09-11-2024, 08:34 PM
(This post was last modified: 09-11-2024, 08:35 PM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পর্ব: ১৭
ভারী বর্ষণ না হলে আজ দুয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে সকালে। এখন আবার ঝকঝকে রোদ। মা স্কু ল বেরোনোর মিনিট কয়েকের মধ্যে বিল্টু ভেঙে ফেলল বাবা-মায়ের বেডরুমে রাখা কাচের শোপিসটা।
মা ওটা এনেছিল স্কু লের এক্সকারসেনে থেকে। অংশু ভারী বকা দিল অংশুকে। বিল্টুর তাতে খানিক ভয় হলেও পর মুহূর্তে সে ভয় কেটে গিয়ে আবার দুরন্তপনা শুরু করেছে।
আজ শনিবার মা স্কু ল থেকে দেড়টার মধ্যে এসে পড়বে। অংশু তাই মা এলেই ভাত খাবে। বাবা ডিউটিতে গেছে একটু দেরি করে। দুটোর আগে ফিরবে না। লাট্টু গুনগুন করে একা একা কথা বলে যাচ্ছে মেঝেতে ওর খেলনা গাড়ি ছুটিয়ে।
অংশু পড়ার রুমে বসে ইংরেজির অ্যাক্টিভিটিজগুলো করছিল। বেলা বয়ে যাচ্ছে। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। মা ছাতা নিয়ে গেছে কিনা জানা নেই অংশুর। অবশ্য মায়ের ব্যাগে জলের বোতল আর ছাতা থাকাটা সাধারণ ব্যাপার।
অংশু স্নানটা সেরে নিল এই সুযোগে। নীচে মায়ের গলা পাচ্ছে অংশু। ঘড়িতে দেখল একটা দশ। মা ফিরেছে বোধহয়। সে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে দেখল মা কারো সাথে কথা বলছে গেটের মুখে দাঁড়িয়ে। আঁচল দিয়ে নাক চাপা দিয়ে রেখেছে মা।
অংশু সিঁড়ি মুখে দাঁড়িয়ে বলল---মা, কে গো?
উত্তর করল না মা। অবিরত কাউকে বলে যাচ্ছে---তোমাকে বলেছি না মদ খেলে আসবে না।
অংশু বুঝতে পারল মা কার সাথে কথা বলছে। খানিক সিঁড়ি ভেঙে নেমে যেতেই দেখতে পেল গফুরকে। গ্রিল গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে হলদে দাঁত বের করে হাসছে। আর অসংলগ্নভাবে বলছে---কিছু...খে..তে দিবি..না তো সু-চি-ত্রা? তবে প-য়সা..দে, হো-টে-লে খেয়ে...নেব।
---পয়সা দিলে তো তুমি মদ খেয়ে উড়িয়ে দেবে।
হে হে করে বিচ্ছিরি রকম হাসলো গফুর। বলল---তা-হলে খে-তে-ই দে।
মা বাধ্য হয়ে গ্রিল গেটটা খুলে দিল। গফুর ঢুকে পড়তে নীচ তলাটা মদের গন্ধে ভরে উঠল। মা নাকে আঁচল চাপ দিয়ে বললে---ঐ খানে বসো দূর
দীর্ঘ চেহারার গফুর সিঁড়ির কাছে মেঝেতে বসে পড়ল তৎক্ষনাৎ। অংশু বুঝলো লোকটা অনেক মদ গিলেছে। বসে পড়বার সময় যেন টাল সামলাতে পারলো না। ওর নোংরা প্যান্ট জামাতে কাদা লেগে আছে। বোধ হয় কোথাও পড়ে গিয়েছিল।
অংশুর বড্ড খারাপ লাগলো। লোকটা আর যা হোক ঝুমুর মাসির প্রেমিক ছিল। প্রেমের সাফল্যে হয়ত সুস্থ জীবন-যাপন করত। কিন্তু এক অদ্ভুত ট্রাজেডি হয়েছে ওর জীবনে। যে ট্রাজেডির জন্য যে মা দায়ী সে কথা ডায়েরির সৌজন্যে আজ অংশু জানে।
মা দোতলায় এসে বলল---কি রে তোর বাবা আসেনি?
---বাবা আসতে সেই দুটো বাজবে।
শাড়িটা বদল না করে মা ব্যাগটা সোফার উপর রেখে রান্নাঘরে চলে গেল সোজাসুজি। কাগজে প্লেটে ভাত, তরকারি বেড়ে নিয়ে নীচে নেমে গেল। মায়ের পিছু নিল বিট্টু-লাট্টু।
ওদের বাবাকে দেখে আনন্দে লাফালাফি করল দুজনে। লাট্টু আধো আধো গলায় 'আব্বা..আব্বা' করে এগিয়ে যেতেই মা ওকে টেনে এনে বলল---একদম কাছে যাবি না।
অংশুর খারাপ লাগলো। ওরা তো গফুরেরই ছেলে। মা ওদের কাছে যেতে বাধা দিচ্ছে। গফুর তার ছোট ছেলেটিকে বললে---লা-ট-টু..বি-ট-টু..তোরা খে-ছি-স?
লাট্টু কিছু বলতে না পারলেও বিট্টু বললে---মা দুদু খেয়েছি..
গফুর কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা বললে---গফুর দা, ছেলে দুটোর কথা ভেবে তো নেশা করা ছেড়ে দিতে পারো।
এঁটো মুখে খাবার চিবোতে ঘিনঘিনে মদ্যপ লোকটা বলল---নেশা..কি..আমি করি রে সু-চি-ত্রা...নেশা..আ-মা-কে..খায়।
মা শাড়ির আঁচল নাকে চাপা দিয়ে আছে। গফুর মাকে এভাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এঁটো মুখে গ্রাস গিলে বলল---হা-সি-না..খা-ন-কি..মাগী, বহুত চে-স-টা..করে-ছিল...শালী..! সে..কি..আমার ঝু-মুর..রে?
মা গফুরের মুখের অশ্লীল শব্দ চয়নে বিরক্ত হল। তবু বললে---ঝুমুর যদি থাকতো, তোমাকে এমন দেখলে খুশি হত?
লাল চোখে কেমন ভয়নাক ভাবে মায়ের দিকে তাকালো গফুর। তারপর হেসে বলল---শা-লী.. থাক-লেই ক-ই। থাক-লে...অন্য ম-র-দ নিয়ে থাকতো।
এতক্ষনে অংশু লক্ষ্য করল সে যে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে খেয়াল করেনি মা। তাই বলল---অংশু, বিট্টু-লাট্টুকে নিয়ে যা ওপরে।
গফুর ঝোল মাখা দাড়ি গোঁফে বললে---আ-মা-র...এখন মে-য়ে-ছে-লে দর-কার সুচি-ত-রা।
অংশু ততক্ষনে বিট্টু-লাট্টুকে নিয়ে সিঁড়ির কয়েক ধাপ পেরিয়ে আড়াল হয়েছে। সে শুনতে পেল মা হেসে হেসে বলল---খালি কিসব নোংরা নোংরা কথা। চুপচাপ খেয়ে বিদেয় হও। তোমার এই মদ খেয়ে আসা দেখলে আমার কর্তা বিরক্ত হবে।
মা'ও খানিক মধ্যে চলে এলো। শাড়িটা বদলে নাইটি গলিয়ে নিল মা। বিট্টু লাট্টুর গা থেকে গেঞ্জিগুলো খুলিয়ে স্নান করানোর জন্য রেডি করছে সে। বিট্টু বলল---মা, আব্বা চলে গেছে?
মা ওর মাথায় তেল দিতে দিতে হেসে হেসে বললে---না। কেন? একদম যাবি না। এতবড় ছেলে দুদু খাস, সেটাও বলে দিচ্ছিস বাপকে...!
লাট্টু আর বিট্টুকে স্নান করাতে নিয়ে গেল মা। অংশু বললে---মা, তাড়াতাড়ি করো। বড্ড খিদে পেয়েছে।
***
ভারী বর্ষণ না হলে আজ দুয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে সকালে। এখন আবার ঝকঝকে রোদ। মা স্কু ল বেরোনোর মিনিট কয়েকের মধ্যে বিল্টু ভেঙে ফেলল বাবা-মায়ের বেডরুমে রাখা কাচের শোপিসটা।
মা ওটা এনেছিল স্কু লের এক্সকারসেনে থেকে। অংশু ভারী বকা দিল অংশুকে। বিল্টুর তাতে খানিক ভয় হলেও পর মুহূর্তে সে ভয় কেটে গিয়ে আবার দুরন্তপনা শুরু করেছে।
আজ শনিবার মা স্কু ল থেকে দেড়টার মধ্যে এসে পড়বে। অংশু তাই মা এলেই ভাত খাবে। বাবা ডিউটিতে গেছে একটু দেরি করে। দুটোর আগে ফিরবে না। লাট্টু গুনগুন করে একা একা কথা বলে যাচ্ছে মেঝেতে ওর খেলনা গাড়ি ছুটিয়ে।
অংশু পড়ার রুমে বসে ইংরেজির অ্যাক্টিভিটিজগুলো করছিল। বেলা বয়ে যাচ্ছে। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। মা ছাতা নিয়ে গেছে কিনা জানা নেই অংশুর। অবশ্য মায়ের ব্যাগে জলের বোতল আর ছাতা থাকাটা সাধারণ ব্যাপার।
অংশু স্নানটা সেরে নিল এই সুযোগে। নীচে মায়ের গলা পাচ্ছে অংশু। ঘড়িতে দেখল একটা দশ। মা ফিরেছে বোধহয়। সে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে দেখল মা কারো সাথে কথা বলছে গেটের মুখে দাঁড়িয়ে। আঁচল দিয়ে নাক চাপা দিয়ে রেখেছে মা।
অংশু সিঁড়ি মুখে দাঁড়িয়ে বলল---মা, কে গো?
উত্তর করল না মা। অবিরত কাউকে বলে যাচ্ছে---তোমাকে বলেছি না মদ খেলে আসবে না।
অংশু বুঝতে পারল মা কার সাথে কথা বলছে। খানিক সিঁড়ি ভেঙে নেমে যেতেই দেখতে পেল গফুরকে। গ্রিল গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে হলদে দাঁত বের করে হাসছে। আর অসংলগ্নভাবে বলছে---কিছু...খে..তে দিবি..না তো সু-চি-ত্রা? তবে প-য়সা..দে, হো-টে-লে খেয়ে...নেব।
---পয়সা দিলে তো তুমি মদ খেয়ে উড়িয়ে দেবে।
হে হে করে বিচ্ছিরি রকম হাসলো গফুর। বলল---তা-হলে খে-তে-ই দে।
মা বাধ্য হয়ে গ্রিল গেটটা খুলে দিল। গফুর ঢুকে পড়তে নীচ তলাটা মদের গন্ধে ভরে উঠল। মা নাকে আঁচল চাপ দিয়ে বললে---ঐ খানে বসো দূর
দীর্ঘ চেহারার গফুর সিঁড়ির কাছে মেঝেতে বসে পড়ল তৎক্ষনাৎ। অংশু বুঝলো লোকটা অনেক মদ গিলেছে। বসে পড়বার সময় যেন টাল সামলাতে পারলো না। ওর নোংরা প্যান্ট জামাতে কাদা লেগে আছে। বোধ হয় কোথাও পড়ে গিয়েছিল।
অংশুর বড্ড খারাপ লাগলো। লোকটা আর যা হোক ঝুমুর মাসির প্রেমিক ছিল। প্রেমের সাফল্যে হয়ত সুস্থ জীবন-যাপন করত। কিন্তু এক অদ্ভুত ট্রাজেডি হয়েছে ওর জীবনে। যে ট্রাজেডির জন্য যে মা দায়ী সে কথা ডায়েরির সৌজন্যে আজ অংশু জানে।
মা দোতলায় এসে বলল---কি রে তোর বাবা আসেনি?
---বাবা আসতে সেই দুটো বাজবে।
শাড়িটা বদল না করে মা ব্যাগটা সোফার উপর রেখে রান্নাঘরে চলে গেল সোজাসুজি। কাগজে প্লেটে ভাত, তরকারি বেড়ে নিয়ে নীচে নেমে গেল। মায়ের পিছু নিল বিট্টু-লাট্টু।
ওদের বাবাকে দেখে আনন্দে লাফালাফি করল দুজনে। লাট্টু আধো আধো গলায় 'আব্বা..আব্বা' করে এগিয়ে যেতেই মা ওকে টেনে এনে বলল---একদম কাছে যাবি না।
অংশুর খারাপ লাগলো। ওরা তো গফুরেরই ছেলে। মা ওদের কাছে যেতে বাধা দিচ্ছে। গফুর তার ছোট ছেলেটিকে বললে---লা-ট-টু..বি-ট-টু..তোরা খে-ছি-স?
লাট্টু কিছু বলতে না পারলেও বিট্টু বললে---মা দুদু খেয়েছি..
গফুর কিছু বুঝে ওঠার আগেই মা বললে---গফুর দা, ছেলে দুটোর কথা ভেবে তো নেশা করা ছেড়ে দিতে পারো।
এঁটো মুখে খাবার চিবোতে ঘিনঘিনে মদ্যপ লোকটা বলল---নেশা..কি..আমি করি রে সু-চি-ত্রা...নেশা..আ-মা-কে..খায়।
মা শাড়ির আঁচল নাকে চাপা দিয়ে আছে। গফুর মাকে এভাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এঁটো মুখে গ্রাস গিলে বলল---হা-সি-না..খা-ন-কি..মাগী, বহুত চে-স-টা..করে-ছিল...শালী..! সে..কি..আমার ঝু-মুর..রে?
মা গফুরের মুখের অশ্লীল শব্দ চয়নে বিরক্ত হল। তবু বললে---ঝুমুর যদি থাকতো, তোমাকে এমন দেখলে খুশি হত?
লাল চোখে কেমন ভয়নাক ভাবে মায়ের দিকে তাকালো গফুর। তারপর হেসে বলল---শা-লী.. থাক-লেই ক-ই। থাক-লে...অন্য ম-র-দ নিয়ে থাকতো।
এতক্ষনে অংশু লক্ষ্য করল সে যে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে খেয়াল করেনি মা। তাই বলল---অংশু, বিট্টু-লাট্টুকে নিয়ে যা ওপরে।
গফুর ঝোল মাখা দাড়ি গোঁফে বললে---আ-মা-র...এখন মে-য়ে-ছে-লে দর-কার সুচি-ত-রা।
অংশু ততক্ষনে বিট্টু-লাট্টুকে নিয়ে সিঁড়ির কয়েক ধাপ পেরিয়ে আড়াল হয়েছে। সে শুনতে পেল মা হেসে হেসে বলল---খালি কিসব নোংরা নোংরা কথা। চুপচাপ খেয়ে বিদেয় হও। তোমার এই মদ খেয়ে আসা দেখলে আমার কর্তা বিরক্ত হবে।
মা'ও খানিক মধ্যে চলে এলো। শাড়িটা বদলে নাইটি গলিয়ে নিল মা। বিট্টু লাট্টুর গা থেকে গেঞ্জিগুলো খুলিয়ে স্নান করানোর জন্য রেডি করছে সে। বিট্টু বলল---মা, আব্বা চলে গেছে?
মা ওর মাথায় তেল দিতে দিতে হেসে হেসে বললে---না। কেন? একদম যাবি না। এতবড় ছেলে দুদু খাস, সেটাও বলে দিচ্ছিস বাপকে...!
লাট্টু আর বিট্টুকে স্নান করাতে নিয়ে গেল মা। অংশু বললে---মা, তাড়াতাড়ি করো। বড্ড খিদে পেয়েছে।
***