10-01-2025, 09:58 PM
হাসপাতাল গেটে ঢুকে জয়ন্ত চমকে গেল। বেশ ভিড়। আজ আবার কি হল? কলকাতা শহরে হাসপাতালে প্রতিদিনের নানা গল্প আছে। জয়ন্তকে দেখে ডাঃ মিত্র জানালে চারটি সন্তানের পর পার্ক সার্কাসের জনৈক বত্রিশ বর্ষীয়া সুফিয়া বিবি পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছেন। রুগীর পরিবারের দাবী ডাক্তারদের গাফিলতিতেই মৃত্যু। রুগী নাকি তাদের সম্পূর্ন সুস্থ ছিল। মিডিয়াও হাজির হয়েছে, স্থানীয় কাউন্সিলর এসে শাসিয়ে গেছেন হাসপাতালের নার্স, আয়াদের।
ডাঃ মিত্র বললেন---কাউন্সিলর বিকাশ বণিক নাকি আবার আড়ালে সিস্টারদের বলেছেন, কিছু মনে করবেন না, পেশেন্ট পার্টি যে এলাকার তারা আমার পুরনো ভোটার। তাই একটু আধটু তাল দেবার জন্য আপনাদের বললাম। আমি সামলে নেব সব।
জয়ন্ত হাসলো। এমন ঘটনা কলকাতার হাসপাতালগুলিতে আকছার হয়। তা বলে ডাক্তারদের গাফিলতি যে হয় না অনেক সময় তা নয়, ডাঃ মৃদুল নন্দীর মত লোকেদের পাল্লায় পড়লে এমনও হয়।
একজন সিনিয়র সিস্টার এসে বললে---স্যার, সব মিটলো তো, এখন মিডিয়া এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে!
---কেন কি হল? প্রশ্ন করলেন ডাঃ মিত্র।
---সুপারকে ঘিরে ধরে এক এক রকম প্রশ্ন করছে আর এক এক রকম খবর পরিবেশন করছে।
জয়ন্ত বললে---মিডিয়া মিডিয়ার কাজ করছে। ঝামেলা না পাকালে কি মিত্র দা সন্ধের চায়ের কাপে খবর জমে?
সিস্টার ও ডাঃ মিত্র দুজনেই সহমত হয়ে হাসলে। তারপর সিস্টার চলে যেতে ডাঃ মিত্র বললে---ডাঃ দাশগুপ্ত, একটা কথা বলব বলে...
---কি বলুন তো?
---যদিও আপনার একান্ত ব্যক্তিজীবনের কথা। আপনার কি স্ত্রীয়ের সাথে সেপারেশন হয়েছে?
জয়ন্ত মুচকি হেসে বলল---সেপরেশন নয়, ডিভোর্স। আমার এক্স ওয়াইফ এখন হুগলিতে পোস্টিং। ওনার বাপের বাড়িতে। আমি এখন হাত-পা ছাড়া সিঙ্গেল মানুষ।
---উনি তো কলেজ টিচার? ছেলে-মেয়ে? মেয়ে তো বোধ হয়...ভুল যদি না বলি আইআইটিতে?
---হুম্ম। ছেলে-মেয়ে এডাল্ট। তারা তাদের জগৎ নিয়ে আছে। আমরা বয়স্কালে না হয় আলাদাই থাকলাম।
বিষয়টা হালকা করলে জয়ন্ত। ডাঃ মিত্র মৃদু হেসে বলল--ওহ, তাহলে মিউচুয়ালি আপনারা আলাদা হয়েছেন, বেশ বেশ ভালো সিদ্ধান্ত। এখন স্বাধীন জীবনে অনাবিল আনন্দ।
***
ডাঃ মিত্র বললেন---কাউন্সিলর বিকাশ বণিক নাকি আবার আড়ালে সিস্টারদের বলেছেন, কিছু মনে করবেন না, পেশেন্ট পার্টি যে এলাকার তারা আমার পুরনো ভোটার। তাই একটু আধটু তাল দেবার জন্য আপনাদের বললাম। আমি সামলে নেব সব।
জয়ন্ত হাসলো। এমন ঘটনা কলকাতার হাসপাতালগুলিতে আকছার হয়। তা বলে ডাক্তারদের গাফিলতি যে হয় না অনেক সময় তা নয়, ডাঃ মৃদুল নন্দীর মত লোকেদের পাল্লায় পড়লে এমনও হয়।
একজন সিনিয়র সিস্টার এসে বললে---স্যার, সব মিটলো তো, এখন মিডিয়া এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে!
---কেন কি হল? প্রশ্ন করলেন ডাঃ মিত্র।
---সুপারকে ঘিরে ধরে এক এক রকম প্রশ্ন করছে আর এক এক রকম খবর পরিবেশন করছে।
জয়ন্ত বললে---মিডিয়া মিডিয়ার কাজ করছে। ঝামেলা না পাকালে কি মিত্র দা সন্ধের চায়ের কাপে খবর জমে?
সিস্টার ও ডাঃ মিত্র দুজনেই সহমত হয়ে হাসলে। তারপর সিস্টার চলে যেতে ডাঃ মিত্র বললে---ডাঃ দাশগুপ্ত, একটা কথা বলব বলে...
---কি বলুন তো?
---যদিও আপনার একান্ত ব্যক্তিজীবনের কথা। আপনার কি স্ত্রীয়ের সাথে সেপারেশন হয়েছে?
জয়ন্ত মুচকি হেসে বলল---সেপরেশন নয়, ডিভোর্স। আমার এক্স ওয়াইফ এখন হুগলিতে পোস্টিং। ওনার বাপের বাড়িতে। আমি এখন হাত-পা ছাড়া সিঙ্গেল মানুষ।
---উনি তো কলেজ টিচার? ছেলে-মেয়ে? মেয়ে তো বোধ হয়...ভুল যদি না বলি আইআইটিতে?
---হুম্ম। ছেলে-মেয়ে এডাল্ট। তারা তাদের জগৎ নিয়ে আছে। আমরা বয়স্কালে না হয় আলাদাই থাকলাম।
বিষয়টা হালকা করলে জয়ন্ত। ডাঃ মিত্র মৃদু হেসে বলল--ওহ, তাহলে মিউচুয়ালি আপনারা আলাদা হয়েছেন, বেশ বেশ ভালো সিদ্ধান্ত। এখন স্বাধীন জীবনে অনাবিল আনন্দ।
***