে যাবো, কাল যেমনটি করেছিলোকে বলবে, আমি বোধহয় পাগলপৃথিবীতে বিদিশা ছাড়া আর বুঝি মেয়ে নেইপৃথিবীর সব লোকেদের হৃদয় বড় হয়ে যায় শরীরের সঙ্গে সঙ্গেআর আমার ক্ষেত্রে হবে ঠিক উল্টোআমার বয়সটা বেড়ে যখন একদিন ষাট সত্তর বছর হবে, সেদিনও বোধহয় আমার হৃদয় ওই বিদিশাকে দিয়েই বসে থাকবেলোকে বলবে, কি এক পাগলের প্রেম কাহিনী শুনছিজীবনের এমন কাহিনী পড়লে লোকে প্রেম করাও ছেড়ে দেবে
 বিদিশার চিন্তা ছেড়ে এবার আমার মনটা একটু শুভেন্দুকে নিয়ে পড়লঅতরাত্রে কাল শুভেন্দু চলে এসেছে মায়ের ডাকেসত্যিকারের জাত বন্ধু বলতে যা বোঝায়, সে হল, শুভেন্দুআমার কপালে প্রেমটা স্থায়ী না হলেও বন্ধুটা খুবই ভাল জুটেছেসময় অসময়ে শুভেন্দু সবসময় আমার পাশেএত দরদ, বন্ধুপ্রীতি, অন্তরের টানশুভেন্দুর সাথে আমার এই সম্পর্কটা টিকে যাবে আজীবনওর উপকারের কথা চিন্তা করতে করতে এবার আমার চোখে একটু জল এসে গেল মা সেই সময় ঘরে ঢুকলো আমাকে বলল, ‘কি রে তোর আবার কি হল?’
আমি বললাম, ‘তা নয়, আসলে শুভেন্দুর কথা চিন্তা করছিলাম তাই-
আমার মাথার কাছে এসে বসলো মাআমার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলল, ‘সত্যি হীরের টুকরো ছেলে অতরাত্রে ওকে পাবো কিনা? ও আসবে কিনা? একটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমার চিন্তাটা কাটিয়ে দিল শুভেন্দুই আমাকে বলল, কিচ্ছু চিন্তা করবেন না মাসীমা, আমি ঠিক আধঘন্টার মধ্যেই আসছি শুধু বাড়ীর নিচে থেকে এসে আমি আপনাকে ডাক দেবো আপনি দরজাটা খুলে দেবেন ঠিক তাই আধঘন্টার মধ্যেই দেখি, গাড়ী চালিয়ে সটান চলে এসেছে এখানে ঘরে ঢুকেই আমাকে বলল, কই দেব কোথায়? তুই তখন খাওয়ার ঘরে মেঝেতে পড়ে রয়েছিস তোর কোনো জ্ঞান নেইতোকে ও একাই তুলে নিয়ে চলে এলো এ ঘরেততক্ষনে ডাক্তার বাসুও চলে এসেছেন আমাকে একপ্রকার শুভেন্দুই বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে কালকেডাক্তার চলে যাবার পরও ও অনেক্ষণ ছিল যাবার আগে বলে গেল, দেবকে বলবেন, আমি কাল আবার আসবোফোন করবোআর আপনি কিছু ভাববেন নাযদি আবার কোন সমস্যা হয়আমাকে ডাক দেবেনআমি ঠিক চলে আসবো।’
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু শুভেন্দু ঠিক যেন লাখে একটা বন্ধু অমন জোটে কপালে অত রাত্রে মা’র ডাকে যখন এক কথায় চলে এসেছে, তখন বিদিশাকেও নিশ্চই ফোন করে বলবে, শুভেন্দু ‘দেবের শরীর খারাপ পারিস যদি দেখে আয় একবার’ সত্যি কি বিদিশা তখন আসবে?
মা বললো, ‘তোকে একটা কথা বলা হয়নিশুভেন্দু একটু আগেই ফোন করেছিল, সকালে উঠেই তোর খবর নিয়েছেআমাকে বলল, দেবকে বলবেন, আমি ঠিক দুপুর বেলা আসছিতারপর যতক্ষণ পারবো, আপনাদের ওখানে থাকবোবিকেল বেলা হয়তো আমার বোন আর ওর স্বামী রনিও আসতে পারেসবাই ওর কথা শুনে ভীষন চিন্তিত হয়ে পড়েছেসবাই দেবকে খুব ভালবাসেআজ সকালে ওদের দুজনকে দেবের শরীর খারাপের কথা বলেছিওরা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।’
আমি মনে মনে ভাবলাম, রনিকে আর মাধুরীকে আমার শরীর খারাপের কথা বলেছে শুভেন্দু বিদিশাকে বলে নি? তাহলে নিশ্চই বিদিশাও একবার আসতো
মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ‘কি ভাবছিস?’
আমি বললাম, ‘কই কিছু না তো?’
মা আমাকে বলল, ‘আর কি কাউকে ফোন করব? তোর মোবাইলটা থেকে কাকে কাকে ফোন করতে হবে বল? আমি করে দিচ্ছি।’
আমি বললাম, ‘আর কাউকে করতে হবে নাতুমি চুপ করে বসোতোরনি আর মাধুরীরা আসবেতাহলেই হবেআর কাউকে ফোন করার দরকার নেই।’
মা বলল, ‘বিদিশাকে তোর শরীর খারাপের কথা জানাবি না?’
 আমি অবাক চোখে মায়ের মুখের দিকে তাকালামমা যেন আমার প্রতি বিদিশার সত্যিকারের ভালবাসাটা এবার পরখ করে দেখে নিতে চায়।  আমার শরীর খারাপের খবর শুনে বিদিশা আসে কিনা মা হয়তো সেটাই দেখতে চাইছেনিশ্চই বিদিশা আসবেকেন আসবে না? কিন্তু মা জানে না পরিস্থিতি কতটা প্রতিকূলঠিক এই মূহূর্তে বিদিশাও একটা জ্বালা যন্ত্রণায় মরছেঠিক আমারই মতনবাঁধভাঙা বন্যার মতন হয়তো দূঃখ আর আফশোস আছড়ে পড়ছে বিদিশার জীবনেকেউ ওর পথকে রুদ্ধ করে রেখেছেবিদিশা স্বাভাবিক স্বচ্ছন্দ জীবনে ফিরতে পারবে না যতক্ষণ না ওর ডিভোর্সটা হচ্ছেচিন্তা ওকে কুরে কুরে খাচ্ছেহয়তো মুক্তি পেতে পেতে আরো কেটে যাবে কিছুদিনকারণ আমি যে মাকে এখনো আসল কথাটা বলে উঠতে পারিনিওই শুভেন্দুই আমাকে বারণ করে রেখেছে
টেবিলের ওপরে রাখা আমার মোবাইলটা ঠিকই তখনই বাজতে শুরু করেছেমা উঠে বলল, ‘দাঁড়া আমি দেখছি আবার কে ফোন করলো?’
ফোনটা ধরে মা হ্যালো বলাতেই আমি ভাবছি, কে আবার ফোন করলো? ঠিক তখনই মা দেখি কাকে বলছে, ‘হ্যাঁ দেবের তো খুব শরীর খারাপকাল রাতে খুব বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিলডাক্তার ওষুধ দিয়েছেএখন ভালো আছে।’
আমি মাকে ইশারা করে জিজ্ঞাসা করলাম, কে ফোন করেছে মা? মা বলল, ‘শুক্লা,’ তোর সেই বন্ধুটাযে এসেছিল আমাদের বাড়ীতে।’
 
শুক্লা ফোন করেছে, আমার শরীর খারাপের খবর শুনেছে যখন নিশ্চই আসবেএরা আমাকে সবাই ভালবাসেদেবের কিছু হলে সবার একটু চিন্তা হয় বৈকিঅসুখটাতো নতুন নয়এর আগে কলেজে পড়ার সময়ও একবার বাড়াবাড়ি হয়েছিলসেবার মনে আছে কলেজে বেশ কিছুদিন ধরে যাচ্ছি না বলে, সবাই এক এক করে আমার বাড়ীতে এসে হাজির হচ্ছেপ্রথম দিনই শুক্লা এসে বলল, ‘কি হয়েছে তোর? কলেজে যাচ্ছিস নাজানিস, আমাদের সবার মন খারাপদেব, আর কিছুদিন পরেই কলেজে অ্যানুয়াল ফাংশনতার আগে তুই সুস্থ হয়ে উঠবি তো?’
আমি জানি অ্যানুয়াল ফাংশন আমাকে বাদ দিয়ে হবে নাদেবের উপস্থিতি না থাকা মানে সবারই মুখে এক কথা। ‘দেব নেইতাহলে কি হবে? যেভাবে ও সবকিছু সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে, ওকে বাদ দিয়ে এই অনুষ্ঠান করা যায় না কি? তাছাড়া দেবের গান, ওর গান শোনবার জন্য তো উন্মুখ সবাই।’
আমি জানি স্বয়ং প্রিন্সিপাল ও আমাকে স্মরণ করেছেনএই একটা সময়যেখানে সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেকিভাবে গোটা অনুষ্ঠানটা সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করা যায়কাকে কাকে শিল্পী হিসেবে বাছাই করা হবেকে গাইবে, কে নাচবে আর কে আবৃত্তি করবেআমি ছাড়া যেন চোখে সরষে ফুল দেখছে সবাই
শুক্লাকে বললাম, ‘আশা তো করছি দুতিনদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবআসলে আমার এই রোগটাই বড় বাজেকখন শরীরের মধ্যে এসে হানা দেবে, আগে থেকে বোঝা খুব মুশকিল।’
শুভেন্দু এসে বলল, ‘স্যার বলছেন, হেমন্ত মুখার্জ্জী এই মারা গেলেন সবেদেবকে বলো এবারে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে ফাংশনটাকে অরগাইজ করতেকিন্তু তুই যেভাবে রোগ বাঁধিয়ে বিছানায় বডি ফেলে দিয়েছিস, তুই ছাড়া এসব করবে কে?’
 শুভেন্দুকে বললাম, ‘সারা কলেজে একটা ছেলে নেই? সবাই যেন প্রেম করাতেই ব্যস্ততুইও যে কি করলি, আমার মত গানটা শিখতে পারতিস তো।’
শুভেন্দু বলল, ‘যাকে দিয়ে যে কাজ হয় না, তাকে বলে কোন লাভ আছে কি? তুই আমাকে দিবি দায়িত্ব? তারপর কি করতে কি করে বসবআর সবাই আমাকে গালাগালি দিয়ে ভূত ভাগিয়ে দিক আর কি?’
ওকে বললাম, ‘তোকে যা যা বলছি, তুই শুধু তাই করবিবাকীটা আমি সুস্থ হয়ে সামলে দেবো
শুভেন্দু বলল, ‘তা আমাকে কি করতে হবে স্যার?’
আমি বললাম, ‘ডেকরটের ঠিক করবি, মাচা বাধার জন্য শুধু এইটুকুই তোর দায়িত্ব।’
শুভেন্দু বলল, ‘ও তাই বলএ আর এমন কি দায়িত্বআমি ভাবলাম, তুই বুঝি আমাকে অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দায়িত্ব দিবি বোধহয়।’
আমি বললাম, ‘তুই যদি বলিস, তোকে একটা চান্স দিতে পারিএকবার ট্রাই করে দেখতে পারিসআমার মন বলছে, তুই ঝোলাবি না।’
শুভেন্দু থতমত খেয়ে বলল, ‘কিসের চান্স?’
আমি বললাম, ‘খালি গলায় দুলাইন গেয়ে দিবিতোকে আমি ট্রেনিং দিয়ে দেবো।’
শুভেন্দু বলল, ‘ক্ষেপেছিসগান গাইব আমি? হেঁড়ে গলায় গান গেয়ে তারপর সব মাটি করি আর কি? শেষকালে সব বদনাম হয়ে যাক, আর কি?
আমি বললাম, ‘কেন? দুলাইন গাইলে কি এমন অসুবিধে হবে? তোকে ট্রেনিং দেবোবলছি তো? তাছাড়া কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও তো একঘন্টার একটা পার্ট থাকেতার মধ্যে তুই দুলাইন গাইবিকেউ কিছু মনে করবে না।’
শুভেন্দু বলল, ‘সুনীল দত্ত আর কিশোরকুমারের পড়োশান ছবিটা দেখেছিস? অনেক চেষ্টা করেও যখন কিশোরকুমার পারল নাতখন ওকে বলল, গানের সাথে শুধু লিপ মেলাতেপ্রথমে সুনীল দত্ত অনেক চেষ্টা করেছিল, গলা দিয়ে গাধার ডাক ছাড়া আর কিছুই বেরোয় নিমাইরি দেব, তোকে সত্যি কথাটা বলছি, আমাকে তুই যদি চেষ্টা করিস, তাহলে ওই দত্ত সাহেবের মতই অবস্থা হবে আমারতারপর সকলে আওয়াজ মারুক, হাসি ঠাট্টা করুকও আমি সইতে পারবো নাএকটা কাককে বলছিস কোকিল হতেতুই কি করে পারিস?’
আমি বললাম, ‘তুই যেভাবে বলছিস, তাতে মনে হচ্ছে, সায়রা বানু গান শুনবে অডিয়েন্সে বসেতোর গান শুনে তোর প্রেমে পড়বেএত ভয় পাওয়ার কি আছে বু্ঝি নাতাও যদি তুইও কারুর প্রেমে পড়তিস?
চিরকাল যে আমার কথায় শুধু হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়েছে, শুধু এই একটি ব্যাপারেই ও যে রাজী হবে না আমি জানতাম আসলে ওর সাথে মজা করবার মত একটা বিষয় পেয়েছিলাম বলে নাছোড়বান্দার মত আমিও ওর পেছনে লেগে ছিলাম শুভেন্দু শেষ কালে বলল, ‘এই যে শোনো মহাশয়, আমাকে দিয়ে যখন অতই গান গাওয়ানো তোমার শখতখন তোমার বিদিশাকে দিয়ে একবার ট্রাই করে দেখো নাতিনি গাইবেনআশাকরি তিনি তোমার কথা ফেলতে পারবেন না।’
[+] 2 users Like Lekhak is back's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:43 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:46 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:49 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:50 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:52 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:54 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:55 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:57 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 11:00 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 11:05 PM
RE: জীবন যে রকম ( সম্পূর্ণ ধারাবাহিক উপন্যাস) By Lekhak - by Lekhak is back - 04-07-2021, 10:03 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)