22-11-2024, 11:45 AM
(This post was last modified: 22-11-2024, 11:47 AM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পর্ব: ২১
টানা চার দিন পার হল আজ এ বাড়িতে। মেঘ সরে রোদ হয়েছে আজ কদিন। কিন্তু দাশগুপ্ত পরিবারে যেন কালো মেঘের ছায়া সরেনি।
সুচিত্রা এখনও গোঁসা করে আছে। জয়ন্ত ডিউটিতে ব্যস্ত থাকলেও খেয়াল করে মিতা আর তাকে মেসেজ করে না। ছাদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলে জয়ন্তকে দেখলেই ঘরে ঢুকে যায়। সুচিত্রা খুব স্বাভাবিক ভাবেই সংসারে সকল কিছু সামলে যাচ্ছে। ওর কলেজে ছুটি পড়েছে সদ্য।
সকালে চা জলখাবার দেবার সময় সুচি প্রথম কথা বলল জয়ন্তের সাথে। বলল---চা শেষ। ফেরার সময় এনো।
জয়ন্তের মত অংশুও খুশি হল। আজ চারদিন পর মা কথা বলল বাবার সাথে। জয়ন্ত ভাবলে কিছু একটা করা দরকার সুচির মন পেতে। কিন্তু তার ভয় হয়, সে যে ব্যাভিচারী। সুচি কি কোনোভাবেই তাকে মাফ করতে পারবে?
ডিউটিতে যাবার মুখে হাত ঘড়িটা বাঁধছিল জয়ন্ত। সুচি বললে---পিউ আসছে পরের সপ্তাহে।
জয়ন্ত ব্যাগটায় স্টেথোস্কোপ ভরতে ভরতে বললে---ওর তো সামনেই ফার্স্ট সেমিস্টার। এখনো হোস্টেলে তেমন সেটল হল না। আবার বাড়ি আসার কি দরকার।
সুচি তার কালো ফ্রেমের চশমার ওপর দিয়ে তাকালো জয়ন্তের দিকে। গম্ভীরভাবে বলল---আমি ডেকেছি।
---কেন?
---ও' এলেই জানতে পারবে।
জয়ন্ত হতবাক হল। সুচি হঠাৎ কেন পিউকে ডেকে পাঠালো। সুচি সাধারণত ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে বড্ড সচেতন। তাহলে কেন পিউয়ের এমন সামনে পরীক্ষা, তাও ডেকে পাঠলো!
অংশু খুশি খুশি বললে---দিদি আসছে মা?
ছেলের দিকে গম্ভীরভাবে তাকালো সুচিত্রা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো উত্তর করল না। বলল---তোর স্কু লের টাইম হল। স্নান করে নে, ভাত বেড়ে দিচ্ছি।
***
টানা চার দিন পার হল আজ এ বাড়িতে। মেঘ সরে রোদ হয়েছে আজ কদিন। কিন্তু দাশগুপ্ত পরিবারে যেন কালো মেঘের ছায়া সরেনি।
সুচিত্রা এখনও গোঁসা করে আছে। জয়ন্ত ডিউটিতে ব্যস্ত থাকলেও খেয়াল করে মিতা আর তাকে মেসেজ করে না। ছাদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলে জয়ন্তকে দেখলেই ঘরে ঢুকে যায়। সুচিত্রা খুব স্বাভাবিক ভাবেই সংসারে সকল কিছু সামলে যাচ্ছে। ওর কলেজে ছুটি পড়েছে সদ্য।
সকালে চা জলখাবার দেবার সময় সুচি প্রথম কথা বলল জয়ন্তের সাথে। বলল---চা শেষ। ফেরার সময় এনো।
জয়ন্তের মত অংশুও খুশি হল। আজ চারদিন পর মা কথা বলল বাবার সাথে। জয়ন্ত ভাবলে কিছু একটা করা দরকার সুচির মন পেতে। কিন্তু তার ভয় হয়, সে যে ব্যাভিচারী। সুচি কি কোনোভাবেই তাকে মাফ করতে পারবে?
ডিউটিতে যাবার মুখে হাত ঘড়িটা বাঁধছিল জয়ন্ত। সুচি বললে---পিউ আসছে পরের সপ্তাহে।
জয়ন্ত ব্যাগটায় স্টেথোস্কোপ ভরতে ভরতে বললে---ওর তো সামনেই ফার্স্ট সেমিস্টার। এখনো হোস্টেলে তেমন সেটল হল না। আবার বাড়ি আসার কি দরকার।
সুচি তার কালো ফ্রেমের চশমার ওপর দিয়ে তাকালো জয়ন্তের দিকে। গম্ভীরভাবে বলল---আমি ডেকেছি।
---কেন?
---ও' এলেই জানতে পারবে।
জয়ন্ত হতবাক হল। সুচি হঠাৎ কেন পিউকে ডেকে পাঠালো। সুচি সাধারণত ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে বড্ড সচেতন। তাহলে কেন পিউয়ের এমন সামনে পরীক্ষা, তাও ডেকে পাঠলো!
অংশু খুশি খুশি বললে---দিদি আসছে মা?
ছেলের দিকে গম্ভীরভাবে তাকালো সুচিত্রা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো উত্তর করল না। বলল---তোর স্কু লের টাইম হল। স্নান করে নে, ভাত বেড়ে দিচ্ছি।
***