Thread Rating:
  • 27 Vote(s) - 3.26 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance জীবন যে রকম ( সম্পূর্ণ ধারাবাহিক উপন্যাস) By Lekhak
#4
দুই
 
মা বলল, কি রে দেব? তুই কি আজকে অফিস যাবি না? সকালে উঠে লেখালেখি করতে শুরু করলি, অফিস যাবি কখন? নটা তো বেজে গেলএরপরে কখন চানে যাবি, আর কখন তৈরী হবিতোকে দেখে মনে হচ্ছে তোর আজ কোন তাড়া নেই
মাকে বললাম, না গো মাঅফিস তো যাবইআজ আবার শুভেন্দুর বাড়ীতেও একটু আমাকে যেতে হবেও বলেছে সাতটার পরে আসতেভাবছি অফিস থেকে বেরিয়ে সোজা ওখানেই-
মা বলল, শুভেন্দু? কেনরে? হঠাৎ এতদিন পর?
কারনটা আমিও জানি নামাকে বললাম, ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বলেনিশুধু বলল, তোকে ডেকেছি যখন ব্যাস আসতেই হবে আর কিছু আমি শুনতে চাই নাআজ তোকে আসতেই হবে উইথ আউট ফেলতোর জন্য এখানে অনেক সারপ্রাইজ আছে
শুভেন্দু বলেছে, অথচ আমি ওর ডাকে যাইনি, এমন খুবই কম হয়েছেশুভেন্দু আমাকে একসময় অনেক হেল্প করেছিলব্যাবসার আর্থিক ক্ষতিতে দেনায় একসময় ডুবে গিয়েছিলামশুভেন্দু আমাকে বেশ কিছু টাকা ধার দিয়ে তখন বাঁচিয়েছিলদেনাগুলো শোধ করেছি, ওকেও একটু একটু করে পুরোটা শোধ করেছিশুভেন্দুর করা উপকার জীবনে কোনদিন ভুলতে পারব নাএকমাত্র কলেজের পরে ওই আমার সাথে যোগাযোগটা রেখেছিলপিকনিক গার্ডেনে চারতলা ওদের বিশাল বাড়ীশুভেন্দুরা চার ভাইশুভেন্দু তার মধ্যে ছোটবড়ভাই ওকালতি করেন, মেজভাই ডাক্তারআর সেজ ভাইয়ের সাথে শুভেন্দু জয়েন্টলি প্রোমোটারি ব্যাবসা করেখুব অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটা ফ্ল্যাট বাড়ী তৈরী করে অনেক টাকা রোজজগার করে নেয়শুভেন্দুর একটি মাত্র বোন মাধুরীকে বিয়ে করল রনিএদিক দিয়ে রনি খুব লাকিআসলে রনিদের আবার বড়বাজারে বিশাল বিল্ডিং মেটারিয়ালের দোকানরনি যখন কলেজে পড়ে, তখন ওর বাবা দোকানটা চালাতোবিশাল ব্যাবসারনি ব্যবসার দায়িত্ব নিল কলেজ পাশ করার পরসেজভাই দীপেন্দু আগে থেকেই প্রোমোটারি লাইনে ছিলশুভেন্দু এবার যুক্ত হলব্যাবসায়িক এবং কলেজের বন্ধুত্বের গাঢ় সম্পর্করনি তারপর থেকেই শুভেন্দুর বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করলমাধুরীকে দেখে রনির প্রেমতারপরেই বিয়েরনির বিয়েতে আমরা সবাই গিয়েছিলামবিদিশাও এসেছিলতার ঠিক পরের দিনই বিদিশা আমাকে ছেড়ে চলে যায়বৌভাতে বিদিশা যায় নিবলেছিল, ‘দেব’ যেখানে থাকবে, সেখানে কোনদিন যাব নাও ভীষন পাপীমিনুকে নিয়ে যা কান্ডটা ‘দেব’ করেছে, তারপর ওর মুখ দেখাটাও পাপআমি কেন যে ওকে ভালবেসে ভুলটা করেছিলাম, সেটাই এখন বুঝতে পারছি ‘দেব’ ই আমার চোখ খুলে দিয়েছে
 বৌভাতে আমিও যাইনিবিদিশার দূঃখে সারারাত অনেক কেঁদেছিলামছেলে হয়ে কোন মেয়ের জন্য কাঁদছিমা বলেছিল, তুই কি পাগল? যে বিদিশার জন্য এত কষ্ট পাচ্ছিস?
মাকে বলেছিলাম, মা কষ্ট কেন পাচ্ছি, তুমি বুঝবে নাপৃথিবীতে ছেলেরাই শুধু দোষ করে আর মেয়েরা বুঝি সব ধোয়া তুলসী পাতাবিশ্বাসটা অর্জন করতে যে অনেক সময় লেগে যায় মা, কিন্তু ভাঙতে একদিনও যে লাগে না এটা যেমন সত্যিতেমনি সত্যি আর মিথ্যের বিচার না করেই, কেউ কাউকে অবিশ্বাস করতে একমূহূর্তও সময় নেয় নাএটা কি সহজে মেনে নেওয়া যায়? বিদিশা কেন এমন করল? ও যদি সত্যিটা একবার আমার কাছে জানতে চাইত, তাহলে হয়তো-
 
বিদিশাকে মা যতবারই দেখেছে, বিস্মিত হয়েছেআমাকে বলেছে, নারে মেয়েটার মুখ চোখ খুব সুন্দরআজকাল তো এমন মেয়ে পাওয়াই যায় নাকি রূপ, সুন্দর মুখশ্রী ওরভগবান যেন আলাদা তুলি দিয়ে ওকে গড়েছেনওর দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয়, কলেজে ওই বোধহয় সবচেয়ে সুন্দরীকেবল তোকেই ও শুধু ভালবেসেছেআমি বলতাম, মা, বিদিশা শুধু সুন্দরী নয়ওর মনটাও খুব ভালএকেবারে ফুলের মতন নরমবিদিশার পক্ষে আঘাত সহ্য করা তাই খুব কষ্টও বলে, ‘‘জানোতো দেব, তোমার কাছ থেকে কোনদিন তো আমি আঘাত পাব নাতাই তোমার সাথে প্রেম করতেও খুব নিশ্চিন্ত বোধ করিকি জানি অন্যের মনে কি আছে? তুমি খুব সরলতোমার এই সরল মনটাই আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগেতাই তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, ভাবি দেব বলে পৃথিবীতে বোধহয় একজনই পুরুষ আছে, যে বিদিশার মনটাকে বুঝবে, তাকে ঠকাবে নাকোনদিন বিদিশাকে ছেড়ে দেব চলে যাবে না।’’
কলেজে বিদিশা সবসময় শাড়ী পড়ে আসতকলেজ ছুটীর পরে আমরা দুজনে ঠিক দুঘন্টা একসাথে ঘুরতামকখনও কলেজ স্কোয়ারে, কখনও লেবুতলা পার্কেএছাড়া ছুটীর দিনগুলোতে ভিক্টোরিয়া, গঙ্গার পাড় তো আছেইবিদিশা বেশ কয়েকবার আমার বাড়ীতে এসেছেমা’র সাথে প্রথম যেদিন আলাপ করালামঢুপ করে মাকে একটা প্রনাম করে বসলমা ওর থুতনীতে হাত রেখে আশীর্ব্বাদ করে বলল, বাহ্ তোমার মুখটা তো খুব সুন্দরতুমি কি দেবের বন্ধু? না অন্যকিছু?
বিদিশা মুখ নিচু করে লজ্জায় হেসেছিলআমাকে পরে বলেছিল, তুমি খুব দুষ্টুমাকে বলোনি কেন? আমি তোমার কে?
বিদিশার গালে হাত রেখে বলেছিলাম, মা বাবাকে যেচে কিছু বলতে হয় নাওনারা দেখলেই সব বুঝতে পারেনমা যেমন তোমাকে দেখে বুঝে গেছে তুমি আমার কে?
বিদিশা একবারই আমাকে ওর বাসায় যেতে বলেছিলসেদিন ওর জন্মদিন ছিলতার আগে জানতাম না বিদিশারা খুব বড়লোকল্যান্সডাউনে বিশাল ওদের বাড়ীটা দেখে আমার মাথা ঘুরে গিয়েছিলরনি সেদিন টিপ্পনি কেটে আমায় বলেছিল, ওরেব্বাস, দেব, তুই কি লাকী রেবিদিশারা এত বড়লোক, আমরা কেউ তো এটা জানতাম নাকপাল করে তুই ই ওকে শুধু পেলিনা এর জন্য তোকে এবার একটা পার্টী দিতে হবে
পার্টি আমি দেবো কি? সেদিন যা এলাহী ব্যাপার দেখেছিলাম, আমার মাথার ঠিক ছিল নালোকে লোকারণ্যযেন বিয়েবাড়ীজন্মদিনেও এত অতিথির সমাগম হতে পারে, আমার ধারনা ছিল নাকম করেও চারশোর ওপরে অতিথিএলাহী খাবারের আয়োজনআমি জীবনে এরকম বার্থডে পার্টি দেখিনি
 অত বড় বাড়ীতে গাদা গাদা লোকের মধ্যে আমি যেন নেহাতই এক নগন্য অতিথিচুপচাপ এক কোনে দাঁড়িয়ে বিদিশাকে একদৃষ্টে দেখে যাচ্ছিলামও ঘোরাঘুরি করছিল, সবাইকে অ্যাটেন্ড করছিলকিন্তু কিছুতেই একবারও আমার কাছে এসে কথা বলছিল নাকারুর সাথে আমার পরিচয়ও করিয়ে দিচ্ছিল নাহয়তো আমাকে সেদিন পরীক্ষা করেছিল বিদিশাশুভেন্দুর সাথে একটা সিগারেট টানবো বলে সবে মাত্র বাইরে বেরিয়ে এসেছিএমন সময় বিদিশা বাইরে এসে আমাদেরকে বলল, ‘‘এখানে কি করছ? ও ফোঁকার জন্য বাইরে আসা হয়েছি বুঝি? এই শুভেন্দু চল শীগগীর ভেতরে চলকেক কাটা হবেতোদেরকে বাদ দিয়ে আমি কেক কাটতে পারছি না।’’ আমাকে বলল, ‘‘যেই একটু কথা কম বলেছি, অমনি রাগ হয়েছে বুঝি? চলো ভেতরে চলোবাবা মা দুজনেই তোমাকে দেখেছে দূর থেকেবলেছি, ‘দেব’ হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডদেখোতো ওর সাথে কথা বলে, তোমাদের মেয়ে যাকে ভালবেসেছে, সে একদম ঠিকঠাক হয়েছে কিনা?
বিদিশার বাবা মা আমার সাথে কথা বলবে? তার আগেই আমার হাত পা গুলো কেমন কাঁপছিলশুভেন্দু বলল, ‘এই দেব, নার্ভাস হয়ে গেলি নাকি? তোকে দেখে তো মনে হচ্ছে বহূত টেনশনে পড়ে গেছিস চল চল ভেতরে চলকেক কাটা হবেবিদিশা নয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করবেবাবা মার পর তোকেই ও ফার্স্ট কেকটা খাওয়াবেএমন সুযোগ কিছুতেই মিস করিস না।’’
বিদিশার মা বাবা খুব ভালদুজনেই খুব অমায়িককেক কাটার পর বিদিশা ঠিক আমার মুখে প্রথম কেকটা গুঁজে দিলতাই দেখে রনি আবার বলল, কিরে আমাদেরকেও খাওয়াশুধু দেবকে খাওয়াবি, আর আমরা বাদ?
সেদিন বিদিশার জন্মদিনে আমরা সবাই গিয়েছিলামশুধু মিনু বাদেশুক্লা এসেছিল একটু রাতের দিকেসৌগত, শুক্লা আসছে না দেখে ওর জন্য ছটফট করে মরছিলশেষ পর্যন্ত শুক্লা এলোতবে দেরীতেবলল, সরি গাইস্একটু লেট হয়ে গেলবাড়ীতে মার শরীরটা খুব খারাপহঠাৎই জ্বরআমি শুধু এলাম, বিদিশার জন্যও অনেক করে আসতে বলেছেআর যাই হোক বিদিশার কথা তো আর চট করে কখনও ফেলা যায় নাপার্টিটা অন্যকারুর হলে হয়তো আসতাম না
সেদিন অনেক রাত্রি অবধি বিদিশাদের বাড়ীতে ছিলামফেরার পথে সবাই মিলে একটা ট্যাক্সি ধরলামশুভেন্দু আর রনি এমন বদমাইশ, সৌগতকেও পটিয়ে নিয়ে, ট্যাক্সিভাড়াটা আমাকে দিয়েই দেয়া করালোফেরার পথে আবার দোকান থেকে তিনবোতল বিয়ার কিনলো ওরা তিনজনেসে পয়সাও আমি দিলামআমাকে বলল, ‘‘আজকি শাম, তোর আর বিদিশাকে নামএবার থেকে মাঝে মধ্যেই আমরা তোর আর বিদিশার খুশীতে পার্টি দেবোআর সে খরচা পুরো তুই বীয়ার করবিবিদিশার সাথে যতদিন তোর বিয়ে না হচ্ছে, এইভাবেই তুই আমাদের খুশি করে যাবন্ধুদের খুশি করলে, আমরাও তোকে আশীর্ব্বাদ করবপ্রেমটা তাহলে আরও জমাট বাঁধবে।’’
সত্যিই জমাট বেঁধেছিল আমার আর বিদিশার প্রেমটাপ্রথম প্রথম ওকে অবশ্য বেশী পাত্তা দিতাম নাএকদিন লাইব্রেরী রুমে বসে আছিদেখলাম বিদিশা ঢুকলো, তিনটে মেয়েকে সঙ্গে নিয়েআমি যে টেবিলটায় বসে বায়োলজী পড়ছি, ও ঠিক তার পাশের টেবিলটাতেই বসলআড়চোখে আমাকে দেখছেআমি বইয়ের মধ্যে চোখটাকে নিবদ্ধ করে বসে আছিমেয়েটাকে ক্যান্টিনে দেখেছি, বেশ কিছুদিন ধরেমূগ্ধ হয়ে আমার গান শোনেকিন্তু আজকে হঠাৎ লাইব্রেরী রুমে আমার পাশে বসে এখানে কি করছে?
 ও এভাবে আড়চোখে দেখছেই বা কেন আমাকে? মনে হল, কিছু একটা মতলব নিয়ে এসেছে মনে হয়কিছুক্ষণ বসে, আমার দিকে ওভাবে তাকিয়ে তারপর চলে গেলএকটু পরে শুভেন্দু এলো ওখানেওকে বললাম, মেয়েটাকে চিনিস?
শুভেন্দু বলল, কোন মেয়েটা বলতো?
-একটু আগে এখানে এসেছিলআমাকে দেখছিল আড়চোখেমেয়েটাকে কদিন দেখেছি ক্যান্টিনে দেখতে বেশ ভালো স্লিম ফিগার, লম্বা হাইট চোখ মুখও খুব সুন্দরকিন্তু আমার প্রতি ওর এত ছোঁক ছোঁক কেন? এত আগ্রহ নিয়ে দেখছিল, মনে হল-
শুভেন্দু বলল, কোন মেয়েটা বলতো? আমাদের ক্লাসের নিশ্চই নয়তাহলে তুইও বুঝতে পারতিসএ কলেজে সুন্দরী বলতে তো একজনই আছেতুই যা বর্ণনা দিচ্ছিস, তাতে মনে হচ্ছে, ফার্স্ট ইয়ারের ওই মেয়েটাকি যেন নামওকে আমিও দেখেছি একদিন, ক্লাসে এসে তোর খোঁজ করছিলতুই সেদিন কলেজে আসিস নি
আমি অবাক হলামবললাম, আমার খোঁজ করছিল? কে বলতো? ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছেএমন সুন্দরী মেয়ে এ কলেজে কে আছে? তুই কার কথা বলছিস?
শুভেন্দু বলল, প্রেমঘটিত কোন ব্যাপার মনে হচ্ছেএ মেয়েটা তোর প্রেমে পড়ল না তো? কি রে দেব? এতো লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট মনে হচ্ছে
কলেজে এত মেয়েআমি তো কারুর সাথে প্রেম করিনিশুভেন্দুকে বললাম, হেঁয়ালি ছাড়ব্যাপারটা জানতে হবেতুই খবর নিয়ে দেখতো মেয়েটা আসলে কে? দেব চটকরে কারুর সাথে ভীড়বে না
শুভেন্দু আমার কথা মত কাজ করলআমাকে বলল, তুই এখানেই বসআমি এখুনি আসছি
আমাকে লাইব্রেরী রুমে বসিয়ে রেখে ও চলে গেলফিরে এল আধঘন্টা পরেআমাকে এসে বলল, এই দেব, বিদিশা তোকে ডাকছে, চল আমার সঙ্গে একটু তিনতলায় চলও সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে আছেআমাকে বলল, ওকে একটু ডাকবে? বলো, আমি ওর জন্য এখানে অপেক্ষা করছি
আমি একটু বিরক্ত হলামশুভেন্দুকে বললাম, কেন? আমি যাব কেন? কে না কে বিদিশা আমাকে ডাকছে, ওর কিছু বলার থাকলে, ওকে বল, এখানেই আসতেআমি তো লাইব্রেরী রুমেই বসে আছি
শুভেন্দু ঠিক বুঝতে পারল নাআমাকে বলল, ‘‘যা বাবামহা হ্যাপাতো? তুই তো বললি, আমাকে যেতেও তোকে কিছু হয়তো বলতে চায়চল না আমার সঙ্গেতাহলেই বুঝতে পারবি।’’
আমি কিছুতেই গেলাম না শুভেন্দুকে বললাম, ছাড় ওকেছেড়ে দেপরে দেখা যাবেওর যদি দরকার থাকে, ও নিজেই আমার কাছে আসবেআমি যাব না
আসলে বিদিশাকে আমি খেলাতে চাইনিকিন্তু কেন জানি আমার মনে হয়েছিল, কলেজের মেয়েগুলো সব বন্ধু হিসেবেই ঠিকই আছেবেশী প্রেমের খেলা খেলতে গেলে মুশকিলএকেতো কলেজে এসে গান গেয়ে এমনই হীরো বনেছি, তাতেই পড়াশুনার বারোটা বাজছে তারপরে আবার প্রেমে পড়লে, পড়াশুনা একেবারেই ডকে উঠবেভালো চাকরি পাওয়া তো দূর কেরানীর চাকরীও তখন জুটবে না কপালেঅতএব এসব বিদিশা টিদিশাকে যত দুরে রাখা যায় ততই মঙ্গল
[+] 2 users Like Lekhak is back's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:43 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:46 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:49 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:50 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:52 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:54 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:55 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 10:57 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 11:00 PM
RE: Jeeban Je Rakam By Lekhak - by Lekhak is back - 01-07-2021, 11:05 PM



Users browsing this thread: 8 Guest(s)