25-10-2024, 11:37 PM
পর্ব: ১৫
কোচিং ক্লাসে ব্যাচে বায়োলজিটা পড়তে যায় অংশু। বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছেলে যারা, তারা কখনোই এই সাবজেক্টটাকে গুরুত্ব দিল না। সব সময় এক কোনে অমর্যাদায় পড়ে থাকার মত অচ্ছুত রইল সে। অংশুও এই সাবজেক্টটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলেই, মা যখন বায়োলজির জন্য হোম টিউটর রাখবে বলেছিল তখন অংশু বাধা দেয়। ওটা সে ব্যাচেই পড়ে নেবে।
আজ সকালে কোচিংয়ের ব্যাচে বিবর্তন চ্যাপ্টারটা পড়াচ্ছিলেন বিমল বাবু। এই একটা চ্যাপ্টার বেশ টানে অংশুকে। আসলে জয়েন্ট দিয়ে মেডিক্যালে যাবার বাসনায় তার ইতিহাসের মত প্রিয়তম বিষয়টিকে ছাড়তে হয়েছে। সেই ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই বিবর্তন অধ্যায়ের। মানুষের অতীত, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তার পূর্ব পুরুষের বিবর্তন, তার ট্যাক্সনমি বেশ ভালো লাগে অংশুর।
সকাল সাড়ে ন'টায় ছুটি হতেই অভীক বললে---যাবি নাকি আমাদের বাড়ি, ক্যারাম খেলব। পুরো গরমের ছুটিটাই তো কাটতে চলল। একবারও তো এলি না।
অংশু হাসলো। বলল---উপায় নেই। আমাদের বাড়িতে এখন দুটো ডাকাতের উপদ্রব হয়েছে।
---ডাকাত! চমকে উঠল অভীক।
অংশু হাসতে হাসতে বললে---আমাদের বাড়িতে দুটো বাচ্চা থাকে এখন। ওদের উৎপাতকে ডাকাতিই বলতে পারিস।
কথা বলতে বলতে অভীকের বাড়ির কাছে এসে গেল ওরা। অটো থেকে নেমে অভীক চলে গেল ওকে হাত নেড়ে। অংশু নামবে আরো একটা স্টপেজ পরে।
বাবার আজ মর্নিং ডিউটি আছে। খুব ভোরে হাসপাতাল বেরিয়েছে বাবা। অংশু বাড়ির গ্রিল খুলে ঢুকতে গিয়ে দেখল নীচ তলার বারান্দায় মেঝেতে গফুর বসে আছে। কব্জি ডুবিয়ে সকাল সকাল ভাত খাচ্ছে ও'। মা পাশে দাঁড়িয়ে বললে---আর ভাত দেব গফুর দা?
মায়ের কলেজ আছে। সদ্য স্নান করে ভেজা চুল খুলে রেখেছে মা। কাগজের থালায় গফুরকে ভাত আর মাছের ঝোল দিয়েছে খেতে। লোকটা গোগ্রাসে খাবার গিলছে এক মনে। নোংরা দাড়ি গোঁফে সেই ঝোল খানিকটা লেগে আছে ওর।
ওর অপরিচ্ছন্ন নোংরা পোষাক আষাকের জন্য সামান্য দূরত্ব রেখে মা ওর খাওয়া দেখছে। বললে---খাওয়া হয়ে গেলে পেছনে টিউবওয়েল আছে গফুর দা, মুখ ধুয়ে নেও।
লোকটা নির্বিকার ভাবে খেয়ে যাচ্ছে। আজ মদ খেয়ে আসেনি যে গফুর, অংশু বুঝতে পারছে। বড্ড গম্ভীর স্বভাবের মনে হচ্ছে গফুরকে। খাওয়া শেষ করে এঁটোকাঁটা নিজেই গুছিয়ে পাতাটা তুলে নিয়ে গেল পেছনের কলতলায়। ওখানে মুখ হাত ধুলো লোকটা। দাঁড়িয়ে রইল অনেকক্ষন গেটের কাছটা।
অংশু দেখলে গফুরের উচ্চতা সত্যিই সাংঘাতিক। ভবঘুরে মাতালের জীবনযাপন করলেও বেশ পেটানো চেহারা এখনো নজর কাড়ে। মা বলেছিল এ' লোক নাকি ফুটবল খেলত। অংশু ভাবলে নির্ঘাত ডিফেন্ডার ছিল গফুর। লম্বা লম্বা পায়ে তাল গাছের মত তাগড়াই শরীর গোলপোস্টের সামনে অমন দেওয়াল হয়ে থাকলে জালে গোল ঢোকায় এমন কার ক্ষমতা আছে।
অংশু কাঁধের বই ব্যাগ নিয়ে সোজা চলে গেল দোতলায়। মা খানিক বাদে দোতলায় এসে পৌঁছল। বললে---অংশু ক'টা বাজলো দেখ দেখি। আমার বড্ড দেরী হয়ে গেল। এমন সময় এলো গফুর দা'। বেচারা খেতে চাইলো।
অংশু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে---দশটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি।
মা তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে শাড়ি পরতে লাগলো। বিট্টু লাট্টু মায়ের পিছু পিছু হাজির। মা শাড়ি পরতে পরতে বললে---একদম দুষ্টুমি করবি না তোরা। দাদার কথা মত চলবি।
অংশু দেখল বিট্টু মায়ের শাড়ি পরার সময় দুদুগুলো আলগা হতে দেখে আবদার করে বললে---মা, দুদু... দুদু খাবো।
মায়ের মুখে হাসি। বললে---এখন না। দেরী হয়ে গেছে। তোদের বাবা এসে দেরি করে দিলে আমার।
মা একটা হলদে পাড়ের গাঢ় নীল রঙের শাড়ি পরছে। তার সাথে হলুদ ব্লাউজ। ফর্সা গায়ে মাকে হলদে রঙটা বেশ মানায়। বিট্টু নাছোড়বান্দা। অনবরত মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে টান মেরে বলে যাচ্ছে কাঁদোমাদো হয়ে---মা...দুদু...মা..
বাধ্য হয়ে মা শাড়িটা পিন করে চুলটা বেঁধে নিয়ে বসে পড়ল ড্রয়িং রুমের সোফাতে পা গুটিয়ে। তারপর বিট্টুকে বললে---আয়...
বিট্টুর চোখেমুখে আনন্দ। এই এখুনি মায়ের দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাড়া। এখন বিট্টুর আবদার মেটাতে মা আঁচলের ভেতর হাত ভরে ব্লাউজের হুক খুলছে। আট বছরের বিট্টুকে কোলে নিয়ে মা আলগা করে দিল অংশুর সামনেই বাম স্তনটা। খুশিতে বিট্টু দ্রুত স্তনবৃন্তটা মুখে পুরে নিয়ে চোঁ চোঁ টানা শুরু করল।
লাট্টুটা ফ্যালফ্যালিয়ে দেখছে কিভাবে তার দাদা মায়ের কোলে শুয়ে দুদু খাচ্ছে। অংশু প্রথমে ভাবলো মা বোধ হয় খেয়াল করেনি ওর দিকে। পরে ভুল ভাঙল তার। মা লাট্টুর হাত ধরে টেনে আনলো কোলের ওপর পাশে। আরেকটা স্তন আলগা করে দিল ওর মুখে।
কলেজ যাবার আগে মা দুটোকে দুধ খাওয়াতে লাগলো স্নেহের পরশে। ঘড়ির দিকে একবার দেখে নিল মাঝে। তারপর বললে---অংশু, আমার ঘড়িটা দে তো।
অংশু এনে দিল মায়ের কালো ফিতের রিস্ট ওয়াচটা। মা ওদের বুকের দুধ দিতে দিতেই ঘড়িটা বেঁধে নিল হাতে। অংশু বললে---মা, তোমার কি ফিরতে দেরি হবে আজ?
---কেন? কোথায় যাবি নাকি?
---অভীকের বাড়ি যাবো। ও' ডাকছিল।
---না। বিট্টু-লাট্টুকে ছেড়ে কোথাও যাস না। আজ আমার লাস্ট পিরিয়ডে ক্লাস আছে। তাড়াতাড়ি আসতে পারব না। ওদের লক্ষ্য রাখিস।
---ওদের! সারাদিন যা বাড়িতে উৎপাত করে! আমি আর পারবো না। জিনিসপত্র সব ভেঙে রেখে দেবে!
মা হাসলো। দুধপান রত বিট্টুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল---কি রে? দাদা কি বলছে? বড্ড দুষ্টুমি করিস?
বিট্টু তখন মগ্ন মায়ের দুধে পুষ্ট স্তনটা হাতে নিয়ে মুখ ভরে টানতে টানতে। ও যখন দুধ খায় বড্ড ছটফট করে। লাট্টুটা বরং শান্ত হয়ে মায়ের দুধ খাচ্ছে। অংশু খেয়াল করে মা একটু ওকে বেশিই দুধ দেয়। আসলে লাট্টু মায়ের দুধ ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না। বিট্টুর তা নয়। খাবার দেখলে যেমন লোভ, তেমন মায়ের দুধপানেও ওর খামতি নেই।
অংশুর বড্ড বিরক্তি হয়। এত বড় বড় দুটো নোংরা বদনের ফুটপাতের বাচ্চাকে কেন যে মা এত আদর করে কে জানে!
ওদের দুধ খাইয়ে মা ব্লাউজ এঁটে উঠে পড়ল। শাড়িটা সামান্য এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় ঠিক করে নিয়ে জল খেল মা। তারপর জলের বোতল ও ছাতাটা ব্যাগে ঢুকিয়ে কাঁধে নিয়ে বলল---আসি রে অংশু। সাবধানে থাকিস। দুপুরে খেয়ে নিস।
***
কোচিং ক্লাসে ব্যাচে বায়োলজিটা পড়তে যায় অংশু। বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছেলে যারা, তারা কখনোই এই সাবজেক্টটাকে গুরুত্ব দিল না। সব সময় এক কোনে অমর্যাদায় পড়ে থাকার মত অচ্ছুত রইল সে। অংশুও এই সাবজেক্টটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলেই, মা যখন বায়োলজির জন্য হোম টিউটর রাখবে বলেছিল তখন অংশু বাধা দেয়। ওটা সে ব্যাচেই পড়ে নেবে।
আজ সকালে কোচিংয়ের ব্যাচে বিবর্তন চ্যাপ্টারটা পড়াচ্ছিলেন বিমল বাবু। এই একটা চ্যাপ্টার বেশ টানে অংশুকে। আসলে জয়েন্ট দিয়ে মেডিক্যালে যাবার বাসনায় তার ইতিহাসের মত প্রিয়তম বিষয়টিকে ছাড়তে হয়েছে। সেই ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক রয়েছে এই বিবর্তন অধ্যায়ের। মানুষের অতীত, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তার পূর্ব পুরুষের বিবর্তন, তার ট্যাক্সনমি বেশ ভালো লাগে অংশুর।
সকাল সাড়ে ন'টায় ছুটি হতেই অভীক বললে---যাবি নাকি আমাদের বাড়ি, ক্যারাম খেলব। পুরো গরমের ছুটিটাই তো কাটতে চলল। একবারও তো এলি না।
অংশু হাসলো। বলল---উপায় নেই। আমাদের বাড়িতে এখন দুটো ডাকাতের উপদ্রব হয়েছে।
---ডাকাত! চমকে উঠল অভীক।
অংশু হাসতে হাসতে বললে---আমাদের বাড়িতে দুটো বাচ্চা থাকে এখন। ওদের উৎপাতকে ডাকাতিই বলতে পারিস।
কথা বলতে বলতে অভীকের বাড়ির কাছে এসে গেল ওরা। অটো থেকে নেমে অভীক চলে গেল ওকে হাত নেড়ে। অংশু নামবে আরো একটা স্টপেজ পরে।
বাবার আজ মর্নিং ডিউটি আছে। খুব ভোরে হাসপাতাল বেরিয়েছে বাবা। অংশু বাড়ির গ্রিল খুলে ঢুকতে গিয়ে দেখল নীচ তলার বারান্দায় মেঝেতে গফুর বসে আছে। কব্জি ডুবিয়ে সকাল সকাল ভাত খাচ্ছে ও'। মা পাশে দাঁড়িয়ে বললে---আর ভাত দেব গফুর দা?
মায়ের কলেজ আছে। সদ্য স্নান করে ভেজা চুল খুলে রেখেছে মা। কাগজের থালায় গফুরকে ভাত আর মাছের ঝোল দিয়েছে খেতে। লোকটা গোগ্রাসে খাবার গিলছে এক মনে। নোংরা দাড়ি গোঁফে সেই ঝোল খানিকটা লেগে আছে ওর।
ওর অপরিচ্ছন্ন নোংরা পোষাক আষাকের জন্য সামান্য দূরত্ব রেখে মা ওর খাওয়া দেখছে। বললে---খাওয়া হয়ে গেলে পেছনে টিউবওয়েল আছে গফুর দা, মুখ ধুয়ে নেও।
লোকটা নির্বিকার ভাবে খেয়ে যাচ্ছে। আজ মদ খেয়ে আসেনি যে গফুর, অংশু বুঝতে পারছে। বড্ড গম্ভীর স্বভাবের মনে হচ্ছে গফুরকে। খাওয়া শেষ করে এঁটোকাঁটা নিজেই গুছিয়ে পাতাটা তুলে নিয়ে গেল পেছনের কলতলায়। ওখানে মুখ হাত ধুলো লোকটা। দাঁড়িয়ে রইল অনেকক্ষন গেটের কাছটা।
অংশু দেখলে গফুরের উচ্চতা সত্যিই সাংঘাতিক। ভবঘুরে মাতালের জীবনযাপন করলেও বেশ পেটানো চেহারা এখনো নজর কাড়ে। মা বলেছিল এ' লোক নাকি ফুটবল খেলত। অংশু ভাবলে নির্ঘাত ডিফেন্ডার ছিল গফুর। লম্বা লম্বা পায়ে তাল গাছের মত তাগড়াই শরীর গোলপোস্টের সামনে অমন দেওয়াল হয়ে থাকলে জালে গোল ঢোকায় এমন কার ক্ষমতা আছে।
অংশু কাঁধের বই ব্যাগ নিয়ে সোজা চলে গেল দোতলায়। মা খানিক বাদে দোতলায় এসে পৌঁছল। বললে---অংশু ক'টা বাজলো দেখ দেখি। আমার বড্ড দেরী হয়ে গেল। এমন সময় এলো গফুর দা'। বেচারা খেতে চাইলো।
অংশু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে---দশটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি।
মা তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে শাড়ি পরতে লাগলো। বিট্টু লাট্টু মায়ের পিছু পিছু হাজির। মা শাড়ি পরতে পরতে বললে---একদম দুষ্টুমি করবি না তোরা। দাদার কথা মত চলবি।
অংশু দেখল বিট্টু মায়ের শাড়ি পরার সময় দুদুগুলো আলগা হতে দেখে আবদার করে বললে---মা, দুদু... দুদু খাবো।
মায়ের মুখে হাসি। বললে---এখন না। দেরী হয়ে গেছে। তোদের বাবা এসে দেরি করে দিলে আমার।
মা একটা হলদে পাড়ের গাঢ় নীল রঙের শাড়ি পরছে। তার সাথে হলুদ ব্লাউজ। ফর্সা গায়ে মাকে হলদে রঙটা বেশ মানায়। বিট্টু নাছোড়বান্দা। অনবরত মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে টান মেরে বলে যাচ্ছে কাঁদোমাদো হয়ে---মা...দুদু...মা..
বাধ্য হয়ে মা শাড়িটা পিন করে চুলটা বেঁধে নিয়ে বসে পড়ল ড্রয়িং রুমের সোফাতে পা গুটিয়ে। তারপর বিট্টুকে বললে---আয়...
বিট্টুর চোখেমুখে আনন্দ। এই এখুনি মায়ের দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাড়া। এখন বিট্টুর আবদার মেটাতে মা আঁচলের ভেতর হাত ভরে ব্লাউজের হুক খুলছে। আট বছরের বিট্টুকে কোলে নিয়ে মা আলগা করে দিল অংশুর সামনেই বাম স্তনটা। খুশিতে বিট্টু দ্রুত স্তনবৃন্তটা মুখে পুরে নিয়ে চোঁ চোঁ টানা শুরু করল।
লাট্টুটা ফ্যালফ্যালিয়ে দেখছে কিভাবে তার দাদা মায়ের কোলে শুয়ে দুদু খাচ্ছে। অংশু প্রথমে ভাবলো মা বোধ হয় খেয়াল করেনি ওর দিকে। পরে ভুল ভাঙল তার। মা লাট্টুর হাত ধরে টেনে আনলো কোলের ওপর পাশে। আরেকটা স্তন আলগা করে দিল ওর মুখে।
কলেজ যাবার আগে মা দুটোকে দুধ খাওয়াতে লাগলো স্নেহের পরশে। ঘড়ির দিকে একবার দেখে নিল মাঝে। তারপর বললে---অংশু, আমার ঘড়িটা দে তো।
অংশু এনে দিল মায়ের কালো ফিতের রিস্ট ওয়াচটা। মা ওদের বুকের দুধ দিতে দিতেই ঘড়িটা বেঁধে নিল হাতে। অংশু বললে---মা, তোমার কি ফিরতে দেরি হবে আজ?
---কেন? কোথায় যাবি নাকি?
---অভীকের বাড়ি যাবো। ও' ডাকছিল।
---না। বিট্টু-লাট্টুকে ছেড়ে কোথাও যাস না। আজ আমার লাস্ট পিরিয়ডে ক্লাস আছে। তাড়াতাড়ি আসতে পারব না। ওদের লক্ষ্য রাখিস।
---ওদের! সারাদিন যা বাড়িতে উৎপাত করে! আমি আর পারবো না। জিনিসপত্র সব ভেঙে রেখে দেবে!
মা হাসলো। দুধপান রত বিট্টুর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল---কি রে? দাদা কি বলছে? বড্ড দুষ্টুমি করিস?
বিট্টু তখন মগ্ন মায়ের দুধে পুষ্ট স্তনটা হাতে নিয়ে মুখ ভরে টানতে টানতে। ও যখন দুধ খায় বড্ড ছটফট করে। লাট্টুটা বরং শান্ত হয়ে মায়ের দুধ খাচ্ছে। অংশু খেয়াল করে মা একটু ওকে বেশিই দুধ দেয়। আসলে লাট্টু মায়ের দুধ ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না। বিট্টুর তা নয়। খাবার দেখলে যেমন লোভ, তেমন মায়ের দুধপানেও ওর খামতি নেই।
অংশুর বড্ড বিরক্তি হয়। এত বড় বড় দুটো নোংরা বদনের ফুটপাতের বাচ্চাকে কেন যে মা এত আদর করে কে জানে!
ওদের দুধ খাইয়ে মা ব্লাউজ এঁটে উঠে পড়ল। শাড়িটা সামান্য এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় ঠিক করে নিয়ে জল খেল মা। তারপর জলের বোতল ও ছাতাটা ব্যাগে ঢুকিয়ে কাঁধে নিয়ে বলল---আসি রে অংশু। সাবধানে থাকিস। দুপুরে খেয়ে নিস।
***