06-10-2024, 10:17 PM
পর্ব : ১০
আজ রবিবার। মা বাড়িতে। বাবাও ডিউটিতে। অংশু নিজের পড়ার ঘরে বসে অঙ্কে মনোনিবেশ করেছে। অঙ্ক ওর প্রিয় বিষয়। এছাড়া ইতিহাস পড়তে ও' ভালোবাসে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়ার জন্য ওর প্রিয় বিষয় ইতিহাসকে বাদ দিতে হয়েছে। তারপরেও ও' নানারকম ইতিহাসের বই দেখলে কিনে ফেলে।
বাবার বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কটি মনের মধ্যে অনেক দ্বিধা সৃষ্টি করলেও অংশুর পড়াশোনার মনোযোগে ঘাটতি হয়নি। মা এসে বললে---বেলা দেড়টা বাজলো। যা, এবার স্নান করে আয়।
মা সদ্য স্নান করে বেরোলে বাথরুমে একটা সুন্দর গন্ধ পায় অংশু। সাবান-শ্যাম্পুর এই পরিচ্ছন্ন গন্ধটা তার বেশ লাগে।
সে শাওয়ার ছেড়ে গায়ে জল দিল। সর্বাঙ্গ সিক্ত হয়ে উঠলে, থাক থেকে সাবানটা নিতে গিয়ে লক্ষ্য করল ম্যাসোলিনের ডিবেটা। ম্যাসোলিন সম্পর্কে অংশুর কোনো ধারণা নেই। গ্রীক ভাস্কর্য্য আঁকা এই ডিবের ওপর লেখাটা পড়ে বুঝতে পারলো এটা মা ব্যবহার করে। ব্রেস্ট ম্যাসাজ অয়েল ব্যবহার করে কেন মা? কৌতূহলী প্রশ্ন তৈরি হল অংশুর মনে।
ব্রেস্ট ম্যাসাজ করার দরকার কেন হয় অংশুর জানা নেই। বয়ঃসন্ধি থেকে যৌবনমুখী তার বয়স। সবেতেই তার কৌতূহল।
দুপুরবেলাটা মায়ের সাথে লাঞ্চ করছিল অংশু। টেলিফোন বাজতেই মা বলল---অংশু, ফোনটা গিয়ে ধর দেখি।
এঁটো হাতেই বাম হাতে রিসিভারটা ধরল অংশু। বাবার গলা, বললে---তোর মা কোথায়? মাকে ফোনটা দে।
সুচিত্রা ফোন ধরতেই জয়ন্ত বলল---জলদি হাসপাতালে চলে এসো। গফুরের স্ত্রী এক্সপায়ার করেছে। ওর বাড়ির কেউ থাকলে খবর দাও।
সুচি বললে---গফুর দা কোথায় থাকে কি করে খোঁজ পাওয়া মুশকিল। ওর মেয়ে জামাই থাকে বিহারে। এখন আসবে কি করে?
জয়ন্ত প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হল সুচিত্রার ওপর। বলল---গায়ে পড়ে দায় নিয়েছিলে, এবার বোঝো ঠেলা। ডেডবডি নিতে হবে। তারপর দাহ তো হবে না, ওদের তো কবর হয়...
সুচি খাবার ফেলে রেখে শাড়ি পরতে লাগলো।
---কোথায় যাবে, মা? অংশু খাবার চিবোতে চিবোতে জিজ্ঞেস করল।
---তোর বাবার হাসপাতালে।
---কেন?
সুচিত্রা আর কোনো উত্তর দিল না। শাড়িটা পরা হলে চুলটা বেঁধে নিল সে। দ্রুত সাইড ব্যাগটা গুছিয়ে নিয়ে বলল---গেটে তালা দিয়ে রাখিস। ছবি এলে খুলিস। ঘুমিয়ে পড়িস না। ফিরতে দেরি হবে।
মায়ের এই তাড়াহুড়োতে বিস্মিত হল অংশুমান। বাবার হাসপাতালে, মানে তবে কি ঐ গফুরের বউ ভর্তি ছিল, তার কিছু হয়েছে!
***
আজ রবিবার। মা বাড়িতে। বাবাও ডিউটিতে। অংশু নিজের পড়ার ঘরে বসে অঙ্কে মনোনিবেশ করেছে। অঙ্ক ওর প্রিয় বিষয়। এছাড়া ইতিহাস পড়তে ও' ভালোবাসে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়ার জন্য ওর প্রিয় বিষয় ইতিহাসকে বাদ দিতে হয়েছে। তারপরেও ও' নানারকম ইতিহাসের বই দেখলে কিনে ফেলে।
বাবার বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কটি মনের মধ্যে অনেক দ্বিধা সৃষ্টি করলেও অংশুর পড়াশোনার মনোযোগে ঘাটতি হয়নি। মা এসে বললে---বেলা দেড়টা বাজলো। যা, এবার স্নান করে আয়।
মা সদ্য স্নান করে বেরোলে বাথরুমে একটা সুন্দর গন্ধ পায় অংশু। সাবান-শ্যাম্পুর এই পরিচ্ছন্ন গন্ধটা তার বেশ লাগে।
সে শাওয়ার ছেড়ে গায়ে জল দিল। সর্বাঙ্গ সিক্ত হয়ে উঠলে, থাক থেকে সাবানটা নিতে গিয়ে লক্ষ্য করল ম্যাসোলিনের ডিবেটা। ম্যাসোলিন সম্পর্কে অংশুর কোনো ধারণা নেই। গ্রীক ভাস্কর্য্য আঁকা এই ডিবের ওপর লেখাটা পড়ে বুঝতে পারলো এটা মা ব্যবহার করে। ব্রেস্ট ম্যাসাজ অয়েল ব্যবহার করে কেন মা? কৌতূহলী প্রশ্ন তৈরি হল অংশুর মনে।
ব্রেস্ট ম্যাসাজ করার দরকার কেন হয় অংশুর জানা নেই। বয়ঃসন্ধি থেকে যৌবনমুখী তার বয়স। সবেতেই তার কৌতূহল।
দুপুরবেলাটা মায়ের সাথে লাঞ্চ করছিল অংশু। টেলিফোন বাজতেই মা বলল---অংশু, ফোনটা গিয়ে ধর দেখি।
এঁটো হাতেই বাম হাতে রিসিভারটা ধরল অংশু। বাবার গলা, বললে---তোর মা কোথায়? মাকে ফোনটা দে।
সুচিত্রা ফোন ধরতেই জয়ন্ত বলল---জলদি হাসপাতালে চলে এসো। গফুরের স্ত্রী এক্সপায়ার করেছে। ওর বাড়ির কেউ থাকলে খবর দাও।
সুচি বললে---গফুর দা কোথায় থাকে কি করে খোঁজ পাওয়া মুশকিল। ওর মেয়ে জামাই থাকে বিহারে। এখন আসবে কি করে?
জয়ন্ত প্রচন্ড ক্রুদ্ধ হল সুচিত্রার ওপর। বলল---গায়ে পড়ে দায় নিয়েছিলে, এবার বোঝো ঠেলা। ডেডবডি নিতে হবে। তারপর দাহ তো হবে না, ওদের তো কবর হয়...
সুচি খাবার ফেলে রেখে শাড়ি পরতে লাগলো।
---কোথায় যাবে, মা? অংশু খাবার চিবোতে চিবোতে জিজ্ঞেস করল।
---তোর বাবার হাসপাতালে।
---কেন?
সুচিত্রা আর কোনো উত্তর দিল না। শাড়িটা পরা হলে চুলটা বেঁধে নিল সে। দ্রুত সাইড ব্যাগটা গুছিয়ে নিয়ে বলল---গেটে তালা দিয়ে রাখিস। ছবি এলে খুলিস। ঘুমিয়ে পড়িস না। ফিরতে দেরি হবে।
মায়ের এই তাড়াহুড়োতে বিস্মিত হল অংশুমান। বাবার হাসপাতালে, মানে তবে কি ঐ গফুরের বউ ভর্তি ছিল, তার কিছু হয়েছে!
***