18-10-2024, 11:52 PM
(This post was last modified: 18-10-2024, 11:53 PM by Henry. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সাত সকালে বাবা-মা দুজনেই কোথায় বেরোলো কে জানে। অংশু বিল্টু-লাট্টু এই দুটোকে সামলাতে পারে না। মা ছাড়া এ' দুটোকে সামলানো কঠিন। বড়টা টিভিতে কার্টুন নিয়ে বসলেও ছোটটা বাড়ির এটা-ওটা টেনে ফেলছে। সৌখিন জিনিসপত্রগুলোকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে।
অংশু ভাবছিল আজ একটু অভীকের বাড়ি যাবে। অনেকদিন ক্যারম খেলা হয়নি। কিন্তু উপায় নেই। উল্টে মা এই দুটো দুরন্ত বাচ্চার দায়িত্ব তার ঘাড়ে দিয়ে বাবার সাথে বেরিয়ে গেল।
ছাদ বারান্দায় ক্রিকেটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে লাগলো সে। ওপার থেকে আচমকা ডাক দিলেন মিতা কাকিমা---অংশু, মা কোথায়?
---মা বেরিয়েছে কাজে।
---আজ তো রবিবার, সুচি দি'র কলেজ নেই!
---না। মা আসলে বাবার সাথে কোথাও গেছে।
অংশু কথাটা বলার পর চুপ করে গেল মিতা কাকিমা। অংশুর আজকাল এই মহিলার উপর ভীষণ রাগ হয়। চোখে সর্বক্ষণ ভাসে সেই দিনটার ছবি। তখন বাবার ওপরও বড্ড রাগ হয় তার। মাকে চিট করছে বাবা। সপ্তাহ খানেক আগেই সে দেখেছে গলি রাস্তার মুখে বাড়ির গেটের আগেভাগেই বাবার গাড়ি থেকে মিতা কাকিমাকে নেমে যেতে। গতকাল রাতেই বাবা আর কাকিমার মধ্যে এই ছাদবারান্দা থেকেই ইশারা হতে দেখেছে অংশু। তার ভয় হয়, মা যদি জানতে পারে বাবার এই পরকীয়া, তাহলে এক নতুন অশান্তির সূত্রপাত হবে তাদের পরিবারে।
***
ম্যামোগ্রাফি যন্ত্রটি বড় অদ্ভুত। জয়ন্ত দেখছিল সুচি লজ্জা লজ্জা চোখে মহিলা চিকিৎসকের সামনে তার দুটি স্তন বের করে আনলো। একটার পর একটাতে মেশিনটা প্রেস হতে লাগল ঠিক জেরক্স মেশিনের মত।
ডাঃ সেন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে বললেন---ম্যামোগ্রাফি রেজাল্ট ঠিক আছে আর ব্লাড রিপোর্ট দেখে ফাইনাল জানাবো। তবে টেনশনের কিছু নেই ম্যাডাম। আপনি কনসিভও করেননি আর ব্রেস্ট ক্যানসারও নয়।
জয়ন্ত তখন সুচির নিশ্চিন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। জয়ন্ত ডাঃ সেনের কলিগ। ডাঃ সেন তাই জয়ন্তের দিকে তাকিয়ে ঠাট্টা করে বললে---অবশ্য জয়ন্ত দা বোধ হয় আবার বাবা হতে চেয়েছিলেন।
জয়ন্ত বললে---হলে পরে সমস্যা ছিল না। ওরই যা টেনশন হচ্ছিল। ছেলে-মেয়েকে কি বলবে।
সুচিত্রা ওদের ঠাট্টা মজায় তেমন গুরুত্ব না দিয়ে লাজুক হাসি মুখে বললে---তাহলে?
---ডাক্তার বাবুর স্ত্রী আপনি। আমার কাছে আসার দরকার ছিল না। জয়ন্ত দা' যা আপনাকে বলেছে তাই। ব্রেস্ট সিমুলেশন বা স্তন উদীপ্ত হলে মায়ের স্তনে দুধ আসে। আসলে মায়েরা যদি শিশুকে নিয়মিত ব্রেস্টফিড করায়, তাহলে ব্রেনের পিটুইটারি প্রোল্যাকটিন নামক একটা হরমোন তৈরি করে। যা এই দুগ্ধক্ষরনের কারণ। জয়ন্ত দা' বললেন আপনি নাকি চাইল্ড এডপ্ট করেছেন। যাকে ড্রাই ব্রেস্ট ফিড করানও। কাজেই ভালোই হল। এটাকে টেনশনের নয়, সাফল্য হিসেবে দেখুন। নিশ্চিন্তে ব্রেস্টফিড করান। ব্লাড রিপোর্ট এলে আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
জয়ন্ত আসলে বিল্টু-লাট্টুর সম্পর্কে ডাঃ সেনকে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে। সুচির ওদের স্তন দেওয়ার বিষয়টা না জানালে ডাক্তারের কাছে ব্রেস্ট সিমুলেশনের কেস হিস্ট্রিটা অজানা থেকে যেত। জয়ন্তকে তাই এই মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়েছে।
সুচির চোখে মুখে নিশ্চিন্ততার ছাপ। জয়ন্ত বললে---ব্লাড রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ওয়েট করবে? নাকি আমি ওটা ডিউটি শেষে নিয়ে যাবো?
সুচি হাসলো। বলল---বাড়িতে অনেক কাজ। বাচ্চা দুটো যে কি করছে কে জানে। তুমি নিয়ে এসো বরং।
চলবে।
অংশু ভাবছিল আজ একটু অভীকের বাড়ি যাবে। অনেকদিন ক্যারম খেলা হয়নি। কিন্তু উপায় নেই। উল্টে মা এই দুটো দুরন্ত বাচ্চার দায়িত্ব তার ঘাড়ে দিয়ে বাবার সাথে বেরিয়ে গেল।
ছাদ বারান্দায় ক্রিকেটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে লাগলো সে। ওপার থেকে আচমকা ডাক দিলেন মিতা কাকিমা---অংশু, মা কোথায়?
---মা বেরিয়েছে কাজে।
---আজ তো রবিবার, সুচি দি'র কলেজ নেই!
---না। মা আসলে বাবার সাথে কোথাও গেছে।
অংশু কথাটা বলার পর চুপ করে গেল মিতা কাকিমা। অংশুর আজকাল এই মহিলার উপর ভীষণ রাগ হয়। চোখে সর্বক্ষণ ভাসে সেই দিনটার ছবি। তখন বাবার ওপরও বড্ড রাগ হয় তার। মাকে চিট করছে বাবা। সপ্তাহ খানেক আগেই সে দেখেছে গলি রাস্তার মুখে বাড়ির গেটের আগেভাগেই বাবার গাড়ি থেকে মিতা কাকিমাকে নেমে যেতে। গতকাল রাতেই বাবা আর কাকিমার মধ্যে এই ছাদবারান্দা থেকেই ইশারা হতে দেখেছে অংশু। তার ভয় হয়, মা যদি জানতে পারে বাবার এই পরকীয়া, তাহলে এক নতুন অশান্তির সূত্রপাত হবে তাদের পরিবারে।
***
ম্যামোগ্রাফি যন্ত্রটি বড় অদ্ভুত। জয়ন্ত দেখছিল সুচি লজ্জা লজ্জা চোখে মহিলা চিকিৎসকের সামনে তার দুটি স্তন বের করে আনলো। একটার পর একটাতে মেশিনটা প্রেস হতে লাগল ঠিক জেরক্স মেশিনের মত।
ডাঃ সেন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে বললেন---ম্যামোগ্রাফি রেজাল্ট ঠিক আছে আর ব্লাড রিপোর্ট দেখে ফাইনাল জানাবো। তবে টেনশনের কিছু নেই ম্যাডাম। আপনি কনসিভও করেননি আর ব্রেস্ট ক্যানসারও নয়।
জয়ন্ত তখন সুচির নিশ্চিন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। জয়ন্ত ডাঃ সেনের কলিগ। ডাঃ সেন তাই জয়ন্তের দিকে তাকিয়ে ঠাট্টা করে বললে---অবশ্য জয়ন্ত দা বোধ হয় আবার বাবা হতে চেয়েছিলেন।
জয়ন্ত বললে---হলে পরে সমস্যা ছিল না। ওরই যা টেনশন হচ্ছিল। ছেলে-মেয়েকে কি বলবে।
সুচিত্রা ওদের ঠাট্টা মজায় তেমন গুরুত্ব না দিয়ে লাজুক হাসি মুখে বললে---তাহলে?
---ডাক্তার বাবুর স্ত্রী আপনি। আমার কাছে আসার দরকার ছিল না। জয়ন্ত দা' যা আপনাকে বলেছে তাই। ব্রেস্ট সিমুলেশন বা স্তন উদীপ্ত হলে মায়ের স্তনে দুধ আসে। আসলে মায়েরা যদি শিশুকে নিয়মিত ব্রেস্টফিড করায়, তাহলে ব্রেনের পিটুইটারি প্রোল্যাকটিন নামক একটা হরমোন তৈরি করে। যা এই দুগ্ধক্ষরনের কারণ। জয়ন্ত দা' বললেন আপনি নাকি চাইল্ড এডপ্ট করেছেন। যাকে ড্রাই ব্রেস্ট ফিড করানও। কাজেই ভালোই হল। এটাকে টেনশনের নয়, সাফল্য হিসেবে দেখুন। নিশ্চিন্তে ব্রেস্টফিড করান। ব্লাড রিপোর্ট এলে আরো ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
জয়ন্ত আসলে বিল্টু-লাট্টুর সম্পর্কে ডাঃ সেনকে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে। সুচির ওদের স্তন দেওয়ার বিষয়টা না জানালে ডাক্তারের কাছে ব্রেস্ট সিমুলেশনের কেস হিস্ট্রিটা অজানা থেকে যেত। জয়ন্তকে তাই এই মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়েছে।
সুচির চোখে মুখে নিশ্চিন্ততার ছাপ। জয়ন্ত বললে---ব্লাড রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ওয়েট করবে? নাকি আমি ওটা ডিউটি শেষে নিয়ে যাবো?
সুচি হাসলো। বলল---বাড়িতে অনেক কাজ। বাচ্চা দুটো যে কি করছে কে জানে। তুমি নিয়ে এসো বরং।
চলবে।