19-05-2021, 03:44 PM
কলি বললো, কেনো? আজকাল তো অনেকেই লুক এ লাইক করছে! মাইকেল জ্যাকশনকে অনুকরন করে যেমনি লুক এ লাইক প্রোগ্রাম শো হচ্ছে, রূপবান অনুকরন করে রঙ্গীন রূপবান ছবিও বানাচ্ছে। তেমনি, সাগর মামার সাথে কিভাবে কি করেছো, আমাদেরকে দেখাও!
বড় মেয়ে জলিও বললো, গুড আইডিয়া। আমারও খুব দেখতে ইচ্ছে করছে, আমার সত্যিকার এর বাবা তোমার সাথে কি করেছিলো। কিন্তু, সাগর মামা, মানে আমার সত্যিকার এর বাবাকে এখন পাবো কোথায়?
মলি বললো, আমার মাথায় চমৎকার একটা বুদ্ধি আছে! মাকে দেখে কিন্তু বয়স বুঝা যায়না। একসংগে বেড়োলে তো, সবাই আমার বোন বলেই ভাবে! আর তখন সাগর মামার বয়স ছিলো ষোলো কি সতেরো! আরিফের বয়স তো খুব কাছাকাছিই! আরিফের সাথে একবার করে দেখালে কেমন হয়?
জলি ভ্যাংচি দিয়ে বললো, তোমাকে বলেছে? মা আর তুমি এক সংগে বাইরে গেলে দুই বোনের মতো মনে হয়? তা, মাকে তোমার কত বছরের ছোট বোন বলে মনে হয়?
মলি রাগ করেই বললো, আমি বলেছি নাকি, মাকে ছোট বোন বলে মনে হয়? দুই বোনের মতো লাগে! বড় বোন হতে পারে না?
কলি বললো, ব্যাপারটা আসলে তোমরা কেউ বুঝোনি! আসলে, কোন কিছু নিজে করতে চাইলেই অন্যের উদাহরন দিয়ে থাকে। ছোট আপা নিজেই আসলে আরিফের সাথে কিছু করতে চাইছে।
মহুয়া মলির আপাদ মস্তক একবার নিরীক্ষণ করলো। তারপর বললো, হুম, ঠিকই বলেছো। মলির দেহের গড়ন, চেহারা তো হুবহু আমার মতোই। তখন দেখতে আমি এমনই ছিলাম। তবে, আরিফের সাথে সাগরের চেহারারও মিল নেই, দেহের গড়নেরও মিল নেই।
কলি বললো, সবকিছুতেই মিল থাকতে হবে বলে কথা আছে নাকি? রঙ্গীন রূপবান এ রোজিনার সাথে সুজাতার চেহারার মিল ছিলো নাকি? পরিচালকে ছবি বানায় নায়?
জলি বললো, আরে বাব্বা! তুমি কি পরিচালক হইছো নাকি? না না, ব্যাকরনে ভুল করলাম! পরিচালিকা! তা পরিচালিকা সাহেবা, চিত্রনাট্যটা একটু ব্যাখ্যা করবেন?
কলি গলা খাকারি দিয়ে, সোফার উপর একটু নড়ে চড়ে বসলো। তারপর বললো, বসে বলবো, নাকি দাঁড়িয়ে বলবো?
মলি বললো, তুমি যেভাবে বলছো, মনে তো হচ্ছে মায়ের সাথে সাগর মামা কিভাবে কি করেছে, সব জানো, নিজ চোখে দেখেছো!
কলি খানিকটা থতমত খেয়ে গেলো। তারপর আমতা আমতা করেই বললো, না দেখিনি। তবে, অনুমান করতে পারছি।
জলি বললো, অনুমান? কিভাবে? তুমি পিচ্চী একটা মেয়ে!
কলি বললো, বড় আপু, প্লীজ! আমাকে পিচ্চী বলবে না। আমি ক্লাশ নাইনে পড়ি। বয়স চৌদ্দ! আমার ধারনা, এসব ব্যাপারে আমি তোমার চাইতেও ভালো বুঝি!
আরিফ বলে উঠলো, ভালো বুঝো মানে? কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা?
কলি আমতা আমতা করতে থাকলো। বললো, না মানে, একবার!
মহুয়া চমকানো গলাতেই বললো, মানে?
কলি বললো, না মানে, সে অনেক কথা!
জলি বললো, সেই অনেক কথা গুলোই তো জানতে চাইছি!
মলিও বললো, হু, শুনি! তোমার আবার কি অভিজ্ঞতা!
কলি বলতে শুরু করলো।
আসলে, তোমরা তো জানো, রওনক ভাই, আমার প্রাইভেট টিউটর। রওনক ভাই আমার দিকে সব সময়ই কেমন কেমন করে যেনো তাঁকাতো!
আরিফ অবাক হয়ে বললো, রওনক? এত বড় বদমাশ, ছেলেটা?
কলি বললো, আহা বদমাশই হউক আর সাধুই হউক, যা ঘটেছে তাই বলছি।
আরিফ বললো, না না! এমন ঘটবেই বা কেনো? আমার এত সুন্দর ছোট বোনটার সাথে, একটা বদমাশ ছেলে কিছু ঘটিয়ে দেবে, তা কি করে হয়? আমি হারামজাদার মাথা ফাটিয়ে দেবো না!
মলি বললো, আহারে আমার সাধু ভাই! ভালো ছেলেরা কি এসবের ধান্দায় থাকে! তাইতো! আমার পেছনে যারা ঘুর ঘুর করে, তাদেরকে তো বখাটে, বদমাশ বলে মনে হয়। কখনো পাত্তা দিইনি! তাইতো উনিশটি বছর পেরিয়ে গেলো! অথচ, কেউ এখনো চেখে দেখেনি!
জলি বললো, তোমরা কিন্তু কলিকে গলপোটা বলতে দিচ্ছো না। আগে শুনোই না, কিভাবে কি হয়েছে! বিচার আচার তা না হয় পরেই হবে!
তারপর, কলিকে লক্ষ্য করে বললো, ঠিক আছে, তুমি তোমার গলপোটা বলো।
কলি বললো, সংক্ষেপে বলবো? নাকি বিস্তারিত বলবো?
জলি বললো, বিস্তারিতই বলো।
কলি আবারও শুরু করলো।
আসলে দোষটা রওনক ভাইয়ের নয়। সে আসলেই খুব ভদ্র ছেলে। আমি অনেকভাবেই তার মন জয় করার চেষ্টা করেছি। অথচ পারিনি। ঠিক মা যেরকম সাগর মামাকে আয়ত্তে আনতে চেয়েছিলো, আমিও কোন অংশে কম করিনি। আমাকে পড়ানোর সময় চোখে চোখে তাঁকানো, দেহ প্রদর্শন করার মতো অনেক কৌশলও করেছি। আসলে, সব ছেলেরাই বোধ হয় বোকা। বুঝেও যেনো, কিছু বুঝতে চায় না। সেবার তোমরা বিয়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সবাই, মনে আছে? পরীক্ষা ছিলো বলে, বাড়ীতে তো আমি একাই ছিলাম। সে রাতে রওনকও তো আমাকে পড়াতে এসেছিলো।
আমি সেদিন ইচ্ছে করেই ন্যাংটু হয়ে ঘরে বসেছিলাম।
মলি বলে উঠলো, মানে, জাতীয় নগ্ন দিবস ঘোষনা হবার অনেক আগে থেকেই তুমি নগ্ন দিবসের সূচনা করেছিলে?
কলি বললো, নগ্ন দিবস ঠিক নয়, বলতে পারো নগ্ন রাত্রি!
জলি বললো, আচ্ছা, হলো হলো! তোমার নগ্ন রাত্রির ঘটনাটাই বলো।
কলি আবারও শুরু করলো।
সন্ধ্যার কিছু পরই কলিংবেলটা বাজলো। এই সময়ে কে আসতে পারে, তাতো আমি জানিই। আমি যখন ন্যাংটু দেহেই দরজাটা খুলে দিলাম, তখন রওনক ভাইয়ের কি লজ্জা! মাকে দেখে সাগর মামা কতটা লজ্জা পেয়েছিলো জানিনা। তবে, রওনক ভাইয়ের লজ্জাপূর্ন চেহারাটা ব্যাখ্যা করে বুঝাতে পারবো না। সে ঘরে না ঢুকে বললো, আমি আজকে আসি!
এটা কোন কথা হলো? আমি তাকে একটা সুযোগ করে দিতে চাইলাম। অথচ, সে বলছে চলে যাবে! রওনক ভাই যেই চলে যাবার উদ্যোগ করলো, আমি তার প্যান্টটা টেনে ধরলাম। বললাম, আপনি আমাকে দেখে এত দাম দেখান কেনো?
রওনক ভাই দুস্তর মতো কাঁপতে থাকলো ভয়ে। আমার খুব হাসিই পেতে থাকলো। অথচ, এমন একটা গম্ভীর ভাব নিলাম যে, রওনক ভাই আরো ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে ভয়েই বললো, আমি দাম দেখাতে যাবো কেনো? আপনাকে তো আমি রীতীমতো ভয় করি! কি হতে কি হয়ে যায়, সেই সব ভেবেই সব সময় বুকটা কাঁপতে থাকে। আর আপনার মতো একটা দামী মেয়ের সাথে, একটু দাম দেখালেই বা মন্দ কি?
আমি বললাম, আর ভয় পেতে হবে না। আপনি ভেতরে আসুন।
রওনক ভাই ভেতরে ঢুকলো ঠিকই। তবে ভয়ে এমন কাঁপতে শুরু করলো যে, মনে হলো প্রশ্রাবই করে দেবে। আমি আর হাসি থামাতে পারলাম না। আমার হাসি দেখে রওনক ভাই বললো, এত হাসির কি আছে?
আমি বললাম, ঐ যে বললেন, আমি একটা দামী মেয়ে! আমার দাম কত বলে মনে হয় আপনার কাছে?
রওনক ভাই বললো, জানিনা! হয়তোবা টাকাতে কখনো কেনা যাবে না। তেমনি দাম আপনার!
আমি সোফায় গিয়ে ঠিক রাজকন্যার মতোই বসে বললাম, ধ্যাৎ, আপনি সব সময় আমাকে, আপনি আপনি করে ডাকেন কেনো? আমার বয়স চৌদ্দ, ক্লাশ নাইনে পড়ি। আর আপনার ছাত্রী!
রওনক ভাই বললো, আপনি করে ডাকার জন্যে বয়স লাগে না, লেখাপড়াও লাগে না। একজন বয়স্ক পিয়ন, কম বয়সের অফিসারকেও আপনি করে ডাকে। আবার একজন উচ্চশিক্ষিত প্রফেসরও অশিক্ষিত চ্যায়ারম্যান কিংবা এম, পি, কে অনেক সম্মান করে থাকে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না। খিল খিল করে হাসলামই শুধু কিছুক্ষণ! তারপর বললাম, আপনি তো খুব রসিক মানুষ! তাহলে, আপনি বুঝাতে চাইছেন, আপনি একটা পিয়ন, আর আমি অফিসার? নাকি, আপনি প্রফেসর, আমি এম, পি,?
রওনক ভাই খুব আমতা আমতাই করতে থাকলো। তারপর বললো, না মানে, আপনি রাজকন্যা, আর আমি রাখাল বালক!
কলি সবাইকে লক্ষ্য করেই বললো, আচ্ছা, এখন তোমরাই বলো, এমন একটা ছেলে কখনো বদমাশ হতে পারে? তাকে ভালোবাসতে, সব কিছু উজার করে দিতে, কারই না ইচ্ছে হবে?
জলি বললো, তারপর কি হলো শুনি?
কলি আবারও বলতে শুরু করলো।
বাড়ীটা চুপচাপ ছিলো বলে, রওনক ভাইই বললো, তুমি ন্যাংটু কেনো? বাড়ীতে আর কাউকেও তো দেখছিনা! আমার খুব ভয় করছে! আমি এখন যাই!
আমি রওনক ভাইকে নির্ভয় দিয়ে বললাম, বাড়ীতে কেউ নেই। সবাই বিয়ে বাড়ীতে গেছে! ফিরবে আগামীকাল রাতে!
রওনক ভাই বললো, আপনি যাননি?
আমি বললাম, ওমা, আমার পরীক্ষা না? আমি যাবো কি করে?
রওনক ভাই বললো, ঠিক আছে, আপনি পড়ালেখা করেন। আমি যাই!
আমার খুব রাগই হয়েছিলো। আমি মুখ ভ্যাংচিয়েই বললাম, নাহ, আপনি যাবেন না। আপনি আজকে আমাদের বাড়ীতেই থাকবেন। মা তেমনটিই বলে গেছে!
মহুয়া বলে উঠলো, কই, এমন বলেছিলাম নাকি? আমার তো মনে পরছে না!
কলি বললো, আহা মা! এত প্যাচাও কেনো? মাঝে মাঝে কিছু মিথ্যে বলতে হয় না? তুমি সাগর মামাকে বলো নি? তোমার নিম্নাঙ্গের ব্যাথার কথা সাগর মামাকে বলো নি?
মহুয়া বললো, বুঝলাম! ঠিক আছে মামনি। তারপর কি করলে বলো।
কলি আবারও বলতে শুরু করলো।
আমি যখন বললাম, মা আপনাকে বাড়ীতে থাকতে বলেছে, তখন রওনক ভাই বললো, তার কারন?
আমার মেজাজটাই খারাপ হলো। নায়কের মতো বলে, তার কারন? সে কি সাকীব খান হইছে নাকি? তাকে নাকি কারন বলতে হবে! আমি মুখ ভ্যাংচিয়েই বললাম, কারন বুঝেন না, না? আপনি হাবা হাশমত হইছেন? নাকি ফাইজলামী করেন? আমার মতো যুবতী একটা মেয়ে, এই বাড়ীতে একলা একলা থাকবে নাকি? আপনার মাথায় বুদ্ধি নাই?
রওনক ভাই বললো, না মানে, আপনার গায়ে যদি পোষাক টোষাক থাকতো, তাহলে কোন সমস্যা ছিলো না। কিন্তু, এখন তো কোন ভরসা পাচ্ছিনা।
আমি বললাম, ভরসা মানে? কেনো?
রওনক ভাই বললো, চোখের সামনে এত সুন্দর নগ্ন দেহ! এত সুন্দর দুধু, কার না টিপে দিতে ইচ্ছে করবে! আমি একটা যুবক ছেলে! ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। বয়স উনিশ! কখন কি হয় বুঝতে পারছিনা। হয়তো দেখবেন, নিজের অবচেতন মনেই আপনার দুধ টিপে দিয়েছি!
আমি মজা করার জন্যেই বললাম, হয়তো কেনো? দেন!
রওনক ভাই চোখ কপালে তুলেই বললো, মানে?
আমি বললাম, আসলে সন্ধ্যার পর থেকে, একা একা বাড়ীতে আমার খুব ভয় ভয় করছে। আমার দুধ টিপে দিয়ে হলেও, রাতটা এই বাড়ীতে থাকেন। নইলে আমি ভয়েই মারা যাবো।
রওনক ভাইয়ের তখন কি হলো বুঝলাম না। লজ্জিত একটা চেহারা করে অনেকক্ষণ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর বললো, ঠিক আছে, সাবই ফিরে না আসা না পর্যন্ত আমি এখানে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করছি। আপনি পড়তে যান।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে রওনক ভাইয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ালাম। তার ডান হাতটা টেনে ধরে বললাম, এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন কেনো রওনক ভাই? আপনি কি চৌকিদার? আমার ঘরে চলেন।
রওনক ভাইয়ের চেহারার অবস্থা তখন কি হয়েছিলো তা যদি দেখতে, তাহলে তোমাদেরও সবার হাসি পেতো। ছেলেরা যে এত ভীতু হয়, তা আমি রওনক ভাইকে দেখেই প্রথম অনুমান করেছিলাম। মনে হলো, তার গলা টলা শুকিয়ে একেবারে চৌচির হয়ে আছে। নগ্ন দেহে রওনক ভাইকে নিয়ে আমার ঘরে যেতে, আমার কিন্তু খুব রোমান্টিকই লাগছিলো। আমি আমার ঘরে যাচ্ছি পুরুপুরি নগ্ন দেহে! রওনক ভাইও আমার পেছনে পেছনে! কি এক রোমাঞ্চতা! আমি তোমাদের বলে বুঝাতে পারবো না। আমি হঠাৎ দাঁড়িয়ে রওনক ভাইয়ের সাথে কি যেনো বলতে চাইছিলাম। ঠিক তখনই আমার পেছনে রওনক ভাইয়ের দেহটা ধাক্কা খেলো। সেই সাথে আমার নরোম পাছাটায় শক্ত কি একটা যেনো ঠোকর খেলো বলেই মনে হলো। আমি সাথে সাথেই ঘুরে দাঁড়ালাম।
বড় মেয়ে জলিও বললো, গুড আইডিয়া। আমারও খুব দেখতে ইচ্ছে করছে, আমার সত্যিকার এর বাবা তোমার সাথে কি করেছিলো। কিন্তু, সাগর মামা, মানে আমার সত্যিকার এর বাবাকে এখন পাবো কোথায়?
মলি বললো, আমার মাথায় চমৎকার একটা বুদ্ধি আছে! মাকে দেখে কিন্তু বয়স বুঝা যায়না। একসংগে বেড়োলে তো, সবাই আমার বোন বলেই ভাবে! আর তখন সাগর মামার বয়স ছিলো ষোলো কি সতেরো! আরিফের বয়স তো খুব কাছাকাছিই! আরিফের সাথে একবার করে দেখালে কেমন হয়?
জলি ভ্যাংচি দিয়ে বললো, তোমাকে বলেছে? মা আর তুমি এক সংগে বাইরে গেলে দুই বোনের মতো মনে হয়? তা, মাকে তোমার কত বছরের ছোট বোন বলে মনে হয়?
মলি রাগ করেই বললো, আমি বলেছি নাকি, মাকে ছোট বোন বলে মনে হয়? দুই বোনের মতো লাগে! বড় বোন হতে পারে না?
কলি বললো, ব্যাপারটা আসলে তোমরা কেউ বুঝোনি! আসলে, কোন কিছু নিজে করতে চাইলেই অন্যের উদাহরন দিয়ে থাকে। ছোট আপা নিজেই আসলে আরিফের সাথে কিছু করতে চাইছে।
মহুয়া মলির আপাদ মস্তক একবার নিরীক্ষণ করলো। তারপর বললো, হুম, ঠিকই বলেছো। মলির দেহের গড়ন, চেহারা তো হুবহু আমার মতোই। তখন দেখতে আমি এমনই ছিলাম। তবে, আরিফের সাথে সাগরের চেহারারও মিল নেই, দেহের গড়নেরও মিল নেই।
কলি বললো, সবকিছুতেই মিল থাকতে হবে বলে কথা আছে নাকি? রঙ্গীন রূপবান এ রোজিনার সাথে সুজাতার চেহারার মিল ছিলো নাকি? পরিচালকে ছবি বানায় নায়?
জলি বললো, আরে বাব্বা! তুমি কি পরিচালক হইছো নাকি? না না, ব্যাকরনে ভুল করলাম! পরিচালিকা! তা পরিচালিকা সাহেবা, চিত্রনাট্যটা একটু ব্যাখ্যা করবেন?
কলি গলা খাকারি দিয়ে, সোফার উপর একটু নড়ে চড়ে বসলো। তারপর বললো, বসে বলবো, নাকি দাঁড়িয়ে বলবো?
মলি বললো, তুমি যেভাবে বলছো, মনে তো হচ্ছে মায়ের সাথে সাগর মামা কিভাবে কি করেছে, সব জানো, নিজ চোখে দেখেছো!
কলি খানিকটা থতমত খেয়ে গেলো। তারপর আমতা আমতা করেই বললো, না দেখিনি। তবে, অনুমান করতে পারছি।
জলি বললো, অনুমান? কিভাবে? তুমি পিচ্চী একটা মেয়ে!
কলি বললো, বড় আপু, প্লীজ! আমাকে পিচ্চী বলবে না। আমি ক্লাশ নাইনে পড়ি। বয়স চৌদ্দ! আমার ধারনা, এসব ব্যাপারে আমি তোমার চাইতেও ভালো বুঝি!
আরিফ বলে উঠলো, ভালো বুঝো মানে? কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা?
কলি আমতা আমতা করতে থাকলো। বললো, না মানে, একবার!
মহুয়া চমকানো গলাতেই বললো, মানে?
কলি বললো, না মানে, সে অনেক কথা!
জলি বললো, সেই অনেক কথা গুলোই তো জানতে চাইছি!
মলিও বললো, হু, শুনি! তোমার আবার কি অভিজ্ঞতা!
কলি বলতে শুরু করলো।
আসলে, তোমরা তো জানো, রওনক ভাই, আমার প্রাইভেট টিউটর। রওনক ভাই আমার দিকে সব সময়ই কেমন কেমন করে যেনো তাঁকাতো!
আরিফ অবাক হয়ে বললো, রওনক? এত বড় বদমাশ, ছেলেটা?
কলি বললো, আহা বদমাশই হউক আর সাধুই হউক, যা ঘটেছে তাই বলছি।
আরিফ বললো, না না! এমন ঘটবেই বা কেনো? আমার এত সুন্দর ছোট বোনটার সাথে, একটা বদমাশ ছেলে কিছু ঘটিয়ে দেবে, তা কি করে হয়? আমি হারামজাদার মাথা ফাটিয়ে দেবো না!
মলি বললো, আহারে আমার সাধু ভাই! ভালো ছেলেরা কি এসবের ধান্দায় থাকে! তাইতো! আমার পেছনে যারা ঘুর ঘুর করে, তাদেরকে তো বখাটে, বদমাশ বলে মনে হয়। কখনো পাত্তা দিইনি! তাইতো উনিশটি বছর পেরিয়ে গেলো! অথচ, কেউ এখনো চেখে দেখেনি!
জলি বললো, তোমরা কিন্তু কলিকে গলপোটা বলতে দিচ্ছো না। আগে শুনোই না, কিভাবে কি হয়েছে! বিচার আচার তা না হয় পরেই হবে!
তারপর, কলিকে লক্ষ্য করে বললো, ঠিক আছে, তুমি তোমার গলপোটা বলো।
কলি বললো, সংক্ষেপে বলবো? নাকি বিস্তারিত বলবো?
জলি বললো, বিস্তারিতই বলো।
কলি আবারও শুরু করলো।
আসলে দোষটা রওনক ভাইয়ের নয়। সে আসলেই খুব ভদ্র ছেলে। আমি অনেকভাবেই তার মন জয় করার চেষ্টা করেছি। অথচ পারিনি। ঠিক মা যেরকম সাগর মামাকে আয়ত্তে আনতে চেয়েছিলো, আমিও কোন অংশে কম করিনি। আমাকে পড়ানোর সময় চোখে চোখে তাঁকানো, দেহ প্রদর্শন করার মতো অনেক কৌশলও করেছি। আসলে, সব ছেলেরাই বোধ হয় বোকা। বুঝেও যেনো, কিছু বুঝতে চায় না। সেবার তোমরা বিয়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সবাই, মনে আছে? পরীক্ষা ছিলো বলে, বাড়ীতে তো আমি একাই ছিলাম। সে রাতে রওনকও তো আমাকে পড়াতে এসেছিলো।
আমি সেদিন ইচ্ছে করেই ন্যাংটু হয়ে ঘরে বসেছিলাম।
মলি বলে উঠলো, মানে, জাতীয় নগ্ন দিবস ঘোষনা হবার অনেক আগে থেকেই তুমি নগ্ন দিবসের সূচনা করেছিলে?
কলি বললো, নগ্ন দিবস ঠিক নয়, বলতে পারো নগ্ন রাত্রি!
জলি বললো, আচ্ছা, হলো হলো! তোমার নগ্ন রাত্রির ঘটনাটাই বলো।
কলি আবারও শুরু করলো।
সন্ধ্যার কিছু পরই কলিংবেলটা বাজলো। এই সময়ে কে আসতে পারে, তাতো আমি জানিই। আমি যখন ন্যাংটু দেহেই দরজাটা খুলে দিলাম, তখন রওনক ভাইয়ের কি লজ্জা! মাকে দেখে সাগর মামা কতটা লজ্জা পেয়েছিলো জানিনা। তবে, রওনক ভাইয়ের লজ্জাপূর্ন চেহারাটা ব্যাখ্যা করে বুঝাতে পারবো না। সে ঘরে না ঢুকে বললো, আমি আজকে আসি!
এটা কোন কথা হলো? আমি তাকে একটা সুযোগ করে দিতে চাইলাম। অথচ, সে বলছে চলে যাবে! রওনক ভাই যেই চলে যাবার উদ্যোগ করলো, আমি তার প্যান্টটা টেনে ধরলাম। বললাম, আপনি আমাকে দেখে এত দাম দেখান কেনো?
রওনক ভাই দুস্তর মতো কাঁপতে থাকলো ভয়ে। আমার খুব হাসিই পেতে থাকলো। অথচ, এমন একটা গম্ভীর ভাব নিলাম যে, রওনক ভাই আরো ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে ভয়েই বললো, আমি দাম দেখাতে যাবো কেনো? আপনাকে তো আমি রীতীমতো ভয় করি! কি হতে কি হয়ে যায়, সেই সব ভেবেই সব সময় বুকটা কাঁপতে থাকে। আর আপনার মতো একটা দামী মেয়ের সাথে, একটু দাম দেখালেই বা মন্দ কি?
আমি বললাম, আর ভয় পেতে হবে না। আপনি ভেতরে আসুন।
রওনক ভাই ভেতরে ঢুকলো ঠিকই। তবে ভয়ে এমন কাঁপতে শুরু করলো যে, মনে হলো প্রশ্রাবই করে দেবে। আমি আর হাসি থামাতে পারলাম না। আমার হাসি দেখে রওনক ভাই বললো, এত হাসির কি আছে?
আমি বললাম, ঐ যে বললেন, আমি একটা দামী মেয়ে! আমার দাম কত বলে মনে হয় আপনার কাছে?
রওনক ভাই বললো, জানিনা! হয়তোবা টাকাতে কখনো কেনা যাবে না। তেমনি দাম আপনার!
আমি সোফায় গিয়ে ঠিক রাজকন্যার মতোই বসে বললাম, ধ্যাৎ, আপনি সব সময় আমাকে, আপনি আপনি করে ডাকেন কেনো? আমার বয়স চৌদ্দ, ক্লাশ নাইনে পড়ি। আর আপনার ছাত্রী!
রওনক ভাই বললো, আপনি করে ডাকার জন্যে বয়স লাগে না, লেখাপড়াও লাগে না। একজন বয়স্ক পিয়ন, কম বয়সের অফিসারকেও আপনি করে ডাকে। আবার একজন উচ্চশিক্ষিত প্রফেসরও অশিক্ষিত চ্যায়ারম্যান কিংবা এম, পি, কে অনেক সম্মান করে থাকে।
আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না। খিল খিল করে হাসলামই শুধু কিছুক্ষণ! তারপর বললাম, আপনি তো খুব রসিক মানুষ! তাহলে, আপনি বুঝাতে চাইছেন, আপনি একটা পিয়ন, আর আমি অফিসার? নাকি, আপনি প্রফেসর, আমি এম, পি,?
রওনক ভাই খুব আমতা আমতাই করতে থাকলো। তারপর বললো, না মানে, আপনি রাজকন্যা, আর আমি রাখাল বালক!
কলি সবাইকে লক্ষ্য করেই বললো, আচ্ছা, এখন তোমরাই বলো, এমন একটা ছেলে কখনো বদমাশ হতে পারে? তাকে ভালোবাসতে, সব কিছু উজার করে দিতে, কারই না ইচ্ছে হবে?
জলি বললো, তারপর কি হলো শুনি?
কলি আবারও বলতে শুরু করলো।
বাড়ীটা চুপচাপ ছিলো বলে, রওনক ভাইই বললো, তুমি ন্যাংটু কেনো? বাড়ীতে আর কাউকেও তো দেখছিনা! আমার খুব ভয় করছে! আমি এখন যাই!
আমি রওনক ভাইকে নির্ভয় দিয়ে বললাম, বাড়ীতে কেউ নেই। সবাই বিয়ে বাড়ীতে গেছে! ফিরবে আগামীকাল রাতে!
রওনক ভাই বললো, আপনি যাননি?
আমি বললাম, ওমা, আমার পরীক্ষা না? আমি যাবো কি করে?
রওনক ভাই বললো, ঠিক আছে, আপনি পড়ালেখা করেন। আমি যাই!
আমার খুব রাগই হয়েছিলো। আমি মুখ ভ্যাংচিয়েই বললাম, নাহ, আপনি যাবেন না। আপনি আজকে আমাদের বাড়ীতেই থাকবেন। মা তেমনটিই বলে গেছে!
মহুয়া বলে উঠলো, কই, এমন বলেছিলাম নাকি? আমার তো মনে পরছে না!
কলি বললো, আহা মা! এত প্যাচাও কেনো? মাঝে মাঝে কিছু মিথ্যে বলতে হয় না? তুমি সাগর মামাকে বলো নি? তোমার নিম্নাঙ্গের ব্যাথার কথা সাগর মামাকে বলো নি?
মহুয়া বললো, বুঝলাম! ঠিক আছে মামনি। তারপর কি করলে বলো।
কলি আবারও বলতে শুরু করলো।
আমি যখন বললাম, মা আপনাকে বাড়ীতে থাকতে বলেছে, তখন রওনক ভাই বললো, তার কারন?
আমার মেজাজটাই খারাপ হলো। নায়কের মতো বলে, তার কারন? সে কি সাকীব খান হইছে নাকি? তাকে নাকি কারন বলতে হবে! আমি মুখ ভ্যাংচিয়েই বললাম, কারন বুঝেন না, না? আপনি হাবা হাশমত হইছেন? নাকি ফাইজলামী করেন? আমার মতো যুবতী একটা মেয়ে, এই বাড়ীতে একলা একলা থাকবে নাকি? আপনার মাথায় বুদ্ধি নাই?
রওনক ভাই বললো, না মানে, আপনার গায়ে যদি পোষাক টোষাক থাকতো, তাহলে কোন সমস্যা ছিলো না। কিন্তু, এখন তো কোন ভরসা পাচ্ছিনা।
আমি বললাম, ভরসা মানে? কেনো?
রওনক ভাই বললো, চোখের সামনে এত সুন্দর নগ্ন দেহ! এত সুন্দর দুধু, কার না টিপে দিতে ইচ্ছে করবে! আমি একটা যুবক ছেলে! ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। বয়স উনিশ! কখন কি হয় বুঝতে পারছিনা। হয়তো দেখবেন, নিজের অবচেতন মনেই আপনার দুধ টিপে দিয়েছি!
আমি মজা করার জন্যেই বললাম, হয়তো কেনো? দেন!
রওনক ভাই চোখ কপালে তুলেই বললো, মানে?
আমি বললাম, আসলে সন্ধ্যার পর থেকে, একা একা বাড়ীতে আমার খুব ভয় ভয় করছে। আমার দুধ টিপে দিয়ে হলেও, রাতটা এই বাড়ীতে থাকেন। নইলে আমি ভয়েই মারা যাবো।
রওনক ভাইয়ের তখন কি হলো বুঝলাম না। লজ্জিত একটা চেহারা করে অনেকক্ষণ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর বললো, ঠিক আছে, সাবই ফিরে না আসা না পর্যন্ত আমি এখানে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করছি। আপনি পড়তে যান।
আমি উঠে দাঁড়িয়ে রওনক ভাইয়ের খুব কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ালাম। তার ডান হাতটা টেনে ধরে বললাম, এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন কেনো রওনক ভাই? আপনি কি চৌকিদার? আমার ঘরে চলেন।
রওনক ভাইয়ের চেহারার অবস্থা তখন কি হয়েছিলো তা যদি দেখতে, তাহলে তোমাদেরও সবার হাসি পেতো। ছেলেরা যে এত ভীতু হয়, তা আমি রওনক ভাইকে দেখেই প্রথম অনুমান করেছিলাম। মনে হলো, তার গলা টলা শুকিয়ে একেবারে চৌচির হয়ে আছে। নগ্ন দেহে রওনক ভাইকে নিয়ে আমার ঘরে যেতে, আমার কিন্তু খুব রোমান্টিকই লাগছিলো। আমি আমার ঘরে যাচ্ছি পুরুপুরি নগ্ন দেহে! রওনক ভাইও আমার পেছনে পেছনে! কি এক রোমাঞ্চতা! আমি তোমাদের বলে বুঝাতে পারবো না। আমি হঠাৎ দাঁড়িয়ে রওনক ভাইয়ের সাথে কি যেনো বলতে চাইছিলাম। ঠিক তখনই আমার পেছনে রওনক ভাইয়ের দেহটা ধাক্কা খেলো। সেই সাথে আমার নরোম পাছাটায় শক্ত কি একটা যেনো ঠোকর খেলো বলেই মনে হলো। আমি সাথে সাথেই ঘুরে দাঁড়ালাম।